কলেজে ছয় বছর পার করার পরও অনেক ক্যাডেটের অর্জনের খাতাটা থাকে শূন্য। কলেজ থেকে পাসআউটের সময় বুকে থাকে অনেক কিছু না পাওয়ার বেদনা। কলেজের অনার বোর্ডে নিজের নামটি চিরস্মরণীয় না করতে পারার ক্ষোভ নিয়ে পার করতে হয় বাকি জীবন। এ থেকে পরিত্রান পেতে হলে ক্যাডেট জীবনের শুরু থেকেই সুচিন্তিত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। তাই নিজের ছয় বছরের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি থেকেই বর্তমান ক্যাডেটদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ দিচ্ছি।
বিস্তারিত»পরানের গহীন ভিতর
বহু বছর আগে, একটা সময় ছিলো যখন আমাদের অনেকেই সিসিবিকে নিজের ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলেছিলাম। যার যার নিজস্ব জীবনের গন্ডীতে থেকেও দিনের একটা বিরাট সময় আমরা অদ্ভুত ভাবে সিসিবিতে ঢুকে বসে থাকতাম। শুধু চুপচাপ বসে থাকাই নয়, হাসি কান্না হাউ কাউ ঝগড়া ফ্যাসাদ খাওয়া দাওয়া, এরকম প্রাত্যহিক সবগুলো কাজ যেন সবাই মিলে এই একটা জায়গাতেই করতাম। কেন করতাম কিভাবে করতাম এখন হয়তো পুরোপুরি বলতে পারবেনা কেউই,
বিস্তারিত»গন টু ডগ
“আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ
র্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি,
আঠারো বছর বয়সেই অহরহ
বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।”
কবি সুকান্ত আঠারো বছর বয়সীদের নিয়ে এই কবিতা লিখলেও ক্যাডেট কলেজ পার্সপেক্টিভ থেকে চিন্তা করলে বলতে হবে “ক্যাণ্ডিডেট টাইমেই অহরহ বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি”। সবচেয়ে ভদ্র সভ্য ক্যাডেটদের মনেও গড়ে ওঠে ডিসিপ্লিন ভঙ্গের নানারকম নীলনকশা।
আমার কলেজ FGCC’র কথায় আসি।
বিস্তারিত»নাই বা দিলাম শিরোনাম
হাজার দিন বাদে লিখতে বসেছি তাই শিরোনাম দেওয়ার কিছু খুঁজে পাই নি। অন্তত ৪খানা শিরোনাম লিখে কেটে তারপর ভাবলাম শিরোনামের অভাবে বুঝি আমার লেখাটাই আর হবে না। শিরোনাম ছেড়ে তাই বিষয়ে মন দিলাম। আগে তো লিখে শেষ করি তারপর না হয় শিরোনাম।
দুদিন আগে সিসিবির একটা পিকনিক হল। সিসিবির ঐতিহাসিক প্রথম মিটিং এর পর এই আমার দ্বিতীয় অংশগ্রহণ। ২০০৮ সালের আগস্টে মনে হয় আমরা প্রথম মিট করেছিলাম।
বিস্তারিত»পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ৩
দুপুর ১২টা ১৮ মিনিট। সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩
সকালে উঠতে দেরী হয়ে গেল। আসলে কিছু করার নেই। এখন সূর্য উঠে ৮টা ৩৫ মিনিটে। দেহ ঘড়ি সেই ভাবে নিজেকে ঠিক করে নিয়েছে। এই এলাকার লোকজন শীতকালে কিভাবে ৮টার অফিস ধরে আমার বোধগম্য নয়। ৮টায় অফিস ধরতে যাওয়া মানে আক্ষরিক অর্থে সূর্য উঠার আগে অফিসে ঢোকা। আমার মত অলস বাঙালীর জন্য যেটা চিন্তার বাহিরে। মেক্সিকান অমলেট নামক এক ফাঁকিবাজি নাস্তার মেনু শিখেছি নাইজেলা ল’সন এর ওয়েবসাইট থেকে।
জাল পরা বাসন্তী
“আফতাব ভাইও মারা গেলেন। নৃশংস খুন। ইত্তেফাকে থাকতে পুরোটা সময় সময় আমি আফতাব ভাইকে পেয়েছিলাম। এখনো কানে বাজে আফতাব ভাইয়ের ডাক-‘মাসুম, ভাইয়া’।
কিছুদিন আগেই মারা গেলেন ইত্তেফাকের শফিকুল কবির ভাই। তিনি তাঁর একটা বই শুরুই করেছিলেন আমার নাম দিয়ে। কবির ভাইয়ের শেষ জীবনটাও কষ্টে কেটেছে।
কাকতালীয় হয়তো, তাও বলি। সেই ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় জাল পরা বাসন্তীর বিখ্যাত ও অতি আলোচিত ছবিটি তুলেছিলেন আফতাব ভাই আর সংগের রিপোর্টার ছিলেন কবির ভাই।”
প্রত্যয়ঃ একটি পত্রিকার জন্ম মৃত্যুর গল্প
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য বেকারের খাতায় নাম লিখিয়েছি। স্বগোত্রিয় আরও কয়েকজনের সমবায় সমিতিতে শুরু হল পন্ডিতি। বিকাল বেলা লোকমানপুর স্কুল মাঠে কখনও ক্রিকেট আবার কখনও বাদাম টুয়েন্টি নাইনে বুদ্ধিজীবির ভূমিকা। মাস্টারী করি তাই ছা পোষাদের সাথেও মেলা মেশা শুরু।এমন একজন ছিলেন দলিল চাচা।পেশায় হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। মাদার টিংচার থেকে বিভিন্ন মাত্রার ওষুধ তৈরী বেশ ভাল একটা বিনোদন। শিশিটাকে উঁচু করে দ্রুত হাত নামিয়ে আস্তে করে অন্য হাতে ঠেকান।
বিস্তারিত»২০১৩
কবিতার সর্বনাশ
রিভিউ পড়ে বর্তে গেলাম,
নূপুর কান্তি বস।
অভাজনের হাতে এবার কবিতার সর্বনাশ।
তাহমিনা শবনম
কবিতা গল্পে পাকা হাত,
যদিও সংখ্যা কম।
আরও লেখা চাই তাহমিনা শবনম।
হারুন
কমেন্টে দারুণ।
ব্লগ লেখায় কারুন,
ডিগবাজী আর এড়াবে কত হারুন ?
তাওসীফ হামীম
বিশ্বাস বাড়ির পোলা
প্রতিভার ঝিকিমিকি
ফেসবুক সেলিব্রেটি।
সিসিবি পিকনিকঃ ২৫/১২/২০১৩
আজকের দিনটি ছিল খুবই ইউনিক একটা দিন। আগামী ১০০, ১০০০ বা ১০০০০ বছর পরেও এমন আরেকটি দিন আসবেনা। এই তারিখকে স্মরনীয় করে রাখতে নানা কর্মসুচীতে জড়িয়ে যাই। একই দিনে কলেজের ব্যাচের গেট টুগেদার আবার সিসিবি পিকনিক। দুইটার সময়ই দুপুরে। একেবারে কোনটা ছেড়ে নেব কোনটা অবস্থা। শেষমেশ কলেজের বন্ধুদের ভুজুং ভাজুং বুঝিয়ে গেট টুগেদারের সময় রাতে নিলাম আর এতদিন পর ক্যাডেট কলেজ ব্লগের গেট টুগেদার বা পিকনিকে অংশগ্রহণের সুযোগ পেলাম।
বিস্তারিত»কথা বন্ধ
# নার্সারি থেকে থ্রি #
মা খেলতে যেতে দেয়নি। কথা বন্ধ।
বাবা বিটিভির আটটার সংবাদের পর আলিফ লায়লা দেখতে দেয়নি। কথা বন্ধ।
আপু পুরো কাপ চা একা একা খেয়েছে, একটুও ভাগ দেয়নি। কথা বন্ধ।
ভাইয়া খেলতে নিয়ে টেনিস বল ফাঁটিয়ে ফেলেছে। কথা বন্ধ।
বেস্ট ফ্রেন্ড স্কুলে আগে এসেছে কিন্তু পাশের সীটে জায়গা রাখেনি। কথা বন্ধ।
# ফোর থেকে সিক্স #
মা আজকেও টিফিনের জন্য টাকা দেয়নি,
বিস্তারিত»ফুটবল এবং আমরা
আপনারা সবাই ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন ৫ বারের ফুটবল বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিলের জার্সিতে এবার মেড ইন বাংলাদেশ লেখা থাকবে । অর্থাৎ তারা বাংলাদেশের বানানো জার্সি পরে খেলবে । এজন্য শুরুতে আমি এদেশের পোশাক শিল্পের সাথে জড়িত সকল শ্রমিক এবং মালিক সকলকেই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে চাই । কারন আজ তাদের প্রচেষ্টাই আমাদের এত বড় এক অবস্থানে এনে দিয়েছে । এবং সেই সাথে শুভকামনা করতে চাই যাতে বর্তমান সংঘাত এবং নানা দুর্ঘটনাকে উপেক্ষা করে যেন আমাদের পোশাক শিল্প আরো অনেক দূর এগিয়ে যায় এবং বিশ্বের মাঝে মাথা উচু করে দাড়িয়ে থাকে ।
বিস্তারিত»জ্ঞানদীপন (Enlightenment) কি? এই প্রশ্নের উত্তর (পর্ব – ২)
জ্ঞানদীপন (Enlightenment) কি? এই প্রশ্নের উত্তর (পর্ব – ২)
—————— মূলঃ ইমানুয়েল কান্ট
(কোনিগ্সবার্গ, প্রুশিয়া, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ১৭৮৪ সাল)
——————অনুবাদঃ ডঃ রমিত আজাদ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর থেকে)
কোন একটি বিশেষ পদক্ষেপ আইন হিসাবে গৃহিত হবে কি না তা পরীক্ষা করতে চাইলে, আমাদের শুধু জনতাকে (বা কোন জাতিকে) প্রশ্ন করতে হবে তারা ঐ আইনটি নিজের উপর প্রয়োগ করতে পারবে কিনা?
বিস্তারিত»রাগ
মেয়েটা নিজেকে কী মনে করে ?
আপন মনে বিড়বিড় করতে থাকে শফিক । এই মুহূর্তে সে অফিসের চেয়ারে প্রচন্ড রাগান্বিত হয়ে বসে আছে । তার রাগের কারন অনেক । তবে সূত্রপাত গতকাল রাত থেকে ।
তার রাগটা মূলত কেয়ার উপরে । মেয়েটা নিজেকে অনেক সেয়ানা মনে করে । সে রাগ করলে তার কাছে মাফ চাইতে হবে । কিন্তু আমি রাগ করলে এটা ব্যপার না ।
বিস্তারিত»জ্ঞানদীপন (Enlightenment) কি? এই প্রশ্নের উত্তর (পর্ব – ১)
জ্ঞানদীপন (Enlightenment) কি? এই প্রশ্নের উত্তর
(পর্ব – ১)
—————— মূলঃ ইমানুয়েল কান্ট
(কোনিগ্সবার্গ, প্রুশিয়া, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ১৭৮৪ সাল)
——————অনুবাদঃ ডঃ রমিত আজাদ
(খ্যাতিমান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট লিখেছিলেন জার্মান ভাষায়, আমি পড়েছি ইংরেজীতে, সেখান থেকে আবার বাংলায় অনুবাদ করেছি, অর্থাৎ এটি অনুবাদের অনুবাদ। অনুবাদের কাজটা খুব কঠিন, আমি নিজে ভাষাবিদ্যা বা দর্শন কোনটারই এক্সপার্ট নই, তাই নিজেকে এই অনুবাদের যোগ্য মনে করিনা।
বিস্তারিত»হুজুর ভাই
ছোটবেলায় আমার নাম শুনে অনেকেই যখন বলত,”বাহ,তোমার ডাকনামটা তো সুন্দর”,তখন খুব ভালো লাগত।সেইসময় তো আর বুঝতাম না যে মানুষ অনেক কিছুই বলে,যেগুলোর নাম হচ্ছে “কথার কথা।”তাই নাম নিয়ে আমার ভিতরে হাল্কা গর্ব ছিলো।আমার এই গর্ব ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় পাবনা ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার পরে।টিচার থেকে শুরু করে সিনিয়র,স্টাফ,হসপিটাল অ্যাটেনডেন্স,যেই নাম জিজ্ঞেস করে,আমার উত্তর শুনে কিছুক্ষন ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলে,”হিন্দু নাকি?”সারাজীবনে আমার যে কয়জন “প্রতীক”
বিস্তারিত»