এখন নিয়মিত কার্ড খেলি। ২৯ এবং পোকার খেলা হয়। কিন্তু একটা না ভোলা খেলা আর খেলা হয়না। কল ব্রীজ। এটা নাকি বিগিনারদের খেলা। কি আর করা এখন এমেচার হইলেও প্রফেশনাল ভাব নিয়াতো থাকতে হবে। আজকে টাইম লাইনে ঘুরতেসিলাম। এটা আমার কিছুদিন পর পরই করা হয়। হামিমের কিছু স্ট্যটাস আর কমেন্টস পড়ে হাসতেসিলাম মনে মনে। বয়স কত ছিল সেটা হিসাব করলেই বের হবে, কিন্তু সেই ইচ্ছা নাই।
বিস্তারিত»মরলে হিঁদু তোর কী তাতে???
কে বলেছিলেন ঠিক মনে নেই, মেবি প্লাটো/ প্লাতো।
“ঈশ্বর তোমাকে ধন্যবাদ যে আমাকে নারী করে তৈরি করোনি।”
আমি নিজে ঈশ্বর বিশ্বাসী নই। মা মারা গেলেন নভেম্বরে। বাবা বললেন,
“তুই তো আল্লাহ-খোদায় বিশ্বাস করিস না। তোর মার জন্য দোয়াও করতে পারবি না।”
আমি জবাব দিই,
“হু।”
বৌ বললো,
“সূরা ইয়াসিনটা একটু পড়ো।”
নির্বাচন
১। নির্বাচনের ব্যাপারে আমার প্রথম অভিজ্ঞতা, আম্মুর হাত ধরে টোটো করে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ। কারণ আমার এক মামা সেবারের মেম্বার পদপ্রার্থী ছিলেন। ভোটের দিন প্রবল উৎসাহে আম্মুকে বললাম, আম্মু ভোট দিতে যাব।
আম্মু আমার উৎসাহকে পাত্তা না দিয়েই বললেন, “যাওয়া লাগবেনা। কখন আবার কি থেকে কি হয়ে যায়!”
২০০১ এর নির্বাচনের পর আজ আবার নির্বাচন দেখলাম। এবারো ভোট দিতে পারিনি।
বিস্তারিত»শেষ চিঠি……..
……,
কি লিখব আর কিভাবেইবা লিখব সেটা ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা । স্বপ্নগুলো হারিয়ে ফেলে জীবনপথে পথহারা এক পথিকের মত ইতঃস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছি । ঠিক যেন নিঃসঙ্গ,নিভৃতচারী রাতজাগা এক পাখি । জানো,এখনো তোমায় নিয়ে স্বপ্ন সাজাই । বন্ধুরা হাসাহাসি করে,মা ডেকে ঝাড়ি দেয় ঘুমানোর জন্য…..। আর চূড়ান্ত নির্বোধ এই ছেলেটা সারাটা রাত জেগে পার করে দেয়,পাছে তোমায় নিয়ে ভাবার জন্য একটা মুহুর্ত কম পরে যায় জীবন থেকে ।
পরীক্ষার ফলাফল
“ভালো” ব্যাপারটা আপেক্ষিক। কথাটার মর্ম প্রথম বুঝি ক্লাস সেভেনে ক্যাডেট
কলেজে ঢোকার পর প্রথম পাক্ষিক পরীক্ষার খাতা দেবার পর। ক্যাডেট
কলেজে ঢোকার আগে যে আমার ভালোর কোন শেষ ছিলো না, যে আমার রোল কখনো প্রথম তিনজনের বাইরে যায়নি, সেই আমিই এক লাফে শেষ তিনের মুখ দেখলাম। শুধু মুখ দেখাই না, শেষ তিনের এমন গভীর প্রেমে পড়েছিলাম যে বের হওয়াই মুশকিল হয়ে গেল।
এটা যে খুব একটা খারাপ ব্যাপার,
বিস্তারিত»পিসিসি’র লিজেন্ডগণঃপর্ব ২
জনৈক ভাই,নাম বললে মাইন্ড খাইতে পারেনঃ
এই ভাইয়ের নাকি একটা বালতি ছিলো,রোজ গেমসের পরে লুঙ্গি পরে,হাতে বালতি নিয়ে পুরো হাউজ রাউন্ড দিতেন,আর জুনিয়ররা নাকি মসজিদের দান-বাক্সের মত সেইখানে কুপন ফেলত।এই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের সুযোগ হয়নি,কিন্তু কালে কালে উনার খ্যাতি ডালপালা গজাতে গজাতে ছড়িয়ে পড়েছে সবগুলো ব্যাচের মধ্যে।
পরের কাহিনীও একজন সিনিয়র ভাইকে নিয়ে,কাহিনীর সত্যতা মোটামুটি ভেরিফাইডঃ
পিসিসি’র একটা ঐতিহ্য আছে,এখানে কোন ব্যাচ দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে যারা টেবিল লীডার হতে যাচ্ছে,তারা স্বচ্ছ ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক হাউজ প্রিফেক্টের তত্ত্বাবধানে নিলামের মাধ্যমে তার টেবিলে কোন কোন জুনিয়র বসবে,তা ঠিক করে নেয়।জমাকৃত সকল অর্থ দিয়ে পরবর্তীতে ব্যাচের পক্ষ থেকে হাউজকে উপহার কিনে দেওয়া হয়।সুন্দর ট্রেডিশান।তো আমাদের কাহিনীর নায়ক ভাইয়া,দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে পিতার কাছে টাকা চাহিয়া পত্র লিখলেন,”বাবা,ক্লাস টুয়েল্ভকে টেবিল কিনতে হয়,তাই বেশি করে টাকা পাঠায়ে দিয়ো।”উনার পিতা অতশত বুঝিতেন না,উনি পত্রের উত্তর পাঠালেন,
বিস্তারিত»নিরবতা
নিরবতা
সত্য বল্লে মা মার খায়,
মিথ্যা বল্লে বাবা বিড়াল খায় !
সমাধান নিরবতায় ?
Agony
Mother raped for truth
Lie caused father’s death
The child is dumb!
পুরোনো পাতায়ঃ বরফের দেশের গল্প ৪
ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩ (সময় লিখে রাখিনি) – ভাবনা
নামের শেষে এক বা একাধিক মার্কিনি ডিগ্রী থাকলে দেশে সাধারণত বাজার মূল্য চড়া থাকে। তা সে চাকুরীর বাজার হোক আর বিয়ের বাজার হোক। ছেলে আমার আমেরিকা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছে। মেয়েটা আমার ঘরের লক্ষী আবার কেমিস্ট। স্কলারশিপে পড়েছে, যেনতেন কথা নয়। তবে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক (কূটনামী সম্পর্কিত নীতি) পরিসরে মার্কিনি ডিগ্রী মাঝে মধ্যে বিপদ ডেকে আনে। ধরুন আলোচনা,
পিসিসি’র লিজেন্ডসমূহঃপর্ব ১
ফজলু ভাই(হসপিটাল অ্যাটেন্ডেন্ট)
উনার মত চাপাবাজ লোক আমি জীবনে খুব কমই দেখেছি,তার কয়েকটা নমুনাঃ
চাপা ১-“জানো,ক্যাডেট কলেজ হওয়ার আগে এইখানে বিশাল জঙ্গল ছিলো।বাঘ,সিংহ,ডাইনোসর,আরো অনেক কিছু ছিলো এইখানে।ধরে ধরে নিয়ে আফ্রিকায় ছেড়ে দিয়ে আসত এলাকার লোকজন।”
চাপা ২-মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বাবার কপালে গুলি করেছিলো পাকিস্তানিরা,উনি টের পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলেছিলেন,তাই ভিতরে না ঢুকে চামড়ার পাশ দিয়ে চলে গেছে।ওই জায়গায় এখন আর চুল গজায় না।আরেকটা গুলি খেয়েছিলেন পেটে।ডাক্তার অপারেশান করেও বের করতে পারেনি,পরে পায়খানার সাথে বের হয়ে গিয়েছিলো।
বিস্তারিত»মেঘ হও! মেঘ হও!
সামনে পরীক্ষা। তাই ঘুরাফিরা,খেলাধুলা, কাজকর্ম সব বাদ দিয়ে দিয়েছি। এখন গায়ে রোদ জড়ায়ে সারাদিন বসে থাকি আর সিগারেট ফুঁকি। ঘুম থেকে উঠে গোসলের আগ পর্যন্ত,আবার গোসলের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। নিয়মিত দুই বেলা। গত দুইদিন রোদ নেই, তাই মনও ভাল নেই।
আজ রোদ উঠেছে, পরীক্ষা উপলক্ষে একটা ঘড়ি কিনে দিয়েছে বন্ধু পলাশ। আনন্দ সীমা অতিক্রম করার কথা। অথচ মন ভাল নেই। অনেক দূর থেকে ভেসে আসা একলা পাখিটার ডাকে ঘুম ভেঙেছে।
বিস্তারিত»স্ট্যাটাসসমগ্র-১
(অনেক দিন সিসিবিতে কিছু লেখিনা। জাভেদ ওমর বেলিম গুল্লুর মত এককালের ডাকসাঁইটে(!?) জন্মদিন প্রিফেক্ট এখন অবসরে। তবে ফেসবুকে গরম গরম স্ট্যাটাস দেয়া চলছে।আজ সক্কাল সক্কাল উঠেই প্রিয় ছোটভাই এবং ভবিষ্যৎ এ্যাডমিরাল নাফিস উজরাতের খোঁচা খেলাম-” কি ভাইজান, সিসিবিতে লিখা দিতে ইচ্ছা করেনা, তাইনা??” ওর এই খোঁচা থেকেই স্ট্যাটাসসমগ্রের জন্ম। পুরোন স্ট্যাটাসগুলো দুই তিনটা এক করে প্রথম পর্ব আজ শুরু করছি। দায়দায়িত্ব এবং গালাগালির দায়ভার সম্পূর্ণ এ্যাডমিরালের 😀 )
১।
বিস্তারিত»বর্ষ শুরু সংখ্যা
নতুন বছরের শুরুতে দেখা যাচ্ছে সিসিবির উর্বরতা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছ। একের পর এক নতুন লেখা আসছে, তারচেয়ে বড় কথা ভাল মানের লেখা আসছে। ব্লগে ঢুকলে মনটাই ভাল হয়ে যায়। লেখার সাথে সাথে আনাগোনাও প্রচুর বেড়েছে, সবসময়ই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য আর অতিথিদের অন প্যারেড দেখি। তবে এর মাঝে হালকা মন খারাপের বিষয় হলো এত আনাগোনার তুলনায় মন্তব্য করার হারটা একটু কমই। আমরা যারা লেখা পড়ছি তারা যদি একটু কষ্ট করে পোস্টটাতে আমাদের ভাল লাগা,
বিস্তারিত»গরম মশল্লা ( গুড়া)
ছোট ক্লাসে পড়া রসগোল্লা গল্পটির কথা হয়ত আমাদের অনেকেরই মনে আছে, মুজতবা আলীর এ গল্পটি আক্ষরিক অর্থেই একটি রসগল্প।
ইতালির এক কাস্টমস অফিসার বাঙালি ব্রাহ্মণ সন্তান ঝাণ্ডুদার মিষ্টান্নের প্যাকেট খুলতে বলায় এবং ঝাণ্ডুদা তার বন্ধুর মেয়ের জন্য তা লন্ডনে নিয়ে যাচ্ছে বলে খুলতে রাজি না হওয়ায় চুঙ্গিওয়ালা কোনো যুক্তি না মেনে তা খোলাতে বাধ্য করল। ঝাণ্ডুদা তাতে ক্ষেপে গিয়ে একটি রসগোল্লা চুঙ্গিওয়ালার নাকে-মুখে প্রবিষ্ট করিয়ে দিয়েছিল।
লেডিজ ফার্স্ট!!!
সে বহুকাল আগের কথা।এক দেশে ছিলো এক প্রেমিক-যুগল।তারা একে অপরকে জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসত।একদিন ছেলেটা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে চৌধুরী সাহেব,তথা মেয়ের বাবার নিকটে গেলো।কিন্তু চৌধুরীসাহেব তাকে ভাগিয়ে দিলেন।
প্রেমিকযুগল ঠিক করলো,এই জীবন আর রাখবে না তাঁরা।পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করবে।মিলন হবে জাহান্নামে।সেই মোতাবেক তাঁরা গেলো পাহাড়ের চূড়ায়।জীবিত অবস্থায় শেষবারের মত প্রেমিকাকে চুম্বন করে ছেলেটা বলল,”সোনা,আমি যাচ্ছি,তুমিও আস।”বলেই সে লাফ দিলো।
মেয়েটা চুম্বন শেষে চোখ খুলে দেখে ছেলেটা নেই,নিচে তাকিয়ে দেখে,তার এক্স-বয়ফ্রেন্ডের দলা পাকানো শরীর দেখা যাচ্ছে।মেয়েটা ছুটে বাসায় চলে গেলো।বেসিনের সামনে দাঁড়িয়ে কয়েকবার বমি করলো।অতঃপর ফেস-ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।ঘুমানোর আগে সে তার আরেক গুণমুগ্ধ ভক্তের কাছে খুদে-বার্তা পাঠালো,”তুমি না ডিনার করাতে চাইছিলা???আজকে যাবা???
বিস্তারিত»আবোল তাবোল ২
আগের পর্বের লেখাটা বেশ বিরক্তিকর হয়েছিল এটা আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি । তাই ভেবেছিলাম ক্যাডেট কলেজ ব্লগ আমার উপর রাগ করেছে । কারন আমি অনেক চেষ্টা করেও লেখা সাবমিট করতে পারছিলামনা । বেশ চিন্তিত হয়ে গেলাম । কী হল ? পরে দেখলাম ক্যাডেট কলেজ ব্লগ নয় , দোষ আমার নিজের । আমি যে ছোট একটা ভুল করছিলাম সেটা আমি খেয়াল করিনি । এজন্য একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম ।
বিস্তারিত»