দুইটা বিড়াল মিলিয়া এক টুকরা কেক চুরি করিল। কিন্তু কে কতটুকু খাইবে ঠিক করিয়া উঠিতে পারিল না। শুরু হইল ঝগড়া,মারামারি,হরতাল ,গাড়ি ও মানুষ পুড়ানো।
পাশের উঁচু গাছের ডালে বসিয়া এক চালাক বানর দেখিতেছিল সব।ঝগড়া নয় কেকের লোভে নামিয়া আসিলো সে।
গম্ভির চালে বলিল-এই, তোরা ঝগড়া থামা।আমি আসিয়াছি দ্বি পাক্ষিক মীমাংসার জন্য।শীর্ষ হইতে বৈঠকে নামিয়া।
কেক যার হাতে ছিল সেই বিড়াল বলিল-এই কেক আমার পূর্ব পুরুষ এবং আমার স্বপ্ন ।
অন্তর্নিহিতা
টিএসসির গোল চত্বরে দাঁড়িয়ে আছি অনেকক্ষণ। কলাভবনের কাজটা শেষ করে সারিনি মাহিরের সামনে পড়লাম। আর তার কোথা রাখতে আজ এখানে এসে দাঁড়িয়ে থাকা। শালা মানুষ হলো না। সেই কলেজ লাইফ থেকে শুরু করেছে। তার যেন কোন অন্ত নাই, নাই বিরক্তি। ছোটবেলা থেকে খাতার পাতায় অযথাই আঁকিবুঁকি করার একটা বদ অভ্যাস ছিল। আর আলপনাও মোটামুটি আঁকতে পারতাম। তাই যখন আমার টেনেটুনে করে পরীক্ষার পাশে কোথাও চান্স পেলাম না,
বিস্তারিত»ডার্টি সিক্স
[ ব্লগ অ্যাডজুটেন্ট স্যারের কাছে প্রথমেই ক্ষমা চাচ্ছি ডার্ট পোস্ট করার জন্য । স্যার যদি খাতির করেন তাহলে চা খাওয়াব ]
এক সময় কাসিম হাউসের ছয় নম্বর রুমে ছিলাম। ঐ রুমে বসবাসকারীরা ঐতিহ্যগতভাবে নোংরা ছিল। নোংরামিটা বেশি ছিল মোজা নিয়ে। মোজা কাচতে ভীষন অনীহা। একজন তো মোজা খুলে কৌটায় রাখতো। জুনিয়রদের জন্য ঐ কৌটাবদ্ধ মোজার গন্ধ শোঁকা ছিল মেজর পানিশমেন্ট। আর একজন জাংগিয়া কাচতো না,
অব্যক্ত ভালোবাসা
রাত্রি ১১.৩০ মিনিট। ঘুমোতে যাওয়ার ঠিক আগ মূহুর্তে মোবাইলের ডিসপ্লেতে আলো জ্বলে উঠলো। অচেনা নাম্বার। কিছুটা ইতস্তত ভাব, ধরবে কি ধরবে না? অবশেষে পরিচিত কেউই হয়তো নাম্বার পরিবর্তন করেছে ভেবে ধরলো। তারপর যা হলো তার জন্যে হয়তো রুদ্র প্রস্তুত ছিলো না।
ফোনটার কলার ছিলো একটি মেয়ে। রুদ্র তার নাম জানেনা। তাকে চিনেও না। তবে মেয়েটির কন্ঠে এমন কিছু একটা আছে যা রুদ্রকে আকৃষ্ট করে ফেলেছে।
বিস্তারিত»তবু কী?
হে আমার তারুণ্য, তোমায় আকন্ঠ পান করেছি-
প্রিয় কোন জলের মতো
তোমায় দিয়েছি বিলিয়ে আমার সকল পিপাসা।
হে আমার উচ্ছ্বাস, তোমায় তুমুল বাজিয়েছি-
একান্ত নিজস্ব বাদ্যের মতো
তোমায় সঁপেছি আমার সকল প্রকাশের ভার।
হে আমার আশা, তোমায় বারে বারে ভেবেছি-
ভীষণ প্রিয় কোন মুখের মতো
তোমার ঢেউয়ে ভাসিয়েছি আমার প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ভেলা।
হে আমার উদ্যম, তোমায় নিয়ে চলতে শিখেছি-
খুব আপন কোন বন্ধুর মতো
তোমায় দিয়েছি আমার সকল বেদনা মোছার অধিকার।
মেঘের ‘পরে বসত তোমার
একলক্ষ বছর অপেক্ষার পর সাব্যস্ত হবে, তুমি আমার কিনা?
ওসব কথা এখন থাক।
এখন চলো মিকির পাহাড়ে বুনো কুল পেকেছে
চলো খেয়ে আসি।
লাল রুখু চুল
সূর্যাস্তের মধ্যে
অর্কিডের উজ্জ্বল শিকড়ের মত উড়ছে
-দেখি দেখি, তোমার তামাটে মুখখানি দেখি!
সূর্য এখনি অস্ত যাবে। পশুর মতো ক্ষীণ শরীরে
আমারা হাঁটু পর্যন্ত জলস্রোত পেরিয়ে চলেছি
জলস্রোত ক্রমশ তীব্র…………………কনকনে।
বিস্তারিত»অতি দূর থেকে দেখা একজন হুমায়ুন আহমেদ
অতি দূর থেকে দেখা একজন হুমায়ুন আহমেদ
——————————————— ডঃ রমিত আজাদ
হুমায়ুন আহমেদ নামটার সাথে প্রথম পরিচয় ঘটে আমাদের পারিবারিক লাইব্রেরীতে। তিন জেনারেশন ধরে গড়ে তোলা মোটামুটি বড়সড় একটা লাইব্রেরী ছিলো আমাদের বাড়ীতে। ছোটবেলা থেকেই এই লাইব্রেরীটি ছিলো আমার জ্ঞান আহরণ ও বই পড়ে আনন্দ পাওয়ার একটা ভালো যায়গা। প্রায়ই অবসর সময়ে ওখান থেকে কোন একটা বই টেনে নিয়ে পড়তাম। একদিন সেখান থেকে টেনে নিলাম একটা বই,
বিস্তারিত»প্রশ্ন
কতটা পথ হাঁটলে পরে মানুষ বলা যাবে ?
আর কত সাগর পাড়ি দিয়ে গাংচিল ঘুমাবে ?
কত গোলা দাগলে পরে কামান নষ্ট হবে ?
কত বছর টিকবে পাহাড়
ধূয়ে যাবার আগে ?
মুক্ত হবার আগে মজলুম
ক’বছর বাচেঁ, বল ভ্রাতা ?
অন্ধ হবার ছল করতে
ক’বার ঘোরাবে মাথা ?
ক’বার উপরে তাকালে পরে
আকাশ দেখা যায় ?
যে চিঠি লিখতে নেই!!
শাশ্বতী,
কেমন আছ জানি,ভাল নেই।
ভালবাস কিনা সেটা জানা হল না।বিশ্বাস করি ভালবাস। তবু মাঝেমাঝে জানতে ইচ্ছে হয়।কিন্তু জেনে ফেললেই তো সেটা আর বিশ্বাস থাকল না; বাস্তব,সিদ্ধ সত্য হয়ে গেল।
তাই থাকুক কিছু সংশয়।
সংশয়ে থাকুক বিশ্বাস,বিশ্বাসে ভালবাসা।
ভাগ্যিস বলে দাও নি! বলে দিলেই সিদ্ধ হয়ে যেত!
যেমন; “সূর্য পুবে ওঠে ” তেমনি “শাশ্বতী আমাকে ভালবাসে, অথবা বাসে না!
জাতীয় অস্ত্র ককটেল, পেট্রোল বোমা ও আমরা মা নু ষে রা
এই মুহুর্তে বাঙলাদেশের অন্যতম প্রতীক হচ্ছে ডিব্বা

হরতাল করা, বাসে-সিএনজিতে আগুন দেয়া এখন নাগরিক অধিকারের পর্যায়ে পড়ে।
অতীতের বিভিন্ন দলের পালন করা হরতাল, নাশকতার উদাহরণ টেনে এনে হালাল করা চেষ্টা চলছে আজকের এই নারকীয় হত্যাকান্ড, জনজীবনে ত্রাস সৃষ্টি করা, যানবাহন ধ্বংশ করার মহোৎসব।
আর গান্ধীবাবা তো হরতাল করেই গেছেন। তার শেখানো আর দেখানো পথে আমরা বঙ্গপুঙ্গবেরা চলিবো না তো যদু-মধু চলিবে!
আর কত?
বেশ কিছুদিন আগে কোন এক টক শোতে( মনে নেই কোন চ্যানেল) একজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি (উনার নাম ও আমার খেয়াল নেই) আমাদের দেশের দুই নেত্রীকে মায়ের সাথে তুলনা করেছেন । উনার এ কথা নিয়ে অনেক সুক্ষ বিতর্কের সুযোগ আছে আমি জানি। আমি সে বিতর্কে যাবনা । আমি শুধু আমার মতামত প্রকাশ করতে চাই। আমার এক আত্মীয় আছেন ,যাকে কীনা আমি পৃথিবীর সবচেয়ে দায়িত্বহীন মা হিসেবে চিহ্নিত করেছি ,
বিস্তারিত»অনেকটা পথ
অগাস্টের কোন এক ভোর রাতে জাতির রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের লাশ পরে থাকবে সিঁড়িতে, কয়েকজন খুনি মেজররা দেশ দখল করে ফেলবেন, একজন মেজর ডালিমের গলা ভেসে আসবে বেতারে। দেশের ভেতরে আলীম বেশে লুকিয়ে থাকা রাজাকার, আল-বদরেরা উঁকি মেরে তখন গলা উঁচু করবে, স্লোগান বানিয়ে গর্ত থেকে বেড়িয়ে আসবে-
“আলীম মারলো জালিম
জালিম মারলো ডালিম”
সকালের খাবার খাবার সময়ে গুলিতে ঝাঁঝরা হবেন মুক্তিযুদ্ধের একটি স্তম্ভ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ,
বিস্তারিত»কেন আমি আত্মহত্যা করবো??
কয়েক মাস আগে বাড়িতে গিয়েছিলাম ছুটিতে। আব্বুর সাথে কী একটা কথা বলতে বলতে হঠাৎ বললেন, “ইমন মারা গেছে জানো?”
আমি- “কোন ইমন?”
আব্বু- “তোমার আফতাব চাচার ছেলে”।
আমি- “কিভাবে মারা গেছে?”
আব্বু- “সুইসাইড করেছে”।
আমি- “কেন?”
আব্বু- “খারাপ ছেলেদের সাথে মিশতো নাকি, ড্রাগ নেয়া শুরু করেছিল। একটা মেয়ের সাথে নাকি সম্পর্ক ছিল। শেষের দিকে কেমন যেন হয়ে গিয়েছিল।
বিস্তারিত»আইরিশ বুল, রেহমান সোবহান আর মুরাদ টাকলা
আমাদের বাড়িতে ছোট্ট একটা বাগান ছিল। একবার অনেক যত্নে ফুটল সাদা, গোলাপী, লাল, কমলা আর হলুদ গোলাপ । আমরা সবাই খুব খুশি হলাম। কিন্তু বাংলার পাঁচ (আমার ভাইয়ের এক বন্ধু)-এর মন্তব্যে রাগে পিত্তি জ্বলে গেল। সে নিউমার্কেটে খুব সুন্দর কাগজের গোলাপ দেখেছিল, আমাদের বাগানের গোলাপগুলো নাকি সেই রকম সুন্দর। আসল জিনিসকে নকলের মত সুন্দর বললে কার রাগ হবে না ? বাংলার পাঁচ সাহিত্য চর্চাও করত।
বিস্তারিত»১৫ ই আগষ্ট ১৯৭৫ – প্রেক্ষাপট
হাতে লিখতে সময় লাগবে তাই বইটি সরাসরি তুলে দিলাম। লেখক লে কর্নেল (অবঃ) এম এ হামিদ, পিএসসি। বই- তিনটি সেনা অভ্যুথ্বান ও কিছু না বলা কথা। বইটি শিখা প্রকাশনি থেকে প্রকাশ করা হয়েছিলো। প্রথম প্রকাশকাল ১৯৯৩।
বিস্তারিত»












