জার্নাল মালয়েশিয়াঃ আরো কিছু

মালয়েশিয়া নিয়ে লেখা লেখি প্রায় শেষ। আর বড়জোর ২ – ১ কিস্তি। এর পর অন্য কোথাও পাঠকদের নিয়ে যাবার আশা রাখি।

পাসির সালাক গ্রামের একটা ইতিহাস আছে অগে বলেছিলাম।

ইংরেজের রাজ্য বিস্তারের কাল তখন। মালয় উপদ্বীপেও তার সদম্ভ উপস্থিতি। ছোট খাট স্থানীয় রাজ্য গুলো  আপাতঃ স্বাধীন কিন্তু আসলে করদ রাজ্য বিশেষ। কোন কোন রাজ্যে আবার সরাসরি ইংরেজের শাসন। অনৈক্য আর পিছিয়ে পড়া জনগন নিয়ে তেমন কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে উঠে না।

বিস্তারিত»

এক পশলা বৃষ্টির মত

ইদানিং ভীষণ বাজে ভাবে কেটে যাচ্ছে দিনগুলো- পিএইচডি’র থিসিস শেষ করা, নিয়মিত ক্লাসের পড়ানো+গ্রেডিং, ইত্যাদি নিয়ে দৌড়ের উপর আছি। তার উপরে দেশে বিনা-বিচারে খুন, প্রকাশ্য রাজপথে যৌন সন্ত্রাস, রাজনৈতিক নেতাকর্মীর হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি+শিক্ষক নির্যাতন, ইত্যাদি চরম হতাশাজনক খবর অনুভূতিগুলোকে কুড়ে কুড়ে খেয়ে যাচ্ছিল। সিসিবি’তে বড় ভাইদের লেখার বন্যাও খুব একটা নাড়া দিতে পারছিল না। এমন সময়ই বেঙ্গল টাইগাররা পরপর দুই ম্যাচে পাকিস্তানের জাতীয় ক্রিকেট দলকে গো-হারা হারিয়ে দিল।

বিস্তারিত»

দর্প হরণ পার্ট টু

“ আমার গায়ে বল মারছে কে? পিটিয়ে সবগুলার হাড্ডি গুড়ো করে ফেলবো” চিৎকার শুনে পেছনে ফিরে তাকালাম। দেখলাম আমাদের ক্লাসের দস্যুরানী ফুলনদেবী নীতু ক্লাসের এক কোনায় রংবাজি করছে,এক হাতে তার বিশেষ অস্ত্র স্টিলের স্কেল, আরেক হাতে পানির বোতল। আর তার সামনে জড়োসড়ো ভঙ্গিতে নিরীহ কয়েকটি ছেলে। এটি আমাদের ক্লাসের মোটামুটি কমন একটি দৃশ্য।
নীতু মেয়েটার কথা একটু বলি, আমাদের ক্লাস সিক্সের ক্যাডেট কোচিং এর সবচেয়ে বাঁদর মেয়ে এই নীতু।

বিস্তারিত»

ইস্যু যখন ইস্যু

প্রিন্ট-মিডিয়া কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় ইস্যু কিভাবে হারায় ?? ইস্যু ২ ভাবে হারায় ।

১. কন্ট্রোভারসিয়াল বা ডিমোরালাইজিং কোন ইস্যুর পরপর যখন কোন এন্টারটেইনিং কিংবা গ্লোরিফাইং ইস্যু চলে আসে। পহেলা বৈশাখ ইস্যুর পরপর এখন যেমন বাংলাদেশের ক্রিকেট সিরিজ চলে আসা। ১৬ বছর পর বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথে ওয়ানডে জিতেছে এই ইস্যুতে এখন ফেসবুক গরম, পহেলা বৈশাখ মনে রাখার আর কি দরকার ??

২.

বিস্তারিত»

প্রাপ্তি

তোমার না মিশনে নাম আসছে?
জি মামা ।
কোন দেশে যেনো ? মালে না কি যেন বলছিলা !!
মালি ।
এটা রাজধানীর নাম না দেশের নাম?
না মামা, এটা দেশের নাম । মালির রাজধানী বামাকো ।
এটা কোন মহাদেশে ?
আফ্রিকা মহাদেশে ।
ওওও, কখনো নাম শুনি নাই, খুব একটা উন্নত না বোধ হয়, তাই না?
হতে পারে ।

বিস্তারিত»

জার্মানির জার্নাল ১

অনেকদিন আগে জার্মানি গিয়েছিলাম। ছিলামও মাস দেড়েক। সেই সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখছি জার্মানির জার্ণাল।

frankfurt-airport2
পৃথিবীর ব্যস্ত এয়ারপোর্ট গুলির অন্যতম ফ্রাঙ্কফুর্ট । আমরা যখন ওখানে পৌছালাম বাংলাদেশে তখন পড়ন্ত বিকেল আর ফ্রাঙ্কফুর্টে বুড়ো বাঘের মত শয়ে আছে শীতের দুপুর। তেজহীন সূর্যকে আগলে রেখেছে মেঘ, হঠাত দমকা বাতেসে কুয়াশা অথবা মেঘ সরে গেলে সূর্যের দেখা মেলে। আমাদের গন্তব্য মিঊনিখ এখান থেকে বিমানে ৪০ মিনিটের পথ।

বিস্তারিত»

বাঘের দুধ

ক্লাস ইলেভেন, এ ফর্ম । একাডেমিক ব্লকের নিচের তলা । চতুর্থ পিরিয়ডের ঘন্টা পড়লো । ক্লাসে হাজারী স্যার কেমিস্ট্রি ফার্স্ট পার্ট খাতা নিয়ে আসলেন । খাতা দেয়া শুরু হলো ।

আশরাফ খাতা পেয়েই মুখ কালো করে বসে রইলো । সে ঘামছে আর বারবার কাউন্ট করছে । দুই তিন বার কাউন্ট করেই তার মুখ হাসি হাসি । এবার সে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে এদিক সেদিক তাকাচ্ছে ।

বিস্তারিত»

কল্পপুরের গাড়ি আর একটা ইনটেক বার্থডে…

ক্লান্ত শরীর নিয়ে বসে, দুপুর একটা বাজে। হঠাৎ-ই কল্পপুরের এক গাড়ি এসে হাজির। আরে, আজ না ১৫ই এপ্রিল, টাইম তো ২টা ছিল, তাইনা?

তড়িঘড়ি করে কল্পপুরের গাড়িতে চেপে বসলাম। গন্তব্য সেই ৬বছরের সম্পর্কে আঁটকে পড়া সবগুলো মুখের সাথে দেখা করা। আসলেই, আমার সেই ৬বছরের বন্ধুগুলো যেন ঐঠিক সেরকমই রয়ে গেছে আমার কাছে। এখন যতই ডিএসএলআর-এ ছবি তুলে ফাটিয়ে দিক, আমার কাছে আশিক সেই তব্দা খেয়ে তাকিয়ে থাকা গোবেচারা আশিক-ই আছে।

বিস্তারিত»

অপার্থিব

ধুপ ধাপ হুলুস্থুল শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় জাভেদের । ঘড়ির কাটা সাতটা ছুঁই ছুঁই । এই সাতসকালে রুমি পুরো রুমটা মাথায় নিয়ে নাচছে।
“ এই রুমি? কি শুরু করলি?” বিরক্তি ঝরে পরে জাভেদের কণ্ঠে ।
“ আজকে পহেলা বৈশাখ , ভুলে গেলি? আর তাছাড়া আজ অনেকদিন পর সায়মার সাথে দেখা হবে । এই জন্য আমি অনেক এক্সাইটেড। কতদিন ওকে দেখি না!”
“ কিইইইই !!!

বিস্তারিত»

নার্ভের রোগ, হেমিফেসিয়াল স্পাজম

কয়েকদিন ধরে ডান চোখটা লাফাচ্ছিল। যে সে লাফ নয়। একএক বার নিজে নিজে বন্ধও হয়ে যায়। লাফালাফির ব্যাপারটা ধরতে পেরেছিলাম,বন্ধের ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম বিশ্রীভাবে। অনেকদিন পর নিজের শহর যশোরে গিয়েছিলাম। এখানে এলে আমার প্রথম কাজ সকাল সকাল বাজারে যাওয়া। সকাল সাতটার মধ্যে চাতালে মাছ চলে আসে। বিলের তাজা মাছ। মাছের প্রতি আমার নিজের কোন আগ্রহ নেই। মেয়েদের জন্যে বাজারে যাই। একেবারে লাফানো ট্যাংরা, একটু আধটু হাটতে পারা চিংড়ি এসব কিনে নিয়ে আসি একগাদা।

বিস্তারিত»

প্রথম দিনের গল্প

২০০৪ সালের ১৪ ই এপ্রিল ছিলাম ময়মনসিংহে। আমার খালার বাসায় চলে এসেছিলাম। পহেলা বৈশাখ ছিল সেদিন। ক্লাস সেভেন পড়ুয়া ছেলে হিসেবে এই দিনে একটু বাইরে গিয়ে ঘুরে বেড়ানোটাই স্বাভাবিক ছিল আমার জন্য। কিন্তু প্রচন্ড নার্ভাসনেস এর কারনে সেইদিন কোন কিছুই আর স্বাভাবিক লাগছিল না আমার। পরদিন জয়নিং ডেট.. মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে। চিন্তায় সেই রাতে ঘুম হয় নি ঠিকমতন। আচ্ছা, ধান ভানতে গিয়ে আমি শিবের গীত কেন গাচ্ছি?

বিস্তারিত»

কুকিং ইজ লাভ মেইড ভিসিবল

পূর্বকথনঃ দেশে থাকাকালীন সময়ে কাঁচা মাছ-গোস্ত ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমার। পড়াশোনা, কবিতা, ডিবেট, অথবা প্রেম বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে হেঁশেলে যাওয়ার ফুরসত মেলেনি কখনো। খাবারদাবারে মন ছিলনা বলেই হয়তো দেখতে প্যাকাটি ছিলাম। মা চিরকাল বলে এসেছেন আমার চড়ুই পাখির আহার!

পশ্চিমে এসে চারদিকে সব গুণী মানুষের ভীড়ে দেখলাম আমি একটা লেবু অবধি কাটতে পারিনা ভাল করে। বন্ধু সুদীপা সসারে আমার কাটা লেবু দেখে বলেছিল,

বিস্তারিত»

ছোট ছোট বিষয়

আমেরিকা ও কানাডা প্রবাসীর মধ্যে পার্থক্য ধরবেন কিভাবে? জিজ্ঞেস করুন অমুক জিনিসটার দাম কত। কানাডা বাসী বলবেন অত ইউএস অথবা অত কানাডিয়ান ডলার।  অন্যজন বলবেন অত “টাকা”। একজন সৌদি আরবে থাকেন বা ছিলেন অনেক দিন। তিনি পুরো সৌদি আরব নামটা বলবেন না, বলবেন “সৌদি”। জার্মানীতে থাকেন যারা তারা দেশটাকে বলেন “জারমান”। মালয়েশিয়ার বিশাল প্রবাসী জনগন আপনার পরিচয় জানতে জিজ্ঞেস করবে, “ভাই, আপনি কি বাংলা?”  বাঙালি বা বাংলাদেশি নয়- সরাসরি একে বারে “বাংলা”।

বিস্তারিত»

মা

সাড়ে বারো বছর বয়স থেকে আমি ঘর ছাড়া। ১৯৭৬ সালের আগষ্ট মাসে সেই যে ক্যাডেট কলেজে ঢুকলাম তারপর থেকে ছুটি ছাটায় বাড়ি যাই গেস্টের মত। দুর্জনেরা বলে এতে বাড়ির সাথে নাড়ির সম্পর্ক কমে যায়। আমি ব্যাপারটাকে সেভাবে দেখিনা। ক্যাডেট কলেজ বারো বছরের একটা ছেলেকে উপরে উপরে শক্ত হতে শেখায়।বন্ধুরা হয়ে যায় ভাইয়ের মত। ক্যাডেট কলেজের ঘেরাটোপ থেকে বাইরে এসে আড়মোড়া ভাংতে সময় লাগে।মানুষ ভুল বোঝে।

বিস্তারিত»

সাগর বেলায়

শেষ বিকেলে সাগর তীরে ভেজা বালির উপর হাঁটছি। পেছনে ঝাউবন আর পাহাড় সবুজ বনানীতে আচ্ছন্ন। সূর্য ডোবার পালায় মেঘ মুক্ত আকাশে রঙের খেলা। কোলাহল থেমে গেছে। এক প্রবীন ভারতীয় দম্পতি তখনো লম্বা চেয়ারে বসে। ভদ্রলোকের মনোযোগ হাতের চৌকশ যন্ত্রে। হয়তো কিছু লিখছেন। জীবনের শেষ বেলা এই সাগর বেলায় সূর্য ডোবার ক্ষনে সমান্তরাল কোন উপলব্ধি। মহাশয়ার ব্যাস্ততা ভিন্ন মাত্রায়। বিশাল হাতব্যাগের ভেতরে কিছু খুঁজছেন, বিরক্তির আভিব্যাক্তি স্পষ্ট।

বিস্তারিত»