জলতরঙ্গে ভাসছে তোমার মুখ
আজকে বুঝি মেঘের পোয়াবারো,
এমন দিনে সুদূর থেকেই বলি—
তোমার পেতে ইচ্ছে করে আরো!
বিস্তারিত»জলতরঙ্গে ভাসছে তোমার মুখ
আজকে বুঝি মেঘের পোয়াবারো,
এমন দিনে সুদূর থেকেই বলি—
তোমার পেতে ইচ্ছে করে আরো!
বিস্তারিত»বেগুনি না খেলে কি রোজা সহীহ হবে না, নাকি? আমার যতদূর মনে পড়ে গত রমজানে আমাদের বাসায় বেগুন কেনা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। কাচাবাজারে গিয়ে যখন দেখতাম কেউ কোন দোকানদারের সাথে তুমুল দরদাম করছে/করছেন। আমি খুব বিনয়ের সাথে বোঝাতাম, বেগুনের দাম বেশি, আপাতত কেনা বন্ধ রাখেন, দাম এমনিতেই পড়ে যাবে। আমার কথায় অনেকে আমাকে পাগল মনে করে তাকাত। আবার অনেকে মনে হয় কনভিন্সডও হতো। এটা ছিল একান্তই আমার এবং আমার পরিবারের নিরব সমাজিক আন্দোলন।
বিস্তারিত»
ইতিহাস প্রসঙ্গ: সত্য ও মিথ্যার মাপকাঠি -পর্ব ২
————- ড. রমিত আজাদ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর থেকে)
জগৎবিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন স্কুলজীবনে লেখাপড়ায় ভালো ছিলেন না। তদুপরি পরিণত বয়সে তিনি হয়ে ওঠেন এক অনন্যসাধারণ প্রতিভা। তাই একবার এক সাংবাদিক উনাকে প্রশ্ন করেছিলো, “আপনি তো স্কুলজীবনে লেখাপড়ায় ভালো ছিলেন না, অথচ আজ আপনি জগৎবিখ্যাত বিজ্ঞানী। এখন আপনি কি মনে করেন যে বিদ্যালয় শিক্ষার কোন প্রয়িজন নাই?”
বিস্তারিত»বাংলার শিক্ষক জনাব সাইফুল ইসলামের হাত ধরে আধুনিক বাংলা কবিতার সাথে আমার প্রথম সখ্যতা। দুর্বোধ্যতার কন্টকমুকুট শোভিত হয়ে, রক্ত-ঝরানো পথ হেঁটে আধুনিক বাংলা কবিতা শতদল মেলেছে তখন। আমার কিশোর বুদ্ধি ও মনন তখনও সেই মদিরা পানের জন্য ঠিক পরিপক্ব হয়ে উঠেনি। অথচ সীমাহীন আগ্রহ ও এক ধরণের মোহন ঘোরের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাই। কলেজ লাইব্রেরীর নীরব কিউবিকলে গোপন প্রেমপত্রের মতো করে চুপিসারে উল্টে যাই সুধীন কিম্বা বিষ্ণু দে।
বিস্তারিত»(মুজাহিদ নামক শূকরছানাটির ফাঁসি উপলক্ষে গল্পটি এখানে দিলাম)
“সুমিত্রা রহমান”- কি অদ্ভুত নাম এই বাংগালি মেয়েছেলেটার!
শুরুতে কেমন একটা হিন্দুয়ানী ভাব, শেষে মুসলমান টাইটেল|মাথায় আবার টিপও পরে!
সীতাপুর সাব ডিভিশনের দায়িত্বে আছেন মেজর শেহজাদ রাজা, জেনারেল নিয়াজী স্বয়ং হাতে তুলে এখানে পাঠিয়েছেন তাকে| ইস্ট পাকিস্তান এ্যাসাইনমেন্টের আগে তিনি ছিলেন চেরাটে, কমান্ডো স্কুলের ইন্সট্রাকটর হিসেবে| বাংগালিদের সম্পর্কে খুব একটা ধারণা নেই,

ইতিহাস প্রসঙ্গ: সত্য ও মিথ্যার মাপকাঠি – পর্ব ১
——————————- ড. রমিত আজাদ
ইতিহাস আমার প্রিয় বিষয়গুলোর একটি। বিষয়টির উপর আমার প্রথম আগ্রহ জন্মে আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মরহুম মাজহারুল হক স্যারের প্রাঞ্জল লেকচার শুনে। আমরা তখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র, স্যার আমাদের পড়ানো শুরু করলেন সিন্ধু সভ্যতা থেকে। উনার কাছ থেকেই প্রথম জেনেছিলাম যে, আমাদের এই উপমহাদেশেই এতো পুরাতন একটি সভ্যতা ছিলো। স্যারের কাছ থেকেই প্রথম জেনেছিলাম যে আমাদের এই উপমহাদেশ আঠারো শতকের মাঝামাঝির (অর্থাৎ পলাশীর ট্রাজেডির আগে) আগ পর্যন্ত একটি ধণাঢ্য অঞ্চল ছিলো,
বিস্তারিত»পাহাড়-সমুদ্র-সমতট। পাহাড় তো নয়, ঢেউ খেলানো ভূমির বাঁক যেনো ছন্দবদ্ধ তালে-লয়ে অবিরাম আছড়ে পড়ছে খোল-করতাল-মাদলে-বীণায় মনের গহীণ সন্তর্পে। সমতটের বিস্তৃতি অন্তর্গত ভাবনা-চিন্তা-চৈতন্যে ক্রমশ: বাড়িয়ে যেতে থাকে তার বিস্তার। আর সমুদ্র ! বিশালত্বে উদ্বেল সুপ্রসারিত দু’হাত মেলা মনের ক্যানভাসে, আঁকে ছবি অন্তহীন, ভেঙে দিয়ে গোপন সব প্রকোষ্ঠ। এই তিনের সাথে জুড়ি দেয়া অবারিত উদার আকাশ ত্রিবৈচিত্রের নিয়ত উন্মীলন সংগী। আর কি চাই !
একটি মানুষ।
বিস্তারিত»Our education system teaches us how to buy a living, NOT how to live
আমার অধিকাংশ স্ট্যাটাসে ছেলেদেরকে বকাঝকাই করেছি, আজ হঠাৎ একটু ভিন্ন কথা মনে হচ্ছে| মেয়েদের সাথে কিভাবে আচরণ করতে হবে এর বিস্তারিত কোন গাইডলাইন আমি আমার জীবনে পাইনি| শুধু জানতাম,ওদের সাথে কোন খারাপ আচরণের ঘটনা মায়ের কানে গেলে আমার পরদিন সূর্যের আলো দেখা লাগবেনা|
ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলাম,
বিস্তারিত»মায়ের দেয়া কল্কাপাড়ের শাড়ি পরবো নাকি কর্ণ স্টা্রচে ইস্তিরি করা কড়কড়ে সুতির একখানা টিউনিক পরবো ভাবতে ভাবতেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। সিসিবির সরব ব্লগারদের প্রায় কাউকেই চিনিনা তাই দু’ চারজন নিরব পাঠককে কল করে বলি, চলে এসো ক্লাবে। জোরসে আড্ডা হবে সকাল সকাল! কিন্তু আজই কি কারণে যেন কারো কারো ব্যস্ততা খানিক বেশী। কারো হয়তো মায়ের খুড়তুতো দিদির মেয়ের পাকা দেখা আজই, কেউবা ঢাকার বাইরে মধুচন্দ্রিমায়।
বিস্তারিত»আজ হঠাৎ মতির কথা মনে পড়ল। রংপুর ক্যাডেট কলেজে মতি আমাদের স্কুল জীবনের সহপাঠী ছিল। আমাদের সাথে মতির সহপাঠ কলেজের শেষ দিনটি পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয় নি। গ্রাম্য প্রকৃতির মতির নিতান্ত গোবেচারা চেহারায় রূপোর টাকার মতো তেমন উজ্জ্বল কোন বৈশিষ্ট্য আমার চোখে পড়ে নি। আমরা ছিলাম ভিন্ন ভিন্ন হাউসের বাসিন্দা। আমার তিনতলার ওমর ফারুক হাউস, মতির নিচতলার শহীদ জাহাঙ্গীর হাউস। মাঝখানে তিতুমীর হাউসের গা বেয়ে নামা প্রশস্ত সিঁড়ির দু-দু’টি স্তর।
বিস্তারিত»ব্যথা পেলে মানুষ কাঁদে, সশব্দে বা নীরবে।
প্রিয়জনের বিদায়ে কাঁদে, শোকাহত হলে কাঁদে।
ভেঙ্গে পড়লে নিভৃতে বসে কাঁদে, ফুঁপিয়ে কাঁদে।
প্রেমে ব্যর্থ হয়ে কাঁদে। আনন্দে ও প্রার্থনায় কাঁদে।
তুমি কবি নও, এসব কান্না যদি শুনতে না পাও।
চাপা কান্না বাষ্প হয়ে ঊর্ধ্বগামী হয়ে যায়।
বারবার ঢোক গিলে তা লুকোতে হয়।
দু’চোখে অশ্রুর ফোঁটা মুক্তো হয়ে ঝুলে থাকে।
সেই তারুণ্যের একটা সময় প্রেম ছিলো আগ্নেয়াস্ত্রের সাথে । বুকের ভেতর পাহাড় পাহাড় বারুদ । মনের মধ্যে ক্ষুদিরাম, তীতুমীর, চে’গুয়েভারার আগুন চাপা ছাই । আমার সমস্তটুকু আমি তো আমি নই – ফিলিস্তিনের ভোর, গাজার দুপুর, বাংলাদেশের গাছ-নদী-আকাশ-সবুজ ধানের মাঠময় প্রাণবান রক্তিমাভায় আঁকা গোধূলি বেলা । আসাদের রক্তমাখ শার্ট আমার প্রাণের পতাকা ।
দুই হাত দুই অদম্য মারণাস্ত্র । পাঁচ পাঁচ দশটা আঙ্গুল ভর্তি ট্রিগার ।
বিস্তারিত»কিন্তু তুমি ভুল করেছ
ভুল মানুষের কুলকুলিয়ে চুল পেকেছে
পাকলো না হয়, তোমার তাতে কি যায় আসে?
কোন খেয়ালে আলতো হেঁটে বসলে পাশে!
তোমার কেন ইচ্ছে হবে আটকে যেতে
জালের খোপে মাছের মতো আটকে যেতে
কিন্তু তুমি ভুল করেছ
জালের চোখে জলের নেশা খুঁজতে এসে!
ক্লেশের জীবন শ্লেষের তীরে ছিন্ন হলে
ধুসর দু’চোখ ঠাই খুঁজে পায় অস্তাচলে
জ্বোনাক ফোঁটার সন্ধ্যেবেলায়— রাত্রি নামে;
সত্যিকারের প্রেম ছিলো আমাদের সেই কালে । সেই অতীতের কথা বলছি। লাইলী-মজনু, শিরি-ফরহাদ, ইউসুফ-জুলেখা, রাধা-কৃষ্ণ, রোমিও-জুলিয়েট । আহা ! কি সব প্রেম ! কি ? তাও ভাবছেন আমাদের মানে, কোন কালের কথা বলছি ! তাহলে অন্যকে আর টেনে কি লাভ ! নিজের কথাই বলি । প্রেম শব্দটার সাথে আমার প্রথম পরিচয় হলো যখন ।
ক্লাস থ্রির ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে নানা বাড়ী গিয়েছি ।
বিস্তারিত»বিগত দুই সপ্তাহ গরমে আমরা বঙ্গ সন্তানরা খুবই কাহিল। সম্প্রতি অধিক বৃষ্টিতে প্রধান দুই মহানগরীর জনজীবন নর্দমা এবং বৃষ্টির পানির মাখামাখিতে পর্যুদস্ত। সফরকারী ভারত দলের সামনে প্রথমদিনে বেকায়দায় পড়া বাংলাদেশ দলকে বঙ্গমাতার আশীর্বাদপুষ্ট বৃষ্টি কিছুটা রেহাই দিয়েছে বটে। দিনকাল কাটছে ব্যস্ত। অসাবধানে পড়ে গিয়ে গিন্নি পা মচকে ফেলেছেন, সংসারের অবস্থাখানা তাই একটু নড়বড়ে। আমি বাঙ্গালি বীরপুঙ্গব, কুটোটি নেড়ে খেলেও আমার ইজ্জত যাবে, তাই অবস্থার আশু কোন প্রতিকার নেই।
বিস্তারিত»