দিনলিপিঃ Bon Appetit

বৃষ্টিভেজা শনিবারে বন্ধু অরিন্দমের সাথে থাই কুজিনে খেতে গিয়েছিলাম। মাইল পাঁচেক ড্রাইভ করতেই তার পছন্দের রেস্তোরাঁটিতে পৌঁছে গেলাম। আমরা ভোজনবিলাসী মানুষ কিন্তু খাই ক্যালরী মেপে। দু’জনের জন্য খাবার অর্ডার করলে কখনোই শেষ করতে পারিনা। তাই বলি, তোমার পছন্দের সুপ আর এপেটাইজার বলো, আমি অর্ডার করছি মেইন ডিশ। দু’জন মিলে ভাগাভাগি করে খাওয়া যাবে। ও চাইলো ফ্রাইড ক্যালামারি আর কোকোনাট সুপ। আমি চিংড়ি নাকি চিকেন নেবো এই নিয়ে ‘ইনি মিনি’

বিস্তারিত»

ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (গ)

ঘটনা (ক)

কিশোরগঞ্জ গিয়েছিলাম গত সপ্তাহে। সিলেট ক্যাডেট কলেজের ছোট ভাই ইবনে সিনা ইয়েনের বিয়েতে। সবাই যখন বাসে করে যেতে চাইছে আমি তখন সুবোধ বালকের মত শুক্রবার সকালের ‘এগারোসিন্দুর প্রভাতি’ ট্রেনের টিকেট কিনে ফেললাম। যাতায়াতের ব্যাপারে ট্রেন ব্যবহারের প্রতি আমার স্পষ্ট পক্ষপাত রয়েছে। বাঙলাদেশের অভ্যন্তরে কোথাও যেতে চাইলে সড়কের আগে প্রথমে দেখি রেললাইন আছে কিনা। সড়ক-প্রেমী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পর্যন্ত রাস্তা ছেড়ে সমান্তরাল লাইনে চলে এসেছিলাম।

বিস্তারিত»

এক হালি মুখপুস্তকিয় অনুব্লগ

১) উইকেন্ড এর এরকম কাজ কর্ম বিহীন রাতগুলোতে যখন কোথাও যাওয়া হয়না, তখন রুমেই বসে থাকি।কম্পিউটারের একঘেয়ে স্ক্রিনসেভারটার দিকে একদৃষ্টি তে তাকিয়ে আকাশ পাতাল ভাবি। কখনোই না দেখা পাওয়া মানুষ ও চরিত্র গুলোর কথা মনে করি.. ভরত-ভূমিসুতার কথা ভাবি। অনিমেষ-মাধবীলতার কথা ভাবি। অতীন-অলির কথা ভাবি। নাকশাল আন্দোলনের ঝামেলায় পরে অতীন যখন দেশ ছেড়ে এই মার্কিন মুলুকে চলে আসে তখন ও প্রায়ই একটা গান মনে মনে গুনগুন করে গাইতো..

বিস্তারিত»

ঝড়ের রাতে

ঈশান কোনের পাগলা হাওয়া

কালবোশেখীর অকালবোধন

আসমানি ধমকে চমকে

বিজলির পলায়ন।

বাস্তুচ্যুত মশকদল উল্লাসে

মাতে শোণিত আগ্রাসনে।

ঘুমের রাজ্য দিশেহারা

কালচৈতির খাণ্ডব তাণ্ডবে।

বিস্তারিত»

শীতার্ত

এইসব মেঘ, ধুলো, ঝড়ো বাতাস,সোঁদা মাটির গতানুগতিক ঘ্রাণ, বৃষ্টি ; বৃষ্টিভেজার সস্তা আকূলতা, জোর করে ধরে আনা একাকীত্ব ও তৎসম্পর্কিত বিষাদ বিলাস, বিষাক্ত আবেগের কাব্যিক যাতনা, এবং আর সব অসংজ্ঞায়িত আদিখ্যেতার আনাগোনা; এই সবকিছু থেকে মন উঠে যাওয়ার সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন হয়ে আছে, সমস্যা হচ্ছে মন উঠে যাচ্ছে না, শুধু যাই যাই করছে। তবে আমি আশাবাদী, একদিন কাউকে কিছু না জানিয়ে সে উঠে যাবে নিঃশব্দে।

বিস্তারিত»

বাগ প্রবলেম

পোকাগুলি অকারনেই নড়েচড়ে বসে, মাথার ভেতর, লেখার শব্দগুলির ভেতর। আর তাতেই ক্রমশ পাল্টে যেতে থাকে যা বলতে চেয়েছিলাম, যা ভাবছিলাম।

লিখলাম সম্ভাবনা, তুমি দেখলে সম্ভব না …  এই পোকাগুলি খুবই নির্দোষ নির্দয় টাইপের। এরা অকারনেই ফিকশন লেখায় রেফারেন্স খোজে। লেখককে বিব্রত করে। আছে মাঝারি গোছের কিছু পোকা, এরা ক্রমাগত যন্ত্রনা করতেই থাকে। দিনরাত কুটকুট করে কাটে। যন্ত্রনায় চিৎকার করে বলতে চাওয়া কথা গুলি হয়ে যায়,

বিস্তারিত»

দোষ কার!!

পত্রিকা না পড়ার না কারণে দেশে-বিদেশে কি হচ্ছে কিছুই জানিনা, এতদিন তাও ফেসবুক থেকে অনেক আপডেট আসতো, এখন তাও বন্ধ একাউন্ট ডি-একটিভেট করে দেয়ার জন্য। ভাগ্য ভালো টুইটারে হালকা হালকা খোজ নেই, সেখান থেকেই জানতে পেরেছিলাম আরেকজন ব্লগারকে কুপিয়ে মারা হয়েছে। এবং নিউজ পড়তে পড়তে আচমকা বাবুর কোপ খাওয়া ছবিটা চোখে পড়লো। আমি সাইকো মুভির পাগল ছিলাম, ডেক্সটারের পাগল ছিলাম। টিভিতে অনেক ধরণের কাটা-ছেড়া মানুষ দেখেছি কিন্তু সেই দিনের ওই ছবিটা মাথা থেকে সরাতে পারিনা।

বিস্তারিত»

আমার শিক্ষকগণ ১

আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিলো ফাঁকিবাজিতে ভরা । তবে আমার শিক্ষকরা ছিলেন চমতকার। বইএর বাইরে তাদের কাছে যা শিখেছি তাই ভাঙ্গিয়েই জীবন চলছে । প্রথমে সুলতা দিদি মনির কথা বলি। আমি যখন মিশন স্কুলে ভর্তি হলাম (এই স্কুলের ভালো নাম স্যাকরেড হার্ট জুনিয়ার হাই স্কুল) তখন আমার নিজের ভালো নাম জানতাম না। একটা মৌখিক ভরতি পরীক্ষা দিতে হয়েছিলো। মাদার ভিঞ্চিন্সা, সিস্টার জেমস আর সুলতা দিদি মনির কাছে।

বিস্তারিত»

ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (খ)

(সর্বশেষ লিখা দিনলিপির শিরোনাম দিয়ে চালিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম)

অলস মস্তিষ্ক নাকি শয়তানের আখড়া। গত দেড় মাসে বিধ্বংসী ও শয়তানি কার্যকলাপ কিছু করেছি বলে মনে পড়ছে না। নাকি দেড় মাস যথেষ্ট সময় নয়? কফিতে ইদানিং দুধ চিনি দিচ্ছি। ইন্সট্যান্ট কফি পানিতে গুলে পান করতে রুচি হয় না। আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলা জীবনধারায় ছোট একটি ব্যত্যয়। নিয়মগুলোর ব্যাখ্যা শুনে বন্ধুরা বিভিন্ন ভাবে তাকায়।

বিস্তারিত»

হযবরল!

হসপিটাল থেকে ছাড়া পেয়ে সপ্তাহখানেক হলো বাসায় এসেছি, যদিও এখনো পায়ে প্লাস্টার নিয়ে বিছানা বন্দী। আরো প্রায় দু সপ্তাহ এ অবস্থায় থাকতে হবে। তবে সত্যি কথা বলতে আমি খুব সম্ভবত জীবনের অন্যতম সেরা সময় কাটাচ্ছি, কারন প্রায় ২৪ ঘন্টাই আমার পাশে শুয়ে থাকছে নক্ষত্র। ছেলের প্রতিটা নড়াচড়া, অভিব্যক্তি এখন আমার নখদর্পনে। এমন কি এটাও এখন প্রায় বুঝতে পারি কোনটা ওর ক্ষুধার কান্না, কোনটা কাপড় ভিজিয়ে ফেলার,

বিস্তারিত»

প্রথম কান্না

ক্যাডেট ক্কলেজের প্রথম সপ্তাহ কাটলো ঘোরের মধ্যে। সবার ঘোর লাগা শুরু হয় মা বাবা চলে যাবার পর। আমার শুরু হাউসে পৌছানোর পরপরই।

ডরমিটরিতে বাক্সো রাখার প্রায় সাথে সাথেই একজন সিনিয়র ভাই ধরে নিয়ে গেলেন কমন রুমে। তাঁর উদ্দেশ্য সাড়ে বারো বছরের শিশুটিকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহয্য করা। তিনি আমাকে যখন ক্যারাম খেলা শেখাচ্ছেন, তার ফাকে কখন ঘন্টা পড়ে গেল জানিনা। খেলা শেষ করে রুমে ফিরে গিয়ে দেখি মা বাবা ফিরে গিয়েছেন।

বিস্তারিত»

প্রেরণা

( কৈশোরের এক্সপেরিমেন্ট আবার নতুন করে করায় বেশ হালকা মেজাজের একটা ফলাফল দাঁড়ালো )

১. মরীচিকা…

মনের গোপন কোঠরে রাখা
রীবনে বাঁধা ইচ্ছেগুলো
চিৎকার করে বেরিয়ে আসে –
কালকের জমা কান্নাগুলোয়।

 

২. (কিন্তু) আঁধার,

আলোর জন্য আলোর খোঁজে
ধাবমান এক কালের মত –
রজনীও গিয়ে প্রভাতে মেশে।

 

বিস্তারিত»

আল্পসের চূড়ায়

ইউরোপের দিনগুলি দ্রুত ফুরিয়ে আসছিল। জার্মানিতে এসেছি SCHENGENERS STAATEN ভিসা নিয়ে। কাজেই দেশ ভ্রমণের অবারিত সুযোগ। ভাড়াও তেমন কিছু নয়। ইউরো ট্রেনে ফ্রান্স, ইটালি, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া ঘুরে আসা যায়। কিন্তু যাই যাই করে কোথাও যাওয়া হয়নি। অভিজ্ঞতা বলতে মিউনিখের গোটা দশেক জাদুঘর, ইংলিশ পার্ক, বিপণী কেন্দ্র, Olympia Zentrum আর U Bahn (পাতাল রেল)। সময়টা এমন যে রাস্তায় বেরুনো কঠিন। দিনের পর দিন ডিমের খোসার মত আকাশ,

বিস্তারিত»

চুয়াল্লিশ বছর পরও

বছর দুয়েক আগের কথা । স্বাত্তিক স্কুল থেকে মুখ কালো করে বাসায় ফিরল। আমি কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই বলল, “পাপা, মালাউন মানে কি? এটা কি একটা খারাপ কথা?” মনের কোনায় ছিয়াত্তর বা সাতাত্তর সালের একটা ঘটনা মনে আসলো, অনেকটা ওয়ার্নিং বেলের মত। আমি স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে মা’কে একই প্রশ্ন করলাম। কিন্তু শব্দটা ছিল ভিন্ন।

মা সেই শব্দটা না জানার ভান করে ব্যপারটা চেপে গেলেন।

বিস্তারিত»