এ শহরে কি আদৌ মানায় কোকিলের কুহু কলতান !

ভোর না হতেই কোকিলের ডাকটা অনবরত কানের পাশে বাজতেই থাকলো। দীর্ঘক্ষণ। অথচ তাতে আমার কিছুমাত্র ভালো লাগছিলো না। নিশ্চিত ভাবেই জানি এই কংক্রিটের শহরে খুব কম মানুষই এমন কোকিল ডাকার শব্দ শুনতে পান। তবুও এই ভয়ানক শ্বাপদসম শহরে যেনো বড্ড বেশী বেমানান শোনাচ্ছিলো এই কুহু কলতান।

এ শহরে যখন প্রথম শ্রেণী আর পঞ্চম শ্রেণীর শিশুদেরও অশালীন অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয়। রাজধানীর বুকে বসে সেখানে কর্তৃপক্ষ নির্বিকার পদক্ষেপহীন বসে থাকার স্প্র্ধা দেখাতে পারেন।

বিস্তারিত»

মর্নিং ওয়াক

মোরগের সুতীক্ষ্ণ চিৎকারে ঘুম ভাঙল। নাহ, ঢাকা শহরের ইট পাথরের জঙ্গলে সত্যিকারের মোরগ পাব কোথায়, মোবাইল ফোনের ভার্চুয়াল মোরগ। জানালা দরজা সব হাট করে খুলে ঘুমিয়েছিলাম, একটু ঠাণ্ডাই বোধহয় লেগে গেল। সকালের আলসেমি ভেঙ্গে নেমে পড়লাম রাস্তায়। আজ কেন জানি রোজকার হাঁটার পথ বা পার্কের একঘেয়ে চক্করে মন টানছিল না একেবারেই। শুধু দূর থেকে দেখা ছিল, এরকম এক অচেনা কাঁচা পথে নেমে পড়লাম।

ক’দিন হল টুকটাক বৃষ্টি পড়ছে।

বিস্তারিত»

শিল্প বনাম অশ্লীলতাঃ প্রেক্ষাপট নারী নির্যাতন


আচ্ছা শিল্প কী?
আপনি দ্য হুইসেলব্লোয়ার মুভিটি দেখেছেন? বসনিয়ার যুদ্ধ-পরবর্তী প্রেক্ষাপট নিয়ে ছবিটি তৈরি হয়েছিল। সেখানে দেখি অল্পবয়সী মেয়েরা মানব পাচারের মাধ্যমে কিভাবে পতিতালয়ে আটকে যায়। শান্তিরক্ষার নামে জাতিসঙ্ঘের যে কর্মীরা সেসময় সেখানে কাজ করতেন, রাতের বেলা তারাই আবার হতেন ওদের ভোক্তা। হ্যাঁ, সেক্স বা যৌনতা ছবিটির একটি মূল উপজীব্য। তবে তার উপস্থাপন এমন ছিল যে আপনি ঐসব কিশোরী মেয়েদের মানুষ ভাববেন।

বিস্তারিত»

আজকাল

ঘরের দেয়ালগুলি খুব বিরক্ত করে
বৃষ্টি আসে না, আকাশ দেখি না
জানালারা থাকে না জায়গা মত
অবনী আর বাড়ি ফেরে না

গুমোট ঘর, নোনা ধরা দেয়াল
শুধু টের পাই আমাদের চারপাশে
জীবনের স্রোতের কোলাহল

স্বপ্নেরা হাতড়ে যায় দেয়াল জোড়া
যে দেয়ালে মিশে গেছে তোমার ছায়া …

 

( পূর্বে প্রকাশিত )

বিস্তারিত»

নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে হচ্ছে………

ঘণ্টাখানেক আগে মস্কো বিমানবন্দরে নামলাম। অপেক্ষা করছি পরবর্তী বিমানের জন্য, জার্মানীর ডুসেলডর্ফে যাবো। সময় কাটানোর জন্য নেটে গিয়ে স্তব্ধ হয়ে গেলাম ছবিটা দেখে-
MAMUNBALAYET-1431771402-bfdcfbe_xlarge

ছবির এই মানুষগুলোও আমার মতো বাংলাদেশী, এরাও গন্তব্যের অপেক্ষা করছে। অথচ আমাদের মাঝে কত পার্থক্য!

আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা আমাকে এই মানুষগুলোর মতো জীবনের কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হয়নি।

অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে দোওয়া করি এদের কষ্ট দ্রুত লাঘব হয়ে যাক।

বিস্তারিত»

~ প্রেম প্রণয় যদাপি দীপ্য বহমান | জীবন ঋতি নিয়ত ঋদ্ধিমান – তিন ~

কিন্তু সেই পেরে ওঠা আর কখনো হয় না … … …

আমাদের চারপাশে অগণন আকাঙ্ক্ষার দীর্ঘ তালিকা । এর মাঝে কিছুই চাই না আমি বাদ দেবো । এই ইঁদুর দৌড়ে এতোটাই মগ্ন আমরা যে তাতে আমাদের মনের গহীনের সুকোমল অংশটুকুকে যার পর নাই অনায়াস গ্রাস করে নিচ্ছে অদৃশ্য এক এথলেটিক ট্র্যাক । আমাদের অজান্তে । কিংবা কখনো কখনো আমাদের সাগ্রহ সমর্পণে ।

এই প্রাপ্তির লাগামহীন তেষ্টা সারাক্ষণ অন্তর্গত আবেগ ও সুকুমার অনুভূতিগুলোকে দাবড়ে হটিয়ে দিচ্ছে জীবনের মঞ্চ থেকে ।

বিস্তারিত»

চলমান সময়টাকে জানতে হলে ……..

আমার লেখার কিছু নেই। যশমান লিখিয়ে+বলিয়েরা কিভাবে বাংলাদেশের চলমান সময়টাকে তৈরী করছেন, তা’ রেকর্ড করে রাখার জন্য প্রথম আলো থেকে একটা সংবাদের লিঙ্ক যোগ করে নিলাম আমার ব্লগে………

সময়ের চিহ্ন

বিস্তারিত»

এখানে মূত্রদান করিবেন না

কোন এক কালে আমাদের এক শিক্ষক ছিলেন; পড়াতেন সিভিকস । তো তিনি ক্লাসে এসে প্রায়ই আমজনতার সিভিক সেন্স নিয়ে কথা বলতেন। আমরা যে তার সিভিক সেন্স বিষয়ক লেকচার উপভোগ করতাম না তা নয়। কিন্তু আমাদের জন্য বেদনাদায়ক দৃশ্য ছিলো এই যে লেকচার দিয়ে তিনি ক্লাসের কোণায় থুথু ফেলতেন থু করে।

একটি কৌতুক বলে নিই এই যাত্রা।
*** একজন চাষা আর ভদ্রলোকের তফাৎ কি?

বিস্তারিত»

বাঙলাদেশের টিভি বিতর্কের রূপ

টকশো কি এবং ক্যানো?
বাঙলাদেশের টিভি টকশো গুলোতে কি হয়?
দলীয় প্রপাগান্ডা ছড়ানো ছাড়া আর বেশি কি কিছু হয়!
এমনকি টকশোতে যারা অংশ নেন তাদের সম্পর্কে চলতি একটা নাম পর্যন্ত বাজারে চালু আছে, টকমারানী। হুমায়ুন আজাদ একদা বলেছিলেন, “বাঙলাদেশের প্রধান মূর্খদের চেনার সহজ উপায় টেলিভিশনে কোনো আলোচনা-অনুষ্ঠান দেখা। ওই মূর্খমন্ডলিতে উপস্থাপকটি হচ্ছেন মূর্খশিরোমণি।” (৫৩, প্রবচনগুচ্ছ)

এইতো ২ দিন আগের নিউজ

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ব্লগার ও বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যার দায় স্বীকার করেছে আল কায়দার উপমহাদেশীয় শাখা ‘আল কায়দা ইন দি ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট’

বিস্তারিত»

~ প্রেম প্রণয় যদাপি দীপ্য বহমান | জীবন ঋতি নিয়ত ঋদ্ধিমান – দুই ~

দখিনা হাওয়ায় মন উচাটন । উত্তুরে হাওয়া হলে চন-মন । মনটাকে সামলে রাখা বড়ই দায় । এর ভেতরের জিহবাটা বড্ড বেশী লকলকে । এক্কেবারে বেদম বেহায়া । বয়সটা যে বাড়ছে মনকে তা বোঝাবে এমন সাধ্যি কার ! এই যদি চাঁদ দেখে বিচলিত হই তো রূপালী আলোয় থমকে থাকি ! জলের শব্দে মূর্ছা যাই তো, বৃষ্টি পতনে আপনি নিপতনে সিদ্ধ মন ! … নূপুর কিংবা কংকণ ঝন-ঝন !

বিস্তারিত»

ব্যস্ত নাগরিকের আংশিক দিনলিপি

সকালবেলা নিজের ভাঙ্গা গাড়ি হাঁকিয়ে বাজারে যাচ্ছিলাম। এক জায়গায় দেখলাম আইল্যান্ডের উপর এক পাগলিনী ঘুমিয়ে আছে। ঘুমের ঘোরে ডান হাতখানি ঝুলে আছে শূন্যে, রাস্তার সীমানায়। বেখেয়াল হলে আমার আমার গাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে যেতে পারত তার বেসামাল হাত। উচিত ছিল গাড়ি থামিয়ে তার হাতখানি নিরাপদ করে দেওয়া,আমি থামিনি। হাজার হোক, মেয়েমানুষ তো, পাছে লোকে কিছু বলে। মনে আশা, হয়ত কোন দয়াবান/ দয়াবতী তার হাতখানি ঠিক করে দিয়েছেন।

বিস্তারিত»

অলিম্পিয়াযেন্ট্রাম মিউনিখ

হাউজি খেলার একটা ভালো দিক আছে। এক জোড়া ছন্দ-বদ্ধ শব্দের মধ্যে দিয়ে ইতিহাসের দুই একটা দিনতারিখ মনের মধ্যে ঢুকে পড়ে।আমার কৈশোরে এক হাউজি আসরে এভাবেই আমার মনের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিলো মিউনিখ অলিম্পিক…… সেভেন এন্ড টু 72 । পরে মিউনিখ অলিম্পিকের খোঁজ খবর নিয়েছিলাম। দু’টি কারণে মিউনিখ অলিম্পিকের কথা মানুষ ভুলবেনা।
এক। ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর নামে প্যালেস্টাইনি এক সন্ত্রাসী সংঠনের হাতে ১১ জন ইসরাইলি ক্রীড়াবিদ আর এক জন জার্মান নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু হয়েছিলো এই অলিম্পিকের সময়।

বিস্তারিত»

১লা মে ২০১৫ – দিবসে দিবসের ব্যবচ্ছেদ

১লা মে ২০১৫ – দিবসে দিবসের ব্যবচ্ছেদ

১। মে দিবসের কথা আসলেই ফকির আলমগীরের কিছু গান আমার মনে পড়ে যায়। মেহনতি জনতার জন্য দরাজ গলায় গাওয়া গান। যদিও এই শিল্পীর গাওয়া আমার প্রিয় গান অন্য আরেকটা, “মায়ের এক ধার দুধের দাম, কাটিয়া গায়ের চাম, পাপোষ বানাইলেও ঋণের শোধ হবে না … এমন দরদী ভবে কেউ হবে না, আমার মা গো …”। ছোটবেলায় কেন যেন এই গানটাতে বেশ মোহাবিষ্ট হতাম।

বিস্তারিত»

ভিন্ন মানে

চারিদিকে এই যে আমার এত অভাব
তবু জল পেলেই নেমে পড়ার পুরনো স্বভাব
আজো আমার আগের মতই রয়ে গেছে

তরুণী ভাবছে ‘তাতে আমার বয়েই গেছে’!

কার যে কোথায় কি বয়ে যায় কেই বা জানে
এক ছবির দুজন করি জীবনভর ভিন্ন মানে!

ভার্চুয়াল কাব্যগ্রন্থ: নষ্ট হব, হবে?

১ মে ২০১৫
নিউক্যাসেল, অস্ট্রেলিয়া

 

বিস্তারিত»

এইবার দুই এক্সক্যাডেটের “প্রয়াস” নিয়ে পুর্নাঙ্গ ব্লগ……

১৪ মার্চ ইভেন্ট নটিফিকেশন পেলাম, প্রয়াস নামে একটা যৌথ আর্ট এগজিবিশন হবে দুই এক্সক্যাডেটের।
একজনকে চিনি, সাবিহা জিতু – কিন্তু দীর্ঘ্যদিন যোগাযোগ নাই। অন্যজন ম্যাক্স মাজেদ চিনি তো না ই, চেনার কোন সুযোগও ছিল না।

তারপরেও এই নটিফিকেশনটা আমাকে ছুঁয়ে গেল।
দারুন ছুঁয়ে গেল।
মুহুর্তের মধ্যে আমি আমার ক্যাডেট কলেজ জীবনে ফিরে গেলাম। চোখে ভেসে উঠলো কত কত অসাধারন গুনি আঁকিয়ের মুখ।

বিস্তারিত»