বাবাকে আমরা চার ভাই বোন ভয় পেতাম। এমনিতেই দেখা হতো কম, অফিস করতেন। বাসায় আসলে আমরা থাকতাম দূরে দূরে। বাবা এই রুমে তো আমরা দ্রুত অন্য রুমে চলে যেতেন। আমাদের সময় বাবাকে ভয় পাওয়াটাই ছিল রীতি।
সে সময়ে বাবারাও কি ভয়ের সম্পর্ক রাখতে চাইতেন? কখনো কখনো সেটাই মনে হয়। বাবা মানেই গুরুগম্ভীর একজন, বাবা বাসায় থাকা মানেই ফিসফাস কথাবার্তা।
আমার মনে আছে আমি তখন এইটে পড়ি, আমার খুব জ্বর হয়েছিল। আমার মা বিছানা ঠিক করছিলেন বলে আমার বাবা আমাকে কোলে নিয়েছিলেন। এর বাইরে বাবা আমাদের চার ভাই বোনকে আর কোলে নিয়েছিলেন বলে মনে পড়ে না।
আমার বাবার ভালবাসার প্রকাশ ছিলো না। প্রকাশ কিভাবে করতে হয় আমার বাবা জানতেন না। ঘুমিয়ে গেলে মাথায় হাত বুলাতেন, আমাদের অসুখ হলে গোপনে কাঁদতেন, কিন্তু আমাদের দেখাতেন না। আর তাই আমাদেরও বাবাকে ভালবাসা দেখানোর সুযোগ ছিল না। বাবা ছিলেন আমাদের জন্য দূরের একজন মানুষ, যিনি শুধু আমাদের জন্যই খাটছেন। বলা যায় ঐ সময় নিয়ম ছিল যেন এরকমই, বাবারা খালি বাইরে কাজ করবেন আর বাসায় এসে শাসন করবেন।
আমার বাবা ভুলো মন ছিলেন। ক্যাডেট কলেজ জীবনে একবার প্যারেন্টস ডে তে আমার ছোট ভাইয়ের নাম লিখে বসেছিলেন। নাম পাঠালেই কেবল যেতে হয় যেখানে প্যারেন্টসরা বসে থাকেন। আমার বাবাকে অনেকক্ষন বসে থাকতে হয়েছিল।
সেই বাবাকে কখনো ভালবাসি বলেছি বলে মনে পড়ে না। বোঝার বয়স থেকে বলিনি, যখন বুঝতাম না তখনও বলিনি। বললে সেই গল্প আমার মায়ের কাছ থেকে শুনতাম অবশ্যই।
আমার বাবা আজ নেই। আমার বাসায় এখন আছে আমার নতুন বাবা। আমার ছেলের বয়স এখন ৩ বছর ২ মাস। আমার পাশে শোয়া নিয়ে বোনের সঙ্গে প্রতিরাত ঝগড়া করে এবং জিতে যায়। অফিস যাবো বললে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে, যাতে যেতে না পারি।
ছেলের বয়স যখন ২ বছর ২ মাস ঠিক সেরকম এক সময় ছেলেটা হঠাৎ আমার কাছে এসে আমার কানটা টেনে নিয়ে বললো, ‘বাবা, আমি তোমাকে ভালবাসি’।
এই জীবনে এতটো অবাক কখনো হয়েছি বলে মনে পড়ে না। আমি মোটামুটি চিৎকার করে সবাইকে জানিয়ে দিলাম তার কীর্তি। আমি মুগ্ধ, বিষ্মিত। এই বয়সে সে কিভাবে বললো আমি সে রহস্য আবিস্কার করতে পারিনি। তাও আবার কানে কানে।
আমার বাবাকে আমি কখনো বলতে পারিনি, ‘আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি’। আমার ছেলের এই আক্ষেপ থাকবে না, আমি রাখবো না।
ছবি দুটো আমার ছেলে ও মেয়ের।
১ম 😀 😀
আমার বাবাও একই রকম মানুষ। আপনার লেখা পড়ে বাবাকে বলতে ইচ্ছা করছে "আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি" ।
লেখাটা বরাবরের মতই মন ছুঁয়ে গেলো। :thumbup: :thumbup:
জাফর, আমার বাবা আর বেঁচে নেই। তোমার আছে। সুতরাং দেরী করো না। বলে ফেলো।
:clap: :clap:
আমার বাবাও ঠিক আপনার বাবার মত ছিল...ভীষন রাগী, আমরা সবসময় দূরে দূরে থাকতাম। আব্বু যে রুমে আসতেন আমরা সেই রুম থেকে পালিয়ে যেতাম।
আপনার প্রোফাইলের ছবিটা যখনই দেখি তখনও মন ভালো হয়ে যায়। কি সুন্দর একটা সুখী পরিবারের ছবি।
ভাতিজা-ভাতিজি দুইজনই মাশাল্লাহ খুব কিউট। ওরা দুইজনই ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠুক এই শুভ কামনা রইল।
লেখাটায় :thumbup:
🙂 🙂
আগেকার বাবারা এরকমই ছিলেন। আমরা সেই রকম হই নাই, চাইও না।
প্রোফাইল পিকটা আমারো খুব প্রিয়। আফসুস মোবাইল দিয়ে নিজের তোলা। কোয়ালিটি ভাল হলে ভাল হতো।
ছেলে মেয়ে দুটোর জন্য দোয়া চাই।
আবারো যথারীতি সুন্দর একটা লেখা...পড়ে খুব ভাল লাগল। আমি অবশ্য ভাগ্যবান, আমার বাবা সবসময় আমার কাছাকাছি থাকেন, ছিলেন, এবং থাকবেন। এখনো আমার কোন সমস্যা হলে সবার আগে বাবার কাছেই যাই, আবার আমার কোন সুসংবাদ হলে বাবাই সেটা সবার আগে জানেন...
খুব ভাল। বাবার সাথে বন্ধুত্ব তো খুবই ভাল। আফসুস সেটা আমার ছিল না।
লেখাটা খুবই ভালো লাগলো শওকত ভাই ...... :boss: :boss: :boss:
থেংকু ভাইয়া।
ভাইয়া আপনি কিভাবে এতো সুন্দর করে মনের কথা গুলা বলেন? অসাধারন লেখা
আমি সহজ করে লিখছি শুধু। আর কিছু না।
স্নেহ নিম্নগামী ...
সবাই তার বাবা-মা'র চেয়েও ছেলে-মেয়ে'কে বেশি ভালবাসে ...
শওকত ভাই,
অসাধারণ প্রকাশ ... আজকালকার বাবা'রা অনেক বেশি ফ্রেন্ডলি ... কথা সত্য ... তবুও আমার কাছে আগের ট্রেন্ডটাই বেশি পছন্দের ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
যা বলতে চেয়েছিলাম, সুন্দর করে হয়তো লিখতে পারি নাই ...
'আমার বাবা আমাকে ভালবাসে,
আমিও বাবাকে ভালবাসি,
কেউ কোনদিন কাউকে বলি নাই ...
কিন্তু দু'জনেই জানি'
এই জিনিসটাও কিন্তু অসাধারণ ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
:boss: :boss:
কী জানি। আমার বাবা নেই। মিস করি। তাই আফসুসটাও বেশী।
অসাধারন অভিব্যক্তি...... :hatsoff:
:hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
এই ব্যাপারে আমি একটু ভাগ্যবান। আব্বা আম্মা দুই জনই চাকুরী করার সুবাদে বাবার কাছেই আমার বেশি সময় কেটেছে।
আসলেই ভাগ্যবান।
আপনার প্রোফাইলের ছবিটা দেখে আসলেই মনে শান্তি শান্তি লাগে। সুখি পরিবার...... :thumbup: :thumbup:
আপনার পিচ্চি দুইটা খুবই কিউট...... ওদের জন্য অনেক অনেক আদর রইল। :hug: :hug:
ধন্যবাদ ভাইয়া।
নির্ঘাৎ ভাবী শিখায় দিছে, আপনে টের পান নাই।
ক্লাস এইটে বাপের কোলে উঠছেন, আপনি তো ভাইয়া মোটামুটি টাইপের মহাপুরুষ দেখি, আমার তো রেকর্ড আছে বলে মনে পড়ছে না, তাও আবার ক্লাস এইটে।
এখন চিক্কুর দিয়া বলেন তো বিয়া কইরা বিরাট ভুল কাজ করছেন। 😀
আমার মেয়ে মাশা-আল্লাহ প্রতিদিন তিন চার বার করে বলে আমারে ভালোবাসে, বিশেষ করে যখন চিপস, চকলেট বা আইসক্রিমের দরকার পরে তার।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
:)) :)) :))
ভাতিজি দেখি ফয়েজ ভাইয়ের মতই চাল্লু হইছে। 😀 😀
ফয়েজ ভাই খুব চাল্লু নাকি!! আমার তো উনারে ...... লাগে।
যাক এখন থেকে সাবধানে থাকবো!!!
ঐ
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
নাহ জুনিয়র গুলা বেশি বাইড়া গেছে।
তয় এহসান যে বুদ্ধিমান পোলা এইটা কিন্তু আমি বুঝবার পারছি। 😀 এখন বুঝাটা ভুল না হইলেই বাঁচি
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই মনে হয় মাইন্ড খাইসেন। সরি ভাইজান। 🙁 আমি আপনারে সহজ সরল মানুষ কইতে চাইসিলাম। নিজ দায়িত্বে শুরু করলাম :frontroll:
তাইফুর, তুমিও :frontroll: শুরু কর। :chup: তুমি মিয়া সুযোগ পেলে হুদাই হাসাহাসি শুরু কর.... কামরুলরে ডাক দেও। তোমার আর কামরুলের লাইগাই ফয়েজ ভাই বেশী মাইন্ড খাইসে।
মাইন্ড ভালো করার সুযোগ দিলাম একটা, তুমি আমার টিম গুছাই দাও 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
মাইন্ড খাওয়ার রহস্য হইল ... ঘুইরা ঘাইরা ঐ একই প্রস্তাব ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
আমি আগেই জানতাম ফজু ভাই লুক ভালো। 😛
তয় মাঝে মাঝে একটু ভেজাল করতে চায়। :grr:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
:frontroll: :khekz: :frontroll: :khekz:
:khekz: :frontroll: :khekz: :frontroll:
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
=)) 😕 :frontroll:
আমার বউ ছেলেরে শিখায় নাই। এইটা তার সহজাত। আমার কিন্তু সেরকম না। অনেক চাপা। নিজের কথাও বলতে পারে না।
আমার কোলে উঠা ঐ একবারই।
আমার ছেলেটাও অনেক বুদ্ধিমান। মেয়েটা একদমই নিজের মতো থাকে।
:thumbup:
ভালো লাগসে লেখা এইডা এর কি কমু!!! আমি চিন্তা করসি এখন থেইকা কিছু লেখার আগে আপনার ১০টা পুরাণ লেখা পড়ুম। সহজ করে কেমনে কথা কইতে হয়... এইটা শিখতেসি। দেশে আসলে আপনার লগে দুয়েক-টা সিটিং দিতে হবে।
আমি কঠিন ভাষা জানি না। তাই বাধ্য হয়ে ছোট ছোট বাক্য ব্যবহার করি। যাতে লেখাটা সহজে বুঝানো যায়। অর্থনীতি কঠিন বিষয়। তাই সাধারণ মানুষকে বোঝাতে সহজ করে লিখতে শিখতে হয়েছে। আর এটা আমার পেশা তে। এটা করেই বেতন পাই।
মন ছুঁয়ে গেল.......
আমার বাবাও এরকমই
আগে বাবারা বন্ধু হইতে পারতো না। এখন কিন্তু বাচ্চারা বাবার চেয়ে মাকে বেশি ভয় পায়।
লাইক ফাদার লাইক ডটার।ফজু মল্লিক ভাই আর তার মেয়ে দুইটাই চাল্লু।
আর শওকত ভাইয়ের মত উনার বাচ্চা দুইটাও কিউট।
প্লিজ ডোন্ট ক্রস দি বর্ডার ডিয়ার ...
ফয়েজ ভাই ভাল মানুষ বলে বেশি উত্যক্ত করা কি ঠিক ??
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
আব্বারে আগে ভয় পাইতাম তবে দুইবার বাইপাস সার্জারী আর একবার রিং পইড়া এখন এক্কেরে মাটির মানুষ হইয়া গেছে, উলটা আমারে ভয় পায়। 😛
তবে সত্য কথা আমিও আমার বাবার মতো হইতে চাই না।
কিংবা হয়তো হইতে চাই। 😛
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আগে বিয়া কর ব্যাটা, তারপর চিক্কুর পারিস
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ইয়ে মানে, আপনার শালী ক্যামুন আছে? :grr:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
কার শালী? কেমন? কি করে?
ফয়েজ ভাইয়ের শালী।
বাকি কথা আমি কইতে পারুম না, শরম লাগে! 😛
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
ও ... দ্বন্দ তাইলে ওইখানে ... :grr: :grr: :grr:
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
হ!
ফজু ভাই আশা দিয়া ঝুলাইয়া রাখছে। 🙁
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
কাইউম-এর আবজাব মনে পইরা গেল ...
"ওই বন্ধ কর ...
ঝুলতাছেরে ... ঝুলতাছে
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
কামরুল ভাই এইটা কি কও? আমিতো জানি ফয়েজ ভাইয়া কাইয়ূম ভাইয়ের জন্য সব ঠিক কইরা রাখছে, এখন কি তুমিও আশায় বসে আসো নাকি? 😕
মল্লিক ভাই আমিও আপনার মত চাল্লু হইতে চাই। :salute: :salute: :salute:
ভাতিজি আর ভাতিজার জন্য অনেক অনেক দোয়া। 🙂
আমার বাবাটা কখনো খুব কঠিন আবার কখনো একদম বন্ধুর মত । বাচ্চদের জন্য অনেক দোআ রইল । মাশাল্লাহ খুব কিউট হয়েছে ।
আমার বাবা আমাদের কাছে কঠিনই রয়ে গেলেন।
শওকত ভাই, সবাই মনের কথা সহজ করে বলতে পারে না কিন্তু আপনি পারেন এইটা কিন্তু একটা দারুণ ব্যাপার। কোথায় জানি পড়েছিলাম মানুষ তখন বৃদ্ধ হয় যখন সে বুঝতে পারে সে তার বাবার মত হয়ে যাচ্ছে, তাই ভয় নায় কারণ আপনার যৌবন কাল তো মাত্র শুরু 🙂
লেখাটা মন ছুয়ে গেল। পিচ্চি দুই জনই দেখি দারুণ কিউট।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
যৌবন কাল শুরু?? ভালই কইছো।
মাসুম, তুমি আবার বাবার কথা মনে করাইয়া দিলা। বাবাকে হারিয়েছি ১৭ বছরের বেশি হতে চললো। আমিও বাবাকে ভয় পেতাম। তবে অতটা নয়। যে কারণে বাবার কথার অবাধ্য হয়েছি সব সময়। আর জেনেছি শেষ পর্যন্ত বাবা আমারটাই মেনে নেবেন। হয়েছেও তাই........ সারাটা জীবন। মনে পড়ে ছোটো বেলায় খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি, বাবা আবার ঘুম থেকে তুলে কোলে বসিয়ে লোকমা তুলে তুলে খাইয়ে দিচ্ছেন!
বাবাকে কখনো বলিনি "ভালবাসি"। এখন আজিমপুর গেলে কবরের সামনে দাঁড়িয়ে "বাবা তোমাকে ভালবাসি" কথাটাই বলি, আর তার সঙ্গে অসাধারণ সব স্মৃতি হাতড়াতে থাকি।
পৃথিবীর সব বাবার জন্য ভালোবাসা।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
লাবলু ভাই, আমার বাবার শেষ সময়টা ভাল ছিল না। আজীবন আমাদের সাথে মিশতে পারেন নাই, তাই রিটায়ার্ড লাইফ একা একাই কাটিয়েছেন তিনি। টিভি দেখার অভ্যাস ছিল না, বই পড়তেন না। ফলে লাইফটা সহজ ছিল না তাঁর জন্য। ঐ লাইফ দেখে আমার ভয়ই লেগেছে।
বাবারা বস... B-) B-)
খুব সুন্দর লিখসেন মাসুম ভাই...একদম আমার ভাতিজা-ভাতিজীর মত সুন্দর :grr: :grr:
ওদের জন্য অনেক অনেক দোয়া...
ঠিকাছে বন্য।
১. আমি জীবনে কয়েকবার বাবাকে বলতে চেষ্টা করছিলাম, বাবা, তোমাকে ভালোবাসি। বাংলাভাষায় এত অসহ্য সুন্দর কথাটা বলা হয়নি। এমনকি বিজাতীয় ইংরেজিতেও বলতে পারিনি। কী জড়তা হায়!
এখন মাঝে মাঝে রাতে বাসায় ফিরে দেখি বাবা, আম্মা দু'জন টিভির সামনে বসে আছেন। আমি গিয়ে বাবার গা'ঘেঁষে বসে থাকি। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এই বসে থাকতে থাকতেই আমার সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়...
২. মাঝেমাঝে বাবার ব্লাডপ্রেশার চেক করতে হয়। আমিই করি, রাতে ভাত খাওয়ার পরে। হাতে স্টেথো লাগিয়ে যখন ধুকপুক শুনতে থাকি, আমার খুবই অন্যরকম লাগে। জানি না কেন!
৩. আপনার লেখাটা এসব ব্যক্তিগত কথাগুলো প্রগলভ করিয়ে বলিয়ে নিল। তাইলে বুঝেন কত ভালো হইছে লেখাটা। পাঁচ দাগাইলাম! 😀
তোমার মন্তব্যটাও মাসুম ভাইয়ের লেখার মতো সুন্দর হইছে।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
:hatsoff:
বাবার গা'ঘেষে বসে থাকতে পারাটাও দারুণ একটা ব্যাপার। মন্তব্যটা ভাল লাগছে।
ফুটফুটে দুই শিশুকে দেখে মন ভালো হয়ে গেল। লেখাটা হৃদয়ছোঁয়া। খুব ভালো লাগল, যদিও আমি আমার বাবার মতই হতে চাই।
আমি ছেলে মেয়ের বন্ধু হতে চাই।
পিচ্চি দুইটা অনেক্কিউট। এই নেন ওদের দুইজনকে দিয়েন।
আমিও কিটক্যাট খাপো :((
শওকত ভাই,অসাধারণ লেখা হইছে বস।আমিও আমার আব্বারে অনেক ভালা পাই কিন্তু আমার কইতে শরম লাগে :shy: :shy:
আমিও খাপো........
সালাম মাসুম ভাই। ভাইয়া মাশাল্লাহ দুইজনেই খুব কিউট হয়েছে। ওদের জন্য অনেক দোয়া রইলো। যাতে ভালো মানুষ হতে পারে। 🙂
অফটপিকঃ ভাইয়া, আমরা ৩ ভাই-বোন'ই বাবার সাথে খুব ফ্রেন্ডলী ছিলাম এবং এখনো আছি। আমার বর বলে সে কখনো তার বাবাকে বলতে পারেনি ভালোবাসার কথা, উনি আজ আমাদের মধ্যে নেই।।তাই আমার ছেলেকে যখন আমি সবসসময় বলি,মা তোমাকে ভালোবাসে। তখন মঈনও লজ্জা ঝেড়ে বলে ফেলে, " বাবা তোমাকে ভালোবাসে "।
যদিও তিন শব্দের এই ছোট কথাটা বলতে তার সময় লেগেছে ২ বছর। 🙂
আমিও বলতে পারতাম না। ছেলের কাছ থেকে শিখছি। অনেকটা শিখে ফেলেছি।
ইয়ে...মানে...
ক্যাডেটরা একটু চুপচাপ প্রকৃতির তো... 🙂
তাই "সময় লেগেছে ২ বছর।"
আর মুখে বলাই কি সব কিছু নাকি ভিতরের মনটাই আসল? :clap:
মঈন ভাইকে ব্যাক আপ দিচ্ছি... :gulli2: :gulli:
হ্যা আমি জানি ভাইয়া। মঈনও আমাকে এই কথাটাই বলে। আবার আমাকে ধন্যবাদ দেই, আমি প্রতিদিন বাচ্চাদের বলাতে নাকি ও লজ্জা ঝেড়ে বলতে পেরেছে। 🙂
আমিও ব্যাক-আপ দিলাম। আমিও মানুষটা ঐ রকমই।
:dreamy: :clap: :clap: :clap: :hatsoff:
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক,
জ্যোস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই,
কিছুটাতো চাই, কিছুটাতো চাই।
আমার আব্বু কখনও বাসায় চিৎকার চেচামেচি করেন নাই। উনি চুপচাপ গম্ভির প্রকৃতির মানুষ। তারপরও আমার সাথে আব্বুর বেশ সহজ এবং হালকা একটা সম্পর্ক ছিল, অনেকটা বন্ধুর মত। ছোট থাকতে আব্বুর মুখ থেকে সিগারেট কেড়ে নিতাম। আমার আব্বুকে আমি খবরের কাগজ পড়ে শুনাতাম। আমি কলেজে যাবার পড় আব্বু খবরের কাগজ নিয়ে কেঁদে বলেছিলেন, "এখনামাকে কে খবরের কাগজ পড়ে শুনাবে?"। কিন্তু কলেজে যাওয়াটাই যেন কাল হয়ে দাড়ালো। আব্বুর সাথে দূরত্ব বাড়তে লাগল। ইলেভেনে ওঠার পর থেকে আবার আব্বুর সাথে অনেক কথা বলি, কিন্তু আব্বুর আর আমার বন্ধু হয়ে ওঠা হয়নি। তবে এখনও আমি যখন সকালে ঘুমিয়ে থাকি আর আব্বু অফিসের কাজে অথবা অন্য কাজে বাইরে বের হয় তখন আমার মাথায় আদর করে হাত বুলিয়ে দিয়ে যায়। ঘুমের মাঝেও আমি কিভাবে যেন টের পাই। মনে হয় প্রতিক্ষাও করি প্রতিদিন। আব্বু জানেও না যে আমি টের পাই। আমি জানাতেও চাই না। কামরুল ভাই তার এক লেখায় ঠিকই বলেছিলেন, "কিছু কিছু মায়া চোখ বন্ধ/চুপ করে নিতে হয়(সঠিক কথাটি মনে নাই তবে মনে হয় ভাবটা এমনই ছিল)"।
খুব সুন্দর। পড়ে ভাল লাগছে। বুঝতে পারাটাই একটা বড় বিষয়।
অনেক সুন্দর একটা লিখা পড়লাম। বাবার প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গেল। 🙂
বাবারা আর দূরের মানুষ না থাকুক।
লেখাটা আগেও কোথাও পড়েছি........তখনকার মতই আবেগ অনুভব করছি :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
মডেল ভাতিজি আর হ্যান্ডসাম ভাতিজার ছবি অনেকদিন পর দেখলাম...........মনটাই ভালো হইয়া গ্যালো :guitar: :guitar: :guitar: :guitar:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
ওদের ছবি দেখে আমিও মন ভাল করি।
অসাধারণ আবেগের একটা লেখা। পড়ে একই সাথে কষ্ট যেমন লাগছে ভালোও লাগছে।
নিজের বাবাকে এ কথাটা আর বলা হবেনা, আমি খুব ভালো করেই জানি। বাসায় ছুটি ছাটায় গেলে নিয়মিত দেখা সাক্ষাত হচ্ছে, কিন্তু বলা যে আর হবেনা তা দিব্যি বুঝতে পারছি 🙁 এজন্যেই কষ্টটা লাগছে।
মাসুম ভাইয়ের পিচ্চি দুটো এত্ত ফুটফুটে, যে মাসুম ভাইকে ওরা গলায় জড়িয়ে ভালোবাসি বাবা বলছে চিন্তা করতেই মনটা ভালো হয়ে যায়।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ক্যাডা কাইয়ূম ভাই নাকি?? :grr:
তাইতো মনে হচ্ছে...
লেখাটা ছুঁয়ে গেল।
:hatsoff: :salute: :hatsoff: :salute:
Life is Mad.
শওকত ভাই,
আপনার বাচ্চারা যাতে আপনার চেয়েও ভালো/স্মার্ট বাবা/মা হয়....
বন্ধুত্ব এসে প্রজন্মগুলোর দূরত্ব ঘুচিয়ে দিক।
লেখাটা খুবি ভালো লাগলো। অসাধারন।
বাবা.আমার বাবা. I love you my Father. I miss you.Happy Father's day.................