এলোমেলো ভাবনাগুলোর গন্তব্যহীন পথচলা

সেদিন মেসেঞ্জারে আমার ফ্রেন্ড ফারহানের সাথে কথা বলছিলাম। সে সিসিআর। কথা প্রসঙ্গে হঠাৎ সে বলে উঠলো দোস্ত আমি আমার কলেজ লাইফটা খুব মিস করতেছি। কলেজের ফ্রেন্ড, অর্থহীন খুনসুটিগুলো আরো অনেক কিছু। আমার তখন একটা খুব সুন্দর কথা মনে পড়লো। কোথায় যেনো পড়েছিলাম “this life is too short to whine about how short the life is!!”. কথাটা আসলেই ভাবনার উদ্রেক জোগায়। আমরা কখনো পুরোনো জিনিসকে এতোটাই মিস করে থাকি যে মহামুল্যবান বর্তমানের মাঝে যে বিশাল মাহাত্ন্য লুকিয়ে আছে তার কথাটা বেমালুম ভুলে যাই।

বিস্তারিত»

ফিরে দেখা (পর্ব-৪)

(১১)
মুসতাঈন স্যার ছিলেন আমাদের এডজুটেন্ট । তিনি আবার ইংরেজী ব্যতীত কখনই কথা বলতেন না । তার মুখ থেকে শোনা কিছু ইংরেজীর নমুনাঃ
*কোন কারণে আমাদের ফর্মে এসেছিলেন তিনি । এসে দেখলেন ফ্যান বন্ধ । তিনি বললেন “গিভ দ্যা ফ্যান” ।
*প্রিন্সিপাল ইন্সপেকশন প্যারেডে তিনি হেয়ার কাট চেক করতে এসেছেন । তখন কমান্ড দিলেন “ওপেন ইওর ক্যাপ” ।
*এস এস সির রেজাল্ট বের হয়েছে ।

বিস্তারিত»

ছেড়া ছেড়া কথা

খুবই ইচ্ছা ছিলো একখানা পিরিত করার। যখন দেখতাম হাউস বেয়ারা ব্যাচমেটদেরকে গোপনে হলুদ খামের চিঠি দিয়ে চলে যাচ্ছে তখন মনে হতো আহা রে ওদের কত সুখ!!!!!!!!! তখন নিযেকে খুব দুর্ভাগ্যবান মনে হতো। তাই দুধের সাধ ঘোলে মিটানোর জন্য তখন সেই প্রেমিক বন্ধুদের গল্প শুনতাম। ওরাও গর্বিত পুরুষদের মত একটা ভাব নিয়ে বলতো ” আরে দোস্তো, এগুলা তো ওয়ান-টু এর ব্যাপার। কতজন এলো গেলো। সাহস করে একবার প্রোপোজ করেই দেখ না।”

বিস্তারিত»

ডেটলাইন – ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

প্রিয় ভাই বোনেরা,
আসসালামুআলাইকুম।
কোন সাহিত্য ভা ভূমিকা ছাড়া সরাসরি মূল বক্তব্যে চলে আসি। কামরুলের পোস্টে আপনারা সবাই আমার বর্তমান স্ট্যাটাস জেনে গেছেন। ব্যাপারটি কিভাবে ঘটেছে তা এখনো আমার কাছে কেমন যেন মিস্ট্রি মনে হচ্ছে। আমার জন্য পাত্রী খোঁজা হচ্ছে ব্যাপারটা আমি হাল্কা জানতাম। কিন্তু কোথায় কিভাবে কি হচ্ছে তা জানা ছিলোনা। বাবা-মা’র কাছে শুধু এটুকু বলা ছিল, বিয়ের ব্যাপারে আমার নিজস্ব কোন পছন্দ নেই।

বিস্তারিত»

ঢাল ঢোল নাই আসলেই

এটা মনেহয় আমার প্রথম পোস্ট হওয়া উচিত ছিলো।

যাই হোক, আমার ডিটেলস মোটামুটি সব দেয়া আছে প্রোফাইলের মধ্যে, আর বেশী কিছু বলতে গেলে বেশী কিছু লিখতে হবে, পরে একসময় লেখা যাবে সেগুলো।

আমি আসলে কখনো নিজে ব্লগ লিখি নাই, অফিস আওয়ারে সবকিছু গুছিয়ে লিখতে হয় বলেই যখন বাসায় থাকি তখন খুব এলোমেলো থাকতে ইচ্ছা করে। কোনো কিছু গুছিয়ে ব্লগ লেখা তাই আমার কঠিনতম কাজের মধ্যে একটা।

বিস্তারিত»

শিরোনামহীন প্যাচাল(২) ফাকিবাজী পোষ্ট

কলেজের কোনো রকম ঘটনা নিয়ে এটাই আমার প্রথম পোষ্ট। আসলে আজকে সকালের দিকে এই ব্লগের প্রথম দিককার কিছু লিখা পড়ে আমার পেটে খিল ধরে গেছিল। তাই ভাবলাম আমিও কিছু শেয়ার করি। অনেকটা ফাকিবাজি দেবার মতো। 😛 পোষ্ট লিখার বিষয় নাই তো কি হইছে??ছয় বছরের অসংখ্য কাহিনী এই মাথায় গোল পাকিয়ে আছে। কাজ কারবার নাই তো সেই জট এর একটা পার্ট খুলো।

১। আমরা তখন কেবল কলেজে ঢুকছি।

বিস্তারিত»

টুশকী বন্দনায় পেশকী

আমি কখন কিছু লিখতে পারিনা। কিন্তু সায়েদ এর টুশকি এর কারনে লেখতে বসলাম।

**********************
ক্যাডেট মানেই তার একটা টীজ নাম থকবেই! সবার ছিলো, কারন সবার কোনো না কোনো খুত তার সহপাঠীদের কাছে ধরা পরেই যেতো। আমাদের ক্লাসে রএকজন ছিল যার কোনো নাম পাওয়া যাচ্ছিলোনা। কারন সে ছিল খুব ভদ্র এবং শান্ত। কারো সাথে পাছে না থাকায় কেও তার নামকরনের মত কোনো খুত ও কখোনো পায়নি।

বিস্তারিত»

আমার প্রেমিকারা-১

একটা একটা করে প্রেমিকাদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, আর আমি ডাকটিকেট সংগ্রহ করার মত তাদের বিয়ের কার্ড জমিয়ে যাচ্ছি। আমার প্রেমিকারা কিন্তু ভাল,একটু বেশি-ই ভাল কারণ এখন ও আমাকে ওরা খুব মিস করে তাই নিমন্ত্রন দিতে ভুলেনা। আর আমি ও মহান হৃদয়ের মানুষ,যেতে একদম ভুল করিনা। তবে বিপদ হয়েছে গত মাসে। একজনের বিয়েতে গিয়ে এমনই হয়েছে যে আমাকে দেখে কান্না শুরু করে দিল, আর কান্নার ধরন এমনই যে বেচারির পার্লারের খুব ঘষামাজা সাজ ধুয়েমুছে একবারে ফকফকা।

বিস্তারিত»

এক চক্কর

আমার কিছুটা…

ঈদের আগে এই এক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়, এই কথা সেই কথা হওয়ার পর অনেকে জানতে চায় কি কেনাকাটা করলাম। অন্যসময় কথার ফুলঝুড়ি ছুটলেও এখানে এসে চুপসে যাই। কেনাকাটায় আগ্রহ কোনকালেই ছিল না। বাধ্য হয়ে মাঝেমাঝে এই কঠিন রস-কসবিহীন কাজটা করতে হয়। এই যেমন রোযার মাস শুরুর আগে আগে বাবা-মায়ের বদৌলতে প্রাপ্ত দেহখানার লজ্জা নিবারণের জন্য একজনকে স্টার কাবাবের লোভ দেখিয়ে ঢাকা কলেজের সামনে নিয়ে গেলাম।

বিস্তারিত»

ছিল, আছে, থাকবে…!!!

১|

১৯৯৫ সাল।
লান্চের পর প্রায় ১৫ মিনিট হয়ে গেছে। বেশিরভাগ ক্যাডেটই ড্রেস চেন্জ করে ছোট্ট কিন্তু পরম আকাংক্ষিত ভাত ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছে। একটু আগেও যে হাউসটি লান্চ ফেরত ক্যাডেটদের কল-কাকলিতে মুখর ছিল, তা এখন সুনসান নিরব…
এমন সময় সমস্ত নিরবতাকে খানখান করে চিত্‍কার, ‘ডিউটি ক্যাডেট, ডিউটি ক্যাডেট….’
৩/৪ সেকেন্ডের জন্য সময় যেন থেমে গেল, এরপর শোনা গেল অন্য একটি গলার আওয়াজ ‘ইয়েস প্লিজ…!’

বিস্তারিত»

ঈশ্বরচিন্তা-২

নিয়ন্ত্রন, শব্দটি বেশ গুরুত্বপূর্ন । কারন সবাই নিয়ন্ত্রন করে অথবা নিয়ন্ত্রিত হয়। নিয়ন্ত্রন হতে পারে জাগতিক অথবা ঐশ্বরিক অলৌকিকতা পূর্ন। আমরা যেকোন স্বাভাবিক সিস্টেমের মতই নিয়ন্ত্রন চাই। নিজের দায়িত্ব কারো ঘাড়ে দিতে পারলে আশ্বস্ত হই। স্থুলবুদ্ধিরা পীর ফকির ধরে থাকে, পরলৌকিক দায়ত্ব নেবার জন্যে। এজন্যেই যুগে যুগে মানুষ এবসোলিউট অসম্ভব কথা শুনিয়েছে আমরা মেনে নিয়েছি। এখনও যুক্তরাষ্ট্রে আছে মোর্মেন ধর্মালম্বীরা, সায়ান্টোলজির অনুসারীরা। এই মহাবিশ্ব জটিল এবং বিভ্রান্তকারী।

বিস্তারিত»

সেকাল এবং একাল

সেকাল এবং একাল

এই ব্লগে এটা আমার ২য় লেখা। ১ম লেখাটাতে সবাই যেভাবে উৎসাহ দিয়েছেন, তাতে আরেকটা লেখার লোভ সামলাতে আমার কষ্ট হচ্ছে।

কথায় আছে, ইতিহাস নাকি ঘুরে-ঘুরে আসে। ইতিহাসের সেই ঘুরে আসার বিষয় নিয়েই এখন আমি আমার নিজের দুটো অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি – একটা কলেজের, আরেকটা কর্মক্ষেত্রের।

ক) সেকালঃ
আমাদের সময়ে (১৯৮৮–’৯৪) যে ক’জন এডজুট্যান্ট ছিলেন, আমার ধারনা,

বিস্তারিত»

সাপ্তাহিক ১৩ (ঈদ সংখ্যা!)

বৃষ্টি এবারের ঈদ পুরো ধুয়ে দিয়ে গেল। সকালে চোখ মেলেই দেখি বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, ঘুম মনে হলো তখন আরো জমিয়ে এলো। কিন্তু মায়ের অনবরত ডাকাডাকিতে শেষ পর্যন্ত বিছানা ছাড়তেই হলো, কিন্তু ততক্ষনে যা দেরি হবার হয়ে গিয়েছে। বাড়ির পাশের মসজিদে ততক্ষনে ঈদের নামাজ শুরু হয়ে গেছে। ছোট ভাই আশার কথা শোনালো যে পাশেই নাকি আরেকটা নতুন মসজিদ হয়েছে, সেখানে নামাজ আরো আধঘন্টা পরে। বৃষ্টি মাথায় করে দুভাই ছুটলাম মসজিদে।

বিস্তারিত»

দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায়

… দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় …

শুরুর কথাঃ
আমি একজন চুপচাপ-শান্তিপ্রিয় পাঠক। পেশায় আমি একজন শিক্ষক। ব্লগে এটাই আমার প্রথম লেখা। যা খুশি মন্তব্য করুন।

১।
ছোটবেলায় একটা গান আমার খুবই পছন্দের ছিলঃ
“ছোট্টবেলার সেই দিনগুলো হারিয়ে
খারাপ যে লাগেনা মনটা,
সেই লাল-নীল-হলদে রাজা-রাণী পুতুলে
ভরা ছিল জানালার কোনটা”
– গানটা অনেক দিন শোনা হয়নি।

বিস্তারিত»

মন খারাপ কাব্য-১

অমন গভীর মায়াঘেরা স্নিগ্ধ বিকেল আর হবে না
অমন ভালোবাসা মাখা স্মৃতিগুলো আর রবে না
সবুজ ঘাসের নরোম বুকে পাখিগুলো হাটবে না আর
দিনের আলো মিলিয়ে সেথায় রইবে পড়ে গাঢ় অন্ধকার!

যাদের চোখে স্বপ্ন এখন সেগুলো আর না হোক ধূসর
স্বপ্ন রঙিন জড়িয়ে বুকে কাটবে দেখো খুব অবসর
দীঘল কালো চুলের বেণী দুলিয়ে সে নাই বা এলো
তবু কেবল স্বপ্ন দেখো,দুঃখগুলো পুড়বে না আর!

বিস্তারিত»