আমার কোন সারাহা একাউণ্ট/প্রোফাইল নেই। আমি কারো সারাহা একাউণ্ট/প্রোফাইলে কখনো (এখন পর্যন্ত) ঢুকিনি, মন্তব্য করা বা ম্যাসেজ দেয়ার তো প্রশ্নই আসে না। পুরো বিষয়টাই আমার কাছে কেমন যেন অস্বস্তিকর মনে হচ্ছে। এটা অনেকটা নিবন্ধন বিহীন সিম কার্ড দিয়ে পরিচয় গোপন রেখে কাউকে ফোন করার মতই মনে হচ্ছে আমার কছে। কাউকে হিডেন ক্রাশের খবর জানানো, কিংবা মনের ঝাল মিটিয়ে গালি দেয়া, কিংবা এখন পর্যন্ত যেটার খবর সারাহাতে ঘটেছে বলে শুনিনি তা হলো প্রতারণার মাধ্যমে চাঁদা চাওয়া।
পার্থক্য তো মনে হচ্ছে একটা শুধু এইটুকুই … একটা ছিল নাজায়েজ পর্যায়ের, আর পরের সংস্করনটা হলো একটু ঢাক ঢোল পিটিয়ে জায়েজ ফরম্যাটে। আমি তো এখনও বুঝে উঠছি না, আমাদের এক্সপ্রেশনটা কি হওয়া দরকার?? … ছি! ছি! তুমি নেংটু পুটু!! … নাকি ওয়াও!! ইউ আর এ নুডিস্ট!!??!!??
এমনিতেই ফেসবুকে বিভিন্ন জনের সাথে যে পরিমানে কানেকশন্স তৈরি হয়ে গেছে, তার ফলাফল হিসেবে নিজে না চাইলেও মোটামুটিভাবে একটা এ্যাডিকশনের মধ্যে আছি বলেই তো মনে হচ্ছে। ইন্সটাগ্রাম এবং মোমেণ্টের মতন এপ্স ইন্সটল করেও আবার প্রায়ই আনইন্সটল করছি শুধুমাত্র নতুন আরেকটা ফেসবুকের মত টাইম কীলারের হাত থেকে বাঁচার জন্য। ফেসবুক একাউণ্ট ডিলিট/বন্ধ করছি না শুধুমাত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ক্লোজড কিছু এসোসিয়েশন (বিশেষ করে এক্স ক্যাডেটদের প্লাটফর্মগুলো) থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার ভয়ে।
আমি সোশাল কমিউনিকেশন পছন্দ করি। ফেসবুকে আনন্দ পাই। কিন্ত হাতে এধরণের অন্য কোন লেস-টাইম-কীলিং অপশন থাকলে আমি হয়ত ফেসবুক একাউণ্ট ক্লোজ করেই দিতাম। কারন এই অনলাইন/ভার্চুয়াল সোশাল কমিউনিকেশনের ফাঁদে জড়িয়ে যে নিজের অজান্তেই এ্যাডিকশনের মধ্য দিয়ে প্রতিদিন আমি কি পরিমানে সময় নষ্ট করছি, তা মনে হয় আমার মত যারা তারা সবাই কমবেশি একইভাবে ভুক্তভোগি।
এমন মুহূর্তে সারাহা-র এই জোয়ার যদি আরো কিছুদিন চলে, তাহলে জীবনের জটিলতা বিভিন্ন ডাইমেনশনে বেড়ে যাবার আশংকায় আছি। সামনা-সামনি দুষ্টুমিও তো অনেক ক্ষেত্রে মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়ে বন্ধুত্বে ফাটল ধরায়। আর সারাহাতে তো আরো বেশি মজা বলেই মনে হচ্ছে … যা ইচ্ছা বলে দেই … ধরা তো আর পড়তে হচ্ছে না … পরিচিত মহল থেকেই যদি এখন ইভ টিজিং আর সোশাল বুলিং বেড়ে যায় … তখন তো মহাবিপদ … ঘনিষ্ট বন্ধুকেও তো মনে হয় তখন আমরা সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দেব না।