দেশে ফেরার গল্প – দুই

দেশে ফেরার গল্প – এক

চ.
লন্ডন-কুয়েত ফ্লাইট কিছুটা দেরি করায় কুয়েতে স্টপওভার পেলাম মাত্র এক ঘন্টার। তবে কোন সমস্যা হয়নি কারণ একটি গেইট দিয়ে নেমে কুয়েত এয়ারলাইনসের ঢাকা ফ্লাইট ছিল কাছাকাছি আরেক গেইটে। কুয়েত এয়ারপোর্টের ঢাকা ফ্লাইটের আশেপাশে পরিবেশ খুবই অন্যরকম। স্মোকিং রুমের একশো গজের মধ্যে টেকা দায়। ধূমপায়ী-অধূমপায়ী সবার জন্য। স্মোকিং রুম ছাড়াও এয়ারপোর্টের যত্রতত্র মানুষজন বিড়ি ফুঁকছে।

বিস্তারিত»

আমার ছোট বেলা-তিন “অদ্ভুতুড়ে গল্প”।

“নাপিতের ভিটা” নিয়ে অনেক ভয়াবহ গল্প আছে । বহু মানুষের চাক্ষুষ প্রমান সমৃদ্ধ গল্প।তার মধ্যে একটা না বলে পারছিনা। চাঁদ রাত। পরের দিন সকালে ঈদের নামাজ পরে দু-চার শ ‘সমাজই-জমাতি’ মানুষ ক্ষীর পায়েস খাবে।তাই হ্যাজাক লাইট জ্বালিয়ে দালান বাড়ির উঠানে বড় কাচাঁরি ঘরের সামনে মণই ডেকচা তে কলস কলস দুধ ঢালা হচ্ছে ঘন মিষ্টান্ন করার উদ্দেশ্যে ।

“সমাজই- জমাতি” মানুষ হচ্ছে,

বিস্তারিত»

আমাদের ছেলেবেলা । (এপিসোড ২)

কিছু ঘটনা জায়গায় উপস্থিত ছিলাম না তাই ডায়লগ চেঞ্জ হতে পারে কিন্তু মূল ঘটনা অপরিবর্তিত।

১) ক্লাস নাইন। গেমস্‌ এর ফলিন। আমি রেজোয়ানের ডান পাশে দাড়ানো ছিলাম।  ইলেভেন এসে দাড়াইছে। আমি সামনের লাইনে চলে গেছি। রেজোয়ান দেখে নাই। সামনে JP আরমান ভাই। রেজোয়ান ইলেভেনের শাকিল ভাইয়ের কাধে হাত দিয়ে বলল “দেখ আরমান ভাইরে কি চিকি লাগতেসে।” শাকিল ভাই ওকে বলল হাউসে গিয়ে দেখা করবা।

বিস্তারিত»

হযবরল


লন্ডনের বাসের গল্প শুনেছি, এর জন্য নাকি লম্বা সময় ধরে অপেক্ষা করে থাকতে হয় কিন্তু বাস আর আসতে চায় না, আর যখন আসে তখন দুটো এক সাথে আসে। আমার ব্লগের অবস্থাও সেরকম, মাঝে মাঝে কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে করে, কিন্তু লেখার মত কিছু খুঁজে পাই না আর যখন একটা লিখে ফেলি তখন মাথায় আরো ব্লগর ব্লগরের আইডিয়া গিজগিজ করতে থাকে আবার ওদিকে আগের লেখাও প্রথম পাতা থেকে যেতেই চায় না।

বিস্তারিত»

আমাদের ছেলেবেলা।

কলেজের কিছু ঘটনা বলি। এটাও মনে হচ্ছে বাজাজ টেলিফিল্ম এর সিরিয়াল গুলার মত হবে। এত ঘটনা। এর বেশ কিছু ঘটনা জায়গায় উপস্থিত ছিলাম না তাই ডায়লগ চেঞ্জ হতে পারে কিন্তু মূল ঘটনা অপরিবর্তিত।

 

১) ক্লাস সেভেন। প্রথম প্যারেন্টস ডে। আমার আর মুসফিকের প্যারেন্টস আসে নাই। মন খারাপ। আর এক জনের মন খারাপ।সে ক্লাস টুয়েলভের সারোয়ার ভাই। উনার ও কেউ আসে নাই।

বিস্তারিত»

যাচ্ছে জীবন – ৩

অনেক দিন কিছুই লেখা হয় না। তাতে যে বিশেষ কোন অসুবিধা হচ্ছে তা নয়। মাঝে মাঝে খালি মাথায় অনেক বিষয় ঘুরে লেখার জন্যে, কিন্তু যথারীতি তা মাথায় থেকে যায়।

দুনিয়া জুড়ে এত্তো গেঞ্জাম চলছে মাঝে মাঝে মনে হয় ফেসবুকের গ্রুপের মতো বলি “খোদা! আমারে উডায় নাও! নাইলে দড়ি ফালাও, বায়া উডি যাই!”। অর্থনীতি যে কবে সচল হবে কে জানে, চাকুরীতে ছাটাই চলছেই, যেই বাড়ির দাম আগে দুইশ হাজার ছিল এখন তার দাম দুইশ হাজারের কম।

বিস্তারিত»

প্রহর শেষের আলোয় রাঙা…(একটি ছবিব্লগ)

দেশে আসবো, সারা দিনই টিকেট দেখি। কিন্তু টিকেটের দাম আকাশ ছুঁই ছুঁই। হঠাৎ একদিন দেখলাম, রাইন এয়ার বেশ অল্প দামে ইতালির রিটার্ন টিকেট বিক্রি করছে। রাইন এয়ার আকাশ হচ্ছে, আকাশ পথের ঢাকা টু মাওনা’র লোকাল বাস বিশেষ। এরা শুধু আকাশপথে যায়, এই যা পার্থক্য। তাদের বিমানবালারাও খুব অদ্ভুত। তাঁরা সারা পথ সীমাহীন পেইন দেয়। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে জিনিষপত্র ফেরি করে বেচা বিক্রির প্রানান্তকর চেষ্টা চালায়।

বিস্তারিত»

স্বাধীনতার ৪০ বছর

ভাই ও বোনেরা,
এ সংক্রান্ত একটা প্রস্তাব আমার ১টা পোষ্টের মন্তব্যতে দিয়েছিলাম। এবার বিস্তারিত ভাবে জানানোর জন্য দেয়া।

১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমরা এক্স ক্যাডেটরা মিলে ১টা এক্সিবিশন করতে চাই। প্রথমে পেইন্টিং এর কথা চিন্তা করলেও সবকিছু বিবেচনা করে সেটা থেকে একটু সরে আসতে হয়েছে। এটা হবে একটা ফটোগ্রাফি এক্সিবিশন। ৪০ জন ফটোগ্রাফারের ৪০ টা ছবি নিয়ে এক্সিবিশন। কারোরই একটার বেশী ছবি থাকবে না।

বিস্তারিত»

আমাদের শ্রেষ্ঠত্ত্বের প্রকাশ!

আরো একটি পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হল। সংবাদপত্রে, টিভি খবরে উৎফুল্ল শিক্ষার্থীদের হাসিমুখের ছবি চারিদিকে একটা খুশি খুশি ভাব। সেই সাথে ক্যাডেট কলেজসমূহের দূর্দান্ত ফলাফল, সেরা কলেজ নির্ধারনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী দেশ সেরা ১০ কলেজের ৯টি ক্যাডেট কলেজ। অসাধারন এই ফলাফলে ক্যাডেট হিসেবে আসলেই গর্বিত তবে সত্যি কথা বলতে নিজের কলেজকে এই তালিকায় না দেখে কিছুটা কষ্টও পেয়েছি।

ফলাফল ঘোষনার সাথে সাথে আবশ্যিকভাবে অন্য যে আলোচনাটা উঠে এসেছে সেটা হল ক্যাডেট-ননক্যাডেট শ্রেষ্ঠত্ত্বের বিতর্ক।

বিস্তারিত»

তিনফুটি

মানুষটা সিসিবি থেকে নাই হয়ে গেছে অনেক আগেই। পৃথিবীটা বড় পরিবর্তনশীল, কখন কি হয় কেউ বলতে পারে না। একটা সময় যেমন আমরা ভাবতেই পারতাম না আমাদের পোস্টের প্রথম কমেন্টটা দিহানাপ্পুর হবে না। কোনদিন বলি নাই, আজকে বলি, আমার পোস্ট দেয়ার সময় আমি অনেক্ষণ বসে থাকতাম, যেই দিহানাপ্পু অনলাইন হত, আমি তখন পাবলিশ বাটনে টিপি দিতাম, মানুষটা ফার্স্ট হতে খুব পছন্দ করত যে।

বিস্তারিত»

দেশে ফেরার গল্প – এক

ক.
অটোয়া থেকে আমার দেশে ফেরার বিষয়টি হটাৎ করে ঠিক হওয়াতে গোছগাছ করায় আমার একদম লেজে গোবেরে অবস্থা হয়েছিল। ফ্লাইটের আগের দিন সন্ধা পর্যন্ত কোনকিছু একবিন্দু গোছানো হয়নি। এর মধ্যে ঢাকা থেকে কানাডা সরকারের আমন্ত্রনে আমাদের এক প্রাক্তন সহপাঠিনী ঈশিতা রনি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ন ক্ষুদে আমলা সেদিন অটোয়া পৌছায়। আমার রুমমেট টিপু যাবে ঈশিতার সাথে দেখা করতে ডাউনটাউন অটোয়ার হোটেল লর্ড এলগিনে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সেশনের বেশ ক’জনা নানা কারণে বিখ্যাত ছিল।

বিস্তারিত»

জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি,২০১০ – প্রসঙ্গে

স্বাধীন বাংলাদেশে বিগত ৪০ বছর ধরে অন্ন, বস্ত্র,বাসস্থান ইত্যাদি মৌলিক অধিকারের মতই জনগণের স্বাস্থ্যের অধিকারও ক্রমাগত লংঘিত হয়ে চলেছে । স্বাস্থ্য সংবিধানস্বীকৃত একটি মৌলিক অধিকার এবং এর সার্বিক দায়িত্ব সংবিধানের ১৫(ক) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রের উপর ন্যাস্ত থাকলেও এ যাবত কোন সরকারই এ বিষয়ে নূন্যতম আন্তরিকতার পরিচয় দেয়নি। উপরন্তু একদিকে সরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে অদক্ষ ও জনগণের প্রত্যাশা ও চাহিদা পূরণে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে বেসরকারী মুনাফালোভী বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে কোন রকম আইনী কাঠামোর আওতায় না এনে স্বাস্থ্যকে একটি পণ্যে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকেছে।

বিস্তারিত»

জীবনের টুকরো দেশবিদেশে (আমার সোনার বাংলা)

(আমার ‘অতীত বয়ান কেউ যদি শুনতে চায়’ সিরিজটার নাম বদলে ‘জীবনের টুকরো দেশবিদেশে’ করলাম। বানান চেক করতে পারিনি। দুঃখিত সে জন্য।)


দেশে আসলাম প্রায় তিন বছর পর। প্রবাসে দেশে যাচ্ছি বললেই এরকম কথা শোনা যায়
‘গরমে সিদ্ধ হবে।’
‘মশার যন্ত্রণা।’
‘আইন শৃখংলা পরিবেশ খুব খারাপ। আমার অমুক আত্মীয় দেশে যাওয়ার পর পরই ডাকাতী/ছিনতাই এর কবলে পড়ে।’
‘কোথায় যাওয়া যায় না।

বিস্তারিত»

অতঃপর ব্লগর ব্লগর – ৮

আকাশের বিশালতা কে বক্ষে ধারন করার এক ব্যাপক অভিপ্রায়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজ হাতে বানিয়েছি আমি চৌত্রিশটা ছোট বড় ঘুড়ি। এর মধ্যে সকালের মিষ্টি রোদের মত কিছু আছে। অন্য কিছু সুনীল সাগরের মত; গোটা কতক রক্তলাল, কয়েকটার আছে সবুজ পাড়। কেউ সোনালী, কেউ কেউ রুপালী – আর বাকি গুলো স্রেফ সাদা কালো।

একদিন হয়তো উড়ানোর অনুমতি মিলবে – এই প্রতীক্ষায় আমি বানিয়েছি এইসব ঘুড়ি।

বিস্তারিত»

পুনর্জন্ম

ছোট গলিটা পেরিয়ে মেইন রোডে উঠে আসে নান্নু মিস্ত্রী।বামের মোড়টাতে পৌরসভার বড় ডাস্টবিনটা,কত কাক যে উড়ছে তার ইয়ত্তা নেই।এই সাতসকালে কা কা শুনে নান্নু মিয়ার মেজাজটা যতোটা না বিগড়ে যায় তার চেয়ে বেশি বিগড়ে যায় এই ছন্নছাড়া কাকের দলকে দেখে।সামান্য কাক হয়েও ওদের খাবারের অভাব নেই,যার যেমন ইচ্ছা উড়ছে আর খাচ্ছে।ইশ্,কাক হয়ে জন্মালেও জনমটা সার্থক ছিল-আনমনেই ভাবে সে।

সকাল আটটা বেজে ত্রিশ মিনিট।সেই ভোর ছ’টা থেকে নান্নু মিয়া তার যন্ত্রপাতি নিয়ে রাস্তার ধারে বসে আছে।আরো অনেকেই আছে তার সাথে।যারা পরিশ্রম সস্তায় বিকিয়ে দিতে রাজি হয়েছে তারা ইতোমধ্যেই কাজ পেয়েছে।একটা স্কুল ভ্যান যাচ্ছে।ঢাকার নামকরা পুরনো সব স্কুলভবনগুলো নান্নু মিয়ার বাপ-দাদার হাতেই গড়া।অথচ তাকে আজ বেকার বসে থাকতে হয়।সব দোষ ঐ দানবাকৃতির যন্ত্রগুলোর-নান্নু মিয়া বসে বসে ভাবে।তার রাজমিস্ত্রির পেশাতে আজ এগুলো ভাগ বসাচ্ছে।ইট ভাঙার আর ঢালাই এর মেশিনগুলোর উপর তার আক্রোশটা তাই প্রতিনিয়ত বেড়েই চলে।

বিস্তারিত»