একটি COMMON SENSE

আমি এটা বলছিনা যে আমি খুবই ধার্মিক। আবার এটাও বলছিনা যে আমি বর্তমান যুগের খুব কমন ফ্যাশনটাকে আঁকড়ে ধরেছি (নাস্তিকতা)। কিন্তু কিছু ব্যাপার আছে যেসব আমাদের মুসলমান হিসেবে হোক বা মানবিক চক্ষুলজ্জা, বিবেকবোধ থেকে হোক মেনে চলা উচিত। আজ ঈদ্ গাহে গিয়ে যা হয়েছে যদি সেটাকে উদাহরন হিসেবে ধরি………

ইমাম সাহেব খুব সুন্দর খুতবা দিলেন, এই দিনের তাৎপর্যও বললেন ভালই। কিন্তু এত বড় আলেম হয়ার পরেও তোষামোদ করা শুরু করলেন কোন জেলা প্রশাসক না কি যেন শহরের মেয়রের।

বিস্তারিত»

হাসান মোহাম্মেদ ফারুক কে ঈদের শুভেচ্ছা !

হাসান মোহাম্মেদ ফারুক কে ঈদের শুভেচ্ছা ! আমি জানিনা তুমি কোথায় থাক, কি করো ! তোমার সাথে আমার জীবনে কখনো দেখা হয়নি, কিন্তু তোমার জন্যে আমার অঢেল ভালবাসা রইল । কি বলবো তোমায় , আসলে আমাদের সাধ্যের মধ্যে যত টুকু সম্ভব সকলেই যদি কিছু কিছু করে করতে পারতাম, তাহলে আর কোন সমস্যাই থাকত না।

আমার বাবা এই জানুয়ারিতে মারা যাবার পর, ওঁর আলমারি ঘেঁটে এদিক সেদিক বেশ কিছু দশ,

বিস্তারিত»

আমার আমেরিকা ফেরত বন্ধুর বউ

আমেরিকা থেকে এসেছি কয়েক দিন আগে। এখনো এক সপ্তাহ হয়নি। বন্ধুদের সাথে দেখা সাক্ষাত করে বেড়াচ্ছি। এরকম একদিন দুপুরের শেষে এক বন্ধুর বাসা থেকে নিজের বাসায় ফিরছি। আমাদের বাসার সামনে আসতেই দেখি নীচে আব্বা দাঁড়িয়ে আছে। আব্বা আমাকে দেখে হেসে বলল যে, তাড়াতাড়ি উপরে যা, তোর এক আমেরিকা ফেরৎ বন্ধুর বউ এসেছে। একটু অবাক হলাম। কে আসল আবার? আব্বা সহ উপরে আসলাম। ঘরে ঢুকে দেখি বেশ লম্বা সুশ্রী একটি মেয়ে সাবলীল ভাবে কথা বলে যাচ্ছে আম্মার সাথে।

বিস্তারিত»

অসমাপ্ত আর্তনাদ

অদ্ভুত নিস্তব্ধতা

কিছুই যেন বলার নেই কারো

নিরবাক তাকিয়ে থাকা কিছুক্ষণ

কিসের যেন ব্যাকুলতা

যা বাড়তে থাকে আরও

কারো নিষ্প্রাণ দীর্ঘশ্বাস

বিস্তারিত»

পাগল মন!

মন কি এবং মনের কাজই বা কি ?  কিভাবে চলে মনের কাজ কারবার ? কখনোই সংজ্ঞায়িত করা  হয়তো সম্ভব হবে না।

মনে কি থাকবে আর কি থাকবে না ? ব্যাপারটা ‘মনই’ নির্ধারণ করে ।আজব ! অনেক গুরুত্ব পূর্ণ , অতীব গুরুত্ব পূর্ণ ঘটনা হয়তো বেমালুম ভুলে আছি, আবার  অনেক বছর আগের নেহায়ত সাধারণ কিছু হয়তো মনে জ্বল জ্বল করে জ্বলছে। যেন এইতো গতকাল ঘটে যাওয়া ঘটনা ।

বিস্তারিত»

ঈদ মোবারক

নদীর পাড় থেকে আমাদের বাসার দূরত্ব খুব বেশী হলে ৭৫ মিটার । ছোট বেলায় অবশ্য ঐ দূরত্ব টাকেই প্রায় ৫০০ মিটার মনে হতো । ৩০ কিংবা ২৯ রোজার ইফতারটা কোন মতে শেষ হওয়ার জন্য শুধু অপেক্ষা করতাম । কোন মতে ১ গ্লাস সরবত খেয়েই ১ দৌড়ে নদীর পাড়ে । ঈদের চাঁদটা যে সবার আগে আমাকেই দেখতে হবে ! ধীরে ধীরে আমার সংগে যোগ হতো আমার বয়সের বাকী সৈন্য সামন্ত ।

বিস্তারিত»

যে কথা বলা হয়নি।

আমার বাবা একজন ভীষণ বোকা মানুষ। সারাজীবনই চাকরীসুত্রে বাইরে বাইরে কাটিয়েছেন। দূরত্ব বিবেচনা করলে,মার সাথে আমার দূরত্ব এক ইঞ্চি হলে, বাবার সাথে কয়েক আলোকবর্ষ। বাবা ছিলেন আমাদের দুই ভাইের প্রধানতমশত্রু। ছোটকাল থেকেই আমরা দুই ভাই চূড়ান্তভাবে স্বাধীন। মা টাইট দেওয়ার চেষ্টা করতেন অবশ্য। কিন্তু সে চেষ্টায় বিশেষ কোন লাভ হয়নি।

আমাদের টাইট দিতে পারতেন আমাদের বাবা। ছয়ফুট শরীরের বিশালদেহী একজন মানুষ। সাধারণ শিশুরা ছুটি ছাটায় বাবারা বাড়ি এলে,

বিস্তারিত»

মুঠোফোনের কবিতা – ১৯ ও ২০

১৯
কোমল রোদে রাঙ্গা প্রভাত-
ঘুম ভাঙ্গায়ে গেল।
ভোরের পাখি আপন সুরে-
গান শুনায়ে গেল।
ঘুমের শেষে তন্দ্রা হয়ে-
অবশ করে গেল।
গহন সুখে সাতসকালে-
হৃদয় নাচায়ে গেল।
২০
আলতো এসে এলোচুলে
বাতাস হয়ে ছুঁয়ে গেলে।
একটু হেসে সর্বনাশের
নীরব আগুন জ্বালিয়ে গেলে।
রাঙ্গা লাজের পেখম মেলে
তুমুল আমায় নাড়িয়ে গেলে।

বিস্তারিত»

বাইকে দেশভ্রমনঃ দুই হুজুগের বাসিন্দার একটি প্রডাক্তিভ পাগ্লামি—(৩)…এবারে জাফ্লং রোডে

জাফলং পথে – যেন ২ ওয়েস্টার্ন কাউবয় আর বিচিত্র ট্রেইল।।

রাজশাহী থেকে ঢাকা হয়ে সিলেট এসে পওছেছিলাম। ১৫০০ কিলোমিটার এর প্রায় ৭০০ কিলোমিটার এখানে আসতেই। এই লেখা যখন লিখছি আমার এক বন্ধু আমাকে বলছিল মাথায় আঘাত পেয়েছিলাম নাকি ছুটি যাওয়ার আগে! হ্যাঁ, হয়ত তাইই, বা তা না হয়ে অন্য যা কিছুই হয়ে থাক। আমি বলবো ভাগ্য ভাল আঘাত টা পেয়েছিলাম। না হলে এই দেশে থেকে নিজেকে ওয়েস্টার্ন কোন গল্পের অজ্ঞাত কাউবয় ভাবার সৌভাগ্য কিভাবে সম্ভব ছিল!

বিস্তারিত»

দেশে ফেরার গল্প – তিন

দেশে ফেরার গল্প – দুই

ট.
অনেকদিন পর দেশের সকালবেলার নিরেট আলো চোখে এসে লাগলে যে কি ভাল লাগে তা বলে বোঝাবার না। সকাল ব্যাপারটাই আসলে খুব স্নিগ্ধ। কেমন মোলায়েম পেলব আলো, নতুনদিনে জেগেওঠা মানুষজন, শহরের ব্যস্ত হয়ে ওঠার প্রস্তুতি – সব মিলে বেশ একটা আয়োজন। এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় যাচ্ছি। এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে প্রথম চোখে পড়লো এয়ারপোর্টের মুখেই বেরিয়ে হজ্জ্ব ক্যাম্প-এয়ারপোর্ট এবং এয়ারপোর্ট-উত্তরা সড়কের সংযোগে যেখানে লালনের ভাষ্কর্য হবার কথা ছিল সেখানে কেমন যেন বাইন মাছের মতো পেঁচানো পেঁচানো একটি স্থাপত্য।

বিস্তারিত»

বাংলাদেশ বদলাবেই

আজ থেকে ৩ বছর আগে মাত্র কেবল সেকেন্ড ইয়ারে পা দিয়েছি। আমাদের একটা কোর্স ছিল (নাম ভুলে গেছি) সেখানে ইন্টারন্যাশনাল বিযনেস পড়ানো হতো। বড় অর্থনীতি কিভাবে ছোট অর্থনীতিকে খেয়ে ফেলে তাই শিখছিলাম। বেনিয়া গোষ্ঠী (পড়ুন রাষ্ট্র) যারা আগে এলাকা দখল করে শোষন করত এখন তারা বিশ্বায়নের নামে অর্থনৈতিকভাবে শোষন করে। তারা ঋণ নিতে বাধ্য করে আবার তার কারনে তাদের নির্দেশিত পথে চলতেও হয়।

বিস্তারিত»

“না” মানুষ !

আজো চোখ বন্ধ করলে যেন দেখতে পাই গলির মোড়ে মিলিয়ে যাওয়া বেলুনের ঝাঁক, কান পাতলেই শুনতে পাই দুপুরের ভাত ঘুমের ঘোর কাটিয়ে দিয়ে যাওয়া “গরম চানাআচুররর…এ্যাই যে চলে যাচ্ছি কিন্তু…” বা “জ্বালায় দিলাম,পুড়ায় দিলাম,হজজমিইই…” অথবা টিনের চাল আর বৃষ্টির ঐকতানে বেজে চলা রিমঝিম সুর। গভীর করে শ্বাস নিলে এখনো বুক ভরে যায় হাস্নাহেনা বা কাঁঠালচাপার ঘ্রাণে। এখনো আফসোস লাগে, টিফিনের ঘন্টাটা আরেকটু পড়ে পড়লেই দেবদারুর বিঁচি বা মাটির ঢেলা দিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় হয়তো হারিয়ে দিতে পারতাম “খ” সেকশনকে;

বিস্তারিত»

বাইকে দেশভ্রমণঃ দুই হুজুগের বাসিন্দার একটি প্রডাক্তিভ পাগলামি—-(২)

অজানার শুরু…ঢাকা থেকে সিলেট

অজানা সবকিছুই অন্যরকম থ্রিল আনে আমাদের মনে। সে হোক বা লটারির ড্র, কিম্বা ক্রিকেট ম্যাচের রেজাল্ট অথবা পরীক্ষার ফলাফল। বাইকে আমার আর কাইয়ুম এর সারা দেশ ব্যাপী ১৫০০ কিলমিটার এর অভিযানেও এই থ্রিল এর মরীচিকাই নিয়ে গিয়েছিল অতদুরে। রাজশাহী থেকে ঢাকার পথ ছিল আমাদের চেনা। তাই সামনে সিলেট এর পথ ছিল আমাদের জন্য পুরপুরি ভিন্ন এবং অজেয় চ্যালেঞ্জ।

বিস্তারিত»

জরুরী B- রক্তের প্রয়োজন

আমার বড়খালার জরুরী ভিত্তিতে একটা সার্জারী করা প্রয়োজন। উনার রক্তের গ্রুপ B-, বলা বাহুল্য, খুব বিরল গ্রুপ। কেউ যদি আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারেন অথবা জানেন কাউকে যার রক্তের গ্রুপ B-, তবে প্লিজ নিচের নাম্বারগুলোর যেকোন একটায় ফোন দিন অথবা নিজের নাম্বার দিন।

১) ০২-৭২৯২১০২
২) ০৯১-৬২৯৭১

ইমেইল করতে পারেন এই ঠিকানায়, taufiqur.rahman এট mun.ca

কমেন্টেও যোগাযোগ করতে পারেন।

বিস্তারিত»

বাইকে দেশভ্রমণঃ দুই হুজুগের বাসিন্দার একটি প্রডাক্তিভ পাগলামি…।।

যাত্রার শুরু … রাজশাহী থেকে ঢাকা

 

একটা বড় দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম “দোস্ত , ১৪৮৭ কিলোমিটার, আমরা শেষ করতে পারি, যথেষ্ট হয়েছে”। কাইয়ুম বাইক এর মিটার এর দিকে তাকিয়ে বলল “ওকে, শেষ করা যাক। কিন্তু যশোর তো বাদ থেকে গেলো। তাও অবশ্য অনেক হয়েছে”। একটা বড় হাই ফাইভ দিলাম। ওর ক্লান্ত চোখে এক অদ্ভুত সাফল্লের উল্লাস।

বিস্তারিত»