আমরা সবাই নেতা হিসেবে সৎ ও যোগ্য একজন মানুষ চাই। কিন্তু সমস্যা হল সততা ও যোগ্যতার মিথ্যাচারের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতারা সাধারণতঃ সিদ্ধহস্ত হন। ফলে আমরা সচরাচর যুগ যুগ ধরে হই প্রতারিত। নির্বাচনে জয়লাভ করলে তাদের কথা ও কাজে কতটুকু মিল থাকবে সে চিন্তা বাদ দিয়ে আমরা অমিল কত কম হয় সে প্রার্থনাই করতে থাকি।আমজনতার এই বেদনার ভার সইতে না পেরে মহামনিষী “সিফ”স টানা তিনমাস তিনদিন তিনরাত খেটে রাজনৈতিক নেতৃত্বের যোগ্যতা পরিমাপের একটি আপাতঃ স্কেল উদ্ভাবন করেছেন।
রাজীবের ব্যক্তিগত কিছু ভাবনার বিপরীতে আমার ব্যক্তিগত মতামত
রাজীবের লেখার আমি ভক্ত। সময় পেলে আমি কখনোই রাজীবের লেখা মিস করিনা। রাজীবের এই লেখাটি আমি বেক্সকা গ্রুপ মেইলে পড়েছি। পরবর্তীতে দেখলাম এটা সিসিবি’তে ও দেয়া হয়েছে। লেখাটির একটা বিশেষ অংশ আমাকে কষ্ট দিয়েছে বলেই লেখা পড়া বাদ দিয়ে কি-বোর্ডে আঙ্গুল চালালাম। বেক্সকা গ্রুপ মেইলেও আমি একটি রিপ্লাই দিয়েছি। সেটিকেই একটু সাজিয়ে গুছিয়ে এখানেও লিখছি।
সেনাবাহিনী কে নিয়ে দুই চারটা চরম নেগেটিভ কমেন্ট করে লাইম লাইটে চলে আসা এখন পুরনো স্টাইলে পরিণত হয়েছে (দয়া করে কেউ ভুল বুঝবেননা,
বিস্তারিত»ব্যাক্তিগত ভাবনা
কয়েকদিন আগে একটা প্রশ্ন মনে আসলো।
আমি কি ঈশ্বর বিশ্বাসী?
আল্লাহ্, খোদা, ভগবান, গড, যিহোভা, প্রকৃতি যে নামেই ডাকিনা কেন, আমি এক ঈশ্বর দিয়ে সবই বুঝাচ্ছি।
উত্তর পেলাম, হাঁ।
কোরআন, হাদিস, তাফসীর বা অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ যে বিশ্বাস আমাকে এনে দিতে পারেনি; এমনকি ডারউইন সাহেব ও যেখানে আমাকে বান্দরবাদী করতে পারেনাই; খুব ছোট একটা প্রশ্ন এবং তার উত্তর আমাকে আলোয় নিয়ে এসেছে।
একজন আপু ২
সন্ধানীর সেই আপুকে দেখাই হল আমার আপু ব্যবসার কাল। সেই চোখ । তার দুচোখে অপার বিস্ময়। যা দেখে যা শুনে তাতেই সে অবাক হয়। দুঃসংবাদ জানালো এক বন্ধু।আপুটা নাকি আমাদের মেডিকেল এর না।ভারাক্রান্ত মন নিয়া রুম এ চলে গেলাম। পরদিন সন্ধানীতে গিয়ে দেখি আবারও সেই আপু।ব্যাপার কি? এক ভাইয়াকে জিজ্ঞাসা করলাম,ভাইয়া বলল আরে ওত আমাদের মেডিকেল এই পরে। তোমাদের ২বছর সিনিয়র।আমাকে আর পায়কে? মনের আনন্দে আপুর পিছনে লেগে রইলাম।
বিস্তারিত»ভালই লাগে
আজো ভাসি বেনোজলে,
উথাল পাথাল স্মৃতির কূলে।
জীবন ছোটাই ঊর্ধ্বশ্বাসে,
কে জানে সে কীসের আশে?
স্বপন বোনার আপন খেয়াল –
যাচ্ছে কেবল চরকা কেটে।
দিনের আলো নিভে এলে,
একা আমি আপন মাঝে-
মিছেই ছুটি ছায়ার পিছে।
তবু যখন রাত্রি নামে;
বাঁচতে বুঝি ভালই লাগে-
জীবন জুড়ে এই জীবনের-
নানা রঙের অর্থ খুঁজে।।
প্রিয় জন্মভূমি যশোর
একটা সময় যখন যশোর শহরে প্রায় অনেকেই আমাকে অন্তত নামে চিনতো। আমাকে না চিনলেও আমার বাবার নামে চিনে ফেলতো।
– খোকা, কোন বাড়ীর ছেলে তুমি?
বাড়ীর নাম বলতেই বলে উঠতো – ওহ, তুমি শহীদুল্লাহ সাহেবের ছেলে। উনি আমার হেড মাস্টার ছিলেন। স্যার কেমন আছেন।
কিন্তু এটাতো ৫০ বছরের আগের কথা। এখন আর কেউ চিনবে না আমাকে।
বিস্তারিত»ভাষা নিয়ে যত কথা…
ঘটনা-১
নেদারল্যান্ডসে পা রাখার অল্পকিছু দিনের মধ্যেই আমার নামের আগে “আগুন” লেগে গেল। ইউনিভার্সিটিতে সবাই মোটামুটি এক নামে চেনে। বাংলাদেশের ‘ফায়ার রেজা’।
নামের আগে এই অহেতুক আগুনটুকু কিন্তু আমি মোটেও চাইনি। কিন্তু আগুন ভয়াবহ জিনিষ, আমার ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোনো ব্যাপারে ধার ধারে না। একবার লেগে গেলে থামানো কঠিন। আগুন লাগার গল্পটা বলি।
ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছি। ক্লাস ছিল না শুধু দেখবার জন্য গিয়েছি।
বিস্তারিত»একজন আপু ১
হঠাৎ করে সন্ধানীতে গিয়ে চমকে গেছিলাম। ডেস্কের সামনে হাতলওয়ালা চেয়ারটিতে সুন্দরী এক আপু বসে আছে যাকে আমি চিনিনা ।কি আশ্চর্য্য ঘটনা ।আপনারা মনে করতে পারেন এতে আশ্চর্য্য হবার কি আছে ? একজন সুন্দরী আপুকে আমি নাই চিনতে পারি।কিন্তু আমাদের ৮জনের গ্রুপ টির কাহিনী শুনলে আপনি বুঝবেন এটি আশ্চর্য্য হবার মত ঘটনা বটে। আমরা মেডিকেল এ ৮জন বন্ধু ছিলাম। ১ম এই বলে রাখি ছাত্র হিসেবে আমরা ছিলাম যারপরনাই ব্রিলিয়ান্ট।আমাদের ১৫৫ জনের ক্লাস টিতে আমাদের মত ব্রিলিয়ান্ট কেউ ছিলনা ।১ম পরীক্ষা ছিল anatomyএর superior extrimity ।
বিস্তারিত»আমি ক্ষমা চাচ্ছি ।
আমরা এমন কেন? কেন সবসময় চারপাশে এগুলা দেখি আর চুপ করে থাকি? এখানে কে নিরাপদ? আমার মা? আমার বোন?আমার মেয়ে? আমার প্রেমিকা? আমার স্ত্রী? কে? বারবার আমাদের শুনতে হয় , দেখতে হয় এ সব নির্যাতনের ঘটনা? রাস্তার বখাটে থেকে শুরু করে শিক্ষক কারও কাছ থেকেই কি মেয়েরা রেহাই পাবে না?আমাদের আদিম প্রবৃত্তি গুলোকে কখনই কি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবনা? পরিমলের মত লোকেরা সবসময় বেঁচে যাবে।প্রতিদিন যখন আমাদের বাসার মেয়েরা বাইরে যায়,
বিস্তারিত»দেশে ফেরার গল্প – শূণ্য
অ.
দাঁতের সাথে আমার শত্রুতা চিরদিনের। আমার জীবনের অনেক সমস্যার মধ্যে দাঁত হলো ছোটবেলা থেকেই অন্যতম একটি মিলিয়ন ডলার সমস্যা। জানুয়ারি মাস থেকে দাঁত বাবাজি বিগড়ানো শুরু করলো। একদিন ঢাকাতে বাসার লোকজনকে টেলিফোনে বলেও বসলাম যে যেদিন দেখবো অবস্থা বেশি খারাপ সেদিন উড়োজাহাজের একটি টিকেট কেটে সোজা দেশের পথে ভোঁ হবো। গত এপ্রিলে ইত্যকার নানা জাগতিক এবং মারফতি কারণ এবং অকারণ মিলিয়ে আমি ভয়াবহ হোমসিক হয়ে পড়লাম।
হাশেম মামা
প্রায় ২ বছর পর নানা বাড়ি তে গেলাম। তাও আবার মাত্র ৪ ঘন্টার জন্য। গ্রাম আসলে আগের মত নেই। বাড়ি ঘর সব পাকা। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বোধহয় দেখা যায়, এমনই মনে হল। ঘুরলাম ফিরলাম আর দেখলাম।
চলে আসার আগে আগে হঠাত হাশেম মামাকে দেখলাম। হাশেম মামা একজন কৃষক, সব সময় আমার নানা বাড়িতে আসতেন। আমরা যখনই নানা বাড়ি যেতাম উনি এক বার হলেও আমাদের সাথে দেখা করতে আসতেন।
বিদেশফেরৎ একজন অশিক্ষিত…
নিজেকে হারাতে কেমন লাগে মানুষের? তাও বারবার সে যদি ভুলে যায় আসলে সে কি ছিল, কিংবা সে কি চেয়েছিল যখন সে ছোট্ট রাজকন্যা ছিল, তার ছোট্ট বাসাটাই তার রাজত্ব ছিল। তারপর একদিন এক রাজপুত্তুর এসে নিয়ে যাওয়ার মতন করে গোটা জগৎটা তাকে হুড়ুম করে নিয়ে গেল তার রাজত্বের বাইরে…সে দেখলো ছোট্ট মুখ হাঁ করে, কি আজব, কত নতুন নতুন সমস্যা, কত নতুন নতুন তার সমাধান,
বিস্তারিত»আগন্তুক
যদি কখনো খুব ব্যস্ত তুমি
ধরা যাক-পড়ছো, একঘেয়ে সুরে
হাতের কাছে হঠাৎ কলমটা খুঁজে পাচ্ছো না-
দেখো, টেবিলের ওপাশটায় আমি
হাতে কি? আরে না না,তোমার কলম নয়, ওটা সিগারেট
ধোয়ায় তোমার ঘর ভাসিয়ে দিচ্ছি
তোমাকে আরো রাগাবার জন্যে
ঘর ফাটিয়ে হো হো করে হাসছি ।
যদি কখনো রাতদুপুরে বৃষ্টি একাকার-
ঘুম নেই চোখে,
এপাশ আর ওপাশ,
শিক্ষক VS ক্যাডেট এর ৬বছরের ম্যাচের কিছু ধারাবিবরনি। এপিসোড-৪
১) এম আই স্যার। ফিজিক্স dpt. শুধু নাম্বার দিয়ে যোগ করে দিতেন। আমাদের রাকেশ ভাই একবার বেশি আন্সার করে ৪০ এ পেয়েছিলেন ৪৩।স্যার সেটা মার্কশিটে তুলেও দিয়েছিলেন।স্যার হয়ত ভেবেছিলেন ভাল পরীক্ষা দিয়েছে তাই বেশী নাম্বার পেয়েছে।
২) গোলাম সারোয়ার স্যার। ম্যাথ dpt. স্যার খুবই ভাল লোক। খাতা দেখার সময় কোনো অঙ্ক সম্মানজনক গ্যাপ রেখে একাধিক বার করলেও স্যার ধরতে পারতেন না এবং নাম্বার দিয়ে দিতেন।
বিস্তারিত»পশু এবং আমরা
আমার এক্ টা সুনাম আছে । আমার কলেজের বন্ধুরা ভাল করেই জানে, কতটা আমড়া কাঠের ঢেকি আমি। পরীক্ষার আগে আগে সবার রুমে রুমে গিয়ে সবাইকে বিরক্ত করে আসতাম। ফলাফল যা হবার তাই হত…প্রতিটা পরীক্ষায় খারাপ করতাম। যা এখনো চলছে …আগামী ১০ জুলাই আমার রিসার্চ প্রপজাল সাবমিট করার লাস্ট ডেট। আজো সিরিয়াসলি শুরু করতে পারলাম না…।কপালে কি আছে জানি না…সময়ের কাজ কখনই সময়ে শেষ করতে পারিনা…এমন কি নিজের শখের কাজ গুলোও না…এই যেমন লেখালেখি করতে লিখতে আমার ভীষন ইচ্ছা করে…কিন্তু আলসেমির জন্য কখনই তা করে হয়ে উঠে নাই…কতবার যে ক্যাডেট কলেজ ব্লগে লিখতে গিয়ে ঘুরে এসেছি আর কত যে খাতার পাতা ছিড়ে কত পাতা লিখেছি তা ইয়ত্তা নেই…কখনই সেগুলো আমি ছাড়া আর কেউ কখনই চর্ম চক্ষে দেখে নাই…আজ একেবারে আদা জল খেয়ে লেগে পড়েছি… যে ভাবেই হোক এক্ টা পোস্ট দেবই…জেদ নয়,
বিস্তারিত»