পুরনো সে দিনের কথা ………. (সিসিবিচারণ)

লেখতে মনে চাইলো আনেকদিন পরে সিসিবিতে। স্মৃতিচারণ মূলক ব্লগ। সিসিবির প্রথমদিকের ব্লগ গুলো স্মৃতিচারণ মূলকই হতো। তবে আমি স্মৃতিচারণ করতে আসছি ক্যাডেট কলেজের না সিসিবির। মানে সিবিবিতে থাকা সাড়ে তিন বছর সময়ের স্মৃ্তিচারণ। সিসিবি আমার কাছে বিশেষ কিছু। সে ফিরিয়ে এনেছিল ক্যাডেট কলেজে কাটানো জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দিনগুলোকে। সিসিবির পরিবার বেশ গেঁথে গিয়েছিলো। গিয়েছিলো বলছি কেন, কারণ হয়তো সিসিবিতে আসলে আগের মতো আর খুঁজে পাই না সেই দিন গুলোকে। সিসিবি আমাকে দিয়েছে ভালো লাগা চমৎকার কিছু মানুষের সাহচর্য। সিসিবি নিয়ে লিখতে গিয়ে তাই ভাবছি কোথা থেকে শুরু করবো।

সময়টা ২০০৮ এ। সামহোয়ারে নতুন ব্লগিং করি। তখন আমার বন্ধু শামস জানালো সিসিবির কথা। এবং তপু এখানে লিখে এমন কথাও জানালো। সেই একই সময়ে জিহাদের সাথে সামুতে কথা হলো। সে ছদ্মনামের আড়ালে আমাকে চিনে নিয়েছিলো। এখানে আসার আমন্ত্রণ জানায়। তপু আমার খুব ভালো লাগা একজন মানুষ। সেই টানেই কিছুটা আর কইছুটা জিহাদের অনুরোধের দিকে তাকিয়ে রেজিস্টার করতে যাই। সেখানে কী যেন গোলমাল লাগে। তপুর সাথে মেইলে যোগাযোগ করি। সেই যাত্রায় সমস্যার সমাধান হয়। সিসিবিতে আমার পথচলা শুরু হয়। সিসিবিতে প্রথম ঢুকে আমি যে পোস্ট টা দেখি সেটা হলো আমার বন্ধু আশিকের। হান্নান স্যারকে নিয়ে লেখা পোস্ট। আশিকের কাছে সিসিবির ঠিকানা মনে হয় অচেনা। অনেকদিনই দেখি না ওকে। আশিকের পোস্টেই প্রথম কমেন্টানো হয়। সেই সময় আমার বন্ধু আলমকে নিয়ে একটা সিরিজ লিখছিলাম সামুতে। সেটাই পোস্ট করে দিই। সেটা ছিলো ক্যাডেট কলেজ ব্লগে আমার প্রথম পোস্ট। আমার পোস্টে কমেন্টানো লোক হলো জামাই মাসরুফ। অনেক দিন দেখি না ছেলেটাকে। ঠোলাগিরির ঠেলায় মনে হয় টাইম পায় না সিসিবিতে উঁকি দিতে। মিস করি ওকে। সেই সময়েই অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী দুই বড় ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়। নাহ একজনের সাথে পরিচয় আরেকজনের সাথে পুন:পরিচয়। একজন হোসেন ভাই আমার হাউসের। তআর সাথে আবার যোগাযোগ হয়ে গেল সিসিবির সূত্র ধরেই। আরেকজন সাব্বির ভাই। সাব্বির ভাই আর মেহেদী হাসান সুমন ভাই এই দুজনরে কেন জানি আমি মাঝাএ মাঝে কনফু করে ফেলি।

আস্তে আস্তে পরিচিত হই সিসিবি শুরু করা পিচ্চিগুলোর সাথে। ৯৯-০৫ এর ছেলেমেয়ে গুলো আসলেই অসাধারণ ছিলো। সেই সময়ে একটা বারোয়ারি সিরিজ চলতেসিলো। সেটার হাত ধরেই সামিয়া মুহম্মদদের সাথে পরিচয় হয়ে যায়। আরেকজন জন শুরুর লোক আবীর তখন আসতো না। ওর সাথে পরিচয় সংখ্যাতাত্ত্বিক ক্যাচালের সময়। মজা হইলো আবীর আমারে একচুয়াল লাইফে আগে চিনতো। ক্যাচালে ঝাড়ি মারার পরে সেইটা বলছিলো। আবীর আর মুহম্মদ এই দুজনের জ্ঞানের প্রতি বরাবরই আমার মুগ্ধতা। আরেক ছোট বন্ধু সামিয়া। কথা এবং ছোট কিছু কাজ দিয়ে চমৎকার এই মানুষটিকেও জানতে পারি পরে। আরেকজন মজার ছেলে কুচ্ছিত হাঁসের ছানা খ্যাত তুহিন। মনে পড়ে সিসিবি পরিবারের এই হাসিখুশি ছেলেটার ছুরিকাহতের ঘটনায় কী নিবিড়ভাবেই না প্রার্থনা করেছিলাম। ৯৯-০৫ এর মধ্যে চমৎকার লিখিয়ে আরো দুজন আছে। একজন মহিব। তার চমৎকার লেখনীর প্রতি আমার মুগ্ধতা জানানো হয়নি কখনোই। কারণ আমি সবসময় ব্যাপক ব্যস্ত (!!!) আর সময় করে ওভাবে ইন্টার একশন করা হয় নি। সম্ভবত সিসিবিতে আমার সবচেয়ে ভালো লাগা ব্লগারদের একজন হলো রাশেদ। সামনাসামনি চমৎকার শান্ত সৌম্য ছেলেটার লেখনী সমালোচনার দক্ষতায় দুইটি কথা মনে আসে — একটা মুগ্ধতা একটা ঈর্ষা।

সিসিবির একটা বড় উপকার অবশ্য আমি করেছি এক তারকা ব্লগারকে সিসিবিতে ঢুকিয়ে। কোন একদিন সুদূর কানাডা (বর্তমানে আমি যেখানে আছি) থেকে ফোন করে সে। আমি তখন সিসিবির সামনে। সেইজন্যই হয়তো সিসিবির কথাই বলে ফেলি কুশল বিনিময়ের আগে। দ্যা রেস্ট ইজ হিস্টোরি। যদিও কাজের চাপে তারকা ব্লগারও এখন চিপায়। আমি না শুধু সিসিবিও তারে মিস করে।যা হোক তারকার কথা বলা হলো। এবার বলি বরং সিসিবির বটবৃক্ষ লাবলু ভাইয়ের কথা। এই লোকটার আন্তরিকতা এবং আমাদের মত আমাদের মাঝে নেমে আসার যে বিরল ক্ষমতা আছে সেটা নিয়ে নতুন করে বলবার কিছু নাই। শুধু বলি ভাইয়া অনেক ভালো বাসি অনেক সম্মান করি আপনাকে। সিনিয়র মহলের আলোচনা যখন আসলো আমাদের সাইফ শহীদ ভাইয়ের কথা বলতে হয়। যার মতো এমন মানউষের সান্নিধ্য পাবার সৌভাগ্য হলো শুধু সিসিবির জন্য। আরেকজন হলো আলীমুজ্জামান ভাই। যার হাইকুর ব্যাপারে মুগ্ধতা যেমন আছে তেমনি তার জন্য একদম ভেতর থেকেই আছে শ্রদ্ধা।

সিসিবির সেলিব্রেটি ব্লগারদের একজন আমাদের সবার প্রিয় মোস্তফা মামুন ভাই। তিনি তার একটি উপন্যাসের অনেকখানিই আমাদের সাথে শেয়ার করেছিলেন। সেই ম্যাজিক বয় অটোগ্রাফ সহ পুরস্কারও পাইছিলো তার কাছ থেকে কেউ কেউ।( আফসোস)। ,এরপরে আসবে আমাদের আরেক ভালোবাসার মানুষ শওকত হোসেন মাসুম ভাইয়ের নাম। তার ইনজামাম কমেন্টের কথা মনে হলে নিজের অজান্তেই এখনো হেসে উঠি মাঝে মাঝে। সম্প্রতি সময়ে সৌভাগ্যবান হয়েছি আরেক গুণী লেখক শাকুর মজিদ ভাইয়ের সিসিবিতে আগমনে। মনে পড়ে একাত্তর আর্কাইভ গঠন করা রশীদ ভাইকে। আরো মনে পড়ে ইকরাম কবীর ভাইকে। এতজন গুনী মানুষকে কাছ থেকে জানবার সুযোগ করে দিলো সিসিবি।

সিসিবির প্রথমদিকে ছিলেন এবং এখনও আছেন এমন একজন হলেন আমাদের কমান্ডো আহসান ভাই। কমান্ডো নামে যেমন জাদরেল চেহারা মনে আসে চোখে ভাইয়াকে চোখে দেখে সেটা পুরাই ১৮০ ডিগ্রী ইউ টার্ন নিয়েছিলো। আরেকজনের কথা মনে পড়লো তার বিস্ময়কর স্মৃতিশক্তির জন্য। তিনি হলের সরোয়ার মুজিব এডিসন ভাই। তিনি সেই ১৯৭৯ সালের ঘটনার বর্ণনা এমন নিখুঁতভাবে দিতেন তা শুনে একটা অনুভূতিই অনুভূত হতো। সেটা হলো তাজ্জাব হওয়া। সিসিবিতে থাকা আরেকজন ভালোলাগা মানুষ নূপুরদা। যাকে আমি একদম মন থেকে শ্রদ্ধা করি। এমন চমৎকার সুভাষী মানউষ আমি আসলেই দেখিনি। অনেক ব্যাপারে আমরা যখন মেজাজ হারাই, ভাইয়া দেখি বলে যান মধুর স্বরে। স্যালুট এই চমৎকার মানুষটিকে।

আমি মাঝখানে কিছুদিন সিসিবির বাইরে ছিলাম। সেই সময়ের মাঝেই সিসিবি জমে উঠেছিলো। সেই সময়েই মরতুজা ভাইয়ের আগমন। ভাইয়ার সাথে সরাসরি সেইভাবে কথা হয় নাই। তবুও আজ জানাই আমি তার লেখার বিরাট একজন ফ্যান। সেইসময়েই সিসিবি জমানোতে ছিলেন আরেকজন সবার প্রিয় মানউষ। টুশকী খ্যাত সায়েদ ভাই।ভাইয়া নাই অনেক দিন হলো। সেই সময়ে আরেকজন লোক খেরোখাতা আর ধূলো সিরিজ লিখে সিসিবি কাপিয়ে দিয়েছিলেন। আফসোস সেই রক করা খেরোখাতা এখন সলিড রক হয়ে বন্ধই হয়ে গেছে। আমাদের প্রিয় ফয়েজ ভাই মনে হয় বিজি। উনার মেল্লা পোস্টের বিনোদন ভুলতে পারবো না অনেকদিন।

মেল্লা পোস্টের কথা আসায় অবশ্যই সেখানকার কমেন্ট পিলিয়ারদের নাম করতে হয়। সেদিন সুপার ফর্মে থাকা কাইয়ুম ভাই আর সেদিন ফ্লপ মারা কমেন্ট শিল্পী খ্যাতা জুনা ভাই, সাথে তানভীর ভাই যোগ হয়ে সেইরকম অবস্থার সৃষ্টি করেছিলেন। কাইয়ুম ভাই হলের সিসিবির চল্লিশ বছরের যুবক। হঠাৎ হঠাৎ উদয় হয়ে হারিয়ে যান। কমেন্ট শিল্পী জুনা ভাইরেও রেগুলার দেখি না। আরেক পিচ্চির নামও নিতে হবে কমেন্টের কথা উঠলে। সে হলো বন্য। এই পুলাটার কমেন্ট ভালো পাইতাম। সেও মনে হয় বিজি। কমেন্ট শিল্পীরা নাই অনেকদিন হলো। একসময় সিসিবি আন্দা ভাইরাসে কবিতাক্রান্ত হয়েছিলো। আর সেই সময়ের উচ্চনাম্বারের সিড়ি হাতে এগিয়ে এসেছিলেন আমাদের তাইফুর ভামা (ভাই + মামা)। মন খারাপ হইলে তাইফুর ভাইয়ের কিছু পোস্ট পড়লে নিজের মনেই খুশি হয়ে যায় মন। তআইফুর ভাই যে চমৎকার কিছু সিরিয়াস লেখাও লেখছিলেন সেতাও জানা হয়ে যায় তখন। কলেজে যেই লোকটার ভয়ে তটস্থ থাকতাম তআর সাথে নতুনভাবে পরিচয় হলো সিসিবি সূত্রে। সাল্লু ভাইয়ের সাথে আরেকবার পরিচয় সিসিবিতেই।

সিসিবি আজকের এই প্ল্যাট ফর্মে আসার পিছনে যার অক্লান্ত পরিশ্রম তিনি হলেন আমাদের কামরুল ভাই। যিনি একবার কতগুলো পুকুরে শাপনার কমেন্ট দিয়ে রেগে গিয়েছিলেন। কামরুল ভাইরে মিসাই। সেই সাথে মিসাই পিরা ভাষার জনক রিবিন ভাইরেও। আর রুমকীর বাবা তানভীর ভাই ও মনে হয় নাই অনেক দিন হলো। আমার আরেক প্রিয় গল্পকার টিটো ভাই। যার সাথে সিরিয়াল কমেন্টিং আমার বেশ জমে। টিটো ভাইয়ের ধূলা চাইতে গিয়া রিবিন ভাইয়ের ধূলা চাইয়া সব প্যাচ লাগাইছিলাম ভাবতে হাসি পেয়ে গেলো। ৯৪-০০ ব্যাচটারেই ভালো পাই আসলে। ভালো পাই খোঁজ দ্যা সার্চ লিখা মান্না ভাই, মালয়েশিয়া থেকে প্যারাসুটে পিকনিকে ল্যান্ড করা মিশেল ভাইরেও। বিডি আর ঘটনার সময় সবাইকে ণাড়া দেওয়া সাইফ ভাইরেও মিস করি মাঝে মাঝে।

আবার একটু সিনিয়রদের কথায় ফিরে যাই। শান্তাপুর লেখা প্রথম পড়েছিলাম সিসিবিতে তার নামটা দেখে। নাম দেখে কেমন যেন রুহ আফজার কথা মনে হয় (আপু মাইরেন না)।, আপুর লেখা আমার ভালো লাগে বেশ। গল্প প্রবন্ধ সবকিছুতেই প্রজ্ঞার ছাপ পাওয়া যায়। আরেকজন ব্লগার আমার ম্যাডাম সেলিনা আপা। যিনি কিনা আমার সব লেখা পড়ছেন বলে আমারে লজ্জায়ই ফেলে দিয়েছিলেন। এহসান ভাই ঝাড়ি পোস্টের জন্য সিসিবিতে বেশ সাড়া ফেললেও আদ্তে আমি তারে ভালো পাই ক্রীড়ামোদীতার জন্যই। আমি নিজে খেলাধূলা খুব পছন্দ করি বলেই হয়তো উনার সাথে আড্ডায়ে খুব মজা পাই। ব্লগের সিরিয়াস ব্লগারদের শিরোমনি প্রিয় মাহমুদ ভাই। তার সিরিয়াস লেখাও এত সহজপাঠ্য এবং চমৎকার যে আমাদের মত মূর্খরাও সেখান থেকে শিখতে পারে দ্রুতই। মনে পড়ে মোসাদ্দেক ভাইয়ের কথা আর তার বিখ্যাত মিষ্টি পোস্টটার কথা। আর সেই মিস্টি পোস্টে মিষ্টি খাওয়া খাইয়ি করাদের একজন দিহান ভাবীকেও মিস করি। শুনলাম উনি নাকি কানাডায় আমার প্রতিবেশি। অথচ কাছে থেকেও হারিয়ে যাওয়া মানুষ। সারকাস্টিক লেখক রাজীব ভাইরে ভালো পাই তার লেখার টোনের জন্য। ফোনে তার সাথে কথা বলেও চমৎকার লেগেছে । শিক্ষকতা বিষয়ক পোস্ট নিয়ে শিক্ষক আহমদ ভাইকেও দেখি না। খালে ভদ্রে অবশ্য জিতু আপাকে দেখা যায়। দেখি না আমাদের কবিরাজ ইমরান ভাই কিংবা আসমানী খ্যাত রহমান ভাইকেও। রহমান ভাইয়ের অন্যরকম ক্যাডেট কলেজের ফিনিশিং আমাকে কাঁদিয়েছিলো।

ব্লগের চমৎকার লেখকদের একজন ওবায়দুল্লাহ ভাই। তার দৃশ্য কল্পের জন্য আমি তারে খুব ভালো পাই। টার লেখা গুলো থেকে আমি নিজেও অনেক কিছু নেই মাঝে মাঝেই। আরেকজন রোমান্টিক লেখক আমাদের স্বপ্নচারী মঈনুল ভাই। তিনি মাঝে সাঝে আসেন। একবছর পরে ভাতিজির ছবি দেখান। মিস করি অনেক আমার লেখালেখির সুপ্ত প্রেরণা সাকেব ভাইকে। আর আরেকজন যিনি আমার মতো অধমকে উৎসাহিত করেন কমেন্টে সেই রিশাদ ভাইকে। ক্যাডেট কলেজ সিস্টেম বিষয়ক চমৎকার কিছু আলোচনা তুলে আনা সাইফুল ভাইকেও দেখি না অনেকদিন হলো। সময়ে সময়ে সব্বাইকে অনেক মিস করি।

কচুপাতা নামে লেখালেখি শুরু করা রাব্বী ভাইকেও কখনো বলা হয়নি আমি তার লেখার কতখানি ভক্ত। উনার নিজের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানে আমার সীমাহীন মুগ্ধতা । সেই সাথে উনার নান্দনিক প্রকাশ ভঙ্গি। আরেকজন সিরিয়াস ব্লগারকেও ভালো লাগে। উনি মোস্তফা ভাই। সিরিয়াস আলোচনা যাদের সাথে করতে গিয়ে পোস্ট ফেদেছিলাম সেই রাহাত মাহবুব আজহার দেরও মনে পড়ে। ক্যাডেট কলেজ বিষয়ক তর্ক নিয়ে আলোচনা ফাঁদা তারিকরেও দেখি না। সিসিবির চাওয়ালা রকিব্যা এখনও রয়ে গেছে। এই ছেলেটাকে দেখলে সিসিবির পুরনো ফ্লেভার পাই। ভালো লাগে বর্তমানে লেখা চমৎকার লেখক রেজা শাওনের লেখাও।মিস করি আরেক চমৎকার লেখক আমার পড়শী শার্লীকে। অলস মেধাবী হোসেনের উকিঝুকি দেখি মাঝেমাঝে। সিসবিতে জুনিয়রদের লেখার মাঝে যে লেখাটা পড়ে আমি সত্যি সত্যি মুভড হয়েছিলাম সেটা জিনাতের লেখা। মেয়েটা আর লেখে না। আরেকটা মেয়ের কথাও মনে হলো তার উড্ভট নামটার জন্য। সেটা হলো অরপিয়া। তাদের ব্যাচের আড়েক বিশিষ্ট কমেন্টক নাজমুলের কমেন্টে মজা পাইতাম এখনও পাই। অহ আমাদের গজনী কাটের মালিক আদনানরেও মিস করি অনেক। আরও মিস করি সিসিবির পিন্টুকে।

সিসবির পিকনিকের খেলাটার কথা বেশ মনে পড়লো। সেখানে ক্রিকেট ক্যাপ্টেন সামীউরকেও মিসাই। আর ফুটবলে তারকা হাসানের মিস মহড়াও মনে পরে বেশ।মিস করি আরেক হাসান জেসিসি মেহেদী কে। আর জেসিসির আরেকজন গুলাশানকেওমাঝে সাঝে এখি তপুর ছোট ভাই কনককে। বাকী রইলো আপাতত আহসান আকাশ। যার সাথে আমার ব্লগে পরিচয় হইছিলো আইসিএল পার্টি নিয়া তর্কাতর্কি দিয়া। পরে আবিষ্কার করলাম তার সথে মোটামুটি সবকিছুতে আমার দ্বিমত হয়। তবুও ভিন্ন মত একই পথ –এটাই বেস্ট ডিসক্রাইব করে তার সাথে আমার রিলেশন।

অনেক অনেক স্মৃতিচারণ করলাম। মিসাইনা লোকের সংখ্যা নেহাত কম না। আরো অনেকের নাম হয়তো বাদ পড়ে গেছে। ভালো লাগা মানুষদের এতো স্মৃতিচারণ করার কারণ হলো সিসিবি নিয়ে কেমন যেন একধরণের অভিমান কাজ করে। আমি বিজি নাই। পরে এসে ডিটেইল বলবো এমন লিখারও দরকার নাই। তবুও কেন যেন সেই পুরনো আমেজ আসে না। আপাতত সবার প্রত্যাবর্তনের আশা জানিয়ে আমি নিজেই রিটায়ার্ড হার্ট হইলাম। আমিন (১৯৯৬-২০০২), রিটায়ার্ড হার্ট ৬৯। হার্টনেস কেটে গেলে স্কোর হয়তো বাড়বে আবার সিসিবির হাত ধরে।

ভালো থাকো প্রিয় সিসিবি।

৮,৯৮৮ বার দেখা হয়েছে

৭৬ টি মন্তব্য : “পুরনো সে দিনের কথা ………. (সিসিবিচারণ)”

  1. গুলশান (১৯৯৯-২০০৫)

    সিসিবিতে আর ঢোকা হয় না নিয়মিত। নতুন পোস্ট আসলে আর.এস.এস. ফিডে খবর পাই। সেখানেই পড়ি। অনেকদিন পর এই পোস্টে কমেন্ট করার জন্য লগইন করলাম। সিসিবি নিয়েও কাউকে এভাবে স্মৃতিচারণ করতে হবে ভাবিনি। সবাই বিজি। আমিও হয়ত। সবাই ভাল থাকুক।

    জবাব দিন
  2. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    সিসিবির ইন্নালিল্লাহ হয়ে যাচ্ছে নাকি।
    এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। প্রতিবছর ৬০০ ছেলে সদস্য হবার সম্ভাবনা যেই ব্লগের সেটায় উচ্ছলতা কমে যাবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। কষ্ট লাগে।

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      সিসিবির ইন্নালিল্লাহ হলে সেটা দুঃখের ব্যাপার হবে। আমার কষ্ট আসলে সিসিবি আবার উল্টা পথে হাঁটতে শুরু করছে। আমি যখন প্রথম আসি তখন দেখতাম যেমন দিনে একটা দুইটা পোস্ট আসে, কমেন্ট পড়ে থাকে ডান পাশে দুই তিন দিন সেইসব দিন আবার ফেরত আসতেসে। অথচ মাঝেখানে কী দারুন সরগরম ই না ছিলো!! আমি মনে করতে পারি বাসে ঝুলতে ঝুলতে মোবাইলে সিসিবি খুলে রাখতাম!!! পড়ে শেষ করতে পারতাম না। অথচ এখন সারাদিন ল্যাপি অন থাকে। তবুও পড়বার তেমন কিছু পাই না।
      সবাই একসাথে হাওয়া, বর্তমান পরিবেশ সব কিছুই কেমন জানি গুমোট লাগে। সিক রিপোর্টে সিসিবির সিক হওয়া নিয়ে রিপোর্ট করছিলাম। যদিও এখনকার একজন মনে করছে আমার ধারণা অমূলক। তার উল্টোটাই হচ্ছে। এখন যদি এইটা সিসিবির ক্রমশ উন্নতির নমুনা হয় তাইলে অন্তত আমি নাই 🙁

      সিসিবির প্রথম থেকে যেসব লোকগুলো ছিলেন তাদের সবাইকে ফিরে আসতে দেখতে চাই। সিসিবি আবার সরগরম হোক।

      জবাব দিন
  3. রবিন (৯৪-০০/ককক)

    অসাধারন লাগলো। সেই দিন গুলার কথা মনে পড়ে গেলো। কি সব দিন ছিলো।
    কি বলেন কাইয়ূম ভাই?

    ফয়েজ ভাই, কই আপনি? একটা লেখা দেন তো।

    সানা ভাই, পিকনিক চাই।
    অনেক বড় কমেন্ট করলাম। যাই, ফ্রিজ থেকে একটা....................

    জবাব দিন
      • সামিয়া (৯৯-০৫)

        খালি আমার জমাটা শেষ হতে দেন...সিসিবি ফাটায় ফেলবো... 🙁
        তবে নতুন কিছু লেখকদের ক্যান্টিনে নিয়ে খাওয়াইতে হবে, এরা না থাকলে বেহাল দশা হত।
        ঠিক এ সময়টাতেই সবার একসাথে বেশ বাজে অবস্থা, এজন্য বোধহয় এই অবস্থা। তবে রকিব্রে রগরার উপ্রে রাখলেই দেখবেন সব ঠিক। আমি ওয়েট করছি, বিতংস আসার জন্য। তাহলে বিতংস আর অলখ আমেরিকা নিয়ে একটা রিভিউ লিখব।

        কত কিছু লিখতে ইচ্ছা করে, কত কত পিকনিক খেতে ইচ্ছা করে...কত কত বারবিকিউ। খালি আমার জমাটা শেষ হোক, পাশটা দেই, এরপর... 😀

        আমিন ভাই, আপনার পোস্ট পড়ে তো আপুলত হয়ে গেলাম...

        জবাব দিন
  4. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    ভাইডি তোমার স্মরণশক্তি দেশে আমি যারপর নাই মুগ্ধ। যাদের নাম নিয়েছ এবং যাদের নাম উল্লেখ করোনি সবারই এখন তোমাকে এসে একটা স্যালুট দেওয়া দরকার।
    পরিচয় হবার পর থেকে সিসিবিরে আমি কখনই ছাড়ি নাই। ইদানিং সিসিবিতে লেখা আমার প্রথম পোস্টটা এমজিসিসির গ্রুপে পোস্ট করার ফলে অনেক পুরনো মুখের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে। একটা লেখা লিখলেই আসলে তা শেষ হয়ে যায় না। এখানে নতুন অনেকেই আসছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় তাদের পোস্টে তেমন অভিজ্ঞ কেউ কমেন্ট করছে না। এতে নতুনরা আগ্রহ হারাচ্ছে। দিহানকে আসলেও মিস করি। তবে বাস্তবতার কারণে অনেককেই দূরে থাকতে হয়। এই পোস্টটির দরকার ছিল। ভালো থেক।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
    • কামরুলতপু (৯৬-০২)

      পোস্ট মর্টেম করলে আপু অনেক কারণ এ বের হবে আপু, তবে আমি সব কিছু এক কথায় বলতে গেলে বলব ফ্রন্টরোল যেদিন থেকে বন্ধ হয়ে গেল নতুনদের রিসিভ করার জন্য তখন থেকে পুরাতন দের সাথে নতুনদের মেলবন্ধন ও কমে গেল। এই জন্য সিসিবির এডজুট্যান্ট স্যার কে অনেক মিস করি।

      জবাব দিন
    • বন্য (৯৯-০৫)

      স্মরণশক্তি? নাকি সদস্য ডিরেক্টরী ? 😛

      আপা আমিও আপনার সাথে একমত। নতুন অনেকেই আসছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় তাদের তেমন অভিজ্ঞ কেউ পাঙ্গা দিচ্ছে না। এতে নতুনরা সিসিবির জুনিয়র মেম্বার হওয়ার মজাটা হারাচ্ছে। :grr:

      জবাব দিন
      • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

        ইসস!! এখন বুঝলাম আমি কেমন বলদ। সদস্য ডিরেক্টরী নামে জিনিস একটা আছে ভুলেই গেছিলাম। খামোখা মনে করতে গিয়ে অনেক নাম মিস করে ফেলছি। বাহলুল ভাই কালবেলা ভাইয়ের নামটা পোস্টে মিসিং। আরো অনেকের নামই মনে হয় মিসাইছি। মিসাইছি সিসিবি এডজুট্যানত ইউসুফ ভাইয়ের নামও।
        তপু আর তোর সাথে আমিও একমত। দরকার মত পাঞ্গানি হয় নাই বলেই সিসিবি মাদ্রাসা হয়ে যাইতেসে 🙂

        জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      আসলে কারণ বিশ্লেষণ করতে গেলে অনেক কিছুই হয়তো আসবে। আমার মনে হয় এর পিছনের সামাজিক অনুষঙ্গ নিয়ে মাহমুদ ভাই ডিটেইলস লিখতে পারবে 🙂

      যাক গা আমার ডিটেইলসে যাইতে ইচ্ছা করতেসে না। পরে সময় নিয়ে মন্তব্য করবো তাও বলি না।

      আমার শুধু একটাই চাওয়া ফেরত আসুক সিসিবি !! জেগে উঠুক সিসিবি।

      সবাই ভালো থাকুন।

      জবাব দিন
  5. বন্য (৯৯-০৫)

    একচুয়াল লাইফের ঠেলায় ভারচুয়াল লাইফ এখন সাইড্রোল দিতেসে :brick:

    সিসিবির শুরুর সময়টা আসলেই অসাধারন ছিল... পোস্ট রিফ্রেশ করতে করতে আর হাস্তে হাস্তে রাইত কাভার।

    দিহান ভাবিরে মিসাই, সাথে ভাবির পিচ্চি দুইটারেও।

    বাদ্দেন, ফ্রিজ থেকে মিষ্টির বাক্স নিয়া আস্তেসি... চলেন মিষ্টি খাইতে খাইতে পুকুরে শাপলা দেখি :goragori:

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      সিসিবির প্রথমদিকে আমি ছিলাম না। তবে যখন থেকে ছিলাম সেটাও নেহাত কম আগের না। সব কেমন করে যেন দূর অতীতের কাহিনী মনে হইতেসে।

      বাদ্ডে। চল মোসাদ্দেক ভাইয়ের মিষ্টি খাইয়া কামরুল ভাইয়ের পক্ষ থেকে পুকুরে শাপলা দেখি :goragori: :goragori:

      জবাব দিন
  6. রাব্বী (৯২-৯৮)

    অভিমান জিনিসটার তাহলে একটা ভাল দিক আছে - নাহলে এমন নাম ধরে ধরে হারানো বিজ্ঞপ্তি পেতাম না! পড়লাম। তোমার লেখা নিয়মিত পড়ি। ভাল লাগে লেখা এবং সিসিবির প্রতি তোমার ভালবাসা।

    আপাতত বিজি আছি। পরে এসে ডিটেইল মন্তব্য করে যাবো 😀

    আমিন, ছুম্মা আমিন!


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন
  7. রকিব (০১-০৭)

    এই পোষ্টটা পড়ে মন খারাপ হবে বুঝতে পারছিলাম। যথারীতি তাই হয়েছে। পুরনো মানুষগুলোকে খুব মিস করি। অনেককে আজকাল কোথাও দেখি না; কাইয়ুম ভাই-জুনাদা মোটামুটি হারিয়ে গিয়েছেন। আবীরদা-মাস্ফ্যুদা ব্যস্ত, তারপরো মাঝেমধ্যে এদিক সেদিক লেখেন হালকা পাতলা; রাশুদার ব্যাপারটাও অনেকটা তাই। মুহাম্মাদ ভাই লুকিয়েছেন। বন্য ভাই চাপা অভিমানেই কী না কে জানে হাজিরা দেন না; তবে নিয়মিত চোখ রাখেন এটা বেশ টের পাই। দিহান আপুর আমার প্রতি বেশ অভিমান; দোষ দেব না- আমার উড়নচন্ডী স্বভাব আর পাগলাটেপনার দোষে খোঁজ রাখা হয়নি। কমান্ডো ভাইকে আনতে হলে শেষ পর্যন্ত ভাবীর শরণাপন্ন হতে হবে মনে হয়। রহমান ভাই গায়েব, সামি ভাই তাও মাঝে মধ্যে উঁকি দেন। মরতুজা ভাই পুরাই হারিয়ে গেছেন। কলকাতার আকাশদাও বহুদিন কিছু লেখেন না; সেলিব্রেটি দম্পতি তৌফিকুর রহমান-শিরীন আপু তো এখন আমাবস্যার মুন। তরফদার ভাইয়ের কথা কিছু বলবো না; বিজি মানুষ।

    রিবিনভি-তানভীর ভাই-তারেক ভাই- উনারা ভুলে গিয়েছেন আজকাল (আসলে উনারাও ব্যস্ত); কামরুল ভাইয়ের এক পণ আর কখনো লিখবো না- এমনটা কখনো উনি বলেন নি; তারপরো বললাম।
    ধুচ্ছাই ভাল্লাগে না।

    নতুন সিনিয়র-জুনিয়র যারা নিয়মিত লিখছেন সবাইকে সবিশেষ ধন্যবাদ- বলা যায় আপনারাই সিসিবির নিয়মিত পোষ্টের আসরটা এখনো টিকিয়ে রেখেছেন। কিন্তু পুরনোরা যারা ছিলেন আছেন এবং লুকিয়ে আছেন- আপনার যদি মন্তব্য-পোষ্টের মাধ্যমে অনুপ্রেরণা না দেন, তাহলে খুব বেশি কিছু পাওয়া যাবে না সিসিবি থেকে। সাইফ ভাই, আলীমুজ্জামান ভাই, লাবলু ভাই- সবাইকে একটু ঝাড়ি দিয়ে আনেন না আবার। জমে উঠুক সিসিবি; জমে উঠুক প্রাণের মেলা।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  8. নাজমুল (০২-০৮)
    তাদের ব্যাচের আড়েক বিশিষ্ট কমেন্টক নাজমুলের কমেন্টে মজা পাইতাম এখনও পাই।

    B-) B-) কি যে বলেন ভাই 😛

    আমিন ভাই খুব ভালো লাগলো লেখাটা।
    সবাইকে আবার নিয়ে আসেন প্লীজ, মজা টজা করি 🙁

    জবাব দিন
  9. মুসতাকীম (২০০২-২০০৮)

    আমিন ভাই আপনার আর রকিব ভাইয়ের কল্যানে সব পুরাতন ব্লগারদের একসাথে দেখে খুব লাগল :clap: :clap: :clap:


    "আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"

    জবাব দিন
  10. সাব্বির (৯৫-০১)

    জেগে উঠুক সিসিবি!!!!

    সাব্বির ভাই আর মেহেদী হাসান সুমন ভাই এই দুজনরে কেন জানি আমি মাঝাএ মাঝে কনফু করে ফেলি

    ভাই এইটা একটা কথা কইলা 🙁
    আমারে আর মেহেদী রে যারা সামনা-সামনি দেখসে এই কথা শুনলে তোমারে গু দিয়া ঢিলাইব।

    জবাব দিন
  11. রেজওয়ান (৯৯-০৫)

    আবেগে ইমোশনাল হইয়া গেলাম :((
    আমিও সব্বাইরে ব্যাপক ভালা পাই..... 😡
    আলাভু অল....আলাভু সিসিবি :hug:
    অনেক ধন্যবাদ আমিন ভাই, এইভাবে সবাইকে তুলে আনার জন্য 🙂

    জবাব দিন
  12. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    আমিন,
    তোমার অবাক করার কি কোন শেষ নাই?
    আমার ক্যাডেট কলেজে পড়ার সবচেয়ে বড় পাওয়া হইলো, আমি অসম্ভব প্রতিভাবান আর সুন্দর কিছু মানুষকে নিজের ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে পাট নিতে পারি B-)

    অফটপিকঃ চতুর্মাত্রিকের সংকলনের জন্য অভিনন্দন!


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      ভাইয়া আপনার মন্তব্যে গাছে উঠলাম। ভালো লাগলো অনেকদিন পরে দেখে। আপনাদের কথায় অনেক অনুপ্রেরণা পাই।

      অফটপিক :ধন্যবাদ ভাইয়া। চতুর্মাত্রিক সংকলন আর বারোয়ারি উপন্যাস দুইটা দিয়ে আমি নিজে খুবই উৎসাহিত হয়েছি লেখালেখির ব্যাপারে।

      ভালো থাকবেন। 🙂

      জবাব দিন
  13. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    তুই ই তো দেখি নুরুল ভাই হয়ে গেলি। কুন্ঠে সবাই বইলা যেই ডাক দিলি সবাই দলে দলে।
    সবার লেখা পইড়া আবেগে ইমোশিত হইয়া আমিও লেখুম নাকি ভাবছিলাম। পরে মনে হইল থাক পেন্ডিং রাখি। এইসব দু একদিন যাবার পর আবার তো সবাই শীতনিদ্রায় যাবে তখন এর জন্য।
    পেসিমিস্ট মন্তব্যের জন্য :frontroll:

    জবাব দিন
  14. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    আমিন,
    তুমি আর রকিব মিলে যে ব্যাপক গণজাগরণ ঘটিয়ে ফেললা এর জন্যে এক লক্ষ :salute:
    সিসিবির চেহারাটাই পাল্টে গেলো, এইরকমই কি রাখবো আমরা সবাই?
    প্রিন্সু স্যারকে এখনো দেখছিনা।
    কি হইসে উনার?
    উনি কি ভালো আছেন? কেউ জানো?

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।