১। সাইটের পরিসংখ্যান অনেক দিন পর দেখে ভাল লাগছে। ম্যালা ভিজিটর আর পুরান সদস্যদের আনাগোনা। তবে সবচাইতে অবাক হইছি কাম্রুলরে দেইখা। আমি তো ভাবছিলাম তুমি আন্দামানে পাচার হয়া গেছ। বিয়া টিয়া করছ নাকি?
২। রকিব পোলাডা মনে হয় সবাইরে খোচাইতাছে লেখা দেওনের লাইগা। নইলে আমারে ফেসবুকে তো কেউ কোনদিন মেসেজ দেয় না।
৩। আব্বা আম্মা এসেছিলেন গত বছরের শেষে। এসেই আম্মার মর মর অবস্থা। রক্তের পটাশিয়াম নেমে গেছিল ১.১ এ। ডাক্তাররা বুজব এত কম পটাশিয়াম নিয়ে মানুষ বাচে না। ভোর রাতে নিয়া গেলাম হাস্পাতালে। ডাক্তার কয় বাইচা আছে এইটাই অবাক কান্ড। আমি ঝিম ধইরা ভাবি কি হইল এইডা। সাত দিন হাস্পাতালে থাইকা অবশেষে ছাড়া পাইলেন। তবে ডাক্তার বেটা বল্ল কিডনির অবস্থা একটু দুর্বল। আমি আব্বারে কইলাম, আর থাকার দরকার নাই। কাইল্কাই দেশে যানগা। ফলে আব্বা আম্মার চার মাসের থাকার প্ল্যান ১০ দিনে আমেরিকা ত্যাগ, ৩ দিন আমার বাসায়, ৭ দিন হাসপাতালে।
কিন্তু আসল ঝামেলা হইলা তার পরে। সাত দিনের হাস্পাতাল বিল ৫৫ হাজার ডলার।
৪। আমাদের এখানে বরফ খুব একটা পড়ে না। একটু পড়লেই জীবন অচল হয়ে যায়। গত সপ্তায় ৯ ইঞ্চি বরফ পড়ে সব সাদা হবার সাথে সাথে অফিস যাওয়াও বন্ধ হয়ে গেল। কারন যেহেতু খুব একটা বরফ পড়ে না, সরকারও রাস্তার বরস সরানোর কোন মাল মসলা কেনে না। ফলাফল সাত দিন বাসায় বসে বসে টিভি আর সিনেমা দেখা।
৫। দেশে আসার জন্য মন আনচান করে। কিন্তু চাইলেই তো আর হয় না, খরচাপাতির ব্যাপার আছে, লাল দালান থিকা ভিসা নেওনের তামসা আছে। তাই ঠিক করছি ছোট ভাইয়ের বিয়া উপলক্ষে একবার আসুম। তো সকল সিসিবিয়ান বাসির কাছে আমার ছোট ভাইয়ে লিগা পাত্রি চাই। ভাই আমার তেমন বিশাল কিছু না। এমবিএ শেষ পর্যায়ে আইঊবি তে। ট্রাস্ট ব্যাঙ্কে চাকরি করে। আমাদের চাওয়াও সিম্পল। ঠাডা পরা সুন্দরী চাই না, বাপের ব্যাংক ব্যলান্সও চাই না। অনার্স করা/কাছাকাছি মেয়ে চাই। চাকুরিজীবি হইলে আরো ভাল। দেশের যা অবস্থা, একজনের কামাই দিয়া সংসার চালানো মুশকিল। সো বাচ্চালোগ, তালিয়া বাজাও, অনেক দিন ঢাকার বিয়ার বোরহানি খাই না।
৬। মেয়ে আমার দেখতে দেখেতে দুই পার করে ফেলল। দুশ্চিন্তা এখন দুইটা, এত তাড়াতাড়ি কেন যে এরা বড় হয়। এখন তো বাপের গায়ের সাথে লেপ্টে থাকে। অফিস থেকে বাসার ফেরার পথে চিন্তা করি কখন ফিরব আর কোলে নেব। পরের চিন্তাটা আর বড়। যথাসাধ্য চেস্টা করে যাচ্ছি মেয়ে যাতে ইংরেজীর ধারে কাছেও না ঘেষে। বাংলা পুরোপুরি না শেখা পর্যন্ত নো ইংরেজি। বাসায় নো ইংরেজি চ্যানেল, কার্টুন। স্কুলে গেলে তো সব শেষ। তখন তো স্মেচ্ছদের বুলি ছাড়া অন্য কিছু বলানো কঠিন হয়ে পড়বে। এখানে দেশি ভাইদের যখন তাদের বাচ্চাদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলতে দেখি, তখন অবাক হই। তারা যুক্তি দেয়, তারাও ইংরেজি না বললে তো বাচ্চা কনফিউজ হয়ে যাবে। আমি অবাক হই, নিজের কানে মেয়ের মুখে বাংলা শোনার কি যে সুখ এরা মনে হয় বুঝতে চায় না।
যে যা করে করুক, আমার চেস্টা আমি করে যাই। কবিতায় আমার অরুচি সারা জীবনের। কিন্তু মেয়ের মুখে ছড়া শুনে আমি মরতে রাজি।
:brick: ইটা ফেললাম, আমি ১ম।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
১) কাম্রুল ভাই আউট :grr:
২) আপনারে আগেও মেসেজ দিছি, রিপ্লাই দেন নাই; আজকেও দেন নাই 🙁
৩) উনাদের তো বোধকরি হেলথ ইন্সুরেন্স ছিল না। আম্রিকা এইখানেই পুরা মেরে দেয়। মাইকেল মুরের একটা ডকুমেন্টরি আছে এটার উপরে, সিকো।
৪) হে হে হে বরফ ব্যাপারটা অতি বিরক্তিকর। কানাডায় অবশ্য বরফরে তেমন একটা বেইল দেয় না। B-)
৫) বিয়া খাইতে মঞ্চায়।
৬) রাইহামণি দেখি অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। ভালো থাকুক ভাতিজি; আধোবোলে ওর মুখে বাংলা অসাধারণ লাগলো।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ওই বেটা, আগেও মেসেজ দিছিলি নাকি? আমারে কেউ ফেবুতে মেসেজ দেয় না দেইখা আমিও খেয়াল রাখি না। আর আজকার মেসেজের জবাব তো এই দিলাম 😛
মেয়ের বাপ যে ক্যাডেট বোঝাই যায়, যেই হারে লাফায়তেসে।
আমি তো পোস্ট দেখে ভাবছিলাম এই পোলা কি সেকেন্ড বিয়া করতাছে নাকি
মেয়ে আমার বহুত চালু। দোয়া কইরো। এমজিসিসি পাঠায়া দিমু
৫৫ হাজার ডলার!!!!! বাপরে অবস্থা খারাপ তাইলে 🙁
অনেকদিন পর লেখা পাইলাম আপনার 🙂
গরিব ব্লগারদের সাথে আপনাদের দেখলে ভালো লাগে।
তোমার বিলাতি সিরিজ কই?
আসবে ভাইয়া সামনেই 🙂
আমিও পোষ্টের নাম দেখে ভাবছিলাম - খোদাতালার কোন ইনসাফ নাই, মরতুজা ভাই দ্বিতীয় বিয়ের পায়তারা করতাছে নাকি 😮
৫৫ হাজার ডলার?! এত বড় তৃণ [বাঁশ] হজম করলেন কেমনে?
আমার বন্ধুয়া বিহনে
সুবিধা হইল বিল হইছে আম্মার নামে। সো লিগালি উনি বিলের জন্য দায়ি আমি না। ওরা অহন ঢাকায় সিয়াইএ না পাঠাইলে ট্যাকা পাওনের কোন সম্ভাবনা নাই 😛
=)) =)) =))
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
আমিও এমবিএ করতেসি আই ইউ বি তে। 😉
সবাই কাইয়ুম ভাই এর জন্যও পাত্রী দেখেন
আমিও তাই ভাবছিলাম।
বরফের ছবিগুলা ভালো লাগলো।
পিচ্চির ছড়া সবচেয়ে ভালো।
আমি বিয়া খাইতে খাইতে টায়ার্ড। এখন খাওয়াইতে মঞ্চায় 😀
ভাতিজির জন্য আদর ও শুভকামনা।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
তা তো হইবাই।
অনেক মিষ্টি একটা ভিডিও মরতুজা ভাই, ভালো লাগল অনেক।
ভাতিজির জন্য রইল অনেক অনেক আদর। 🙂
মরতুজা ভাই আমরা যারা বাচ্চালোক আছি তাদের জন্য একখান কঁচিকাচার সিরিজ দেন :grr: :grr: :grr:
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
পাস করছস তো চাইর বছর, অহনো বাচ্চা আছস?
ওয়ান্স এ ক্যাডেট অলওয়েজ এ বাচ্চা 😉
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
জানি না আমার ক্যান য্যান মনে হইছিলো...লেখাটা কাম্রুলরে নিয়া ;))
মরতুজা ভাই উইলাভু
মা মনির জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা...
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
উইলাভু মরতুজা ভাই
অনেক অনেক ভালোবাসা মা মনির জন্য … 🙂
মরতুজা ভাই উইলাভু
মা মনির জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা… 😀 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ধন্যবাদ তোমাদের সবাইকে। মেয়ে হওয়ার আগে ভয়ে ছিলাম, আমি বাচ্চা মানুষ, ছেলেমেয়ে পালা আমার দ্বারা হবে না। এখন মনে হয় ও ছাড়া জীবন্টাই অপূর্ণ
পিচ্চির জন্য অনেক অনেক আদর।
ছোট্ট আম্মার জন্য ভালবাসা......এই সেদিন আম্মাজানের ছবি দিয়া ব্লগ দিসিলেন আর এখন ২ বছর হয়া গ্যাছে ????? :dreamy:
কি আজ্জিইইইইইব 😮
বহুদিন পর দেখে খুব ভাল লাগলো ভাইয়া 🙂
কেম্নে যে সময় যায় রে ভাই...
আপনার মেয়ের মুখের কথা শুনে আমিই মরে গেলাম, আপনার যে কি অবস্থা কে জানে...এবং সবচেয়ে ভাল্লাগলো পরে গিয়ে আপনার হাত না ধরে নিজেই যে উঠে গেলো, এটা দেখে। একটা টিপস দেই, বাচ্চারা পরে গেলে ব্যাথা ব্যাথা না করে ব্যপারটা খুবই নরমাল, এমন ভঙ্গিতে ব্যবহার করবেন। তাতে করে অল্প স্বল্প ব্যথা ওরা নিজেরাই সাসটেইন করে যাবে।
আম্মু জান অনেক অনেক বড় হোক।
মোটা কার্পেট দিয়ে খুব ভালো করেছো।
খুব চঞ্চল মনে হচ্ছে, রাস্তায় সাবধানে থেক।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমার মনে হয় বাইরে কেউ বেরাতে গেলে হেলথ ইন্সুরেন্স করে যাউআ ভাল। আম্রা ইউ কে তে তাইলে ভালই আছি হাস্পাতাল নিআ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ