‘ধূম’ ছবির সিলেট শাখার মহানায়ক কিছুদিন আগে ইংরেজী ভাষার উপর ক্যাপসুল কোর্স করে এসেছেন বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমী থেকে। ক্যপসুল কোর্সের বদৌলতে কতগুলো অলস সময় যে আমরা ফ্লোরে গড়িয়েছি হাসতে হাসতে তার সঠিক সংখ্যাটা কারও জানা নেই।হাসির ফাঁকে একটু দম নিতাম আর বলে বলে উঠতাম, “এতদিন কোথায় ছিলে?” নায়কের জানার পরিধি তখন ভূগোলের গন্ডি পেড়িয়ে আমেরিকান ইংরেজীর দিকে ধাবিত হতে লাগল চরম গতিতে এবং স্ববেগে।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের সাথে বলা মহানায়কের সেই আমেরিকান ইংরেজীর কিছুটা তুলে দেওয়া হল।
সেদিন অনেক গরম ছিল,স্যর ক্লাসে ঢুকলেন এবং তার ইংরেজী শুরু হয়ে গেল।“ফর্ম লিডার, বার্ণ দ্যা লাইট, ড্রাইভ দ্যা ফ্যান,আই এম ভেরী হট টুডে”।আমদেরই বা তখন থে্মে থাকা কেন? ইয়েস স্যার ম্যাডাম ওয়াজ অলসো ভেরী হট টুডে।প্রসঙ্গত,মিসেস মহানায়ক আমাদের ম্যাডাম ছিলেন এবং সেদিন সকালে উনার সাথে আমাদের ক্লাস ছিল।
স্যার বেত নিয়ে ক্লাসে ঢুকতেন এবং সে যেহেতু ইংলিশ ম্যান তাই বেত কে বেত না বলে স্টিক বলতেন।একবার কেউ একজন স্যার কে জিজ্ঞেস করলেন মালভূমি কোথায়?স্যার রেগে উত্তর দিলেন, “অ্যাট দ্যা টপ অফ মাই স্টিক দেয়ার ইজ এ মালভূমি”।নাও পুট ইওর ডেস্ক ইনসাইড ইওর বুক।স্যার উত্তর দিতে না পারলে রেগে যেতেন অথবা সৃষ্টি কর্তাকে দেখিয়ে দিতেন।যেমন পাহাড় কিভাবে তৈরী হল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, আল্লায় বানাইছে বাবা,আল্লায় বানাইছে।আরকবার প্রিন্সিপালের কাছে কোন এক ক্যাডেটের নামে লাগানোর পর, “আমি লাগাই নাই বাবা,আল্লায় লাগাইছে”।
ক্লাস ইলেভেনের কয়েকজন রাস্তার মাঝখান দিয়ে পকেটে হাত দিয়ে হেটে যাচ্ছিল,মহানায়কের চোখে তো এ বিশাল অন্যায়।তাদের গতিরোধ করে দাঁড়িয়ে বলিষ্ঠ কন্ঠে বললেন, “আর ইউ এ মাস্তান?দেন হোয়াই ইউ ওয়াকিং ইনসাইড ইওর পকেট?
ডাইনীং হলের OIC থাকার সময় কেউ একজন টাই ছাড়া গেছে। টাই না পড়ার জন্য ঝাড়ী দিয়ে নাম লিখাতে বললেন, “গো এন্ড বাটলার ইওর নেম”।জুতার ফিতা খোলা ছিল বলে বললেন “সু ইওর টাই লেস”
রুম ক্রিকেটে ধরা খাওয়ার পর জনৈক ক্যাডেটের সাথে স্যার কথা বলছেন,পাশের থেকে আরেকজন কিছু একটা বোঝানো চেষ্টা করল,স্যার আবার এসব একদমই সহ্য করতেন না তাই বলে উঠলেন, “আই টক হি টক হোয়াই ইও মিডল টক”?
জনৈক ক্যাডেট ক্লাস রুমে বসে আছে স্যার বাইরের থেকে ডাক দিলেন “কাম ইন”।কিন্তু কাম ইন মানে যে বাইরে যাওয়া সেটা বুঝতে না পেরে সে ক্লাসের ভিতরেই বসে রইল।কিছুক্ষণ পর স্যার ছেলেটার কান ধরে চড় মারতে মারতে বলল ‘আই অ্যাম কলিং অ্যাস লাইক অ্যাস ম্যাড এন্ড ইউ আর নট কামিং”
কোয়াইট আওয়ারে রুমের বাইরে দেখে চিৎকার করে উঠলেন “হোয়াই ইউ আউটসাইড,কাম ইন”।এটা শুনে স্যারের দিকে অগ্রসর হতেই ভুল ভাঙ্গে,স্যার আসলে তার কাছে যেতে বলেন নি,বলেছেন রুমে যেতে।
ডিউটি ক্যাডেট দাড়িয়ে আছে,স্যার কাম ইন বলে মেস OIC র রুমের দিকে হাটা দিলেন,ডিউটি ক্যাডেট সেই কাম ইনের মানে বুঝতে না পেরে কিছুক্ষণের মধ্যেই OIC র রুমে হাজির হল এবং স্যারকে অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখে ফেলল,স্যার চিৎকার করে বলে উঠলেন “হোয়াই হেয়ার?গো ডিউটি মাস্টার”।কথা হল মহানায়কের কাম ইন এর মানে বোঝাটা সত্যিই খুব কষ্টের ছিল।
রাঙ্গামাটি থেকে ফেরার পালা,বিকেল হয়ে গেছে।চিটাগাং পৌছতে রাত হয়ে যাবে।এর জন্য সেদিনের আউটিং টা বাতিল করা হইছে।যথারীতি আমাদের মন খারাপ।কারন এত দেরী হওয়ার একমাত্র কারন মহানায়ক,বলতেই ভুলে গেছিলাম আমরা ছিলাম মহানায়কের ফর্মের ছাত্র।এমন এক ফর্ম মাস্টার পাওয়া যে কি সৌভাগ্যের(!) বিষয় সেটা কেবল আমরা মাত্রেই বুঝেছিলাম।আউটিং বাতিল এর কথা শুনে আমাদের সবাই উলটাপালটা কথা বলা শুরু করে দিল।বাস ছাড়বে,সবাই বসে আছি আর চিল্লা পাল্লা করছি,সবার মনটা সত্যিই খুব বেশী খারাপ ছিল সেদিন।এর মধ্যে স্যার এসে সামনে দাড়িয়ে শাউট করে উঠলেন, “বয়েজ প্লীজ আলটিফাই ইওরসেলফ”। আমরা সবাই চুপ!এটার মানে?কি???পরক্ষণের যে যার মত বুঝ নিলাম কাহিনীটা কি।এর পর থেকেই এই আলটিফাই শব্দটাকে আমরা নানাভাবে আলটিফাই করা শুরু করলাম।যেখানেই কোন শব্দ ভুলে যাই সেখানেই আলটিফাইকে পাওয়া যায়।এবং এই শব্দের বিস্তৃতি পাবলিক স্পিকিং ক্লাস থেকে পরীক্ষার খাতা পর্যন্তও ছিল।
এতসব কথা বলার পরে একটা ট্র্যাজেডি না বলেই পারছি না,আমাদের এই স্যার কিছুদিন কোন এক ক্লাসে ইংরেজী বক্তৃতা ক্লাস নিত।
উপরের কাহিনীগুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে আলটিফাই করা হইছে। কারো কারো জীবনের সাথে মিলে গেলেও যেতে পারে, সেক্ষেত্রে লেখককে কোনমতেই আলটিফাই করা যাবে না :grr:
কান্তি জনসম্মুখে একেকজন শিক্ষক কে ধরছ আর আলটিফাই করতাছ। পুরাই :gulli2: :gulli2: :gulli2:
Prisoner of Own Mind
স্যার এইটা দেখলে আমারে :chup: :chup: :chup: :duel: :duel: :duel: :gulli2: :gulli2: :gulli2: 🙁
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
এই ছেলিয়ে কি কচ্চ তুমি ? হারাধনের একটি ছেলিয়ে খারাপ হইয়ে গিয়েচে। =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =))
Prisoner of Own Mind
হারাধনের তিন ছেলিয়ে :grr: (সম্পাদিত)
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
😀 😀 :clap: :clap:
B-) B-)
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
মিস করিরে স্যারের ইংলিস তার চেয়েও বেশি মিস করি ম্যাডামরে।আবার ম্যাডামের কানমলা খেতে মন চায়।
উফ কি মনে করায় দিলি? :(( কি সুন্দর কইরা যে কানটা যে ধরত ম্যাম 😡 😡 😡
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
বাবলা পাতার কষ লেগেছে..... :khekz: :khekz: :khekz:
দিবস তুই :boss: :boss: :boss:
::salute:: ::salute:: ::salute::
"উফ ম্যারাডুনা" স্যারের এই গানটাও কিন্তু :just: রকায় :guitar: (সম্পাদিত)
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
=)) =)) =)) =))
Saleh
😉 😉
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
দিবস, পার্টিতো পুরা জমে গেছে দেখতেসি!!!
অনেক পুরান কথা মনে করায় দিলা। ধুম ছবির সিলেট শাখার নায়ক যখন অডিশন দিতে আসে, তখন আমরা ক্লাস এইটে পড়ি। ছোটখাট এক লোক(আমার বয়সটা এখন যত, তার তেমনই ছিল, তাই লোক বলতে কেমন কেমন লাগছে! কিন্তু সেসময় আমাদের কাছে তো লোকই), বাতাসে উড়ছে লালচে চুল আর কামানো মসৃন গাল (তখন উনার মৌচাক ছিল না)। নুরুল হোসেন স্যার (মিলকির বাবা) আলাপ করায় দিলেন খুব সম্ভবত, মানে ক্লাসে নিয়ে এলেন আরকি (মনে পড়সে ! এই আরকিমিডিস মকবুল হোসেনের বদলেই তার আসা)। প্রথম দিন বললেন, আমি তুমাদের বড় বাই আর তুমরা আমার চুটু বাই। আমি পিথিবির যেকাআন থেকে পারি, তুমাদের জন্য গিয়ান নিয়া আসব। এসব বলে পরের দিন বেত নিয়ে এলেন।যাই হোক, অন্তত সককতে প্রথম মেয়াদে নায়ক একদম দিলদার ছিল, হাসাইত, ফ্লপ মারত কিন্তু কারো কাসে লাগাইত না! তখন অবশ্য আন্দ্রে টাকাসি,র্যাম, ইয়খ,কাহা অনেকেই টপ ফর্মে, কারণ আজম তাদের প্রাক্তন ছাত্র! আর যাই বল, যাদের নাম বললাম তারা নায়কের চাইতে অনেক স্মার্ট। অন্তত অ্যাডজুটেন্ট অফিসে কফি খাওয়ার মত স্মার্ট তো নায়ক এখনো হয় নাই, কি কও। মেলা বড় মন্তব্য লিখা ফেললাম।
তবে ভাই বস কিন্তু জাতে মাতাল তালে ঠিক...আমাদের পদার্থের ম্যাডাম কিন্তু পুরাই :duel:
এবং যতদূর জানি সেটা লাভম্যারেজ 😡
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
পাবলিক ভার্সিটিতে পড়া পোলাপাইনরে জিগাইস!জোস মাইয়া গুলা সবসময় খ্যাত পোলাপানডির লগে ঘুরে !!!
ওরা এত অবুঝ ক্যান :((
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
ওরা এত অবুঝ ক্যান :((
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
একটি নারী অবুজ, প্রথম বুঝিয়ে দিল আমিও যুবক এক সবুজ!!!
ইয়ে মানে ভাই কে বুঝিয়ে দিল যে আপনিও সবুজ?উনি কি আপনার :just: ফ্রেন্ড টাইপ কেউ ? 😛
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
:just: :khekz:
\"why does the weasel go pop? does it matter?
if life is enjoyable, does it have to make sense?\"
😀
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
আর একটা কথা! আই টক হি টক জোকসটা ক্লিশে হয়ে গেসে। এটা এনসিও, ইংরেজিতে দূর্বল সিনিয়র অনেকের নামেই অনেকে বলসে...কোনটা যে সত্যি কে জানে? তবে আমাদের সময়ে প্লেন স্যার ক্লাসে ঘুমালে বলতেন ফেইস ইয়ুর ওয়াশ!
এই জোকসটা অনেক জায়গাতে আমিও দেখছি,তবে এটা আমাদের মহানায়কের সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই,এবং এটা আমাদের মুখ থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ছড়াইছে।ঘটনাটা আমাদের ইমিডিয়েট ব্যাচের একজনের সাথে হইছিল।
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
চেনা চেনা লাগলো 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
চেনা চেনা লাগে তবু অচেনা 😀
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
ভাই চেনা চেনা লাগারই কথা বরিশাল থিকা আবার সিলেটে নিয়া আসছিলাম নায়করে B-),তখন সাথে নায়িকাও ছিল ;;;
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
হুম নায়ক প্রথম দিকে আমাদের সাথে গেমস টাইমে হাফ প্যান্ট পরে ফুটবল খেলতো, পরের টার্মে ছুটি থেকে এসে দেখি পুরা গিরা পর্যন্ত জোব্বা আর পাগড়ি ছাড়া কিছুই পরে না। সে সময় একটা কবিতা বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলো... আমাদের ছুটো নুদী চলে বাঁকে বাঁকে...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:)) সেইখান থিকাই মনে হয় "নদী "র নামকরণ হইল
আমাদের কলেজে একটা গান জনপ্রিয়তা পাইছিল নদীর জল ছিল না,কূল ছিল না ছিল শুধু ঢেউ...আমার একটা নদী ছিল জানল না তো কেউ :no: :no: :no:
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
গল্পের নায়কের রাজকুমারীর হাতের অনবদ্য ছোঁয়া আমাদের কান্তির কানে লেগেছিল। কান্তি তো তখন পুরাই :awesome: :awesome: :awesome:
Prisoner of Own Mind
উদ্দিন তুমি তো উনার ক্লাসের দিন হাউসে আইসাই :just: ... :duel: লাগাইতা 😛
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
সেই নদীতে সাঁতার কাটে জোব্বা পড়া কেউ!!!!
=)) =)) =))
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
লেখা উপাদেয় হয়েছে। কলেজের এমনসব ঘটনা পরে সারা জীবনের স্মৃতিকাতরতা জুড়ে রয়ে যায়।
অন্যদিকে: স্যারদের ওভারঅল স্ট্যাণ্ডার্ড দেখি আরো নেমে গেছে। ভালো ছাত্ররা যে আসছেন না ক্যাডেট কলেজের শিক্ষক হয়ে সেটা ভীষণ স্পষ্ট এবং দুঃখজনক।
ধন্যবাদ দাদা 🙂 ,আসলে কলেজের স্মৃতিগুলোকে নিয়ে এখনো বড় একটা সময় কেটে যায়।সারা জীবনই বোধকরি এসব স্মৃতি চির সবুজই থেকে যাবে। 🙂
আসলে আমাদের সময়ও দেখতাম ভাল কোন স্যার আসলেই কিছুদিন পরই বিসিএস করে চলে যেতেন।আসলে ক্যাডেট কলেজের স্যারদের অনেক বেশী পরিশ্রম করতে হয়।যতই হাসাহাসি করি,এই মানুষগুলো আমাদের জন্য অনেক কিছুই করেছেন।অবশ্যই ব্যতীক্রম কিছু ছাড়া যারা সবসময় ক্যাডেটদের পিছনেই লেগে থাকেন,দোষ খুঁজে বের করেন এবং সময়মত প্রিন্সিপালের কানে লাগিয়ে দেন।তবে এদের সংখ্যা আমাদের সময়ও খুব বেশী ছিল না,এখন কি অবস্থা সেটা জানি না।
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
যাঁরা আমাদের পেছনে জীবনের সেরা সময়টুকু দিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা তো নমস্য। সেটাকে আমি খাটো করছিনা কিন্তু। আমি তো জানি, এঁদের ভালোবাসা আর ত্যাগটুকু কতটা খাঁটি।
মানছি আরো আকর্ষণীয় জব পেয়ে অনেকেই চলে যাচ্ছেন। যাঁরা রয়ে যাচ্ছেন তাঁদের নিয়েই তো ক্যাডেট কলেজ পরিবার। তাঁদের নিয়েই আমাদের স্মৃতিচারণ, আমাদের কান্নাহাসির ঝাঁপি খুলে বসা, অভিযোগ-অনুযোগের পসরা মেলে ধরা। এই শিক্ষকদেরকেই ক্যাডেট কলেজ গভার্ণিং বডির উচিত আরেক দফা ট্রেনিং দিয়ে আরো চৌকস করে তোলা। এবং বেশ কিছু সময় পরপর রিফ্রেশিং কোর্স করানো। ক্যাডেট কলেজের মতো পাবলিক স্কুল মডেলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অবস্থানে টিকিয়ে রাখতে গেলে এমন অনেক ব্যবস্থাই নিতে হবে বলে আমার মনে হয়।
ব্যক্তিমানুষ হিসেবে এঁদের যথেষ্ট মানবিক মনে হয়েছে আমার। একটি আবাসিক পরিবেশে এই বোধ খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ইদানিংকালের স্মৃতিচারণমূলক পোস্টগুলোতে স্যারদের ইংরেজী (এবং ওভারঅল পড়াশোনার)-র অবস্থা অনুধাবন করে শংকিত না হয়ে পারিনা।
এবং দেখতে পাচ্ছি, ক্যাডেটদের মেধাগতভাবে বেড়ে ওঠার পেছনে সিনিয়র বা বন্ধুদের যতটা অবদান (একধরণের পিয়ার প্রেসার যতটা রাখে আর কি), শিক্ষকদের যেন ততটা নেই। আমাদের সময়ের বা তারো বেশি পুরনো শিক্ষকদের কথা নিয়ে এলে এখানে অন্যরকম শোনাবে। মনে হবে, আমি বোঝাতে চাইছি, পুরনো যুগেই সব ভালো ছিলো। তা না, আমাদের সময় দেখছি, ক্যাডেট কলেজের শিক্ষকদের মান পড়তে শুরু করেছে। পুরনোরা যেখানে বিষয় বোঝানোতে জোর দিতেন বেশি, নোটস বরদাস্ত করতে পারতেননা, নতুনদের দেখেছি বাজারের নোটবই-ঘেঁষা (বিশেষ করে গণিত)
সমাধান দিতে। তখকনকার নবীন স্যারেরাই আজকে (তোমাদের সময়ের) সিনিয়রমোস্ট শিক্ষক।
একটু খোলামেলা আর সিরিয়াস আলোচনা করে ফেললাম, যদিও এটা বিনোদনমূলক পোস্ট ছিলো। আশা করি মনে কিছু করছোনা।
দাদা,বর্তমানে শিক্ষকদের মাঝে মাঝে ২/১টা কোর্স করানো হয় তার মধ্যে আমার লেখার মহানায়ক ও পড়েন।উনি ইংরেজী ভাষার উপর কোর্স করে আসার পরই উনার এই অবস্থা।আমাদের সময় সিনিয়র স্যারদের দেখেছি,ক্লাসে হয়তো তেমন ভাল বোঝাতে না পারলেও তাদের বেসিক ধারণ অনেক পরিষ্কার ছিল,তবে ক্যাডেট কলেজের গণিত ডিপার্টমেন্ট নিয়ে হতাশা প্রকাশ না করলেই নয়।সিনিয়র শিক্ষকদের চেয়ে সেখানে জুনিওর শিক্ষকরা বেশ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন(আমার সময় এবং আমার কলেজের কথা বলছি)।
আর ক্যাডেটদের কাছে আসার ক্ষেত্রে সিনিয়র শিক্ষকদেরই অগ্রনী ভূমিকায় দেখেছি বেশীরভাগ ক্ষেত্রে।
স্যারদের প্রশিক্ষণের বিষয়টাতে জোর দেওয়া দরকার।সম্প্রতি এরকম একটা কথা শুনলাম যে লন্ডন থেকে কোন এক ধরনের কোর্স এর ব্যবস্থা করা হবে।সত্যতা কতটুকু বা কবে নাগাদ শুরু হবে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।
দাদা আপনার সাথে খোলামেলা আলোচনা করতে সবসময়ই ভাল লাগে,সেখানে "কিছু মনে করার" কথা বলে লজ্জা দিবেন না।
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
:gulli2: :gulli2: :gulli2: :gulli2: :gulli2:
দিবস ... ভালো লাগলো ... শুভ কামনা...। :goragori: :goragori: :goragori:
:tuski: :tuski: :tuski: :D,ধন্যবাদ,নামের পাশে সালটা জুড়ে দিলে ভাল হইত 🙂 (সম্পাদিত)
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
:gulli2: :gulli2:
কোপাহইছেভাই।
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
তাইলে আয় দুই ভাই মিল্যা চা খাই :teacup: :teacup:
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
=)) =)) =)) =)) :pira:
খেয়া (২০০৬-২০১১)
😀 🙂
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
ভাই, সুখের বিষয় হচ্ছে, আমরাই সেই সৌভাগ্যবান ব্যাচ যাদের পাবলিক স্পিকিং ক্লাস মহানায়ক নিতেন। 🙁
আমরাও সৌভাগ্যবাণ কম ছিলাম না,বস আমাদের ফর্ম মাস্টার ছিলেন।তার সাথে উলটাপালটা কিছু করলেই,আবেগঘণ কন্ঠে বলতেন তগোরে পাইলা পুইষা ছুট থিকাবড় করলাম,আর এই প্রতিদান দিলি আমারে? 🙁 🙁 🙁
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
স্যার আমার টেবিল লিডার রে একবার বলছিল, "if u best athlete, i'l eat u"
মানে হচ্ছে, "তুমি বেস্ট এ্যাথলেট হলে খাওয়াব" :khekz:
সেই সম্ভাব্য বেস্ট এ্যাথলেট ছিল কায়েস ভাই 😀
তাসনীম স্যার যে সমুদ্রের পানিতে অজু করছিল,কাহিনীটা কি মনে আছে?
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
কিছু খারাপ ছেলে তখন স্যারের পাশেই সমুদ্রে ইউরিয়া দিচ্ছিল 😕
:khekz: :khekz: :khekz:
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
:clap: :clap: :clap:
🙂 🙂 🙂
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
:boss: :clap: =))
B-) 😀
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
বোমা ফাটাইসস! কালকে থেকে ২ সপ্তাহ ইন্টারনেটের বাইরে থাকতে হবে। ফিরে এসেই বোমা ফাটামু নে!
:clap: :)) =))
বাংলা ভাই 😀 খবর আছে,বাবারা বাঁচেতে পারবা না,উড়ায়া দিমু সব বোমা মাইরা :grr:
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
😀 B-)
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
আহারে স্যারদের মিস করি। 🙁 🙁
লেখা খুব ভালো লাগলো দিবস।
ধন্যবাদ ভাই 🙂
আমিও খুব মিস করি ভাই 🙁 :(,যদিও খুব কম স্যারেরাই ভাল বলত সেই সময়টাতে তারপরো তাদের জন্য খারাপ লাগে।আসলে এই সময়টাতে এসে কলেজের খারাপ কিছু আর মনে আসে না,যা আসে ভাল গুলাই আসে।
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
মনে বাবলা পাতার কষ লেগেছে.............................. 😀 😀 😀 😀 😀
লেগেছে না, "লাইগাছে" হবে 😀
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
উ ম্যারাদুনা, 😀 😀
ম্যারাদুনা কি জিনিসরে 😛
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
=))
hridoyrakin...
এই জিনিশ অ্যাদ্দিন চোখে পড়ে নাই ক্যান? বস পুরাই :duel: হইসে!
কি যে মনে করায় দিলেন! ফিজিক্স ক্লাস করতে মঞ্চায়! :dreamy: :dreamy:
\"why does the weasel go pop? does it matter?
if life is enjoyable, does it have to make sense?\"
ফিজিক্স বড়দের সাবজেক্ট,ছোট্রা ভূগোল পড়তে যাও 😀
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
'যিনি' ফিজিক্স পড়াতেন 'তার ভূগোল' পড়া হয়েই গ্যাসে!! আহারে কি আকর্ষনীয় জিওগ্রাফীই না ছিল!! :dreamy: 😛
:frontroll: :frontroll: (তাত্তারি ভাগি )
\"why does the weasel go pop? does it matter?
if life is enjoyable, does it have to make sense?\"
আর্টস পার্টির জন্য নায়িককে খুব কাছ থেকে দেখা অতটা সহজ ছিলনা। অনেক সময় নায়ক ক্লাসে না আসতে পারলে নায়িকাকে পাঠাতেন। তিনি এসেই সেলফ স্টাডি দিতেন । আর তখন ই আমরা ভূগোল খুব ভাল বুঝতাম।
ভাই, ভূগোল বুইঝা কি মানচিত্র আঁকতেন, কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্টস টু নো ;;) ;;) ;;)
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
বাবারা কি করো??????