পূর্ব প্রকাশের পর….
শুধুই লেখা অথবা গল্প -১
গল্পের এই বেলাতে মানব মানবীদের মাঝে প্রেম হয়ে গেলো বলে যদি কেউ মনে করেণ সেটা খুব সঠিক বলা যাবে না। কিন্তু সেই পথেই যাত্রা হচ্ছে তাদের এই কথাতে মানব বা মানবী কেউই আপত্তি তুলবে না। কিন্তু সেই পথে বাধা কী হতে পারে? অন্য কোন বস্তুগত বিষয় হলে মানবটি হিসাব কষতে বসে যে, কী হতে পারে তার বিরুদ্ধে সে কী করবে? কিন্তু বিষয়টি একেবারে মানবিক বলে তা হলো না। একেবারে যেমন হঠাৎ একটা ঘোরলাগা ঘটনায় তাদের পরিচয় তেমনি ভাবেই তাদের সম্পর্ক এগিয়ে যায় আরো ঘোরের মধ্য দিয়ে।এই ঘোরটিকে টেনে নিতে মানবীটির অবদান যে বেশি সেটা বলাই বাহুল্যতা। তার স্মপ্নময়ী সত্তা প্রেমকে দেখে এসেছে অন্যভাবে। যে প্রেম তার মনে ধোঁয়াটে কুয়াশা হয়ে ছুঁয়ে গেছে শুধু ,যাকে সে কল্পনার ধোঁয়াশা হয়ে দেখেছে, সে আজ ঘনীভূত মেঘ হয়ে তার জীবনে এসেছে তার চেয়ে পাঁচ বছরের ছোট এক মানব রুপী শুভ্র অনিলের মাঝে ভর করে।
মানব কিছুটা উদভ্রান্ত সেই প্রথম পরিচয়ের দিন থেকে। সে কিছুটা ঝোঁকের মাথায় মানবীর দিকে যে হাত বাড়িয়েছিল, সে হাতে মানবীর বন্ধুত্বের উষ্ণ ছোয়া ঝড় তোলে। সে তার মাঝে মানবীর সত্তাকে অনুভব করে। একেবারে অদ্ভুতভাবে যে কেউ তার বাড়ানো হাত ছুয়ে যাবে সে কখনো ভাবে নি। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সে নানা রকম চিন্তায় চিন্তাক্লিষ্ট হয়ে যায়। তার কাছে প্রেম বড়ো প্রার্থিত। কিন্তু মোহ আর প্রেমের মধ্যকার দূরত্ব সে জানে না। আর তার মনে বাজে শুধু প্রেম শেষ হয়ে যাওয়ার ভয়। মানিকের কথা শুধু কানে বাজে তার। ভালোবাসা এক মাসে মরে যায়। তারপরে কী থাকে? ভালোবাসা ছাড়া সবই থাকে। এইখানে সে বিপত্তিতে পড়ে যায় । কেননা মানবীর সাথে সে শুধু ভালোবাসার বাধনেই জড়াচ্ছে। এর পরিণতি নিয়ে সে ভাবিত হয়ে উঠে ঠিক যতটা নির্ভাবনায় মানবীটি থাকে। মানবকে আষ্টে পৃষ্টে জড়িয়ে ধরে মানবীর ভালবাসা যেমনিভাবে ঝড়ো হাওয়া পথভোলা পথিককে বেঁধে ফেলে। তার স্বপ্নময় সাধারণ চিন্তায় সে ছোয়া পায় মানবীর। বারে বারে সে নতুন ঘোরে পড়ে যেত যখন তার তীব্র চন্দ্রবিলাসী রাতে অনুভব করত তার মত আরেকজনের ভাবনা তার মত করে এগুচ্ছে কিংবা কোন স্নিগ্ধ বাদলা দিনে তার শরীরে লাগা সুই সম বৃষ্টিধারাতে সে কারো পরশ খুঁজে পায়।
এমনি চিন্তাগুলো তাদেরকে আরো বেশি কাছে টানে, এর সব কিছু সত্যি ছিল না দূলোমাটির এই পৃথিবীতে, কিন্তু তাদের দুজনের গড়া অন্য দুটি জগতে সবই সত্য ;কিন্তু ভালোবাসার টানে সময় যত গড়াতে লাগলো এই দুটো জগত তাদের মধ্যকার ব্যবধান ঘুচিয়ে প্রথমে কাছাকাছি তারপরে খুব কাছাকাছি তারও পরে মিশে যায় এক বিন্দুতে। আর সে বিন্দু প্রথমটায় এই ধূলামাটির পৃথিবী হতে অনেক দূরে থাকলেও তাদের তীব্র সর্বনাশী প্রেম সে বন্দুকে এতটা শক্তিমান করে ফেলে ব্ল্যাক হোলের মতো
ধরিত্রীকে শুষে নেয়। শুষে নেয় শুধু দুইটি মানব মানবীর জন্য।
মানবীর তীব্র আকর্ষনী কিংবা সম্মোহনী ক্ষমতা সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মানবের শঙ্কাকে উপলক্ষ করে দেয় শঙকামুক্তির আনন্দ উদযাপনের। তাহলে তাদের মাঝে কোন কৃত্রিমতা ছিল না? এই প্রশ্নের জবাব দেয়াটা দুঃসাধ্য, কেননা তাদের সম্পর্ক অন্যদের মত না আবার একেবারেই সবার মত; যেন গ্রীক বীর একিলিস তার চারিত্রিক স্ববিরুদ্ধতার বিশেষ গুনটিকে তাদের ভালোবাসার জন্য দিয়ে যান এই ধরার বুকে নেমে এসে। এই স্ববিরুদ্ধতার একিলিসীয় দিকটি মানব মানবীর কেউই অবগত ছিলেন না। তারা সাধারণ অনুভূতি প্রবণ মানুষের মতই শুধু ভালোবেসে যেতেন। নিজের ভালোবাসার মানুষের সান্নিধ্য লাভেই নিহিত ছিল তাদের ভালো বাসার প্রকাশ।সান্নিধ্য লাভ কখনো হয়েছে শুধুই পাশাপাশি বসে, কিংবা কোন হাওয়ার রাতে বাতাসের ঝাপটা গায়ে জড়িয়ে কিংবা কখনো খুনসুটি ; টানা ভালোবাসার একঘেয়ে ক্লান্তি থেকে বিরতি নিতে তাদের মাঝে কথা বলা মুখ দেখা দেখি বন্ধ যে হয়নি তা বলতে পারি না, কিন্তু সাধারণ দশটা ভালোবাসার মতোই সেসব ঘটনা তাদের দূরত্বকে কমিয়ে গেছে শুধু।
তাদের প্রেমের অসাধারণ অথবা অস্বাভাবিক দিক হচ্ছে সম্ভাবনা হীনতা। নিশ্চিতভাবে সাধারণ দশটা প্র্বেম যেমন রুপকথার গল্পের মত “অবশেষে সুখে শান্তিতে বসবাস করল” টাইপ সম্ভাবনা নিয়ে তৈরি হয়নি।সাধারন্যে তাই এর প্রতি বিরাগ থাকাটা বিচিত্র ছিল না। যারা কখনো স্বামী স্ত্রী হয় না এমন ভালোবাসা হয় না? হয় বটে কিন্তু সেটা সম্ভাবনা হীনতার মাঝে শুরু হয় না।তাই সেই সব প্রেমে বিয়ের আগে মন অথবা দেহ কিংবা দুটোরই আদান প্রদান হতে দেখলে যতটা বিপ্লব এসে উপস্থিত হয়, তার চেয়ে ঢের বেশি প্রতিক্রিয়া সাধারন্যে ঘটে এই দু মানব মানবীর রিকশায় চড়ে কোন বৃষ্টি সিক্ত দুপুর উপভোগে।
তাদের এই পারস্পরিক তীব্র চেতনা তাদেরকে নিয়ে যেতে থাকে বিপন্ন ভবিষ্যতের দিকে।
(চলবে)
আগে ১ আর ২ পইড়া নেই, তারপর কমেন্টামু। 😀
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
ডরাইছি ভাই।খারাপ লাগলে পাঙ্গাইয়েন না।
আপনেরে বড় ডর লাগে । 😕 😕 😕
চু... ভাই, লেখা চ্রম লাগল ... একসাথে তিন পর্ব পড়ায় মজাটা বেশী পাইলাম।
তুই আমার ইমেজ নষ্ট করার যেই ধান্দা ধরছস তার জন্য তোর সব সুদ্ধা ভ্যান দাবী করি ... আমি জীবনে কাউরে পাংগাই নাই ... 😉
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
ধন্যবাদ ভাইয়া লেখা ভালো লাগার জন্য।
ডর লাগলে কী করি ভাই কন? 😛
আগের দুই পর্ব সহ আবার পড়লাম।
আমিনের লেখার স্টাইলের নিজস্বতাটা সুন্দর :clap: :clap:
তৃতীয় পর্বে এসে ধারণার বিপরীতে ঘটনা টানলি দেখি 😀 অন্য কিছু ভাইবা ধরা খাইছি 🙂
চলুক পূর্ণোদ্যমে একই গতিতে 🙂 :clap: :clap:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি নিজে কিছুই টানি নাই লেখতে থাকলে লেখাই আমারে টানে।
তবে এটা লিখতে বসছিলাম বিকেলবেলা।শেষ করতে করতে রাত হইলো।
এখন আপনার কমেন্ট পাইয়া মনে হইতেসে স্বার্থক খেটে খুটে লেখা। :shy: :shy: :shy:
আমিন, এটা কি অসম প্রেমের কাহিনী? তোমার লেখার ধাচে একটু ভিন্নতা খুজে পাচ্ছি, ভালই লাগছে। চালিয়ে যাও
কী যে লেখতেসি নিজেও জানি না। 😀 😀 😀
ধুর মিয়া! আরো তাড়াতাড়ি দিতে পারো না পর্ব গুলি। এক পর্বের জন্য এতোদিন বইসা থাকতে হয়।
সারাদিন খাইয়া না খাইয়া ধুমাইয়া লিখবা 😀
ভাই রে এই পার্ট টা লিখতে আমার গতকাল সারা বিকাল লাগছে।
তাইলেই বুঝেন । আমি কচ্ছপ গতিতে আগাই।
জানি এর ফলে পাঠকদের বড়ই সমস্যা হয়।
পরের পার্ট ইয়া বড় করে একবারে শেষ করা যায় কিনা দেখব!!!!!!!!
এই লেখাটা কিন্তু প্রথম পার্ট অনেক আগে লেখা।
আপনাদের উৎসাহে পরের দুইটা পার্ট লিখছি।
আমি যেই আইলসা।
না গুতাইলে আমারে দিয়া কিছু হয় না....।
ছি! আমি পোলাপাইনেরে গুতাইতে পারুম না।
মানুষে খারাপ বলবে। 😛 😛 😛
🙂 🙂 🙂 🙂 🙂
:)) :)) :))
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
আমিন, এক কথায় চমৎকার।
তোমার লেখার একটা নিজস্ব স্টাইল আছে, দেখে ভালো লাগল।
পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
পরের পর্বটা আমি যথা সম্ভব তাড়াতাড়ি দেয়ার চেষ্টা করবো।
আমার লেখার স্টাইলটা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন ভাইয়া।
সবগুলা এক কইরা পিডিএফ দিও।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ঠিক আছে ভাইয়া।
কিন্তু পিডিএফ কেমনে দিতে হয় তা তো জানি না।
আমি আমার কম্পিউটারে একটু বস(!) কিনা।
test comment... B-)
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
বেলাডি জুনা x-(
আবার কমেন্টে ভাসানোর জন্য নতুন পোস্ট টার্গেট করছোস দেইখা তোর ব্যাঞ্চাই 😡 😡
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
test...hello
আরে 1,2,3 এইগুলা কই গেল?
আগেরটায় তো সেঞ্চুরী হয়েই গেছে... 😉
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
এই টাও বেশ ভাল মনে হচ্ছে...
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
উইকেটে প্রচুর রান লুকিয়ে আছে... B-)
রান ও রান...কই গেলি তোরা???? :-B
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আমারো তো তাই মনে হচ্ছে রে!
কিন্তু আমার সময় তো ফুরিয়ে এল! বেশীক্ষন টিকতে পারবনা মনে হয়! 🙁
আবারো প্রচন্ড স্পোর্টসম্যানশিপের নজির রেখে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যাচ্ছি :hatsoff:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কাইয়ুম ভাই, আপনি হেরে গিয়ে জিতে গেলেন।
আমি প্রচন্ড ইমোশনাল হয়ে গেলাম। :(( :((
আবার ভাসব নাতো??? :((
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
তানভীর ভাই, মেইল বক্সের স্প্যাম ফোল্ডার চেক করেন... 😉
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ