সহজ ভাষায় ইংরেজ়ী- পর্ব দুই!!

[গতকাল থেকেই মনটা খারাপ…কিছুতেই ভাল হচ্ছে না। আমি জানি আমার মতন বাকি সবারই একই অবস্থা…কি করা যায়-ভাবতে ভাবতে মনে হল, আরে তাই তো ইরফানকে স্মরন করা যায়…ওর কথা মনে পড়লে মেজাজ খারাপ হতে পারে, তবে মন খারাপ ভাবটা যে কেটে যাবে তাতে কোন সন্দেহ্‌ নেই…!!!]

-‘হ্যালো, ইরফান, কই তুই?’- মোবাইলে জিজ্ঞাসা করলাম আমি।
-‘আনরাইপ মার্কেট-কাঁচা বাজারে!!’
-‘কাঁচা বাজারে?? তুই ওখানে কি করিস?’

বিস্তারিত»

সহজ ভাষায় ইংরেজী!

-‘দোস্ত, কাল যে আইলানা?? কি হইছিল??’
-‘আই ওয়েন্ট টু ইট আ ম্যারেজ ইয়াস্টার্ডে!!’

ইট আ ম্যারেজ! আমি চট্‌ করে বুঝে ফেললাম ইরফান কি বলতে চাইল। ব্যাটা ক্র্যাক!! বছর খানেক আগে ওর হঠাৎ করে মনে হল ইংরেজী ভাষাটা ইচ্ছা করে বেশী কঠিন করা হয়েছে…! সাদা পশ্চাৎধারীরা বানিয়েছে বলেই কি ওদের মতন করে বলতে হবে?? ভাষা হচ্ছে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য এবং তা ব্যাকরণের দোহাই দিয়ে কঠিন করার কোন মানে হয় না…অকাট্য যুক্তি!

বিস্তারিত»

উদ্ভট ফ্যান্টাসী-২

আগের পর্ব
৪/

আজকের সিসিবি সমাবেশ টা একটু অন্যরকম হল। অন্যান্য বারের চেয়ে পরিবেশটা একটু ভারী। কারন- গ্যালাক্সীর সিনেটের নতুন বিল। যেটাতে ক্যাডেট কলেজকে ভার্চুয়াল করে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। যাতে ক্যাডেটরা কলেজ লাইফ এর টেষ্ট নিবে শীতল ঘরে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে।

বন্যঃ “ফাজলামো পাইছে? সবগুলা কাউন্সিলররে গ্রিশিন গ্রহে বন্দী করে রাখা উচিত।“
মাশরুফঃ “দাড়ান, এইবার এমন কিছু করতে হবে,

বিস্তারিত»

নিরুদ্দেশ

১.
অনেকক্ষণ ধরে পজিশন নিয়ে আছে অপু। জানালার ফাঁক গলে এয়ারগানের নলটা বাড়ির পাশেরই এক গাছে তাক করা। গাছে চড়ুই পাখির বাসা আর জানালার এপাশে বিছানার উপর অপু। নতুন বাঁচ্চা ফুটেছে চড়ুইটার, দুটো ছানা। মা চড়ুইটা বাসায় আসলেই বাচচাগুলো কিচির মিচির করে মায়ের মুখ থেকে খাবার কেড়ে খায়, অপুর দেখতে ভাল লাগে। মা-টা আশেপাশেই আছে হয়ত, খাবার খুঁজতে ব্যস্ত। কিন্তু আজ মা চড়ুইটার নিস্তার নেই অপুর হাত থেকে,

বিস্তারিত»

উদ্ভট ফ্যান্টাসী

অনেকদিন ধরে কিছু একটা লিখবো চিন্তা করতেছিলাম। এখন সিসিবি এর যেই লেখার স্রোত চলতেছে, ভাবলাম, উদ্ভট কিছু দেয়ার এইতো সময়।
১।
জিহাদ এর ফোনে হঠাৎ ঘুম ভাংলো।
“রবিন ভাই, নেক্সট উইকে যে সিসিবি গেট টুগেদার আছে, মনে আছে?”
ওহ, তাইতো, ভুলেই গেসিলাম।
“না ভাই, ভুলবো কেন?” খুব ভাব নিয়ে বললাম।
“তুমি আমাকে প্রোগ্রাম ডিটেইলস টা আমার কমিউনিকেশন মডিঊলে সেন্ড করে দিও।“

চিন্তা করতে লাগলাম,

বিস্তারিত»

একটি কাল্পনিক গল্প!!!

‘নিজের বাড়ির আলাদা একটা ঘ্রান আছে’-মনে মনে ভাবলেন আমানুল্লাহ্‌ চৌধুরী। কই,থাইল্যান্ডএ গত দুবছর যে এক বাসায় থাকলেন একবারও তো এই ঘ্রানটা পেলেন না…অবশ্য পাবেনই বা কি করে? ছিলেন পুরো দৌড়ের উপর। দেশে দূর্নীতি দমনের নামে যে ধর-পাঁকড় শুরু হল তা থেকে বাঁচার জন্য প্রথমে ঢাকা-দুবাই, এরপর দুবাই-লন্ডন সবার শেষে লন্ডন-ব্যাঙ্কক! থাইল্যান্ড গিয়েও কি শান্তি ছিল? দলীয় কোন্দল, বেইমানির ভয়, স্থানীয় পুলিশের ভয়- আরও কত কি!!!

বিস্তারিত»

নিয়তির নির্মম প্রতিশোধ!!!

মোঃ হাসমত আলী মানুষ হিসাবে খুবই নিকৃষ্ট শ্রেণীর। লোভী, ধূর্ত, হীন মনের অধিকারী। বয়স পঁঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই করছে। বিবাহিত এবং দুই কন্যার জনক। তাদের বয়স যথাক্রমে ১৬ এবং ১২ বছর। স্ত্রী ও দুই কন্যা- আয়শা ও আম্বিয়াকে নিজ জেলা মাদারীপুর রেখে ম্যারিড ব্যাচেলর হিসাবে চাকুরি করছেন। কর্মজীবনে তিনি নড়াইল জেলার কালিয়া থানার শিক্ষা অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষক। মানুষ যেমনই হোন না কেন, হিসাব তিনি খুব ভাল বোঝেন-এটা তার চরম শত্রুও মেনে নেবে।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজে চান্স

আমরা তখন গাজিপুর থাকতাম। প্রথম ক্যাডেট কলেজের নাম শুনতে পাই অনিল স্যারের কাছ থেকে। উনি একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং সেই স্কুল থেকে নাকি ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দেয়া যায়। আব্বু খুব শখ করে ওই স্কুলে ভর্তি করে দিল আর আমিও খুব শখ করে পড়াশুনা শুরু করলাম। লিখিত পরীক্ষার সময় চলে আসল। আমার সিট পরেছিল ঢাকা রমিজউদ্দিন স্কুলে। পরীক্ষার সময়ের একটা স্মৃতি খুব মনে পরে যে ইসরাইল হক স্যার গার্ড ছিলেন আর একটা ছেলেকে নকল করার সময় পাকড়াও করেছিলেন আর ছেলেটা স্যারের পায়ে ধরে কান্নাকাটি করছিল।

বিস্তারিত»

রিমঝিম

আজ আমি অনেক সুখী। রিমির কাছে যাচ্ছি। তার পছন্দের সাদা রঙের চেকশার্ট পড়েছি। ম্যাচ করে সাদা স্যুট। ইচ্ছে করেই টাইটা ঠিক করে পড়িনি। ওটা রিমির জন্য। জানি আমার টাই দেখে রিমি বলবে, “বুড়ো হয়ে গেলা!! টাইটাও ঠিক মত পড়তে পার না !?”। তারপর ও নিজেই টাই ঠিক করে দিবে। আমি মুখে মিথ্যে লাজুক হাসি দিয়ে তাকিয়ে থাকব, ওর দিকে।

রিমির সাথে আমার পরিচয়টা দূর্ঘটনা দিয়ে।

বিস্তারিত»

নব্বইয়ের হ্যামলেট (লেখকের টুকিটাকি কথা)

পর্ব-সাজ্জাদ
ফারজানা তাবাসসুম বলছি
যোবায়ের-কথন

সচেতন পাঠক হিসেবে তো বটেই, এই সিরিজে লেখক হিসেবেও আমি মনে করি, এইখানে সিরিজ শেষ করাটা ঠিক হচ্ছে না। আরও কয়েকটা পর্ব আসা উচিত। শম্পার কথা যদি নাও গুনি, তবুও মিনহাজ আর জিসান কে নিয়ে অন্ততঃ আরও দুটো পর্ব আসলে ব্যাপারটা একটা কিছু হলেও দাড়াতে পারত।

উলটো পিঠের যুক্তিও আছে,

বিস্তারিত»

রুলস অব দ্যা গেইম

[ রেনোয়া নির্মীত ফিল্ম এর মধ্যে ‘রুলস অব দ্যা গেইম’ নামটি আমার ভীষণ প্রিয়। অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম নামটি কোথাও ব্যবহার করার। সুযোগ বুঝে মেরে দিলাম]

১.
জুই খুব সাধারণ মেয়ে। খুব সাধারণ তার জীবন যাপন। সে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। তার বয়স কুড়ি। প্রথম নজরেই তার চেহারার যে বিষয়টি সবার নজরে পরে তা হল বিষন্নতা। আর কারো কথা জানি না তবে জুই প্রমান করতে পেরেছে যে বিষন্নতাও মানুষের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে পারে।

বিস্তারিত»

নব্বইয়ের হ্যামলেট (যোবায়ের-কথন)

পর্ব-সাজ্জাদ
ফারজানা তাবাসসুম বলছি

০০০০০০০
– হ্যালো যোবায়ের সাহেব বলছেন।
– বলুন
– দেখুন, আমি …… বলছি। গত দশদিন ধরে আপনি যেখানে যেখানে যান, ক্যান্টিন, দুলু ভাইয়ের দোকান, হল, হলের ক্যান্টিন, সবখানে আমরা একটা মেসেজ দিয়েছি, আপনি কি এটা পাননি। আপনার হলের প্রভোষ্ট এবং ডিন কেও মেসেজ দেয়া ছিল।
– পেয়েছি, কিন্তু দরকার মনে করিনি,

বিস্তারিত»

নব্বইয়ের হ্যামলেট (ফারজানা তাবাসসুম বলছি)

পর্ব-সাজ্জাদ

আমার দেখা পৃথিবীর সবথেকে কুতসিত কাপল হচ্ছে মিষ্টার হোদল কুঁত কুঁত আর মিসেস ডিম্পল কাপাডিয়া। মিজ কাপাডিয়া কি দেখে যে হোদলটাকে বিয়ে করেছে, এই হিসাব আমি সারা জীবনে মিলাতে পারব বলে মনে হয় না। একসংগে পড়ত এইটা জানি, হোদল খুব মেধাবি, তাও মানি, কিন্তু এই গুলোই কি সব, নাকি তাদের মধ্যে বিয়ের আগেই কোন বোঝাপড়া হয়েছিল। হতে পারে, হলেই ভালো,

বিস্তারিত»

নব্বইয়ের হ্যামলেট (পর্ব-সাজ্জাদ)

ঠিক সূর্য্য উঠার আগে আগে, যখন মসজিদ থেকে লোকজন নামাজ পরে বের হয়, সেইসময়টায় রাস্তা দিয়ে হাটতে আমার খুব ভালো লাগে। সব কিছু সুনসান, একটা কেমন নিরব পরিবেশ, প্রকৃতিতে আর একটা ব্যাস্ত দিনের প্রস্ততি, মাঠের ঘাস গুলো ভেজা ভেজা, পাখির ডাক, আমি বেশ অনুভব করি। দিনের আলো গলে গলে পরে আমার উপর, আমি যান্ত্রিক আর একটা দিনের প্রস্তুতি নেই।

কাল চলে যাব এখান থেকে,

বিস্তারিত»

নীল

লোকটা আমার দিকে ভাঙাচোরা একটা হাসি নিয়ে তাকাল।
আমি কিছুটা বিরক্ত হলাম। দুপুর একটা থেকে আড়াইটা- এই দুই ঘণ্টা- আমার একার। এই সময় আমি আমার অফিসের পাশে ছোট্ট রুমটায় কাটাই। রুমে একটা ডিভাইন খাটে- আধশোয়া হয়ে টিভির দিকে তাকিয়ে থাকি। সবাই জানে- অতিরিক্ত জরুরী কোন কাজেও এই সময় আমাকে বিরক্ত করা যাবে না।
কিন্তু আমার কোম্পানীতে একদল গাধা কাজ করে। গাধাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় গাধা হলো- আমার সেক্রেটারী নিশাত।

বিস্তারিত»