অত্যাচার

বাবা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। এও কি হতে পারে? সম্ভব? তবে তিনি গেছেন। এ সত্যটি জানার পর দুটি বিষয় আমাদের সবার নজরে এল। বাবাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে এই বিষয়টিই এর আগে কারো মনে হয়নি। তাঁর জন্য সবাই কাতর হয়ে পড়লাম। এ ঘটনার আগে তাঁর অনুপস্থিতি আমরা কেউ কখনো টের পাইনি। বাবাকে ভালোবাসি কি-না তা নিয়ে কখনো ভাবিনি, ভাবতে হয়নি আসলে। তিনিই বোধহয় আমাদের ভালোবাসা চাননি।

বিস্তারিত»

বেস্ট ফ্রেন্ড

আজ নীলার বিয়ে।মা মরা বাড়ি র একমাত্র মেয়ে।আদর টা তাই ওর একটু বেশি। বাবা কখনই মেয়ের কোনো আব্দারের সাথে পেরে ওঠেননি।বাবাকেও অনেক ভালোবাসে নীলা।এক এক করে সব অতিথিরাই আসছে।এখোনো আসেনি কেবল নীলা র বেস্ট ফ্রেন্ড রাফি।
..
বাবাকে জিজ্ঞেস করে নীলা
-বাবা রাফি কি এসেছে?
-না মা ও তো এখনো আসেনি।
প্রচন্ড রাগ হয় নিলার।রাফিটা এমন কেন?ও না আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।অথচ আমার বিয়ের দিনটাতেও কি এমন কাজ ওর?

বিস্তারিত»

হারানো গল্পের ডায়েরি থেকে

আমার কেমন লেগেছিলো সেদিন তা আমিই কেবল বলতে পারবো।। আর কেউ হয়তো জানবেনা।।কতো ইচ্ছা ছিলো একসাথে জ্যোৎস্না দেখবো।।তোমায় পায়েল পড়িয়ে দেওয়ার খুব শখ ছিলো আমার।।কোনো ১টি বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে একসাথে ভিজতে চেয়েছিলাম।।খুব কি বেশি কিছু ছিলো?তোমার চোখের পানি আমি নিতে পারতাম না।।এখোনো পারিনা নিতে।আমি সেদিন যা ছিলাম আজ ও তাই আছি।।আমি আর জ্যোৎস্না দেখিনা।।দরজা বন্ধ করে কাদি।।বৃষ্টি হলেও টিনের ঘরটাতে যাইনা আর আজ।।আর অপেক্ষা করিনা,কোনো আশাও বাকি রাখিনি।।

বিস্তারিত»

বেতাল

কখনো ডায়েরি আর কলমটাকে কোলের ওপর ফেলে রেখে দেয়ালের দিকে শূন্যচোখে তাকিয়ে থাকা, কখনো গিটারের তারে আঙুলের নানা মাপের চাপে-টোকায় সুর খোঁজা, কখনো ইয়ারফোন কানে গুঁজে চোখ বুঁজে বুঁদ হওয়া। নিলয় যতক্ষণ বাসায় থাকে, ততক্ষণ এ তিনটা দৃশ্য চোখে পড়ে। ডায়েরি, গিটার আর ইয়ারফোনের তিন ইয়ারী কথা আদতে একটা গল্পই বলতে চায়। নিলয়ের তন্ময়তা চোখে পড়ে, অস্থিরতার আঁচ পাওয়া যায়। ভেতরে ভেতরে বেসুরো-বেহাল এক বাদ্যযন্ত্রের মত নিলয় প্রায় নীরব ও নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকে।

বিস্তারিত»

‘সাইলেন্ট নয়েজ’র মোড়ক উন্মোচন

প্রতিশ্রুতিশীল গল্পকার জ্যাকী কবীরের ছোট গল্পের প্রথম সংকলন ‘সাইলেন্ট নয়েজ’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে ২৯ জানুয়ারী।

রাজধানীর ধানমন্ডির ইএমকে সেন্টারে বইটির মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্য সমালোচক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফখরুল আলম, ইন্ডিপেনন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রাজিয়া সুলতানা খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসাদ মরতুজা, সানবীমস স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক নুসরাত হক।

জ্যাকী কবিরের লেখা ১৫টি ছোট গল্পের সংকলন ‘সাইলেন্ট নয়েজ’ প্রকাশ করেছে পাঠক সমাবেশ।

বিস্তারিত»

মেঘ, বৃষ্টি এবং অগণিত বর্ষা

আমি ওকে কখনোই বলতে পারতামনা।।আসলে পারিওনিতো।ও আমাকে সবসময় বলত-
-মেঘ একটা প্রেম করনা দোস্ত।একা একা আর কতদিন?
বৃষ্টির কথাগুলো সবসময় বিঁধত আমাকে।ওরা আসলে বোঝেনা।কিংবা বুঝেও না বোঝার ভান করতে পছন্দ করে।তাই এভাবে পাশ কাটিয়ে যেতে চাইতো সবসময়।আমিও তাড়াহুরো করিনি।সময় নিয়েছি।বুঝিয়েছি নিজেকে।আমার সুখদুঃখ হাসি কান্নার সাথী কি সত্যিই আমাকে আরো আপন করে চায় নাকি এটাই ওর শেষ।বৃষ্টি ছিল আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু।আমার সবচেয়ে আপনজন।তাই ওর অপেক্ষাই আমাকে একা রেখেছিল।কিছু তো করার নেই।ভয় পেতাম।ফের যদি হারিয়ে যায়।সেই কষ্টটা তো আমি নিতে পারবোনা।তাই অপেক্ষা।সবচেয়ে বড় প্রতীক্ষা।মেঘ তো বৃষ্টি র জন্যই অপেক্ষা করবে তাইনা?আমিও করেছি।কখনো ভাবিওনি যে মেঘ ছাড়া বৃষ্টি পড়তে পারে।পারেনা তো।আমিও চালাকি করে পাশ কাটিয়ে যেতাম।ও কিন্তু সুযোগ পেলেই বলত-
-প্লিজ মেঘ,করনা ১টা প্রেম!!

বিস্তারিত»

হঠাৎ হাওয়ায় নির্বাপিত

হঠাৎ হাওয়ায় নির্বাপিত

২৯ ডিসেম্বর ২০১৬। অন্যান্য দিনের মতই সকালে ঘুম ভাঙ্গার পরেও একটা ঘুম ঘুম আমেজ নিয়ে কিছুক্ষণ বিছানায় শুয়ে র’লো রুখসানা। বিছানায় শুয়ে শুয়েই স্মৃতির যাবর কাটতে থাকে। একদিন কত ব্যস্ত ছিল তার দিন! সেই সাত সকালে ঘুম থেকে ওঠা, বাচ্চাদেরকে স্কুলের জন্য তৈরী করা, স্বামী অফিস যাওয়ার আগে তার নাস্তাটা টেবিলে পরিবেশন করা, তারপর একে একে সবাই বেরিয়ে গেলে নিজের ঘর সংসারের কাজে মন দেয়া।

বিস্তারিত»

অসংলগ্ন

নাহরীন মৌলি চ্যাটার্জীর ছবিটার দিকে তাকিয়ে কি যেন খোঁজে। লাল স্লিভলেস ব্লাউজ। কালচে খয়েরী শাড়ি। গলায় অ্যান্টিক নেকপিস (কাঠমাণ্ডুর জুয়েলারি বোধহয়, ফেসবুকে কালারস অফ কাঠমাণ্ডু পেজটাতে এমন একটা নেকপিস দেখেছে)। চোখের ঢাউস চশমায় চেহারায় একটা গম্ভীর পড়ুয়া-ভাব। আরেকটা ছবিতে চশমার নিচে দুরন্ত চোখ, ঠোঁটে ছেলেমানুষী। গম্ভীর গভীর গাঢ় নীল আর উচ্ছলতার হলুদ মিলে সবুজ সতেজ। নাহরীনের মনে রঙের উপমাটাই এল। মৌলির সৌন্দর্য আর ব্যক্তিত্বের বলয়ে ঢুকে পড়তে না পড়তেই ঈর্ষাবাহী একটা তরঙ্গ মাথা থেকে নামে পায়ে।

বিস্তারিত»

কষ্টের জোছনা

সক্রামক ব্যাধি নিয়ে কাজ করছি বেশ কিছুদিন হয়ে গেলো, এপিডেমিক হিস্টোরি বলে একটা টার্ম আছে, এর মানে হলো ডাক্তার রোগীর কাছে জিজ্ঞাসা করে কিছু গুরুত্বপূর্ন ক্ষেত্রের প্রশ্নের উত্তর জেনে নেবে। যেমন ধরা যাক রোগী ছয় মাস আগে ডেন্টিসের চেম্বারে দাঁতের চিকিৎসা করিয়েছে, আর এখন তার জন্ডিস হয়েছে, ডেনিস্ট এর যন্ত্রপাতির কারনে ডাক্তার এখন হেপাটাইটিস বি স্ক্রিনিং করাবে, কারন হেপাটাইটিস বি ভাইরাস মানুষের শরীরে চুপচাপ ছয় মাস পর্যন্ত বসে থাকতে পারে,

বিস্তারিত»

টলমল জল মোতির মালা দুলিছে ঝালর –পলকে!!!

ফযরের আযান শুনে নীলার ঘুম ভাংলো। উঠি উঠি করেও অভ্যেস বশতঃ কিছুক্ষণ বিছানায় শুয়েই এপাশ ওপাশ করলো। তারপর গা ঝারা দিয়ে উঠে সে বিছানার পাশে দখিনের জানালার পর্দাটা সরিয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ বাইরে তাকিয়ে থাকলো। দুই একজন মসজিদমুখী মুসল্লীর হেঁটে যাওয়া নির্বিকারভাবে তাকিয়ে দেখলো। জানালার কাঁচটা কিছুটা সরিয়ে দিয়ে নেটের ফ্রেমটা টেনে দিল। ঝিরঝিরে মৃদু সমীরণ শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছিল। নীলা ওযু করে এসে ফ্যানটা অফ করে দিয়ে নামাযে দাঁড়াল।

বিস্তারিত»

একটি ছোটগল্প, অন্যটি চতুর্দশপদি

প্রেম বনাম ফ্লার্ট

অহন আমি জাইনা গেছি, তুমি তারে ঘেন্না করো
ক্যান? ক্যান বা তার কথাগুলান বিষের লাহান
ঠেকে তোমার কানে? বুঝো নাই, তোমারে সে যে বড়
বাইসাছিল ভালো। তোমার জন্য পর্বত-প্রমান
প্রেম সাজাইয়া, হাত মেইললা – বইসা ছিল সে,
অপেক্ষার প্রহর গ্যাছে, আর তার প্রেম বাড়ছে।
কিন্তু তুমি যে তাঁর কাছে প্রেম চাও নাই, সেইটা
সে জানতেও পারে নাই।

বিস্তারিত»

মুক্ত

লাইন ম্যানেজার আমাকে আমার ডেস্ক দেখিয়ে দিলেন। বিশাল ফ্লোরের একদম শেষ মাথার পশ্চিম কোণের কিউবিকলে। একেকটা কিউবিকলে তিনটা ডেস্ক। আমার চারপাশে একবার চোখ বুলিয়ে খানিকটা ঘাবড়ে গেলাম। আমার কিউবিকলের বাকি দু’জন সহকর্মী নারী। পাশের কিউবিকলের তিনজনই নারী। আমার আগে এ ডেস্ক যার দখলে ছিল তিনিও ছিলেন নারী। দেখে মনে হচ্ছে এখানটায় মেয়েরা নিজেদের বেশ একটা সুরক্ষিত সংরক্ষিত এলাকা বানিয়ে ফেলেছে। আমার অসহায় চেহারা দেখে লাইন ম্যানেজার পিঠ চাপড়ে বললেন,

বিস্তারিত»

ফেসবুকের মানুষগুলো ( পর্ব – ৫)

ঠিক কি কারণে ঘুমটা ভাঙ্গলো হঠাৎ বুঝে উঠতে পারছে না মালিহা। জানালা দিয়ে আসা কড়া রোদ নাকি কাকের কা কা ডাক??

কিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে থাকার সিদ্ধান্ত আবার। আজকে ছুটির দিন। এতো আগে উঠে কি হবে!

 

“মালিহা, ওই মালিহা তোর একটা পার্সেল এসেছে”- রুমের জানালায় বান্ধবী ইশরাত এর গলা। চোখ মেলে তাকালো সে। তাকে পার্সেল কে পাঠাবে! বাসা থেকে তো পার্সেল আসার কথা না।

 

ঘুম ঘুম চোখে উঠে গিয়ে দরজা খুলে দেয়।

বিস্তারিত»

★★বংশ★★

নিশ্চুপ বিকেল। রমজানের শেষ ভাগ। ঝুম বৃষ্টি। নিজের চেম্বারে শিহাব। বড় মেয়ে ফোন করেছিল। কথা হল। ঈদের কেনাকাটা সংক্রান্ত।
আর তিনদিন পরেই ঈদের ছুটি। এবার আর বাড়ি যাওয়া হল না শিহাবদের। নাড়ির টান। এর অনুকূলে ভাসা হল না। টিকেট পেতে পেতে ও.. কনফার্ম হল না।

‘তুমি কি আসলেই যেতে চেয়েছিলে? যদি চাইতে তবে টিকেট কোনো ব্যাপারই ছিল না।’ – নিজের কাছ থেকে এমন রুঢ় কমপ্লিমেন্ট,

বিস্তারিত»

তান্ত্রিকের ছোবল

১.
বাড়িটা দোতলা, একটু পুরান ধাঁচের। শ্যাওলা জমে সাদা রঙের দেয়ালে সবুজ সবুজ ছোপ পড়েছে। উঁচু দেয়াল পুরো বাড়িটাকে ঘিরে রেখেছে। জায়গাটা একটু নির্জন, শহরের বাহিরে। এজন্য সবুজের ঘাটতি এখনও দেখা দেয়নি এখানে।
‘আমার নাম আদনান।’ গেটের দারোয়ানকে নিজের পরিচয় দিল ও। ‘আমাকে আজকে আসতে বলা হয়েছিল।’
‘বড় সাহেব আপনার কথা বলেছে আমাকে। ভেতরে যান।’
দারোয়ানকে কিছুটা ভয়ার্ত মনে হল আদনানের।

বিস্তারিত»