ছোট গল্পঃ সহকর্মী -০১ : নীলা এবং সাজিদ

ছোট গল্পঃ

সহকর্মী -০১ : নীলা এবং সাজিদ

নীলা এবং সাজিদ খুব ভালো সহকর্মী। অনেক টা বন্ধুর মতন। ঠিক বন্ধু বলা ভুল হবে। নীলা, সাজিদ এর খুব কাছের এক বড় ভাইয়ের স্ত্রী। নীলা এর একজন বেষ্ট ফ্রেন্ড আছে যে কিনা নীলা এর সবসময় কাছে ছিলো , আছে, থাকবে। তাই সাজিদের জায়গা ঠিক বন্ধুত্বের বলয়ে নয়। আবার নীলা – সাজিদ এর মাঝে কোন প্রেম ও নেই।

বিস্তারিত»

আনবিয়ারেবল মিনিংলেসনেস অফ বিয়িং

দীর্ঘ ছুটিতে কোথাও যাইনি আমি। কোন রেস্টোরেন্টে, শপিংমলে, বইয়ের দোকানে, পার্কে, বন্ধু-বান্ধবের চৌকোনা ঘরে, কোন সভায়-আড্ডায়–কোথাও না। কোন প্রেমিকের মুঠোয় যাইনি, রিকসায় ঘেঁষিনি। নদী-সমুদ্র,পাহাড়-জঙ্গল কোথাও নিজের শ্বাসমূল খুঁজিনি। তেড়িয়া অভিযাত্রীর ঘাড়ে শুয়ে থাকা ক্যামেরার চোখে আমাজনের দুর্গম নাড়ী-নক্ষত্রে ঘুরেছি (ইউটিউবে)। এই দীর্ঘ আলস্যমোড়ানো ছুটিতে আমার হাত-পায়ের আড়মোড়া ভাঙাতে বুয়া চিকুনগুনিয়ায় নিরুদ্দেশ হল। আমরা–আমি আর আমার ঘরের দেয়াল আঁকড়ে থাকা দশাসই টিকটিকি তবু স্থানচ্যুত হলাম না।

বিস্তারিত»

রতন ও তার নায়িকা

১.

বর্গাকৃতির বিশাল পুকুরটার উত্তরে যে অংশটা বাঁধানো, তার ঠিক পাশেই বড় একটা জলপাই গাছ আছে। পরিণত দুপুরের নির্দিষ্ট একটা সময়ে গাছের ছায়া লাল মাটিতে এমনভাবে পড়ে যে, তাকে ঝাঁকড়া চুলের শীর্ণ কিশোর বলে ভ্রম হয়। ঠিক সেই ছায়া বরাবর হাঁ করে দাঁড়িয়ে এই গ্রামের এক কিশোর, রতন। শীর্ণ ঠিকই, তবে মাথার চুল ঝাঁকড়া নয়, ছোট করে কাটা। ছোটখাট কৃষ্ণগাত্র, পরনে ময়লা ধূসর হাফপ্যান্ট।

বিস্তারিত»

ঈমান আলীর হজযাত্রা

ঈমান আলী যেদিন তার স্ত্রী রাহেলার সাথে বসে হজ করার জন্য মক্কা-মদিনায় যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা সবাইকে জানাল, সেদিন থেকে তার চারপাশের মানুষগুলো দিন-থেকে-রাত হওয়ার মতো বদলে গেল। তার বন্ধু-স্বজন—সবার ব্যবহারে অজ্ঞাত এক পরিবর্তন লক্ষ করল সে। তার প্রতি সবার আচার-আচরণ বদলে গেল। এ সিদ্ধান্তে তার স্ত্রী নিজেও কিছুটা অবাক হলেও, নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে স্বামী যেন তার ইচ্ছে পূরণ করতে পারে সে ব্যপারে মনোযোগী হলো। স্বামীকে দীক্ষা দেয়ার সাহস নেই—তবে তার মনের গতি-প্রকৃতি বুঝে,

বিস্তারিত»

নীল অপরাজিতা

“ভালোবাসি”…
-আমাকে বলছেন?
-ইয়ে মানে,জ্বী,তোমাকেই।আসলে অনেকদিন ধরেই আমি বলবো বলবো করে বলতে পারছিলামনা।
-বলা নেই কওয়া নেই একটা অপিরিচিত মেয়েকে তুমি বলে বসলেন।ভাবেন কি আপনারা বলেন তো?একটা মেয়ে কে এসে ভালোবাসি বলে দিবেন আর অমনি সে খুশিতে গদগদ হয়ে আপনার প্রেমে পড়ে যাবে?
-না না কি বলছো!আমি সত্যিই তোমাকে ভালোবাসি।
-কি করেন আপনি?
-ইঞ্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করেছি,নেভাল আরকিটেকচার থেকে,আপাতোতো বেকার।

বিস্তারিত»

চিত্রার হাতে ত্রিশ টাকা

জীবনে সর্বপ্রথম সৌমিত্রের আয় হয়েছিল জয়েন করার দ্বিতীয় দিনে। তখন স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। শিক্ষক-প্রভাষকগণ এক এক শ্রেণীর ইনভিজিলেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সৌমিত্র নিজেও সেদিন স্বেচ্ছায় এই দায়িত্ব নিয়েছিলো। পরীক্ষা শেষ হলে শহরের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবার আগে হেড ক্লার্ক শরৎ বাবু ওর রুমে আসেন। এবং ত্রিশটি টাকা দিয়ে রেজিস্টারে ওর স্বাক্ষর নিয়ে নেন। কিসের টাকা জানতে চাইলে তিনি জানিয়েছিলেন,
– ইনভিজিলেটর হিসেবে আজকের সম্মানী স্যার।

বিস্তারিত»

অসংলগ্ন গল্প

নাফিস (১৯) আর নাকিব (১১) দুই ভাই। ওদের বাবা মা উভয়েই চিকিৎসক ছিলেন। ছিলেন বলছি, কারণ ওদের মা সদ্য প্রয়াত, মাত্র ৪৮ বছর বয়সে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অকুস্থলেই নিহত হন। দুই ভাই এর মধ্যে বয়সের ব্যবধানটা একটু বেশী হলেও ওরা, বিশেষ করে প্রবাসে আসার পর থেকে একে অপরের বন্ধু হয়ে যায়। আজ থেকে ৮ বছর আগে ওদেরকে নিয়ে যখন ওদের বাবা মা ইমিগ্রেশন ভিসায় আমেরিকার নিউ ইয়র্কে এলো,

বিস্তারিত»

পোষ্য

আজকে স্বপ্ন দেখছিলাম আমার চামড়ার নিচে স্টোমডিয়াম ( তেলাপোকার ডিম) ভর্তি। চুলকালেই ঘামাচির মতন উঠে আসছে। মাঝে মাঝে দুই একটার মধ্যে শিশু তেলাপোকাও আরাম করে বসে থাকে, ছাদ ভাঙ্গলেই বিরক্ত হইয়ে ছুটাছুটি শুরু করে। অথচ আমি যেই স্বপ্নটা দেখছিলাম সেইটা কিন্তু খুব সুন্দর, মিষ্ট মিষ্ট একটা স্বপ্ন। আমি স্বপ্ন দেখি অনেক লম্বা লম্বা, ( যেইটা আসলে অলস মানুষ হিসেবে আমার বৈশিষ্ট্য) অনেক ডিটেইলে; যদিও ঘুম থেকে উঠার পরে তার খুব কমই মনে থাকে,

বিস্তারিত»

#মাথায়_যত_চিন্তা_আসে

ফরিদ শুক্রবার ঘুম থেকে দেরী করে উঠলো। গ্রীষ্ম কাল, তাই জানালা খুলে ঘুমিয়েছিল। ভাল ঘুম হয়েছে। রাতে ট্যাব্ খুলে পড়তে-পড়তে ঘুমিয়ে গিয়েছিল। প্রায় ন’টার সময় ঘুম ভাঙ্গলো। ভেবেছিল চোখ মেলেই রৌদ্রকরজ্জল একটি সকাল দেখবে। নাহ! কেমন যেন একটি সন্ধ্যে-সন্ধ্যে ভাব। চোখ মুছে ঘড়ির দিকে তাকালো। হ্যা, ন’টাই বাজে। তাহলে?!

তার বিছানার ডান দিকে টেলিভিশন সেট। রিমোট দিয়ে চালিয়ে দেশী কয়েকটি চ্যানেলে কিছু না দেখে বিদেশী চ্যানেলে দাঁড়ালো।

বিস্তারিত»

জুলি

দুই বছর বয়সী জুলিকে নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত সময় কাটায় ইউসুফ মোল্যা। ওর জন্য সারাদিনের অন্য সকল কাজকে বিসর্জন দিয়েছে সে। সমস্যা হল বাচ্চাটা কিছুই খেতে চায় না। না খেলে যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে এই চিন্তাই সারা রাত ইউসুফের চোখে অনিদ্রার বীজ বোনে। জুলির অসুস্থতার কথা সে কল্পনাই করতে পারে না। ওর জন্য সব কিছু করতে রাজি আছে সে। তার এই প্রবাস জীবনের একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে জুলি।

বিস্তারিত»

মেঘ বলেছে যাব যাব

বিকাল থেকে রোদের তাপটা আজ একটু কম। উত্তর দিকের আকাশে মেঘের আনাগোনা। চৈত্র মাসের শেষ দিকে এমনিতেই ভ্যাঁপসা একটা গরম থাকে। তার ওপর প্রতিদিন লোকাল বাসের ভীড়ে বাড়ি ফিরতে যা তা অবস্থা হয়ে যায় অভ্রর। আজকে পরিস্থিতি ভিন্ন। সন্ধ্যার পর থেকেই হালকা ঠান্ডা একটা বাতাস বইছে। হয়ত কাছে পিঠেই কোথাও বৃষ্টি হয়েছে। বাসায় ফিরে স্ত্রী নীলার হাতে ব্যাগ টা দিয়েই অভ্র গোসল করতে চলে যায়।

বিস্তারিত»

ফুড প্রসেসর

গল্পটা দারিদ্র্যের। গল্পটা আপেক্ষিকতার। পাথরকুচি গাছকে কেটে ফেলে দিলেও তার মৃত পাতা আর প্রোথিত শিকড় থেকে যেমন জন্ম নেয় অসংখ্য গাছ, তেমনি দারিদ্র্যেরও কোন বিনাশ নেই। অভাবকে উতরে যাওয়া অনেক সাফল্যের গল্প আছে। কিন্তু সে গল্পের পরে আরও গল্প থাকে। পড়াশোনা শেষ করেই যে কয়েকজন ভাগ্যবান ছেলে অতিদ্রুত ভালো চাকরিতে ঢুকতে পারে রকিব তাদের মধ্যে একজন। বরাবরই সে খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। জীবনের এতগুলি বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসলই যেন এই চল্লিশ হাজার টাকা বেতনের চাকরি।

বিস্তারিত»

~ কাইলকাই তো বৈশাখ, হ পয়লা বৈশাখ ~

[ অণুগল্প ]

: ডিঙ্গিটা উজানের দিকে ঠেল এইবার।
: অহনই যাইবাগা বাজান ! মাছ তো বেশি উডে নাই। জাটকাডি কি রাইখ্যা দিবানি !
জমির শেখ ঘাড়টা ঘুরায়া পোলা কলিমুদ্দিরে দেহে।
: বাপরে মাছ যা উডনের হেইট্টুকই উডবো। কপালে থাহন লাগে। হের থে বেশি কি আর উডবো নি ! জাটকাডিরে আমি রাহুম ক্যারে। অহন তো জাটকা ধরন নিষেধ।
: আইজকা তাইলে বেলা থাকতে যাওন হইবো।

বিস্তারিত»

পাগলের দেশে

পাগলের দেশের গল্পে যাবার আগে ঘুরে আসা যাক জনির শৈশব থেকে। সাঁতার শেখার আগেই তিন বছর বয়সে সমবয়সীদের সাথে গরুর লেজ ধরে বিল পার হয়ে ওপাড়ে চলে যেত সে। বিলের ওপাড়ে তখন তরমুজের চাষ হত। সেখান থেকে বাচ্চা ছেলেদের দু একটা তরমুজ ছিঁড়ে খাওয়াকে চৌর্যবৃত্তি না বলে অধিকার প্রতিষ্ঠা বলা যেতে পারে। এরপর গোড়ালি পানিতে শাপলা ফুলের পাতার নিচে হাঁসের ডিম খুঁজে আর কিছু মাছ ধরে ফিরতি গরুর পালের লেজ ধরে আবার বাড়ি ফিরত তারা।

বিস্তারিত»

দেশাত্মবোধক গানঃ সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য…..

দেশের গান করতে গেলে আমার মধ্যে অনেক বেশি আনন্দ আর আবেগ এসে ভর করে। দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন যাপন করার জন্যই এমন হয় কি না জানিনা। গত বছর বড়দিন এর ছুটিতে বাংলাদেশে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সুযোগ হয়েছিল গ্রাম এর বাড়িতে যাবার। বরাবর এর মতোই গ্রামে গেলে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হই। এবারও দেখলাম হলুদ রাঙ্গা সর্ষে ক্ষেত, মেঠো পথ, আর চারিদিকে সবুজ আর সবুজ, মনটা জুড়িয়ে যায়।

বিস্তারিত»