ফ্ল্যাশব্যাক ০২

১। আমরা ক্লাস নাইনে (১৯৯৫ সাল) হাইকিং এ গিয়েছিলাম। ৩ দিনের আমাদের ফাইনাল ডেস্টিনেশন ছিল ফেনীর ছাগলনাইয়া থানা। প্রথমদিন আমাদের স্টপেজ ছিল সীতাকুন্ড থানায়। আমরা কলেজ থেকে সকালে রেললাইন ধারে হাটতে থাকি।১১ টার দিকে হালকা নাস্তা দেয়া হয় রেললাইনের পাশেই। আমাদের সাথে ছিলেন এডজুটেন্ট মেজর রেজা (আরসিসি এক্স ক্যাডেট) স্যার। বিরতির সময় বললেন আজ রাতে তোমরা যে যা পার পারফর্ম করবা।
আমরা বললাম কি কি হবে স্যার?
স্যার বললেন, গান অভিনয় নাচ সবই চলবে। ফাইনালী…’ইউ ক্যান ফাক ইচ আদার অলসো’। 😮

২। আমাদের মরতুজা স্টাফ ছিল ( বিএমএ থেকে আসা তাই সিসিকেও বিএমএ মনে করত ) সিএসএম। একদিন পিটির আগে ফলিনে সবাইকে হাত উচু করে চেক করছে আর বলছে- ক্যাডেট বগল কাটেনাই, নুডুলস হয়ে গেছে। পু*কির মধ্যে বাশি ঢুকাইয়া দিমু পুর পুর কইরা বাজবো। :bash: আরেকদিন বলে ক্যাডেট আমার স্টাফের মেয়েরে বলে ‘আই লাভ ইউ’ !

৩। আমাদের ইসলামিয়াতের টিচার ছিলেন আনিসুর রহমান।উনি আবার আজব সব ইংলিশ বলতেন। একদিন প্রেপে এসে বলেন- ‘নো স্লিপিং নো আউটিং’ তার মানে ঘুমানোও যাবেনা বাইরেও যাওয়া যাবেনা। আরেকদিন এক ক্যাডেট স্লীপার পড়ে আসছে।তাকে বলছেন-এক্সকিউজ়? পেইন, পেইন? ইন লেগ?
এই আনিসুর যাওয়ার পর ইসলামিয়াতের টিচার আসলেন আরেক আনিসুর রহমান। উনি আবার এরাবিক ইংলিশ বলতেন। উল্লেখ্য উনার উচ্চারন আবার কল্ব থেকে আসত।

লা শাট-উ= চিৎকার করবেনা (শাট আপ) :chup:
লা খামছুন= ইসলামে খামচাখামচি নিষেধ( আরবি ‘লা’= বাংলায় ‘না’)।

ইসলামিয়াতের অপর টিচার ছিলেন নজরুল ইসলাম। স্যার ক্লাসে আসলেই আমরা সবাই ডেস্কের উপর মাথা রেখে ঘুমের ভান করতাম। আর স্যার এসেই, উ- ঘুম কেন? তারপর ন্যায়বিচার করতেই ২০ মিনিট চলে যেত। স্যার খাতায় নম্বর দিতেন পৃষ্টা গুনে। একদিন তিনি খাতা দেখছেন আর বলছেন, উ- ছেলে ত ভালই লিখছে কিন্তু আরবি কোটেশন দেইনাই কেন। কে এইটা ? ১ম পৃষ্টায় নাম দেখে হামফ্রে (কাইয়ূম ভাইদের ব্যাচ, বৌদ্ধ ধর্মের একটা খাতাই কোনভাবে মিশে গিয়েছিল)। :pira:

৪। কোন এক ভাবীর কাছ থেকে শুনাঃ পিচ্চি মেয়ে বলছে তোমাদের বুক এত উঁচু আমার এরকম কেন ? শুনে ত যারা ছিল সবাই অপ্রস্তুত। বলল, মা তুমি বড় হও তোমারও হবে। :dreamy:
কবে হবে (পিচ্চির নিঃস্পাপ কৌতুহল)? আর যেন দেরী সয়না !

৫। আমাদের কলেজ়ে ছুটি থেকে আসার পর যে মেডিকেল চেকআপ করত সেখানে মাঝে মাঝে পুরা দিগম্বর হতে হতো । ভাগ্য ভাল থাকলে হয়ত আন্ডারওয়ার না খুলে ক্ষান্ত হত। হয়ত ক্লাশ ১১ এবং ১২ রেহাই পেত। আমরা চেক আপের আগে যখন হাসপাতালের সামনে অপেক্ষা করতাম তখন অজানা আশংকায় থাকতাম। আমাদের বিশ্বপ্রেমিককে যখন প্যান্ট খুলতে বললো তখন মেডিকেল এসিস্ট্যান্টের জিজ্ঞাসা- তুমি এত লাফাচ্ছ কেন ?

২৯ টি মন্তব্য : “ফ্ল্যাশব্যাক ০২”

  1. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    :gulli2: :gulli2: :gulli2:

    তানভীর, আফটার ইউ................ 😀 😀 😀 আব্দুল্লাহ তুমি নিজে ওজু করছো তো?

    ~x( ~x( ~x( অ্যাডাল্ট পোস্ট হিসাবে একটা ট্যাগ দেওন দরকার আছিল মন হয়!!


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  2. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    ওই মিয়া, শুরুতে ডিসক্লেইমার দেন যাতে সবাই নিজ দায়িত্বে পড়ে।
    নইলে কিন্তু একের পর লোকজনের অযু ভাংগতেই থাকবে। :grr:


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  3. হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    মরতুজা স্টাফ একটা পিস ছিলো। তার কিছু যুগান্তকারী ডায়লগ :

    ১। এই হাত খান দেখছ? পাথ্থরের মত শক্ত। এক থাপ্পড়ে বিনা টিকিটে ঢাকা পাঠায়ে দিমু।

    ২। আমি সিএসএম প্যারেড দেই, আর ক্যাডেট গ্রাউন্ডে হাটে।

    ৩। ওয়াদুদ ভাইকে --- ওয়াদুদ, তোমাকে আনতে কি হেলেকপ্টার লাগবে? আস তোমাকে প্যারেড দেই।

    ৪। ক্যাডেটের পাশ দিয়ে হাটা যায় না, আধ হাত লম্বা বগল। স্টাফ, বিকালে বগল চেক হবে। :khekz:

    জবাব দিন
  4. মুসতাকীম (২০০২-২০০৮)

    বস এই সন্ধ্যার সময় অযুটা ভাইঙ্গা দিলেন =)) =)) =))
    পুরা কোপানি পোষ্ট :khekz: :khekz: :khekz:


    "আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"

    জবাব দিন
  5. ব্লগ এডজুট্যান্ট

    বিষয় এবং উপস্থাপনা বিবেচনা করে পোস্টটিতে 'প্রাপ্তবয়স্ক' ট্যাগ দেয়া হলো।

    কিছু শব্দ সরাসরি ব্যবহার করলে অনেক সময় লেখাটি শালীনতা হারায়।
    লেখকের প্রতি অনুরোধ, উপস্থাপনাটা যেন শেষ পর্যন্ত অশালীন মনে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে।

    জবাব দিন
    • আব্দুল্লাহ্‌ আল ইমরান (৯৩-৯৯)

      আমার জন্য ট্যাগ আমদানি করার জন্য এডু স্যারকে ধন্যবাদ। :salute: প্রিন্সিপাল স্যার অবশ্য বলছিলেন এডাল্ট ট্যাগের কথা।
      আর আপনার এডভাইস সানন্দে এক্সেপ্ট করলাম। নেক্সট টাইম লিখব খুব খিয়াল কইরা। :dreamy:

      :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:

      তবে কলেজে 'পয়েটিক এক্সকিউজ' বলে একটা টার্ম শুনছিলাম কোন স্যারের কাছ থেকে।এর মানে হ্ল রাইটার কোন ভুল বানান/টার্ম লিখলে সেটাও সঠিক ধরে নিতে হবে লেখকের স্বাধীনতার কথা বিবেচনা করে।
      তাই কিছু টার্ম 'ব্লগিং এক্সকিউজ' হিসেবে ধরে ক্ষমা করে দিয়েন। 😛

      জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।