ঢাকার টিভিতে দেখছিলাম ভালবাসা দিবসের আয়োজন। আজকাল ছেলে মেয়েরা কতটা খোলামেলা ভাবে একে অপরের সাথে মেলামেশা করে। ভালই লাগলো। কিছুটা হিংসাও হলো। আমাদের সময়ে এসব কিছু অত সহজে সম্ভব ছিলো না। তবে যখন প্রাপ্তি কিছু সহজলভ্য হয়ে যায়, তখন তার মূল্যও হয়তো কিছুটা কমে যায়। একই ভাবে, আমাদের সময়ে সহজলভ্যতা কম হবার কারনে, সামান্য প্রাপ্তিও অনেক বড় হয়ে দেখা দিত। তেমনি এক সামান্য ঘটনা অনেকদিন ধরে আমার জীবনে অসামান্য বলে মনে হয়েছিলো।
আমার লেখা পুরানো দিনের এক ডায়েরী হাতে এলো। পাতা উলটে দেখলাম কিছু। প্রায় ৪৮ বছর আগের ঘটনা। পড়ে হাসি পেলো। কত সহজ ছিলাম তখন। কত সহজে ভাল লাগতো, ভালবাসতে পারতাম। ১৯৬২ সালের ২৩-শে মার্চের লেখা। আমি তখন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের নবম শ্রেনীর ছাত্র। আমি লিখেছি –
”আজ পাকিস্তান দিবস। সকালে মার্চ পাস্ট হয়েছিল। গত দুই বারের মত এবারও আমি রাইট-মার্কারের পদে ছিলাম। একটা হলদে কাপড়ের ব্যাজ ছিলো আমার কাছে। রাত্রে পাকিস্তান দিবস স্পেশাল ডিনার ছিল।
আমি এখন লাইটস অফের পর জানলার ধারে বসে চাঁদের আলোয় লিখছি। মশাও অনেক কামড়াচ্ছে।
গত বছর ঠিক এই দিনটিতে যা ঘটেছিলো সেগুলি আমার জীবনের স্মরনীয় ঘটনার এক এক অধ্যায়। গত বৎসর ২২শে মার্চ রাজশাহী গিয়েছিলাম ক্যাডেট কলেজের ভর্ত্তির পরীক্ষা দিতে। তারপর দিন অর্থাৎ ২৩শে মার্চে আমি ছিলাম ঈশ্বরদীতে আমার মেজে আপার বাড়ীতে। বিকাল বেলা পাবনা বেড়াতে গিয়েছিলাম এবং দুলাভাইয়ের বন্ধুর বাড়ীতে গিয়েছিলাম। আমার বয়সী কোন ছেলে সে বাড়ীতে ছিলনা তাই কারো সাথে কথা না বলতে পেরে এক কোনে চুপচাপ বসে ছিলাম। এমন সময় তাঁর মেয়ে আমাকে ডেকে বারান্দাতে নিয়ে গেল। বয়স হয়তো ১৩ বৎসর। দেখতে সুন্দরী। কিছুক্ষনের মধ্যেই তার সাথে আলাপ অন্তরঙ্গে পৌঁছুল। প্রথমে আমি তাকে আপনি বলে সম্বোধন করছিলাম। কিন্তু সে বললো যে সে আমার চেয়ে অনেক ছোট। তাই আমি যেন তাকে তুমি বলেই বলি। সহজে প্রথমে সংকোচটা কাটাতে পারছিলাম না। তারপর এক সময় সাহস করে বললাম – ”তোমার নাম কি?” উত্তরে জানলাম ওর ডাক নাম রাণী আর ভাল নাম রেহানা বুলবুল। আমার সম্মন্ধে অনেক কিছু জানতে চাইল। আমিও ওর সম্মন্ধে অনেক জানলাম।ও সাইকেল চালাতে পারে। তখন ও ক্লাশ সিক্সে পড়ছে আমি ক্লাশ নাইনে। এখন ও নিশ্চয় ক্লাশ সেভেনে আর ক্যাডেট কলেজে আসার জন্যে আমি এখনো ক্লাশ নাইনে। বিদায়ের সময় আমাকে সে তার নিজের হাতে আঁকা যে কটা ছবি দিয়েছিল তা আজও আমি সযত্নে রেখে দিয়েছি।”
আর একদিন রুমে বসে ডায়েরীতে লিখছি এমন সময় হঠাৎ চেক করতে ঘরে ঢুকলেন হাউস-মাস্টার। দেখতে চাইলেন কি লিখছি আমি। বাধ্য হয়ে ডায়েরীটা তার হাতে তুলে দিলাম। কিছু পাতা উলটে দেখে ফেরত দিলেন আমাকে। সামান্য ঘটনা, কিন্তু আমার মনে হলো যেন আমাকে নগ্ন করে দেখলেন তিনি। ঠিক করলাম এমন একটা কিছু করতে হবে যাতে আমার জীবনের গোপন এবং মধুর কথা গুলি অন্য কেউ সহজে পড়তে না পারে। তৈরী করলাম আমার নিজস্ব এক সাংকেতিক ভাষা। নীচের ছবিতে তার কিছু নমুনা দিলাম।
কিন্তু আজ ৪৮ বছর পর ঐ লেখা পড়তে যেয়ে দেখলাম ভুলে গেছি আমি আমার নিজের তৈরী ভাষা। রবি ঠাকুরের কবিতা মনে পড়ল –
দূরে বহু দূরে
স্বপ্নলোকে উজ্জয়নীপুরে
খুঁজিতে গেছিনু কবে শিপ্রা নদী পাড়ে
মোর পূর্ব জনমের প্রথমা প্রিয়ারে
এর পরের অনেক গুলি লাইন এখন আর মনে পড়ছে না। তবে শেষে কবি আর তার প্রিয়া হাত ধরে পাশাপাশি বসে আছেন, কিন্তু কথা বলতে পারছেন না কারন তারা ভুলে গেছেন সেই ভাষা যা দিয়ে তারা কথা বলতেন অতীতে।
আমারও সেই অবস্থা আজ।
দারুন নস্টালজিক । ভাল লাগলো ভাইয়া।
ধন্যবাদ ফরিদ।
রবি ঠাকুরের কবিতার বাকি লাইন গুলি মনে করার চেষ্টা করে পারলাম না - তোমাদের কারো জানা থাকলে পাঠিও তো।
স্বপ্ন
দূরে বহুদূরে
স্বপ্নলোকে উজ্জয়িনীপুরে
খুঁজিতে গেছিনু কবে শিপ্রানদীপারে
মোর পূর্বজনমের প্রথমা প্রিয়ারে।
মুখে তার লোধ্ররেণু লীলাপদ্ম হাতে,
কর্ণমূলে কুন্দকলি কুরুবক মাথে,
তনু দেহে রক্তাম্বর নীবিবন্ধে বাঁধা,
চরণে নূপুরখানি বাজে আধা আধা।
বসন্তের দিনে
ফিরেছিনু বহুদূরে পথ চিনে চিনে।
মহাকাল মন্দিরের মাঝে
তখন গম্ভীর মন্দ্রে সন্ধ্যারতি বাজে।
জনশূন্য পণ্যবীথি, ঊর্ধ্বে যায় দেখা
অন্ধকার হর্ম্য-'পরে সন্ধ্যারশ্মিরেখা।
প্রিয়ার ভবন
বঙ্কিম সংকীর্ণ পথে দুর্গম নির্জন।
দ্বারে আঁকা শঙ্খ চক্র, তারি দুই ধারে
দুটি শিশু নীপতরু পুত্রস্নেহে বাড়ে।
তোরণের স্বেতস্তম্ভ-'পরে
সিংহের গম্ভীর মূর্তি বসি দম্ভভরে।
প্রিয়ার কপোতগুলি ফিরে এল ঘরে,
ময়ূর নিদ্রায় মগ্ন স্বর্ণদণ্ড-'পরে।
হেনকালে হাতে দীপশিখা
ধীরে ধীরে নামি এল মোর মালবিকা।
দেখা দিল দ্বারপ্রান্তে সোপানের-'পরে
সন্ধ্যার লক্ষ্মীর মতো সন্ধ্যাতারা করে।
অঙ্গের কুঙ্কুমগন্ধ কেশধূপবাস
ফেলিল সর্বাঙ্গে মোর উতলা নিশ্বাস।
প্রকাশিল অর্ধচ্যুত বসন-অন্তরে
চন্দনের পত্রলেখা বাম পয়োধরে।
দাঁড়াইল প্রতিমার প্রায়
নগরগুঞ্জনক্ষান্ত নিস্তব্ধ সন্ধ্যায়।
মোরে হেরি প্রিয়া
ধীরে ধীরে দীপখানি দ্বারে নামাইয়া
আইল সম্মুখে--মোর হস্তে হস্ত রাখি
নীরবে শুধাল শুধু, সকরুণ আঁখি,
"হে বন্ধু আছ তো ভালো?' মুখে তার চাহি
কথা বলিবারে গেনু, কথা আর নাহি।
সে ভাষা ভুলিয়া গেছি, নাম দোঁহাকার
দুজনে ভাবিনু কত--মনে নাহি আর।
দুজনে ভাবিনু কত চাহি দোঁহা-পানে,
অঝোরে ঝরিল অশ্রু নিস্পন্দ নয়ানে।
দুজনে ভাবিনু কত দ্বারতরুতলে!
নাহি জানি কখন কি ছলে
সুকোমল হাতখানি লুকাইল আসি
আমার দক্ষিণ করে কুলায়প্রত্যাশী
সন্ধ্যার পাখির মতো, মুখখানি তার
নতবৃন্তপদ্মসম এ বক্ষে আমার
নমিয়া পড়িল ধীরে, ব্যাকুল উদাস
নিঃশব্দে মিলিল আসি নিশ্বাসে নিশ্বাস।
রজনীর অন্ধকার
উজ্জয়িনী করি দিল লুপ্ত একাকার।
দীপ দ্বারপাশে
কখন নিবিয়া গেল দুরন্ত বাতাসে।
শিপ্রানদীতীরে
আরতি থামিয়া গেল শিবের মন্দিরে।
-------------------------------------
রবীন্দ্রনাথ সমগ্র
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
অসংখ্য ধন্যবাদ কাইয়ূম।
দারুন! অদ্ভুত সুন্দর!! :hatsoff:
সাংকেতিক কথাগুলো উদ্ধার করা যেত যদি, ইশ!
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
অনেক মজার একটা লেখা ভাইয়া। 😀
শুভ ভালোবাসা দিবস।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
চমৎকার একটা লেখা ভাইয়া! :boss:
এতদিন পর ডায়েরীর লেখাগুলো পড়তে নিশ্চয়ই বেশ অদ্ভূত লাগছিল আপনার, তাই না?
ডায়রী লেখা খুব ভাল একটা গুণ,আমার আব্বাও ডায়রী লিখতেন,এমনকি এখনও লিখেন এক-আধটু।আমরা তো ডায়রী লিখি না,কিছু ছবি ই-মেইলে এটাচড করে রাখি।নেক্সট জ়েনারেশন যে কি করবে কে জানে?
শহীদ ভাই, আপনার লেখা ব্লগগুলো যেন সোনার হরফে লেখা. বিশেষ করে মা কে নিয়ে আপনার লেখা আমাকে অনেক কাদিয়েছে. ৭৫ এর ঘটনার স্মৃতিচারণ ও অনেক বেদনার.আপনার জন্য শুভকামনা. ভালো থাকুন আর আপনার আরো অনেক অনেক লেখা থেকে আমাদের বঞ্চিত করবেন না দয়া করে.
ভালো লাগলো অনেক। মজা পেলাম কারণ আমিও একটা ভাষা তৈরী করেছিলাম, তবে সেটা ছিলো ইংরেজীতে। আজকে খুঁজে দেখবো মনে আছে কিনা।
🙂
ভাইয়া কি লেখা উচিত বুঝতে পারছিনা।কলেজের কিছু কথা মনে পড়ে গেল।আমি অনেক ইমোশনাল ,কিন্তু সবসময় চেষ্টা করি সেটা ভুলে ফান এর মধ্যে থাকতে।এখন কিছু লিখতে গেলে আবার মনটা খারাপ হয়ে যাবে।
অনেক ভাল লাগলো,passed memory তে রাউন্ড খাচ্ছি 🙂
অসাধারন স্মৃতিচারন ভাইয়া :clap: :clap: :clap:
ভাইয়া, কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম... :dreamy: অসাধারন :hatsoff:
আজ থেকে ৩০ বছর পর হয়তো আমিও এমন কিছু স্মৃতিচারন করবো, চিন্তা করতেই মজা লাগছে :awesome: :awesome:
ভাইয়া, অসম্ভব সুন্দর লেখা। আমিও নিয়মিত ডাইরী লিখতাম......কিন্তু কেনো যেনো গত দুই বছর লেখা হয়নি। আপনার লেখা পড়ে আবার শুরু করার প্রেরনা পেলাম।
খুব ভাল লাগলো শহীদ ভাই। :boss:
ভাই, খুব মজা লাগলো।
আপনার মা'কে নিয়ে লেখা ব্লগটাও অসাধারণ লাগসে। এইখানে ভালোলাগাটা জানায়ে গেলাম।
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
অনেক মজার একটা লেখা ভাইয়া। ভালো লাগলো। :boss:
চমৎকার লাগলো ভাইয়া! সাংকেতিক ভাষা দেখে মজা পেলাম খুব 🙂
ওহ! ক্লাস নাইন এ থাকতে আমিও এরকম ডায়েরি লিখতাম! তারপরে একবার বন্ধুদের মাঝে কে জানি পড়ে হাসাহাসি করলো। তখন থেকে শুরু করলাম সাংকেতিক লেখা! কী অদ্ভুত মিল পেলাম!
দারুণ সব স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন সাইফুদ্দাহার ভাই! :boss:
সংকেত নিয়ে খেলা দেখি আপনার পুরনো অভ্যাস।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ভাইয়া, আপনার লেখা বরাবরই ভালো লাগে। এটা খুব ভালো লাগলো। এত আগের ডায়েরী পড়তে কেমন লাগে বুঝতে পারছিনা। আমি তো ক্লাস সেভেনের ডায়েরী দেখেই বিষন্ন হয়ে যাই। মনে হয়, সেই দিন গুলি কই? সেই আমিটা কই?
নস্টালজিয়া! নস্টালজিয়া!
আমি কিন্তু ডায়রীর অল্প একটু লেখা বুঝতে পারছি।
২-১০-৬২
মংগলবার
ঠিকাছে না, সাইফ ভাই? 😉
সুন্দর স্মৃতিচারণ।
ইদানিং আবার সিসিবিতে সবাই স্মৃতিচারণ করছে দেখে ভালো লাগছে।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
সাইফ ভাইয়ের স্মৃতিচারণগুলো সিসিবির অমূল্য সম্পদ
দারুণ, দারুণ
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
তোমাদের সবাইকে,
গত রাতে এটা লেখার পর, ফন্ট কনভারশন, সম্পাদনা ও পোস্টিং করতে করতে রাত প্রায় দেড়টা বেজে গিয়েছিলো। শনিবার রাত, তাই দেরীতে ঘুমাতে গেলেও তেমন অসুবিধা হবেনা ভেবে নিয়মের বাইরে জাগলাম। আজ সকালে উঠে তোমাদের সবার মন্তব্য গুলি পড়ে মনে হল আমার রাত জাগা সার্থক হয়েছে।
আর একটা জিনিস খেয়াল করলাম - আমাদের মধ্যে বয়সের তফাৎ, ভৌগলিক ব্যবধান, আর্থ-সামাজিক ব্যবধান, শিক্ষা ও পরিবেশগত ব্যবধান সত্ত্বেও - একটা বড় সম-অনুভুতি সবার মধ্যে বিরাজ করছে। এটা আমাদের একটা বড় পাওয়া।
আন্দালিব ও রেশাদও ছাত্র অবস্থায় নিজস্ব সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করতো জেনে ভাল লাগলো।
ফয়েজ - ঠিকই ধরেছো - ক্যাডেট কলেজে এই সাংকেতিক ভাষা ব্যবহারই পরবর্তী জীবনে আমাকে কম্পুউটারে বাংলা ব্যবহারে উৎসাহিত করেছিল। আমি চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে সময় পেলে এ সম্পর্কে লিখতে।
কামরুল - তুমি হয়তো ঠিকই আমার সাংকেতিক লেখা কিছু কিছু পাঠোদ্ধার করতে পেরেছো। তোমাকে অভিন্দন এই সাফল্যে। আমিও এ পর্যন্ত প্রায় ৭০-৮০% অক্ষর উদ্ধার করতে পেরেছি। তোমার মত আরও অনেক খুব বুদ্ধিমান আমাদের মধ্যে থাকতে পাড়ে সে কথা ভেবেই ডায়েরীর এক পাতার শুধু অর্ধেকটার ছবি দিয়েছিলাম। ভাগ্যিস...
এই প্রসঙ্গে একটি ঘটনার কথা মনে পড়ল। আমাদের কেমিস্টির শিক্ষক জনাব আজিজুর রহমান তখন আমাদের আইয়ুব (ফজলুর রহমান?) হাউসের হাউস মাস্টার। তিনি একদিন দেখলেন আমাকে এই সাংকেতিক অক্ষরে লিখতে। জানতে চাইলেন কি লিখেছি আমি। আমি ইচ্ছা করে তাকে আরও দ্বন্দের মধ্যে রাখার জন্যে আমার লেখার ইংরেজী অনুবাদটা তাকে শুনালাম। তিনি অনেক চেষ্টা করলেন আমার বলা কথার সাথে লেখার মধ্যে একটা যোগসুত্র বের করতে। যখন কিছুতেই বের করতে পারলেননা তখন বললেন - তুমি খুবই বুদ্ধিমান। ভাল লাগল শুনে। এরই সাইড-এফেক্ট হিসাবে এর পর থেকে তার ক্লাশে বেশী করে মার্ক পেতে শুরু করলাম।
সামিয়া - শুধু সাংকেতিক ভাষা দেখে মজা পেলে? ঐ বয়সের এক ছেলের বোকামী দেখে হাসলে না? আসলেই ঐ বয়সের ছেলেরা সাধারণত ’খুব বোকা’ হয়। এক ১৩ বছরের মেয়ে তাকে ডেকে নিয়ে একটু কথা বলল আর তার কিছু হাতে আকাঁ ছবি উপহার দিল - তাতেই ছেলেটা মনের মাধুরী মিশিয়ে ঐ মেয়েটাকে বছরের পর বছর তার মনের রাণী করে রাখল - এখন ভাবতে মজাই লাগে। আমি অবশ্য একটা ভুল করে ফেলেছি। আমার লেখাতে ঐ মেয়েটির আসল নাম তুলে ধরেছি। হিসাব করে দেখলাম, যদি বেঁচে থাকে রাণীর বয়েস এখন ৬০। সে যদি ঘটনা চক্রে তোমাদের কারও নানী বা দাদী হন - তবে যেন তাকে এই লেখার কথা জানিও না (তবে পারলে আমাকে তার ঠিকানাটা দিও - নিছক কৌতুহল)
অনেক শুভেচ্ছা রইল সবাইকে
;)) ;)) ;)) ;))
এক কথায় অসাধারণ!!!!
সাইফ ভাই, ভাবিও যে খুব সুন্দর লেখে সেটা আমি অনার লিংক থেকে জানতে পারলাম। ভাবিকেও সিসিবির সদস্য হয়ে কিছু লেখা দিতে বলেন না? আমাদের আরো কিছু অভিজ্ঞতার কথা জানা হবে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
শান্তা,
আসলে আমি ছাড়া আমার পরিবারের অন্য সবার কম বেশী লেখক লেখিকা হিসাবে পরিচিতি আছে। আমার সব বোনেদের বিভিন্ন ধরনের প্রকাশিত বই রয়েছে। মমতাজ শহীদেরও অর্ধ ডজন প্রকাশিত বই রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকাতে থাকার সময় তার লেখা বেশ কিছু TV নাটক BTV-তে প্রচারিত হয়েছে।
নীচের লেখাটি পড়লে আমার অবস্থাটা বুঝতে পারবে।
আমি কি লেখক
অসাধারণ পোস্ট :clap: :clap:
কিছু ব্যাপার বোধহয় কখনোই বদলায় না। যুগ থেকে যুগে উত্তরপুরুষেরা বহন করে নিয়ে বেড়ায়; সাংকেতিক ডায়েরী-লিখন তেমনই।
দারুন লেগেছে ভাইয়া। :boss:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
বাহ! সংকেত দিয়ে দিয়ে লেখা! দারুণ! 🙂
ভাই,প্রতিদিন একবার করে এটা পড়ি আর ভাবি,আপনি বস... :boss:
:clap:
:boss: অদ্ভুত সুন্দর
:boss: সাংঘাতিক :boss: ফ্যান্টাস্টিক :boss: নষ্টালজিক :boss: রোমান্টিক :boss: এককথায় অসাধারন :boss: আপনার লেখা পড়ে আমি সবসময়ই খুবই আরাম পাই ভাইয়া :boss:
অফ টপিকঃ "আরাম" শব্দটাই সবচেয়ে বেশি আবেদনময় মনে হল। এছাড়া আর কোন শব্দ পছন্দ হচ্ছিল না।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
সাইফ ভাই, দূর্দান্ত স্মৃতিচারণ। ১৪-১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছিলাম না। ১৫ তারিখ রাতে ফিরেছি। আজ একাধিকবার পড়লাম লেখাটা। মন্তব্য কি করবো বারবার ভাবছিলাম। প্রায় প্রতিটি মানুষের জীবনেই এইরকম একটা প্রথম প্রেম আছে। বয়ঃসন্ধির সময়টায় কিশোর বা কিশোরী মনে এই ভালোবাসা অদ্ভূত একটা দাগ রেখে যায় সারাজীবনের জন্য। মৈত্রেয়ী দেবীর "ন হণ্যতে" পড়েছিলাম সেই কবে! এইরকম গল্পগুলো পড়লে ওই উপন্যাসটা বারবার মনে পড়ে।
আমিও একসময় ডায়েরি লিখতাম। সম্ভবত '৮৫ বা '৮৬ সালে সেসব টুকরো টুকরো করে ছিড়ে, আগুনে পুড়িয়ে ফেলেছিলাম। এখন ভাবি, ওই বোকামিটা কেন করেছিলাম! বুড়ো বয়স বা অবসরের সময়ে সেটা কি অমূল্য সম্পদই না হতো? আসলে নিজের ছেলেমানুষিগুলোর কবর দিয়েছিলাম ওইভাবে। কিন্তু তাতে কি স্মৃতি মোছা যায়!! ধন্যবাদ আপনাকে এবং কৃতজ্ঞতা।
আরেকটা কথা : কাল (১৭ ফেব্রুয়ারি) এবিসি খবরে রাত ১২টা, সকাল ৯টা, দুপুর ১২টা, সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টায় একুশ নিয়ে "অহংকারের বর্ণমালা" নামে একুশ নিয়ে যে খবর যাবে তাতে কম্পিউটারে বাংলা কি বোর্ডের ইতিহাস নিয়ে প্রতিবেদন থাকছে। প্রথম বাংলা কি বোর্ড হিসাবে ১৯৮৫ সালের জানুয়ারিতে প্রবর্তিত আপনার "শহীদলিপি"র কথা সেখানে দিয়ে দিলাম। আমার প্রতিবেদক জানতো না। আপনার সাইটে গিয়ে সেই ইতিহাস বের করলাম।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
একটা তথ্য দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। প্রথম আলো বা ডেইলি স্টারের ওয়েবসাইটে গিয়ে খবরটা শুনতে পারেন। বাংলাদেশের প্রকৃত সময়ের আধ ঘণ্টা পর শুনলেই পাবেন। খবরটা প্রচারের পর আমরা সেটা এমপিথ্রি ফরমেটে কনভার্ট করে ওই ওয়েবসাইট দুটোতে আপলোড করে থাকি। আরো দুটো ওয়েবসাইটও আমাদের খবর আপলোড করে। এই মূহুর্তে নাম মনে আসছে না।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ভাই, আপনারে কী বলে যে ধন্যবাদ দিবো .... ... ... পুরাই আপনার ফ্যান হয়ে গেলাম ... ...
আমি পুরান ফ্যান নতুন করে ঝালায় নিলাম। দারুন লিখা। আপনাকেতো the da vinchi code এর নায়কের সমতুল্য মনে হচ্ছে।