প্রিজনের ভ্যানে হঠাৎ দেখা
ভাবিনি সম্ভব হবে কোনদিন।
ওয়াজে ওকে বারবার দেখেছি
লালরঙের দাড়িতে
মেন্দির রঙে রাঙা
আজ পরেছে যমটুপি
ফাঁস এটেছে গলায়
কাঁঠালপাতার কচি ঘ্রাণ সারা মুখটি ঘিরে
মনে হলো, কালো রঙের একটা গভীর কুয়োয়
নেয়া হচ্ছে ওকে,
যে কুয়োর পাড়ে মঞ্চ অপেক্ষমান,
রজ্জু দোলে হাওয়ায়
চমকে গেলো আমার ভেতরটা;
চেনা পাঁঠাকে শুঁকলুম আনকোরা বোঁটকা গন্ধে।
হঠাৎ খবরের কাগজ ছুঁড়ে মেরে
আমাকে করলে তিরস্কার।
সমাজবিধির পথ গেলো খুলে,
আলাপ করলেম শুরু –
কেমন আছ, কেমন চলছে মেশিন
ইত্যাদি।
সে রইল জানলার বাইরের দিকে চেয়ে
ছেঁচা পান চেবানো দাঁত মেলে ধরে।
করলে অত্যন্ত মৃদু দুটো-একটা ম্হ্যাঁআআ
কখনো বা করলেই না।
বুঝিয়ে দিলে দাড়ির অস্থিরতায় –
কেন এসব কথা,
এর চেয়ে অনেক ভালো চুপ করে থাকা।
মিনমিনিয়ে বললে,
” যে প্রশ্নটার জবাব এতকাল থেমে আছে ,
শুনব তোমার মুখে ।
সত্য করে বলবে তো ?”
আমি বললেম , “ বলব । ”
বাইরের কাঁঠালগাছের দিকে তাকিয়েই শুধোল ,
“ আমাদের গেছে যে দিন
একেবারেই কি গেছে ,
কিছুই কি নেই বাকি । ”
আবার জিগায়!
একটা থাবড়া দিলেম ঠাস করে,
তারপর বললেম,
সকল ছাগুর ঠাঁই হবে
কালো কুয়োর গভীরে।
একটুও খটকা লাগেনি, কেননা
বানিয়ে মোটেই কিছু বলিনি।
গাড়ি শাহবাগ পৌঁছুতেই
সবাই হুড়মুড়িয়ে নেমে গেলো,
ও চললো একা।
__________________________________
রবিকর্তাকে স্যালুটসহ-
ভাই , আমার এত্ত প্রিয় কবিতাটার একি হাল করলেন 🙁 🙁
যাইহোক , জিনিস ফাটাফাটি। এক্কেরে লাগসই ::salute::
সরি ফরিদ, এটা আমারো অসম্ভব প্রিয় কবিতা।
🙂
বাহ বাহ :clap:
🙂
সব ছাগুদের মিলন হোক কালো কুয়ায়...।।