জেগে থাকার আছে
এক বিস্ময়কর ক্লান্তি
তবুও মানুষ জেগে থাকে
তার যাপিত জীবনের সমস্ত স্মৃতি নিয়ে
সেই কবে, পেয়ারা গাছে পাখির বাসা
পেঁপের ডাটিতে বানানো
সাবানের বুদ্বুদ,
সময়ের মতই যা গেছে উড়ে,
প্যারেড মাঠের কোনায়, কুমকুমদের বাড়ি ছুঁয়ে
এই তো কবে যেন, তোমার ঠোঁটে
আঁকতেই চুমু , গলে গেলো উত্তর মেরু
বিস্ফোরিত হোল ক্র্যাকাটাও
তোমাদের সেই বিখ্যাত চিলে কোঠায়
এই তো সেদিন
জয়নাল, দীপালী মারা গেলো
পুলিশের গুলিতে, শিক্ষানীতির দাবীতে;
মারা গেল বসুনিয়া,
অরুনের চায়ের কাপে
চুমুক দিতে দিতে ভেসে গেল
কত বিপ্লবের ছক;
পেরেস্ত্রইকার আর গ্লাসনস্টের নামে
পুজিবাদ ভেঙ্গে দিলো সর্বহারার স্বপ্ন
যেমন তুমি ভাঙ্গলে আমার; আমাদের
অপত্য দাম্পত্যের ছকে
বিপ্লবীরা হিসাব কষে এখন
তেল নুন চাল ডালের
দিন আনতে যখন দিন ফুরায়
জেগে থাকার আছে এক অমানুষিক ক্লান্তি
“তবুও চমৎকার” বলে,
জেগে আছে সবাই …………..
২৩/৪/১৮
প্রিয়তে রাখলাম গুরু। আগে আপনার পাঠক ছিলাম এখন মুগ্ধ ভক্ত।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
শরম পাওয়ায় দিলা কিন্তু ... ভালো লেগেছে জেনেই ভালো লাগছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
বহুদিন পরে আবার পেরেস্ত্রয়কা আর গ্লাসনস্ট শব্দ দুটো শুনলাম। জেগে থাকার ক্লান্তির ধরণ নিয়ে ভাবছি।
কবিতাটি ভাল লেগেছে।
আশাকরি ভাল আছো, অরূপ। বহুদিন পরে যেন ব্লগে এলে!
ধন্যবাদ ভাই। আসলেই বহুদিন পরে। আশা করি আপনারাও সবাই ভালো আছেন। 🙂
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার