ছবি ব্লগ ৫ – মার্কিন রাজধানীতে রথ দেখা ও কলা বেচা

গত ০৫ সেপ্টেম্বর গিয়েছিলাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী অর্থাৎ ওয়াশিংটন ডিসিতে। কিছু দাপ্তরিক কাজে জরুরী ভিত্তিতে বাংলাদেশ দূতাবাস যেতে হয়েছিল। টিকেট কাটার আগে ভাবলাম, যাচ্ছি যখন সপ্তাহটা বন্ধু শামসুজ্জামানের ওখানে কাটিয়েই আসা যায়। দশম শ্রেণীতে থাকতে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো এই বন্ধুর সাথে শেষ দেখা হয়েছিল সোহরাওয়ার্দী হাউজের সামনে। এছাড়া প্রায় দুইবছর পর দেখা হতে যাচ্ছিল মিসৌরী অবস্থানরত আপন বড় ভাই সুহৃদ (মোত্তাকী, মকক ৯৪-০০) এর সাথে।

বিস্তারিত»

ক্যাপ্টেন কারেজিয়াস

স্পেশাল ওয়ান। ক্যাডেট নম্বর ওয়ান ওয়ান ওয়ান ওয়ান। রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে ক্লাশ সেভেনে এ ফরমে আমার ঠিক পরের ক্যাডেট নম্বর ১১১১।পোরশার ছেলে মোঃ ফিরোজ কবীর। ডাক নাম  সুজন । বাড়ি ২টা। একটা নিশ্চিন্তপুর আর একটা নিতপুর। আমাদের সবার চাইতে বয়স একটু বেশি আর উচ্চতাও। হয়তো সেজন্যই কাউকে কিছু মনে করতো না। গায়ের রং কালো আর সুপারী গাছের মতো লম্বা আর চিকন কিন্তু ভঙ্গুর নয়।  ক্লাশে এত কাছাকাছি থেকেও ওর কাছাকাছি হয়েছিলাম অনেক পরে।

বিস্তারিত»

একটি তারাওয়ালা ছবি তোলার তারছাড়া গল্প

অনেক দিন পর ক্যাডেট কলেজ ব্লগে লিখতে বসলাম। শেষ লিখেছি সেই ২০১১ তে – এর মাঝে অনেক কিছু পাল্টে গেছে; অনেক কিছু শিখেছি অনেক কিছু ভুলেও গেছি। তবে শেখার ভান্ডারে ছবি তোলার খুঁটিনাটি যে বিশাল সংযোজন তার কোন সন্দেহ নাই। দুই রাত আগে জীবনে প্রথমবারের মত একটা “স্টার ট্রেইল” করার প্রয়াশ নিলাম। একই ছবিতে তারকারাজিদের চলন্তপথ ফুটিয়ে তোলাই এই ধরণের ছবির মূল লক্ষ্য – এবং নেট ঘাটলে “star trail”

বিস্তারিত»

ছবিব্লগ ৪ – গত এক বছরের মার্কিনি ফিরিস্তিঃ এখন গ্রীষ্মকাল

এখানকার এলাকাবাসীরা বেশীরভাগ ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত। এদের বেশিরভাগ আমেরিকান নামের শেষে দাঁত ভাঙ্গা কোন ইউরোপীয় শেষ নাম থাকেই। আগেই বলেছিলাম ১৮৮৫ সালে মাইনিং কলেজ হিসেবে যাত্রা শুরু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেই সময় ফিনল্যান্ড, সুইডেন, পোল্যান্ড, থেকে প্রচুর শ্রমিক কাজ করতে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। যাই হোক পুরনো এই অধিবাসীরা পর্যন্ত এবারের শীতের উপর চটে গিয়েছিল। গত নভেম্বরে তুষার পড়া শুরু হয়ে সর্বশেষ তুষারপাত হয়েছে এই বছর মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত।

বিস্তারিত»

ছবি ব্লগ ৩ – গত এক বছরের মার্কিনি ফিরিস্তিঃ আন্তর্জাতিক বান্ধবীরা।

আমেরিকার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তজার্তিক ছাত্র নেই তা আমার জানা নেই। উপযুক্ত বেতনের বিনিময়ে আন্তর্জাতিক ছাত্রদের শিক্ষা প্রদানের জন্য মার্কিনিরা বিখ্যাত। তবে বৃত্তিধারী ছাত্রের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। সেটা স্নাতোকোত্তর পর্যায়ে বেশী। অপেক্ষাকৃত দূরবর্তী ও শীতল এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় বলে মিশিগান টেকনোলোজিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক ছাত্র অপেক্ষাকৃত কম। তারপরেও সংখ্যাটা একেবারে কম নয়। তবে আমার কাছে মার্কিনিরাও আন্তর্জাতিক। তাই আন্তর্জাতিক ছাত্রদের মাঝে যারা আমার পরিচিত তাদের নিয়েই আমার আজকের ফটোব্লগ।

বিস্তারিত»

ছবিব্লগ ২ – গত এক বছরের মার্কিনি ফিরিস্তিঃ নতুন জীবন

মিশিগান স্টেটটির আকার একটু অদ্ভুত। চারদিকে লেক দিয়ে ঘেরা এই স্টেট দুটো ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে। উপরের ভাগ আপার পেনিনসুলা ও নিচের ভাগ লোয়ার পেনিনসুলা। আমি যাচ্ছি আপার পেনিনসুলারও উত্তরে হো’টন (Houghton) নামক ছোট একটি শহরে। এককালের তামা খনির জন্য বিখ্যাত এই এলাকায় প্রচুর ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের বসবাস। রাত এগারোটায় বিমান থেকে নামার পর বুঝতে পারছিলাম না এটা এয়ারপোর্ট নাকি গ্যাস স্টেশান। জানতে পারলাম শুধুমাত্র এই এলাকার হাজার সাতেক অধিবাসীর জন্য (যার মাঝে হাজার পাঁচেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র) দিনে দুটো করে মোট চারটি ফ্লাইট এখানে এসে নামে ও ছেড়ে যায়।

বিস্তারিত»

ছবি ব্লগঃ ১ – গত এক বছরের মার্কিনি ফিরিস্তি

যেকোন মৌলিক লেখা শুরু করা খুব কঠিন একটি কাজ। আমি খেয়াল করে দেখলাম আমার লেখা বেশীর ভাগ স্মৃতিচারণ কিংবা তথ্যভিত্তিক আলোচনা। যেগুলোতে মৌলিকত্ব আছে ঠিকই কিন্তু এধরনের লেখা শুরু করা অপেক্ষাকৃত সহজ। ছবিব্লগে ছবি থাকবে ও তার বর্ণনা থাকবে কিন্তু তা বাদে আর কি লিখা যায় ভাবছি।

আগামী আগস্ট মাসের ১৬ তারিখ মার্কিন মূল্লুকে পদার্পণের এক বছর পূর্তি। তবে মিশিগানের উত্তরের এই ছোট শহরে নেমেছি ঠিক ১১ দিন পর ২৭ তারিখ।

বিস্তারিত»

ফটোব্লগঃ জাস্ট সেলোগ্রাফী-১৮, ইসিসি (একটি স্বপ্ন)

নাহ, দুনিয়া জুড়ে প্রচুর গিয়াঞ্জাম। কালকে হঠাত সিসিবি এর এফবি পেজ এ একটা কমেন্ট দেখলাম। পুরানো দিনের কথা মনে করে আফসোস করা হইতেছে। আসলেই আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম। সারাদিন কমেন্ট র পোষ্টের বন্যা। এখন আর আগের সেই স্টার লেখকদের কাউকেই দেখি না। এমন কি আমাদের প্রিন্সিপাল স্যার ও অনেক বিজি। 🙁

কালকে কমেন্ট এ ফাইসা গেলাম। আবাহনীর আকাশ ( আবাহনী রে নিয়া আমিও খুব এ হতাশ এই সিজন এ) এর রিকোয়েস্ট একটা সেলোগ্রাফী হইলেও দেন।

বিস্তারিত»

আমঃ গ্রাম থেকে অফিসে!

আমাদের ছোট বেলায় মে জুন মাসের দিকে ১ মাসের একটা ছুটি পাওয়া যেত। সেই ছুটি আমাদের কাছে আম কাঠালের ছুটি নামে পরিচিত ছিল। নানা বাড়ী গিয়ে আম কাঠাল খাওয়া ছাড়া আরো যে কাজটি আমরা তখন করতাম সেটা হল নিজের এলাকায় গাছ গাছালির নিয়মিত খোজ খবর রাখা। কোন বাড়ীতে কয়টা আম গাছ আছে, কয়টাতে এবার আম এসেছে, কোন গাছের আম কেমন এসব বিষয়ে আমরা তখন বিশেষজ্ঞ হয়ে যেতাম।

বিস্তারিত»

“অবশ অনুভূতির চিঠি”

জানালার বাইরে ছিল অতি সাধারণ সবকিছু। একটি সবুজ ধানক্ষেত, আমের বাগান কনক্রিট রোড, ধুপি শপ, রেশন স্টোর, পানির ট্যাংক। প্রথম দিন যেমন নতুনত্ব ছিল সেদিনটাও কোন পার্থক্য ছিল না অনুভবের। জানালায় একবার দাড়িয়ে শেষবারের মত দেখলাম আমার ছবির ফ্রেমটা। জীর্ণ অথবা রংয়ের যত্নে লুকিয়ে থাকা রডগুলো ছুঁয়ে মনে হল ক্ষুদ্র অথচ প্রাণের কিছু অংশ রেখে যাচ্ছি। গতকাল রাত থেকে আমার অনুভুতিগুলো অনেকটা্ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।

বিস্তারিত»

একটি সাময়িক পোষ্ট

এক ফোটাও বাড়িয়ে বলছি না।
অন্য যেকোন প্রতিবাদের চাইতে আমাদের প্রতিবাদ ছিলো একেবারেই ভিন্ন।
প্রথমেই গর্ভস্রাবেরা দখল করে নেয় স্মৃতি সৌধ, আমাদের শহীদ মিনার; আমরা তখনো পৌঁছাইওনি লন্ডনের আফতাব আলী পার্কে।
এরপর ওরা পার্কের মাঝের সড়কটি দখলে নেয় সেই সাথে শহীদ মিনার সংলগ্ন স্থানসমূহ।
আমাদের পেছনে ওরা আরেকটি লাইন করে দাঁড়ায়।
আমাদের বামে দাঁড়ায়।
আমাদের ডানে দাঁড়ায়।
বিশ্বাস করেন ভাই সে এক অভাবনীয় অবস্থা।

বিস্তারিত»

রাজশাহীতে AMEC এর কম্বল বিতরণ

গতকাল  রাজশাহীতে হয়ে গেলো  Association of Mymensingh Excadets(AMEC) এর কম্বল বিতরণ । AMEC এর পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণীতে ছিলেন জিনাত শামা  আপা (০২-০৮) , তাসনুভা আপা (০২-০৮), শফিকা মনি ( ০৩-০৯), তাসনিম মিতু (০৪-১০),সিফাত (০৪-১০), সাদিয়া আরজু (০৪-১০)।

উনাদের সহযোগিতায় ছিলেন কবির ভাই(প ক ক, ৮৯-৯৫), জামিল ভাই(প ক ক, ৯৬-০২), মুকতাদির( ম ক ক, ০৫-১১), প্রিয়াঙ্কা( জ গ ক ক, ০৫-১১)এবং আমি।

বিস্তারিত»

এরা আমার সম্পত্তি নয়,সম্পদ-২

 

সবচে অবাক হয়েছি ক্যাকটাসের ফুল দেখে।অধিকাংশ ক্যাকটাসের ফুল হয় এবং সে ফুল অনেক দিন থাকে!!!সপ্তাহে একবার অল্প করে পানি দিলেই চলে।আলাদা করে আর কোন যত্ন নেয়া লাগেনা।চাকরির কিছু চক্করে গত বছরের শুরু থেকেই দৌড়ের উপর আছি।তাই ক্যাকটাস কালেকশন কার্যক্রম খানিকটা থমকে আছে।ইচ্ছা আছে দেশে ফিরে নতুন উদ্যমে শুরু করার।

বিস্তারিত»

এরা আমার সম্পত্তি নয়,সম্পদ-১(আমার ক্যাকটাস কালেকশন)

আমাদের বাসার সামনে উপজেলা অফিস।প্রতি বছর সেখানে কৃষিমেলা নামক কিছু একটা ব্যাপার হয়।খুব ছোটবেলা স্থানীয় এক কলেজ অধ্যাপক তার পিএইচডি এর জন্য যোগার করা ক্যাকটাস দিয়ে একটা স্টল দিয়েছিলেন।তখন খুব ভাল লেগেছিল।প্রায়ই মনে পড়ত সে স্মৃতি ।মিশনে আসার বছরখানেক আগে হঠাৎ করে মাথায় পোকা ঢুকল ক্যাকটাস কালেকশন করার। কারণ দেখতে সুন্দর,যত্ন খুব বেশি করা লাগেনা।মাথায় চিন্তা আসা মাত্রই কাজে নেমে পড়লাম।তবে যোগার করতে গিয়ে টের পেলাম ব্যাপারটা অত সহজ না।কারণ সব নার্সারিতেই কিছু কমন প্রজাতির বাইরে কিছু পাওয়া যায় না।

বিস্তারিত»

সে কি আসে, সে কি আসে!


আলোকচিত্র: সে কি আসে, সে কি আসে?, কাজী সাদিক(৮৪-৯০)

এমনি কত সোনাঝরা বিকেল এসে মিশে গেছে – নদীময় বয়ে গেছে আমাদের জীবনের চোরাস্রোত।হঠাৎ চুমুর বেগুনী উদ্ভাসে দুলে উঠেছে জারুল ফুল, সঘন উত্তাপে আ হা আমাদের জোড়া ঘড়ি থেমে যাবার ষড় করে কতবার পরাস্ত হয়েছে।অভিমানের কোন ধার ধারেনি কোন নদী, চোখ থেকে অশ্রুর শেষ ফোঁটাটুকুও লুটে নিয়ে গেলে হু হু করে উঠেছে খটখটে শুকনো হৃদয়।তুমি চলে গেছো রিকশায় ভর করে,

বিস্তারিত»