ভ্রমণ কাহিনীর আমি গোগ্রাসে গিলি। তাতে মজা একটাই। অদেখা, অজানা সব জায়গায় নিজে যেতে না পারলেও অন্যের চোখ দিয়ে দেখে নিই। এই যে আমাদের শান্তা, এমন সব দারুণ লেখে। পড়েও অতৃপ্তিটা থেকে যায়। যদি আরো কিছু পাওয়া যেত। কিন্তু ভ্রমণ তো এক জায়গায় শেষ হতেই হবে। শান্তা দেশ দেখে, স্থান দেখে, মানুষ দেখে, সেসব নিয়ে ভাবে- তারপর দারুণভাবে আমাদের সামনে তুলে ধরে। সাইফ ভাই মানুষ দেখেন।
বিস্তারিত»E-কার্টুনঃ টিং টং (পর্ব-১)
কাম কাজ খুইজা পাইতেসিলাম না। কাম না থাকলে খই ভাজার নিয়ম। খই ভাজা শিখি নাই, বইসা বইসা কমিক্স বানাইলাম। হুদাই ঘন্টা ধইরা কৃত আজাইরা কামের নিদর্শন নিম্নে দেওয়া হইলো… ;;;
বিস্তারিত»চৌত্রিশের প্রথম আনুষ্ঠানিক জামাই-কেচ্ছা
মাসখানেক আগে আমার সাবেক রুমমেট আমাকে একদিন ফোন করে বলে: বন্ধু, ঈদের তৃতীয় দিন আমার বিয়ে। চলে আসিস। আমি তো বলা যায় আকাশ থেকেই পড়লাম। সাধারণত বিয়ের মাসতিনেক আগে থেকে বেশ কানাঘুষা শোনা যায়, এর বেলায় সেগুলির কোনো বালাই নেই। আমি জিজ্ঞেস করলাম: কে রে? সেই জন যাকে দেখেছিলুম? উত্তর পেয়ে আশ্বস্ত হলাম।
আফটার অল, আমাদের প্রথম কারোর এরকম ঘটা করে বিবাহ, তাই আমি নিজেকে কোনোভাবেই চুপ রাখলাম না।
বিস্তারিত»আমার নতুন বান্ধবী
আমার বাবার জন্ম হয়েছিল উনিশ শতকে। তার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমা ছিল ব্রিটিশ আমলের লাটবাট থেকে আরম্ভ করে পাক শাসনামলের ক্রঢ়তা পর্যন্ত অনেক কিছুই। তবে আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেটি তার হয়নি, ক্যাডেট কলেজে পড়ার। আমাদের সময়কার ক্যাডেট কলেজের নিয়ম কানুন, রীতি রেয়াজ থেকে এখনকার কলেজগুলো যে অনেকটাই ভিন্ন সেটা চাকুরী সুবাদে ১৯৯০ সালে এ এ জি ক্যাডেট কলেজ থাকার সময়ই টের পেয়েছিলাম। তাও লোভ সংবরন করতে পারিনি একমাত্র মেয়েকে ক্যাডেট হিসেবে দেখার।
বিস্তারিত»বগা লেক (ফটোব্লগ)
বগা লেক
আয়তন : ১৫ একর।
সমুদ্র প্বষ্ট হতে উচ্চতা : প্রায় ২৭০০ ফুট ।
উপজেলা সদর হতে দুরত্ব : প্রায় ১৫ কিলোমিটার ।
টুকরো কথন
১.
ব্লগ লিখতে বসলাম। ব্লগের সদস্য হবার পর থেকেই আকাশদা আর পিন্টুসের কাছ থেকে ব্লগ লেখার তাগাদা পাচ্ছিলাম, কিন্তু ব্লগ আমার মাথায় আসলেও কি-বোর্ডে কিছুতেই আসতে চাচ্ছিল না। আজ পণ করেই বসেছি পিসি-র সামনে, ব্লগ আমি আজ লিখেই ছাড়ব। কিন্তু কি লিখি! অনেক জল্পনা-কল্পনার শেষে তাই ঠিক করলাম- একটা ছবি ব্লগ দেই। ব্লগটা আকাশদা এবং পিন্টুসকে যৌথভাবে উৎসর্গ করছি 🙂
২.
দিহানাপ্পি অনেকদিন হল তেমন সরব উপস্থিতি দেখাচ্ছে না ব্লগে।
আমাদের স্টার্ট আপ এর একটি প্রোডাক্টঃ ১ম বারের মত মুঠোফোনে থেকে লিখুন বাংলা ফোনেটিকে, পোস্ট করুন ফেসবুকে বাংলা স্ট্যাটাস
অ্যাপলিকেশনটির ছবি:
অ্যাপলিকেশনটির ভিডিও দেখুন:
সফটওয়্যারটির মাধ্যমে প্রথমবারের মত আপনি পাচ্ছেন মুঠোফোন থেকে আপনার প্রাণের ভাষা বাংলায় ফেসবুকের স্ট্যাটাস আপডেটের সুযোগ। তাছাড়া সফটওয়্যারটি আপনার হাতের মুঠোয় এনে দিচ্ছে প্রথমবারের মত মোবাইলে বাংলা ফোনেটিক পদ্ধতিতে লেখার সুবিধা।
বাংলা ফোনেটিক কি-প্যাড:
আরো ছবি :
সবার মতামত চাচ্ছি।
বিস্তারিত»আষাঢ়েঃ একটি দৃশ্যভিত্তিক গল্প
আষাঢ় মাস চলে গেলে নাকি আষাঢ়ে গল্প জমে ভালো। আমিও তাই বলি, দিনক্ষণ মেনে গল্প বলতে বসলে কি চলে? আমরা কতো ব্যস্ত মানুষ, সেলিব্রেটি, এটা দেখতে হবে না! আমাদের সারাদিন কতো কাজ থাকে, আমরা ঘুরি ফিরি খাই দাই, দুপুরে ঘুমাই ভাতঘুম থেকে উঠে সন্ধ্যার খবর দেখি আর সন্ধ্যাতারা খুঁজে চোখ ট্যারা করি (ঢাকা শহরে তারা দেখা যায় না, এমন ধোঁয়া আর ধুলা!)। সেই ট্যারা চোখে কি জানি আবোল তাবোল দেখি আর ভাবি যা দেখতেছি সবই ঠিক,
বিস্তারিত»কবিতাঃ প্রতীক্ষা
কাক ডাকা ভোর
সাদা কুয়াশায়
ঢাকা চারদিক
সব চুপচাপ
শুধু টুপটাপ
ঝরা শিশিরের
ঘোর শব্দ
সেই সকালে
নিজ গৃহে পরবাসী
কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক
কে বলে তা বহুদূর
১০০ কিমির মাঝে স্বর্গ নরক
টাঙ্গাইল ঢাকাতাই সুরাসুর।
ঢাকার অতি মাত্রায় যান্ত্রিক এবং ব্যস্ততম জীবনে প্রায়ই হাপিয়ে উঠি।ঢাকা আমার কাছে একটা সিক সিটি এবং মাঝে মাঝেই আমার মন বিদ্রোহ করে বসে।তখন কিচ্ছু ভাল লাগেনা।শুধুই মনে হয় আই নীড এ ব্রেক।তখন আর কোথাও না হলেও আমার টাঙ্গাইল যাওয়ার কথাই মনে হয়।তার মানে আমাকে হোমসিক ভাবার কোন কারন নেই।শহীদ কোচিং দিয়ে শুরু তারপর ৯৩-৯৯ ফৌজদারহাট কেন্দ্রীয় কারাগারে কাটানোর পর বিগত ১১ বছর ঢাকার দূষিত বায়ু সেবন আর ভেজাল খাবার খেয়েই কেটে যাচ্ছে।সব মিলে প্রায় ১৯ বছরের হোস্টেল/মেস লাইফ।আমার জীবনের বেশির ভাগ সময়ই বন্ধুময়।সবার মাঝে থেকেও একা থাকা যায় যা ফ্যামিলি লাইফে সম্ভব না।সিংগেল লাইফে এতই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে বিয়ে করতে ইচ্ছে করেনা।আর টাঙ্গাইল গিয়ে বেশিদিন ফ্যামিলির সাথে থাকলেও কেমন যেন আবদ্ধ লাগে!যদিও উত্তরা থেকে টাঙ্গাইল যেতে উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে যে সময় লাগে তার চেয়েও কম সময় লাগে তারপরও স্টুডেন্ট লাইফ থেকে আজ পর্যন্ত আমার মাসে একবার যাওয়ার অভ্যাস।উইক এন্ডে দু একদিন থেকে চলে আসি অতিথির মত।সারাজীবন বাড়ির বাইরে থাকার কারনে আমার নিজেকে নিজ গৃহে পরবাসী মনে হয়।কিন্তু সবকিছুর পরও টাঙ্গাইলেই মুক্তি।আমার সোজা হিসেব-ঢাকা নরক আর টাঙ্গাইল স্বর্গ।ঢাকায় আছি স্রেফ পেটের দায়ে।বিদেশে থাকলে বাংলাদেশের প্রতি যেমন ভালবাসা অনেকগুনে বেড়ে যায়,
বিস্তারিত»সুন্দরবন ট্যুরঃ ২০০৯
(সেই ঊননিশ’ তিপ্পান সালে টাইটেলটা লিখে রাখছিলাম , আজকে চেষ্টা
করব পুরোটা শেষ করে উঠতে )
বিয়ের ঠিক একমাস দশদিন পর জামাই উড়াল দিবে পৃথিবীর অন্য প্রান্তের দিকে এমনটাই ঠিক হয়েছিল । দূর্ভাগ্য আমাদের , এই সময়টুকুতেই আমার ডিপার্টমেন্টের স্যারদের মাঝে যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল পরীক্ষা নেয়ার । ফলাফল আমি ঢাকা আর সে ময়মনসিংহ । দুই বছর পর যাও বা সে ফিরল ,
বিস্তারিত»পল্লবীর মহা মিলন
টাইটেল দেখে কেউ আবার ভাববেননা যে আমি পল্লবী নামে কোন ষোড়শী কিংবা কোন অষ্টাদশীর কোন মিলনের কথা বলছি।আমি যেটা বলতে চাইছি, সেটা হলো, মহা উৎসবে আজ পল্লবীতে (প্রিন্সিপ্যাল স্যারের বাসায়) হয়ে গেল পূর্ব ঘোষিত এক মিলন মেলা। এই মিলন মেলায় যারা উপস্থিত হতে পারেননি, তাদের জ্ঞাতার্থে আমার এই পোষ্ট।
আর্জেন্টিনার ভয়ে অন্য কোন দল আজ হাজির হতে সাহস পায়নি। তাই ওয়াকওভার পেয়ে আজ আর্জেন্টিনা জয়ী হয়েছে।
বিস্তারিত»ওল্ড ইজ গোল্ড – ০১
কিছুদিন আগে পাভেল ভাই(বিসিসি/১৫) এর বাসায় গিয়ে দেখি অনেক গুলা বাংলা ছবির ডিভিডি। অনেক পুরান ছবি কিন্তু মানসম্মত ছবিতো বটেই, খুব ভালো ছবি। ভাইয়া বললো এগুলা ইউটিউব এ আপলোড করে দিতে। আমি চিন্তা করলাম ইউটিউব এ করে কি লাভ মিডিয়া ফায়ার এ করে ব্লগ লিখে ফেলি।
ব্যাপারটা যত সহজ ভেবেছিলাম, এখন সেরকম মনে হচ্ছেনা। কারণ, ডিভিডি থেকে একটা .avi ফাইল করা তারপর সেটাকে ভাগ (split) করে মিডিয়া ফায়ারে আপলোড করা,
বিস্তারিত»এক্স ক্যাডেট লাইফের প্রথম কবিতাঃ বৃষ্টি ও প্রেম ১
সেই পুতঃ প্রেম সাগর দোলায়
সেই পুতঃ প্রেম জানলা খোলায়
গ্রীলে ঠেকে মুখ,সে এসে দাঁড়ায়
বৃষ্টি ছুঁতে সে দু’হাত বাড়ায়
দু’হাত বাড়িয়ে জল ছুঁতে চায়
বৃষ্টিস্নাত প্রেম ছুঁতে চায়
বৃষ্টি জলের ঘূর্ণিমায়ায়
আজ কেন সে নীল ছুঁতে চায়!
জলে ভেজে গাল,কেন সে হাসে
জল চুমু খায় জানালার পাশে
তার ঠোঁটে হাতে জল ছুঁয়ে যায়
বৃষ্টির প্রেমে নীল ধূয়ে যায়
জলে ভিজে যেতে দুহাত বাড়ায়
কী নিবিড় হাসি চোখের তারায়!
পুষ্প, বিহঙ্গ এবং বসন্তদিন
ক’দিন থেকেই মন ও তার কারখানার যাচ্ছেতাই অবস্থা। কিছুই ভাল লাগে না। সেমিষ্টার শেষ হইয়াও হইল না শেষ – ধরনের একটা অবস্থায় ঝুলছে। স্কুলে এখন সেমিষ্টার ফাইনাল। গমগম করা ল্যোব বিল্ডিং, ইউনিসেন্টার, অট্রিয়াম অনেকটাই ফাঁকা গড়ের মাঠ। টিমহর্টনস কিংবা ষ্টারবাকস কফিশপে লম্বা সেই একপ্রস্থ লাইন আর নেই। ফিল্ড হাউস, অ্যালামনাই হলসহ যেসব জায়গায় পরীক্ষা চলে, সেখানে ঝাঁকে ঝাঁকে চিন্তাক্লিষ্ট মুখ। কেউ কেউ নোটে বা বইয়ে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছে শেষবারের মতো।
বিস্তারিত»