ফাঁকিবাজি ছবি ব্লগ -পার্ট ৩ ( ক্লাস ১২ এর গল্প)

ফাঁকিবাজি সিরিজের দুইটা পোস্ট দিয়েছিলাম অনেকদিন আগে।  কেন এটাকে আমি ফাঁকিবাজি পোস্ট বলি তার পেছনে একটা কারন আছে। এধরণের পোস্ট লিখতে খুব একটা মাথা খাটাতে হয়না। রেডিমেড ছবি , এরসাথে স্মৃতি থেকে কিছু লিখে দিলেই হয়।  বাড়তি ঝামেলা কম।  এধরণের স্মৃতিচারণা মূলক লেখা লিখতেও আরাম লাগে। হাতে কিছু সময় পরে আছে.. ফেসবুক এর নিউজফিডে ও নতুন কিছু নেই।  তাই ভাবলাম হাবিজাবি কিছু লিখে ফেলি আর কি !

বিস্তারিত»

পঞ্চ ভৌতুক

[ভৌতুকঃ ছোট  সাইজের হাসির গল্প যেমন কৌতুক, তেমনি ভৌতুক হল  দু’তিন কথায়  ভয়ের  অথবা ভুতের অদ্ভুত  গল্প]

কলিং বেল

প্রতিদিন বিকেলে কলিং বেল বাজিয়ে ভেগে যাওয়া হতচ্ছাড়াটাকে ধরার জন্য মিতু আজ আট ঘাট বেঁধে বসে ছিল। ঝট করে দরজা খুলে যা দেখল তার জন্য কিন্তু সে একেবারেই তৈরী ছিল না। পাশের ফ্ল্যাটের হারিয়ে যাওয়া বাচ্চাটা হাসতে হাসতে তার চোখের সামনেই হাওয়ায় মিলিয়ে গেল না?

বিস্তারিত»

আর্ট এগজিবিশন : লেসনস এন্ড টিপস্‌

এই লিখাটা আদৌ লিখবো কি লিখবো না, তা নিয়ে নিজের সাথে ভালোই যুদ্ধ করে কাটালাম বেশ কয়েকটা সপ্তাহ।
কিসের যুদ্ধ? কেন যুদ্ধ??

না লিখার পক্ষে প্রধান নিয়ামক ছিল, মটিভেশনের অভাব।
– ডাইরেক্ট ইন-ডাইরেক্ট মিলিয়ে অলরেডি ৩টা ব্লগ লিখেছি এই এক ইভেন্ট নিয়ে। সেগুলোর ট্রাফিক ও কমেন্ট দিনে দিনে কমে এসেছে। বোঝা যাচ্ছে, পাঠকরা এই এক বিষয়ে বেশী কচলানো পছন্দ করছেন না।

বিস্তারিত»

ছবির কবিতার গল্প

শুরুর আগে

সিকি শতাব্দী আগের কথা। এফসিসি থেকে বেরিয়ে আমরা মেডিকেল কলেজে ঢুকেছি। অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রির বুট ক্যাম্প চলছে প্রতিদিন। ডিসেকশন হলের  ঝাঁঝাল-মিষ্টি,  “একবার শুকলে ভোলা যায়না” গন্ধ গায়ে মেখে বাসায় ফিরি। রাতে অন্য মানুষের হাড় গোড় বিছানায় নিয়ে ঘু্মিয়ে পড়ি।  পরদিন ভোরে আবার লাল চোখে ঝিমাতে  ঝিমাতে  আইটেম পরীক্ষা দিতে হাজির হই।  প্রাণান্তকর অবস্থা!

 

শুরু

দীর্ঘ সময় চাপের ভেতর  থাকলে প্রাকৃতিক নিয়মেই আত্মরক্ষার জন্য মানুষ  ডাইভারশন খুঁজে নেয়।

বিস্তারিত»

ছবি থেকে গল্প

এখনো “প্রয়াস”-এর সাফল্যাক্রান্ত হয়ে আছি।
তাই লিখালিখি থেকে প্রয়াসের প্রভাব কাটছে না।
ওখানে দেখা ছ’টি ছবি দেখে তা একটা ধারাবাহিক গল্পের প্লট বলে মনে হয়েছিল।
পরে বুঝলাম, সেই গল্পের শেষটা খোঁজা দরকার।
খুজতে গিয়ে ২০১৫-তে আঁকা দুটো ছবি পেলাম।
এবং ভেবে দেখলাম, দুই ছবি দিয়ে দুই ধরনের শেষ টানা যায় গল্পের।
হয়তো ছবি দু’টো একত্রে তৃতীয় আরেকটা সমাপ্তিও হতে পারে।

বিস্তারিত»

এইবার দুই এক্সক্যাডেটের “প্রয়াস” নিয়ে পুর্নাঙ্গ ব্লগ……

১৪ মার্চ ইভেন্ট নটিফিকেশন পেলাম, প্রয়াস নামে একটা যৌথ আর্ট এগজিবিশন হবে দুই এক্সক্যাডেটের।
একজনকে চিনি, সাবিহা জিতু – কিন্তু দীর্ঘ্যদিন যোগাযোগ নাই। অন্যজন ম্যাক্স মাজেদ চিনি তো না ই, চেনার কোন সুযোগও ছিল না।

তারপরেও এই নটিফিকেশনটা আমাকে ছুঁয়ে গেল।
দারুন ছুঁয়ে গেল।
মুহুর্তের মধ্যে আমি আমার ক্যাডেট কলেজ জীবনে ফিরে গেলাম। চোখে ভেসে উঠলো কত কত অসাধারন গুনি আঁকিয়ের মুখ।

বিস্তারিত»

জিতু-মাজেদের আর্ট এগজিবিশন নিয়ে আপডেটেড রিপোর্ট: ডে-৩

ভাবছি, আর খুব বেশী আপডেট দিয়ে এই লিখাটিকে তেমন একটা ভারাক্রান্ত করবো না।
আমার লিখালিখিতে যতটা উৎসাহ, পাঠকগনের মনে হয় না ততটা উৎসাহ আছে তা পড়ায়।
কারো উপর অকারন চাপ সৃষ্টি করতে চাইছি না।
তবে,
ইসিএফ-এ দেয়া এই পোস্টটা এখানে আর্কাইভ করার ইচ্ছা দমন করতে পারছি না।
কারো বিরক্তির উদ্রেক হলে আগাম দুঃখ প্রকাশ করে রাখলাম……
*** *** ***
দুই এক্সক্যাডেট সৌখিন চিত্রশিল্পী সাবিহা জিতু ও ম্যাক্স মাজেদ-এর ৫-দিন ব্যাপী যৌথ চিত্র-প্রদর্শনি হচ্ছে ধানমন্ডি (রোড-১৩,

বিস্তারিত»

ধীরে বহে মেঘনা

সপ্তাহখানেক আগে খাবার টেবিলে অনেকটা আনমনেই বলছিলাম গ্রাম-বাঙলার মানুষের জীবনযাপনের কথা। তাদেরকে খুব কাছে থেকে দেখতে চাই। যেমনঃ পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরা কিংবা মৌসুমের প্রথম ধান লাগানোর দৃশ্য। কাকা এই কথাগুলো খেয়াল করছিলেন। এরপর দিন দুয়েক আগে হঠাৎ করেই মা বললো, ‘তোমার জাভেদ মামা কালকে মাছ ধরতে যাচ্ছে আমতলী। যাবা নাকি?’ জিজ্ঞাসায় জানতে পারলাম আমতলী হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম এবং মামার শ্বশুড়বাড়ি।

বিস্তারিত»

শীতের ছবিঃ ছবির শীত

যাহ, উইন্টার শেষ হয়ে গেল! প্রতিবছর শীতের শুরুতে ভাবি জম্পেশ কিছু ছবি তুলব। গ্রামীণ এলাকায় থাকি… উঁচু-নিচু খোলা মাঠ, ফার্ম হাউজ, গাছপালা নিয়ে দারুণ সব স্নো-স্কেপ মাথায় আসে। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে সেসব ছবি মাথাতেই থেকে যায়।  আলসেমির কারণে আর ঠান্ডার ভয়ে ফটোওয়াক তেমন একটা  হয়ে ওঠে না। এবারো একই ঘটনা!

 

 

আসলে বরফের মধ্যে ছবি তোলার ঝামেলাও অনেক।

বিস্তারিত»

সিসিবি-তে কবিতা পাঠ

সাবিনা চৌধুরী অনেকদিন ধরেই পিছনে লেগে আছেন একটা ভিডিও ব্লগ যেন নামাই, সেইজন্য।
নানা অজুহাত দিয়ে অনেক সময় পার করলাম। কিন্তু শেষমেষ বুঝলাম, ফিতা না কাটা পর্যন্ত এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ নাই।
যদিও প্রধান অজুহাতই ছিল, “আমি তো ফটোজনিক না” – কিন্তু সাবিনা ওটা মানতে রাজী না।
অনুরোধের ঢেকি গিললাম কিন্তু তা যে ভবিষ্যতেও হবে সেই গ্যারান্টি কিন্তু নাই।

আমি তো পারি কেবলই “পাঠ-প্রচেষ্টা”

বিস্তারিত»

১৯৭১ বাঙলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ

০১।
১৯৬৯ এর গন অভ্যুথ্বানের এই শিশুটি (টোকাই বা পথশিশু) একটি মিছিলের সর্বাগ্রে । ছবি রশিদ তালুকদার – অটোগ্রাফ এবিপি

child-1561

বিস্তারিত»

যা দেখছি, যা ভাবছি ইদানিং

Almost Famous (movie)

ক্লাসিক রক মিউজিক এন্থুসিয়াস্টিক হিসেবে গত শতাব্দীর ষাট আর সত্তুরের দশক নিয়ে আমার বিশাল আগ্রহ। রক এন রোল এই যুগের সবকিছুই আমার কাছে একটা হাতছানি দিয়ে ডাকা রহস্যময় ধোয়াশার মতন। Almost Famous মুভিটার নাম প্রথম জানতে পারি একটা মুভি ব্লগে। ভালো সাউন্ডট্র্যাক এর একটা মুভি খুজতেছিলাম। ঐখান থেকেই এই রিকমেন্ডেশন পাই। মুভির কাহিনী লিখতে আমার সবসময় আলসেমি লাগে। ইন জিস্ট কাহিনী টাকে সংক্ষেপে এরকম বলা যায় ,

বিস্তারিত»

বীরশ্রেষ্ঠ পরিচিতি

আমাদের গর্ব, আমাদের বীরশ্রেষ্ঠ
Screen Shot 2015-01-02 at 17.50.05

বীর শ্রেষ্ঠ বীরত্বের জন্য প্রদত্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক পদক। যুদ্ধক্ষেত্রে অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগের নিদর্শন স্থাপনকারী যোদ্ধার স্বীকৃতিস্বরূপ এই পদক দেয়া হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে এই পদক দেয়া হয়েছে ।

গুরুত্বের ক্রমানুসারে বীরত্বের জন্য প্রদত্ত বাংলাদেশের অন্যান্য সামরিক পদক হল – বীর উত্তম, বীর বিক্রম ও বীর প্রতীক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পরই এই পদকগুলো দেয়া হয়।

বিস্তারিত»

অডিও ব্লগঃ বাংলা গানের বুলবুলি

ক্যাডেট কলেজে বাংলা সংবাদ শোনাটা আমাদের বাধ্যতামূলক ছিল। “সব ক’টা জানালা খুলে দাও না” শুরু হলেই টিভির ভলিউম বাড়ানো হতো আর আমরা পড়িমরি করে ছুট লাগাতাম টিভি রুমের দিকে। দেশের খবর শোনাতে আমাদের আগ্রহ ছিল না মোটে, আমরা বরং এই গানের টানে যেতাম সেখানে। “ওরা আসবে চুপিচুপি যারা এই দেশটাকে ভালবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ” শুনলেই দিন শেষের ঝিমিয়ে পরা রক্ত উত্তাপ ছড়াতো সেই কৈশোরে!

যে মানুষটির গান শুনে দেশ আর মাটির প্রতি আমাদের প্রজন্মের ভালবাসা জন্মেছে তাঁর নাম আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।

বিস্তারিত»

হাওরের দেশ, হাসন রাজার দেশ, নীলজলা নদীর দেশ

তোমরা ভ্যাকেশন কাটাতে যাও ব্যাংকক, পাতায়া, মানালী, কাঠমুন্ডু, মরিশাশ, বালি আর ফিরে এসে ফেইজবুকে ছবি ভরে দিয়ে আমাদের বুকের হাহাকার বাড়াও! টাকা খরচ করে, ভিসার ঝামেলা মাথায় নিয়ে, বিমানবালার হাতের ফ্রি খাবার খেয়ে, শীতোতাপ নিয়ন্ত্রিত বিলাসবহুল হোটেলের নরম বিছানায় গা না এলালে ঠিক যেন ভ্যাকেশনটাকে জাতে তোলা যায় না। আজকাল ফেবু কবিদের ভীড়ে আমরা এককালের কাগজ আর কালি খরচ করে গড়ে ওঠা কবিদের কথা মনেই রাখি না।

বিস্তারিত»