(১৯৩৩ সালে স্বনামধন্য পত্রিকা আটলান্টিক মান্থলিতে ‘Three Days to See’ শিরোনামে মহীয়সী হেলেন কেলার-এর লেখা একটি মর্মস্পর্শী নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। লেখাটি আজো আলোড়িত করে অনুভূতিশীল যে-কোনো পাঠককে।)
১.
একদিন যে মারা যাব এটা সবাই জানি। কিন্তু, আমরা ধরেই নিই সেই দিনটি আসতে এখনো অনেক দেরি। যৌবনে মৃত্যুকে তাই এক অসম্ভব ব্যাপার বলে মনে হয়। জীবনের ব্যাপারে আমরা যেমন ঝিমোতে থাকি, ইন্দ্রিয়গুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও তেমনিভাবে ঝিমোই। বধির ছাড়া অন্যদের বিন্দুমাত্র ধারণা নেই শ্রবণশক্তির মূল্য কত। দৃষ্টিশক্তি যে বড় আশীর্বাদ – দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন মানুষরা তা অনুভবই করে না। এটা অনেকটা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা না দেয়ার সেই প্রাচীন কিসসার নিরন্তর পুনরাভিনয়।
বহুবার আমার মনে হয়েছে, প্রতিটি মানুষ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর কিছুদিনের জন্যেও যদি অন্ধ ও বধির হয়ে যেত, তবে তা তার জন্যে খুবই ভালো হতো। নিশ্ছিদ্র আঁধার তাকে সচেতন করে তুলত দৃষ্টির মহিমা সম্পর্কে। আর নীরবতা তাকে শেখাত শব্দের আনন্দময় জগতে কীভাবে স্নান করতে হয়।
মাঝে মাঝেই আমার দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন বন্ধুদের জিজ্ঞাসা করে আমি বোঝার চেষ্টা করি তারা চোখ দিয়ে আসলে কী দেখে। আমার এক বান্ধবী অরণ্যের নিভৃতে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে কিছুদিন আগে বাড়ি ফিরেছে। তার কাছে জানতে চাইলাম তুমি কী দেখে এলে। সে বলল, ‘তেমন কিছু তো দেখলাম না।‘ তার এই উত্তর কারোরই বিশ্বাস করার কথা না। কিন্তু এরকম উত্তর শুনতে শুনতে আমি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। জেনেছি, যাদের চোখ আছে তারাই আসলে দেখে সবচেয়ে কম।
আমার প্রশ্ন হলো, প্রকৃতিতে যেসব অপূর্ব সুন্দর দৃশ্য ছড়িয়ে আছে, গাছপালার সান্নিধ্যে সময় কাটাবার পরও তার সন্ধান না পাওয়া কীভাবে সম্ভব? আমি তো অন্ধ। চোখে দেখি না। তবু শুধুমাত্র স্পর্শ করে ভালোলাগার মতো অসংখ্য জিনিস খুঁজে পাই। মাঝে মাঝে ধূসর বার্চের মসৃণ শরীরে কিংবা পাইনের রুক্ষ বাকলে হাত বুলাই। পাতার সূক্ষ্ম কারুকাজ অনুভব করার চেষ্টা করি। বসন্তকালে গাছের ডাল ছুঁয়ে খোঁজার চেষ্টা করি নতুন কোনো কুঁড়ির জন্ম হলো না তো? কেননা, একটি কুঁড়ির জন্ম মানে শীতনিদ্রা থেকে সেই গাছটির জেগে ওঠা।
ভাগ্য যেদিন খুব ভালো হয়, ছোট্ট কোনো গাছের গায়ে হাত রেখে হঠাৎ আবিষ্কার করে ফেলি উল্লাসে মাতোয়ারা পাখিদের কোলাহল। ঋতুর চলমান এই মিছিল যেন রোমাঞ্চকর অন্তহীন এক দৃশ্যকাব্য। যার অঙ্গভঙ্গি জীবন্ত হয়ে ওঠে আমার আঙুলের ডগায়। মাঝে মাঝে বাস্তবে নিজের চোখে এগুলো দেখার ইচ্ছা ভীষণ তীব্র হয়ে ওঠে।
শুধু স্পর্শ করে আমি যদি এত আনন্দ পেতে পারি, তবে চক্ষুষ্মানদের জন্যে চারদিকে কতই না বিপুল সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে ।
২.
ধরো, তোমাকে জানিয়ে দেয়া হলো, তিন দিন পর তুমি দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলবে। এবং তৃতীয় রাতে জানতে পারলে, সূর্য আর কখনো তোমার জন্যে পূর্ব আকাশে উদিত হবে না। তোমার জন্যে অপেক্ষা করবে শুধুই নিঃসীম অন্ধকার। এই আসন্ন চিরস্থায়ী অন্ধত্বের সাথে তখন কীভাবে মোকাবিলা করতে? এই তিনটি দিন কী কী দেখতে ব্যয় করতে?
মাঝে মাঝে ভাবি, কোনো এক অলৌকিক উপায়ে মাত্র তিন দিনের জন্যেও যদি আমাকে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়া হতো, তাহলে পুরো সময়টাকে তিন ভাগে ভাগ করে ফেলতাম।
প্রথম দিনে আমি সেই প্রিয় মানুষগুলোর মুখ দেখতে চাই, যাদের হৃদয়ের উষ্ণতা আর সাহচর্য আমার জীবনকে কানায় কানায় ভরে তুলেছে। আমি শুনেছি চোখ নাকি ‘অন্তরের জানালা‘। সেই জানালার ভেতর দিয়ে প্রিয় বন্ধুর হৃদয় দেখার কৌশল আমার জানা নেই। আমাকে ‘দেখতে‘ হয় আঙ্গুলের ডগা দিয়ে কারো মুখের চারপাশে স্পর্শ করে।
আরেকজন মানুষের আচরণ বা প্রতিক্রিয়া কত দ্রুত এবং কত সহজ অনায়াসেই না তোমরা ধরে ফেলতে পারো! এর জন্যে সেই মানুষটির মুখভঙ্গিতে সূক্ষ্ম পরিবর্তন, পেশির কাঁপন কিংবা তার হাত নাড়ানোই তোমাদের জন্যে যথেষ্ট। কিন্তু, কখনো কি চোখজোড়া ব্যবহার করে প্রিয়জনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা মানুষটিকে দেখার ইচ্ছা জেগেছে তোমাদের মনে ? তোমাদের যাদের দৃষ্টিশক্তি আছে, তাদের অধিকাংশই কারো মুখের দিকে নিতান্ত অবহেলায় একনজর তাকাও, তারপর সেই চেহারা চিরদিনের জন্যে ভুলে যাও।
যেমন ধরো, তুমি কি তোমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ পাঁচ বন্ধুর চেহারা নিখুঁতভাবে বর্ণনা করতে পারবে? আমি অনেক ভদ্রলোককে প্রশ্ন করেছি, বলুন তো আপনার স্ত্রীর চোখের রং কী? প্রায় সবাই কুণ্ঠিত ও বিব্রত হয়ে জানিয়েছেন এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর তাদের জানা নেই।
আহ ! যদি তিন দিনের জন্যে হলেও দৃষ্টিশক্তি থাকত, তাহলে কতকিছুই না আমি দেখতাম !
প্রথম দিনটি হতো বেশ কর্মব্যস্ত। সব বন্ধুদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানাতাম। লম্বা সময় ধরে তাদের মুখ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতাম। যেন মনের আয়নায় তা একেবারে গেঁথে যায়। চড়াই-উতরাই জীবনের সীমানায় হানা দেয়ার আগ পর্যন্ত মানুষের চেহারায় একধরনের নিষ্পাপ সৌন্দর্য বিরাজ করে। কোনো একটি শিশুর মুখের দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করতাম, সেই নিষ্পাপ সৌন্দর্যের স্বরূপ।
ব্যস্ততায় মুখর প্রথম দিনে আমি নিতান্তই তুচ্ছ কিন্তু একান্ত আপন জিনিসগুলো দেখতে চাইতাম। যেমন- আমার পায়ের নিচে যে শতরঞ্জি বিছানো থাকে তার উজ্জ্বল রং, দেয়ালে টাঙ্গানো চিত্রকর্মটা এইসব। এগুলো আছে বলেই তো একটি আবাসস্থল ঘরে পরিণত হয়।
এগুলো দেখা শেষ হলে যে দেখতাম সেই বইগুলো ছোটবেলা থেকে আমাকে যেসব পড়ে শোনানো হয়েছে। কারণ, আমার জীবনের মানচিত্র জুড়ে বিরাজমান রাত্রির নিশীথে এই বইগুলোই আলোয় ভরা বাতিঘরের মতো বার বার বহমান জীবনের জলছবি স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে।
সেদিন দুপুর গড়িয়ে যখন বিকেল নামত, তখন হারিয়ে যেতাম ঘন অরণ্যের মাঝে। প্রকৃতির সৌন্দর্যে আমার চোখদুটো যেন একেবারে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যায়। সেই সাথে প্রার্থনা করতাম একটি বহুরঙা সূর্যাস্তের জন্যে। আর রাতে? সারাদিনে যত কিছু ঘটেছে তার স্মৃতিতে এমনভাবে ডুবে থাকতাম যে সেই রাতে মনে হয় না আমি ঘুমাতে পারতাম।
৩.
পরদিন একদম ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে পড়তাম। কী অলৌকিক উপায়ে রাতের খোলস ভেঙ্গে একটি দিন জন্ম নেয় তা দেখার জন্যে। অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকতাম সেই অপূর্ব আলোর দিকে যার পরশে সূর্য প্রতিদিন পৃথিবীর ঘুম ভাঙ্গায়।
দ্বিতীয় দিনে চেষ্টা করতাম পৃথিবীর ইতিহাস ও বর্তমান সময়ের চালচিত্র সম্পর্কে যতটা সম্ভব জানার। আর এজন্যে জাদুঘরে তো যেতেই হবে। আশ মিটিয়ে দুচোখ ভরে পশুপাখির বিচিত্র সব কাণ্ডকারখানার ছবি দেখব। সেই সাথে জানব বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ সম্পর্কে। এছাড়াও দেখব অতিকায় ডাইনোসরের কঙ্কাল। দুর্বল শরীর এবং অসম্ভব শক্তিশালী মস্তিষ্ক নিয়ে মানুষ নামক প্রাণীর আবির্ভাবের বহু আগে যারা দুনিয়ার বুকে ঘুরে বেড়িয়েছে।
এরপর যাব আর্ট মিউজিয়ামে। যেসব অনিন্দ্যসুন্দর ছবি ও ভাস্কর্য এতদিন কেবল আঙুল দিয়ে ছুঁয়ে অনুভব করতে হয়েছে, এবার সেগুলো দেখতে পারব আমি। আমার জন্যে খুলে যাবে শিল্পের বিপুল ঐশ্বর্যময় জগতের দরজা।
সন্ধেবেলাটা কাটাবো কোনো এক থিয়েটার বা প্রেক্ষাগৃহে। যেহেতু একটি মাত্র নাটক দেখার সুযোগ থাকবে, বিশেষ কোনো নাটক বেছে নিতে বললে মুশকিলে পড়ে যাব! কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখব ! তোমাদের যাদের চোখ আছে, তোমরা তো যখন যা ইচ্ছা হয় তাই দেখতে পারো। কিন্তু নাটক সিনেমা বা দৃশ্য দেখার সময় তোমরা কী কৃতজ্ঞ হও? চোখ দিয়ে দেখার এই অলৌকিক ক্ষমতা আছে বলেই তো তুমি উপভোগ করতে পারছ এতসব রং, প্রিয়জনের মুখ ও তাদের অঙ্গভঙ্গি।
যদি একটি নাটক একবার হলেও দেখার সুযোগ মিলত, কল্পনার রংতুলি দিয়ে মনের চিত্রপটে আরো শত শত নাটক নিজের মতো করে জীবন্ত করে তুলতে পারতাম।
৪.
তৃতীয় দিন ভোরের সূর্যকে আবারো সানন্দে আলিঙ্গন করব। গোপন আশা থাকবে হয়তো আজ সৌন্দর্যের নতুন কোনো রহস্য আবিষ্কার করব। আমি নিশ্চিত, চোখ দিয়ে যারা সত্যি সত্যিই দেখে, তারা জানে যে প্রতিটি ভোর নিত্যনতুন সাজে হাজির হয়। তবে তার ঘোমটা খুলে দেখতে জানা চাই।
আজকের দিনটি হবে আমার খেয়ালি ইচ্ছেপুরণের শেষ দিন। হা-হুতাশ করে অপচয় করার মতো সময় আমার হাতে থাকবে না। অনেক কিছু দেখা এখনো বাকি। আজকে আমি পৃথিবীর কর্মচাঞ্চল্য দেখতে চাই। এজন্য যেতে চাই রূপকথার দুনিয়া থেকে উঠে আসা আকাশছোঁয়া অট্টালিকার ব্যস্ত শহর নিউইয়র্কে।
প্রথমে দাঁড়ানোর জন্যে এমন জায়গা বেছে নেব যেখানে মানুষের আনাগোনা কিছুটা বেশি। তাদের দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করব প্রতিদিনের জীবন আসলে কেমন হয়। লোকজনের হাসি দেখব, কান্না দেখব। তাদের দৃঢ় প্রত্যয় দেখে গর্বিত হবো। আর দুঃখকষ্ট দেখে হবো সমব্যথী।
প্রশস্ত রাজপথ ধরে হাঁটতে থাকব। দুচোখ যেদিকে যায় যাক। পথচলতি মানুষ আর মানুষীর বাহারি জামায় রাজপথ জুড়ে ফুটে উঠবে চলমান এক নকশিকাঁথা। আমি নিশ্চিত যে, ভিড়ের মাঝে মহিলাদের রঙ-বেরঙা পোশাক এমন মোহনীয় দৃশ্য সৃষ্টি করে যা আমাদের চোখকে কখনো ক্লান্ত করে না।
তারপর ফিফথ এভিনিউ থেকে পার্ক এভিনিউ, বস্তি, কারখানা, শিশুদের খেলার মাঠ হয়ে সমস্ত শহর ঘুরে দেখব।
এভাবেই আমার তৃতীয় দিনটি ধীরে ধীরে ফুরিয়ে আসবে। হয়তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বাকি রয়ে গেল যেগুলোর প্রতি মনোযোগ দেয়া উচিত ছিল। তবুও শেষ দিনের সন্ধ্যাবেলায় আমি আবার ছুটে যাব থিয়েটারে। উচ্ছাসে মুখর একটি নাটক দেখব বলে।
মধ্যরাতে অন্ধত্ব থেকে তিন দিনের জন্যে আমার সাময়িক মুক্তির ছাড়পত্রের মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে। আমার চোখে আবার নেমে আসবে চিরস্থায়ী রাত। সারাজীবন ধরে যতকিছু দেখতে চেয়েছি তার পুরোটা মাত্র তিন দিনে দেখা কখনোই সম্ভব না। যখন আবার অন্ধ হয়ে যাব, কেবল তখনই উপলব্ধি করব কত কিছু অদেখার আড়ালে থেকে গেল !
যদি তুমি জানতে যে অন্ধ হয়ে যাবে তাহলে তুমি যে তালিকা বানাতে তার সাথে আমার বানানো এই তালিকা মিলবে না। কিন্তু, এটুকু বলতে পারি, যদি তুমি অন্ধ হয়ে যাবে- এই হুমকির মুখোমুখি হতে তবে চোখজোড়া এমনভাবে ব্যবহার করতে যেভাবে আগে কখনো করো নি। যা-কিছু দেখেছ তার সবটাই তোমার কাছে মধুর মনে হতো। দৃষ্টির সীমানায় যা-ই আসবে তোমার চোখ তাকেই আপন করে নিত। কেবল তখনই তুমি সত্যিকারভাবে দেখতে পারতে। এবং, সৌন্দর্যের নতুন এক জগত তোমার সামনে নিজেকে মেলে ধরত।
যদিও আমি অন্ধ, তবু যারা দেখতে পায় তাদেরকে একটি পরামর্শ দিতে পারি। এমনভাবে দ্যাখো যেন কাল তুমি অন্ধ হয়ে যাবে। বাকি ইন্দ্রিয়গুলির ক্ষেত্রেও এই নিয়ম মেনে চলো। মানুষের কণ্ঠস্বরে যে সুর আছে, টা কান পেতে শোনো, পাখিদের কিচিরমিচির শোনো, অর্কেস্ট্রার ধ্বনি শোনো। এমনভাবে শোনো যেন তুমি জানো যে আগামীকাল থেকে বধির হয়ে যাবে। কাল যদি স্পর্শ-অনুভূতি হারিয়ে ফেলো, তখন যেভাবে প্রত্যেকটি জিনিস ছুঁয়ে দেখতে সেভাবে মমতা নিয়ে স্পর্শ করো। বুকভরে ফুলের গন্ধ নাও, প্রতি লোকমা খাবার পরম তৃপ্তির সাথে খাও। যেন তুমি জানো যে আগামীকাল থেকে আর কোনোকিছুর গন্ধ-স্বাদ পাবে না।
Make the most of every sense! প্রকৃতি তার নিজস্ব দূত পাঠিয়ে যে অপার বিস্ময়, সৌন্দর্য ও সুখের বার্তা তোমার কাছে পৌঁছে দেয় তার উদ্দেশ্যে স্লোগান দাও।
তবে কেন যেন মনে হয়, সকল ইন্দ্রিয়ের মধ্যে চোখ দিয়ে দেখার ক্ষমতাই সবচেয়ে বেশি আনন্দের।
ভালো লেগেছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ধন্যবাদ রাজীব ভাই ! 🙂
অসাধারণ লেখা।
লেখাটা পড়তে পড়তেই মেঝেয় খেলতে থাকা মেয়ের দিকে, তার খেলনার স্তুপের দিকে তাকালাম। আমাকে তাকাতে দেখে মেয়ের চোখের লাজুক হাসিটা এত বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত মনে হল!
চোখ খুলে দেবার মতন কথাগুলো।
ভাইয়া, তার এই আর্টিকেল পড়ার পর থেকে শিখতে চেষ্টা করছি কীভাবে দেখতে হয়।
হেলেন কেলারের কাছে একবার জানতে চাওয়া হয়েছিল, ' গডের বিরুদ্ধে আপনার কোনো অভিযোগ নেই ?' তিনি উত্তরে বলেছিলেন, ' গড আমাকে এতকিছু দিয়েছেন যে তার জন্যে থ্যাংকস জানিয়েই তো শেষ করতে পারছি না। অভিযোগ করব কখন? '
মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম, কৌশিক :clap: :clap:
আপু,
গভীর বিষাদ আর অদেখার পর্দা চিড়ে দেখার সুতীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকে লেখা নিবন্ধটির নিতান্তই দুর্বল অনুবাদ এটি।
মূল লেখাটা পড়ার পর অনেকক্ষণ ঝিম মেরে বসেছিলাম।
সময় ও সুযোগ মিললে পড়ে নেবেন-
http://www.theatlantic.com/past/docs/issues/33jan/keller.htm
(সম্পাদিত)
লিখাটি পড়তে গিয়ে কিছুক্ষনের জন্য অন্ধ ও বধির হয়ে গেলাম।
আমার দম বন্ধ করা একটা অনুভূতি হতে থাকলো।
অবশ্য মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য...
ভাবতে অবাক লাগে, যে অবস্থাটা নিজের জন্য, মাত্র কয়েক মুহুর্তের জন্যে কল্পনা করা কঠিন, উনি কিভাবে তা তে যুগ যুগ কাটিয়েছেন।
শুধু কাটানই নি, সেটা কোন একভাবে সেই কাটানোটাকে উপভোগও করে গেছেন।
আর আমরা কি অদ্ভুত, কতো ছোট ছোট জিনিষ নিয়ে দিনরাত কত কত অভিযোগই না করে যাই!!!
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
উপভোগ করতে জানলে মনে হয়, 'জীবন এত ছোট ক্যানে ' ?
নইলে, তা এক বিষম বোঝা।
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ কৌশিক এ লেখাটার অনুবাদ করবার ও এখানে দেবার জন্য।
আর লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে কিছু বলবার নেই। মানুষ যিদি সত্যিই এ লেখার আংগিকে ভাবতে পারতো। তাহলে তার উপলব্ধি জগতকে সত্যিকারের গভীর ভালোবাসতে সক্ষম করতো। তাতে সম্ভবত পৃথিবীর তাবৎ পাপ-তাপ লোপাট হয়ে যেতো।
ধন্যবাদ লুৎফুল ভাই ! 🙂
অনেকদিন হয়ে গেল আপনার কাছ থেকে কোনো বিদেশি ছোটগল্পের অনুবাদ পাচ্ছি না।
অপেক্ষার দৈর্ঘ্য কি বাড়তেই থাকবে?
ব্যস্ততা আর অ সুস্থতা
যতোই লেজে কাটি কি মাথায় কাটি
পূর্ণগ্রাস তার থামছেই না।
আসে যাবো তবু যে কোনো দিন।
:boss:
ধন্যবাদ রানা ভাই ! 🙂 🙂
:)) :boss: