বলতে দ্বীধা নাই, আরও অনেকের মত আমিও আন্দালিবের বিশাল ভক্ত। ছেলেটার লেখা যতই পড়ি ততই ওর চিন্তা ভাবনার রসাল রসে রসসিক্ত হই। মাঝে মাঝে এও ভাবি, সেদিন হয়ত দূরে নয়, আন্দালিবের কবিতা পাঠ্য বইয়ে চলে আসবে। সে যুগের কথা ভেবেই … ‘এ পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করে দিয়ে যাব’ টাইপ কবিতার নোটবই …
আন্দালিব নিশ্চই মাইন্ড করবে না। বরং আমাকে মার্কিং করতে পারে ওর চিন্তার সাথে আমার ব্যাখ্যা কতটুকু মিলল … ওর ব্লগে কমেন্ট আকারে দিতে চেয়েছিলাম,
একটু পরেই সূর্যগ্রহণ
আকাশ জিনিসটা আসলেই বিস্ময়কর। প্রাচীনকালের মানুষদের মত বললাম আর কি। সে সময় তো মানুষ আকাশকে একটা জিনিসই মনে করতো। সকল পৌরাণিক কাহিনী এবং ধর্মগ্রন্থেই তার প্রমাণ আছে। এই সেদিন আমরা আকাশের বাস্তব রূপ আবিষ্কার করেছি। কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানের সাথে যে পুরাণ আর প্রাক-ইতিহাস জড়িয়ে আছে তা মাঝে মাঝেই ফিরে আসে। সেটা হয়ত আমাদের উপর কোন প্রভাব বিস্তার করে না, কারণ আমরা জানি সেসবের কোন অর্থ নেই।
বিস্তারিত»মালেয়শিয়ার চিঠি – ২
[ গতকালের আমার লেখা পরে অনেকের খারাপ লেগেছে। আজকে তাই একটি মজার ঘটনা লিখলাম ]
আজকের সকালে বাসার নিচের দোকানে গেলাম কিছু কেনাকাটা করতে। দোকানের লোকটা জানে আমি বাংলাদেশি। সে আমাকে মালায়শিয়ান জাতিয় পত্রিকা কসমোর একটা পাতা দেখিয়ে বলছে,
“দেখ, তোমাদের দেশের কথা লিখছে”। কসমো মালায় ভাষার পত্রিকা, তাই উনি আমাকে বলেদিলেন কি লেখা আছে। পত্রিকার হেডিং হল “বাংলাদেশি মানুষের আকষন”। এক মালায়শিয়ান মেয়ে বাংলাদেশি একছেলের প্রেমে পরে বাংলাদেশ এ চলে গেছে।
গনতন্ত্র, দলীয়করন, আর ফয়েজের আউলা চিন্তা
১.
আচ্ছা, গনতন্ত্রের সংজ্ঞা কি? Of the people, By the People, For the People. এইটার মানে কি? এক নাগরিক, এক ভোট? সবাই সমান? Okay.
আমার ভাই দেশের বাইরে বড় চাকুরী করেন। প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার দেশে পাঠান। তার এবং তাদের মত আরও অনেকের পাঠানো রেমিট্যান্সে ফুলে উঠে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমদানী এবং ভোটের ভর্তুকি রাজ্যের একটা বড় অংশের অংশীদার তারা। তাদের কয়টা ভোট?
বিস্তারিত»আন্দা … গদ্যায়িত পদ্য …
আন্দা’র কবিতা পড়ে পড়ে নিজেকে বড় নিঃস্ব, রিক্ত মনে হয়। শক্ত, কঠিন, রস রসায়িত গদ্যায়িত পদ্য লিখতে উসখুশ করে মন ও মগজ। কলম, কাগজ, কি-বোর্ড আর মাউস বড় বেশি মিছিল, মিটিং আর আন্দোলন করে … তবু … বাঁধাগুলোই যেহেতু চিরজীবন আমার প্রেরনা, বাঁধা গূলোকে বেঁধে লিখতে থাকি … ঋণাত্বক আর ধণাত্বকের কাষ্ঠ্য কোবতে …
হর্ষেরা বিশাদের সাথে ঝগড়া করে
দুঃখকে ভালবাসে সুখ
বিশালত্বকে নিয়ে ক্ষুদ্রের প্রহাস
দেহকে অপ্রাপ্তি দেয় মুখ
শূণ্যতা পূর্ণতাকে অকথ্য ভাষায় করে গালাগালি
ডাকবিভাগের সাথে বাক বিভাগের চিঠি চালাচালি
কাক,
ভাগাড়ী পংক্তিগুলো
ক
এভাবে একদিন আমার কথাও শুকিয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় আমি মূক।
হাসিও মুছে যেতে পারে হঠাৎ পিপাসা পাওয়া রাতে
এমনকি আমি বোধহীন হতে পারি, এ ঘটনাও অসম্ভব নয়
নিউরনে স্ফুলিঙ্গ থেমে গেলে আমি অরূপাক্ষ নদে ভেসে যেতে চাই।
জন্মদিন ও একটি উইশের গল্প
আহ কি শান্তি । যাক ট্রেন টা ছেড়েছে । সকাল বেলা ট্রেন জার্নির মজাটাই আসলে অন্যরকম কেমন জানি একটা অদ্ভুত তাল আর সাথে ঠান্ডা বাতাস । এরকম একটা দিনে ট্রেনের এই তাল কেমন জানি ঝিমুনি ধরিয়ে দেয় । কিন্তু কে কাকে বুঝাবে এই কথা । শান্তা সব সময় বলবে ট্রেন জার্নি বোরিং ।
ওর ঐ এক কথা – এত ঢকর ঢকর এর মাঝে মানুষ থাকতে পারে নাকি ।
বিস্তারিত»মালেয়শিয়ার চিঠি – ১
[ মালেয়শিয়া তে ৮০ হাজার বৈধ ও ৪০ হাজার অবৈধ শ্রমিক কাজ করছে । এদের প্রায় সবাই নিদারুন কষ্টে আছে। তাদের কষ্ট দেখার কেউ নাই। এই সব হতভাগ্য মানুষ দের কিছু ঘটনা নিয়ে লিখছি … ]
১৯৬৫ সালেও মালয়শিয়া ছিল ৩য় বিশ্বের একটা দেশ। আর আজকে তারা পৌঁছে গেছে উন্নত বিশ্বের দরজায়, ২০২০ সালে তারা নিজেদের কে উন্নত বিশ্বের দেশ হিসাবে ঘোষনা দিবে।
বিস্তারিত»আবারো একডজন অনুকাব্য দুইটা কম
[আনেকদিন কিছু লিখি না। কাজ বাড়ছে। কাজেই সামনে লিখতে পারব তার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। তাই লেখার ধারা ধরে রাখার জন্য একদমই ট্রাস কিছু অনুকাব্য দিলাম। কয়েক দিন গ্যাপ দেয়ার কারণে এমনিতেই কেমন অসস্তি হচ্ছে। অনেকটা আড্ডার মত। আড্ডায় একদিন গ্যাপ দিলেও পরদিন যেমন ঠিক ছন্দ খুঁজে পাওয়া যায় না অনেকটা সে রকম। তো সেই অসস্তি কমাতেই লেখা দিলাম। তার চেযেও বড় কথা ব্রাকেটের এই কথা গুলা হুদাই লেখা।
বিস্তারিত»টুকলিফাইং-০২
তুমি স্বর্ণের বর্ণ চুরি করে তোমার অঙ্গে লুকিয়ে রেখেছ। চন্দ্রের কিরণ চুরি করে রেখেছ তোমার চন্দ্রাননে। মদনের ধনুকটা চুরি করে রেখেছ তোমার নিজের ভুরুর মাঝখানে। বনের হরিণীর কাছ থেকে তুমি হরণ করেছ তোমার চোখদুটি। পক্ক বিম্ভের শোভা চুরি করেছ তমার ওষ্ঠে। সাদা বেগুনের মসৃণতা চুরি করেছ তোমার চিবুকে। কোন মরালীকে নিঃশ্বেষ করে তৈরী করেছ তোমার গ্রীবা। সিংহের কাছ থেকে চুরি করেছ তোমার কোমরের খাঁজ। গজের কাছ থেকে চুরি করেছ তার গতি।
বিস্তারিত»আকর্ষণীয়া, সুন্দরী আর চঞ্চলার গল্প
আমরা সবাই তাদের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা মাত্র কাশ শুরু করেছি। সে আমাদের অর্থনীতির ছাত্রী ছিল না। তার নাম দিলাম আকর্ষণীয়া। তার দুই বন্ধু পড়তো আমাদের সাথে। তাদের একজনের নাম দিলাম সুন্দরী, আরেকজন চঞ্চলা। মাঝে মধ্যে সাথে দেখতাম একটি ছেলেকে। তার নাম দিলাম পাজী। x-(
তখন আমাদের মধ্যে কয়েকটা গ্রুপ। সবচেয়ে বেশি এসেছিল ঢাকা কলেজ থেকে। ওরা একটা গ্রুপ। নটরডেম আরেকটা গ্রুপ।
সাদা কালো ভাবনার রঙ
ক্লান্ত চোখে একটু জমা শিশির
আর পুরোনো লক্ষ জোনাক তারা
ভাবছি বসে নতুন কারা এলো
আর হারালো আমায় ছেড়ে যারা।
যেই দিনটা সারা দুপুর জুড়ে
হাসলো ভীষণ রোদের ছায়ায় মিশে
একটু রাতের আড়াল পেয়েই দেখো
কাঁদলো অঝোর সব হারানোর বিষে।
অনুঘটনা – ৪
আজ দুটি গল্প বলি একটি ইন্টারনেট থেকে পাওয়া আরেকটি আমার খালাত বোনের ।
১
এক ব্যস্ত চাকুরীজীবী অনেক রাত করে বাড়ি ফেরেন প্রতিদিন। ছোট্ট ছেলেটির সাথে তাঁর প্রায়ই দেখা হয়না। তিনি আসতে আসতে বাচ্চা ছেলেটি ঘুমিয়ে পড়ে। একদিন সে জেগে বসে আছে বাবার জন্য। বাসায় ফিরার পর ছেলে পাশে এসে একথা ওকথার পর জিজ্ঞেস করল ,” বাবা তোমার ঘন্টাপ্রতি বেতন কত?” । অবাক হলেও তিনি উত্তর দিলেন ২০ ডলার।
অতঃপর ব্লগর ব্লগর -২
সময় হিসেব করে করনীয় আর সব কিছু না করা হলেও সিসিবি’তে ঢু দেয়া বাদ যায়না কখনোই।
আজ সিসিবি’র অতিথি যুবরাজের দুইটা লেখা পড়লাম। সাথে সাথে তার সচলায়তনের ‘লেটার ফ্রম লাইবেরিয়া’ এর পর্বগুলিও পড়ে নিলাম।
শেষ পর্বে খালাম্মার কথা পড়তে পড়তে ভেতরে মোচড় খেলাম।
অনেকক্ষন ঝিম মেরে বসে ছিলাম।
তারপর দেশে কথা বললাম। হঠাৎ ফোন করায় কয়েকবার জিজ্ঞেস করলেন বাবা- মা দুজনেই।
আজকে আবাহনী জিতেছে!
ইএসপিন আর স্টার স্পোর্টস এর বদৌলতে এখনকার ছেলেরা ইপিএল কিংবা স্পেনিস লীগ বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ফূটবল দেখবে চিন্তাই করি না। বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে লিখার কথা অনেক দিন ধরেই ভাবি। কিন্তু কি লিখবো! এখনকার বেশীরভাগ ফুটবলারের খেলাই চোখে দেখি নাই। কিন্তু আমি কিন্তু খুব মনোযোগ দিয়ে এখনো আমাদের ফুটবলের খবর পড়ি।
এই মৌসুমে প্রথম বারের মতো খুশী হই যখন দেখি, মৌসুম শুরুর আগে মোহামেডান এর কন্ডিশনিং ক্যাম্প হচ্ছে কুমিল্লায়।
বিস্তারিত»