হাতে খড়ি

জনগন, আজ আমার আশা পূরনের দিন।
আমি জীবনের পয়লা ব্লগে লিখলাম।

নতুন নতুন ভাষা শিখার অনুভূতি পেলাম। কবে কথা বলা শিখেছিলাম মনে নেই। কিন্তু এখন ফিল করছি প্রথম কথা বলতে পারার আনন্দ!

বিস্তারিত»

একজন বৃহন্নলার আত্মকথন

(সামুতে প্রকাশিত এই লেখাটি ট্যাগ করতে পারলাম না। অবহেলিত একটি সম্প্রদায়ের জন্য অর্থহীন দীর্ঘশ্বাস বলা যেতে পারে একে।)

বিষন্ন নিস্তরঙ্গ জীবন বয়ে চলে নর্দমার জলের মত,
যে জীবনের আগমন এই নিষ্পাপ জীবনের বড় পাপ।
যে জীবনের স্বপ্ন নিঙড়ে গেছে অনেককাল আগে,
আমার জীবন আমাদের জীবনের মত বিবর্ণ ধুসর-
যে জীবন আমার বহুতল বাড়ির ক্ষুদ্র ঘরে বদ্ধ,
যে জীবন আমাকে দেখতে দেয় না কিছুই নিষ্টুর হয়ে বড়
অথবা আমাকে দেখতে চায় না কেউ কিংবা দেখতে চায়-
দেখতে চায় যারা চায় না পৃথিবীকে দেখাতে জীবনের অপমান।

বিস্তারিত»

ডাক্তারী পড়া হইলো না আর

(BCS-কর্তৃক ছ্যাঁকা খাইয়াও ব্যাকা না হওয়ায় জুনায়েদ কবীর ভাইকে উৎসর্গ করে এই লেখাটি। সমস্ত লেখা জুড়ে আপনাদের চোখে পড়বে আমার অতিরিক্ত বায়োলজি-প্রিয়তার নিদর্শন।)

ভার্সিটি লাইফের শেষ পরীক্ষা শেষ করিলাম। এখন আমি একজন প্রকৌশলী। ;)) জীবনের এই টার্নিং পয়েন্টে আসিয়া একখানা আফসোসের বিস্ফোরনঃ ডাক্তারী পড়া হইলো না আর। ;;)

মনে পড়ে, যেইদিন ১ম শ্রেনীতে ভর্তি হইতে যাইব। স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হইবো, বাবাও রেডি,

বিস্তারিত»

স্বপ্নাহতের কথন

আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে (আই ইউ টি) অনেক পাকিস্তানী ছাত্র আছে। আমি প্রায়ই হতবাক হয়ে যাই যখন দেখি আমারই পরিচিত কিছু মুখ যখন বিনা সংকোচে তাদের সাথে উর্দুতে কথা বলে। আমার তখন কিছুই বলতে ইচ্ছা করে না। মেরুদণ্ডহীন এক বাঙালিতে রূপান্তরিত হয়ে যাই আমি।

আমি বুদ্ধিজীবী নই; নই কোন ক্ষুরধার কলাম লেখক। কোন বিষয় নিয়ে যখনই কিছু বলতে যাই কিছুক্ষণ পরই আমার জ্ঞানের জাহাজ যে শূন্য সেটা প্রকাশ হয়ে পড়ে।

বিস্তারিত»

কলেজ জীবনের Ctrl+Z আর Ctrl+Y গুলো…

প্রথম পোস্টে জীবনে রিউইণ্ড-পজ-প্লে আর undo সম্পর্কে লিখেছিলাম। ভাবনা যখন লিখা হয়ে ভূমিষ্ঠ হয় তখন মনে হয় এর ডালপালা গজাতে থাকে। আমার বেলা হলও তাই। Undo কথাটা লিখার পরেই মনে হল আচ্ছা সুযোগ পেলে আর কি কি undo করতাম আমি। কল্পনাই যখন করছি, তখন redo নিয়ে চিন্তা করতে তো বাধা নেই। (লেখাটা আমাদের ব্লগের সাইন্স ফিকশন গুরুদের ‘যোগাযোগ মডিউলে’ একটা চিন্তার খোরাক দিতে পারে)।

সত্যিই যদি জীবনের কিবোর্ডে Ctrl+Z প্রেস করা যেত তাহলে এই সমস্ত ইভেণ্টগুলোকে undo করতামঃ (সংগত কারণে সারা জীবনের ইপ্সিত undo গুলো ক্লাসিফায়েড,

বিস্তারিত»

ব্লগর ব্লগর

এই কাহিনীর কোনো চরিত্রের সঙ্গে কেউ কোনো মিল খুঁজে পেলে দায়-দায়িত্ব তার। আমি কিছু জানি না। 😐

ক্লাশে নতুন শিক্ষক এসেছেন। প্রথম ক্লাশ। এসে ভাবলেন প্রথম দিন পড়ালেখা না করে একটু গল্পসল্প করাই ভাল। তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের জানা, পরিচিত হওয়া এটাও জরুরী।

তাই শিক্ষক এসেই সবাইকে সে কথা জানিয়েও দিলেন।
-আজ আমরা পড়াশোনা করবো না। আজ শুধু গল্প। প্রত্যেকে দাঁড়িয়ে নিজের নাম বলবে আর বলবে প্রিয় সখের কথা।

বিস্তারিত»

অ্যাবসার্ডিটি

“প্রস্তাব ছিল, আমরা যখন যূথবদ্ধ শিকারী তখন আমাদের কেশরের ফুলে ওঠায় শিউরে উঠবে বাগানের সকল বিড়াল”- এই শালা চুপ কর! কথায় কথায় অশ্লীলতা টানিস কেন?

আমার দিকে খুব খেউড়ে ওঠা দৃষ্টি ছুড়ে দেয় মাইদুল। কাজী মাইদুল হক। আমাদের গুরু। আর আমরা তার চ্যালা। চ্যালা হতে পেরে আমরা খুব খুশি। মাইদুল হকের মত মানুষ আমাদেরকে তার পদতলে রাখছেন, মাঝে মাঝে লাথি-ঝাঁটা মারছেন, খ্যা খ্যা করে হেসে উঠছেন অবান্তর।

বিস্তারিত»

উদ্ভট ফ্যান্টাসী – ০৪

উদ্ভট ফ্যান্টাসী – ০১ ০২ ০৩

৯।
রিকান কে বললাম “মূল কম্পিউটারে খোজ নাও এই মহাকাশযান সম্পর্কে।”

বলে নিজে বসলাম সংঘর্ষ হলে বা আক্রমন হলে কিভাবে তার মোকাবেলা করা যায়।
কিরিক্রি দেখো তো আর কি কি তথ্য পাওয়া যায় এই মহাকাশ যান এর ব্যাপারে।

কিরিক্রি এর উত্তর “গত শতাব্দীতে এই যানটি যাত্রা শুরু করে।

বিস্তারিত»

আজাদ-এর প্রথম সাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা

আমাদের SSC exam এর registration করানোর জন্য একবার কলেজ এ যাওয়া লাগলো। আমাদের intake এর সবাই… তো, আমাদের হাফিজ থাকতো ঝিনাইদহ-তেই। সে কলেজ-এ সাইকেল চালিয়েই চলে আসলো।

আজাদ তখন সাইকেল চালাতে পারতো না। ও বায়না ধরলো যে তাকে সাইকেল চালানো তখন-ই শিখাতে হবে। ভাল, আমি শিখানো শুরু করলাম। বললাম, প্যাডেল মার, দুরে তাকা, ভয় পাইসনা আমি আছি পেছনে তরে ধইরা রাখমু problem নাই তুই just সোজা তাকা আর প্যাডেল মারতে থাক।

বিস্তারিত»

“যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হোক, রায় যা হয় আমরা মেনে নেবো”

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেশে ইতিমধ্যে একটা প্রধান ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটের ভূমিধ্বস বিজয়ের পেছনেও কাজ করেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি। তারা সেটা করবে বলে এখনও ওয়াদা করে যাচ্ছে। আমরা তাদের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস স্থাপন করতে চাই।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মতোই গুটিকয় মানুষ ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে আজ গোটা দেশ ঐক্যবদ্ধ। যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে জামাত এবং এর সহযোগী বলে পরিচিত চিহ্নিত পক্ষটিও আজ তেমন জোরালোভাবে বিচারের বিরোধীতা করতে পারছে না।

বিস্তারিত»

অতঃপর বিচ্ছেদ…!!

মন ভাল করার কোন ট্যাবলেট থাকলে মন্দ হত না। ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলতাম, ‘স্যার, আমার মন খুব খারাপ…কি ঔষধ খাব?’ উনি গম্ভীরভাবে সব কিছু শুনে আমাকে প্রেসকাইব করতেন, ‘তোমাকে দুইটা ট্যাবলেট দিলাম- আনন্দসিটামল আর মজাটল। তিন বেলা খাওয়ার পর এক একটা করে তিন দিন খাবে, আর প্রচুর পানি খাবে…’ চতুর্থদিন ফোন করে তাঁকে জানাতাম, ‘ডাক্তার স্যার, কি দিলেন,মামা??? আমার মন তো ভাল হয়ে গেছে…!!’

কিন্তু হায়!

বিস্তারিত»

আজেবাজে গল্প

( এই গল্পের কিছুটা সত্য আর বেশিটা মিথ্যা । তবে এই ব্লগের রেজিষ্ট্রার্ড সদস্য নয় এমন কোন ক্যাডেট এর সাথে নিজের কোন মিল খুজে পেলে ব্লগার দোষী থাকবেন না 😉 )
আমি, কবি রিফাত আর সেলিম এই তিন বান্দা, অদ্ভূত আমাদের এই ছোট দল। সারা দিন যেখানে থাকি না কেন সন্ধ্যার সময় টিএসসির সামনে গোল চত্বরে আমরা আসবই।পরিচিত সবাই অবাক হয় আর ভাবে এই তিন আলাদা চরিত্রের লো্ক কিভাবে এক হলো।

বিস্তারিত»

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই-১: একটা কমিশন গঠনের কাহিনী

‘বুদ্ধিজীবী নিধন তদন্ত কমিশন’। এই নামে একটি কমিশন গঠিত হয়েছিল বিজয় দিবসের ঠিক দুদিন পরেই, ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর। ১৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের পরপরই রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নিখোঁজ বুদ্ধিজীবীদের অনেকের লাশ পাওয়া যায়। এর পরপরই ১৮ ডিসেম্বর সে সময়ের কয়েকজন তরুণ মিলে গঠন করেন ‘বুদ্ধিজীবী নিধন তদন্ত কমিশন’।
এই কমিশন গঠনের বিষয়টি এখন প্রায় অজানা। এ নিয়ে তেমন আলোচনাও নেই। সদস্যদের মধ্যে বেশিরভাগই বেঁচে নেই।

বিস্তারিত»

I wish I were an AngeL…

গানটা যখন প্রথম শুনি তখন মনে মনে বলেছিলাম, আহা! মেয়েটা কত জোস গায়। সেই ভালোলাগার রেশ থাকতে না থাকতেই মেয়েটা সম্পর্কে আরো গভীর কিছু জানার আশায় লাগাইলাম উইকিতে সার্চ। এবং আমাকে বেক্কল বানায় দিয়ে উইকি ঘোষণা দিল – তুমি যাকে এতদিন যাহা ভাবিয়াছো সে আসলে তাহা নয়। মেয়েটা আসলে মেয়ে না। মেয়েটা হলো একটা ছেলে। এবং রীতিমত জুনিয়র গোত্রীয়।

বিস্তারিত»