আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছেই মালেয়শিয়া একটা গরিব দেশ। আমি যখন পড়াশুনা করার জন্যে মালায়শিয়া রওনা দিচ্ছি, তখনও সবাই বলেছে “পড়াশুনার জন্য কি কেউ মালেয়শিয়া যায়?” এমন কি আমার মা বাবাও খুব একটা খুশি ছিলেন না । তারপরেও আমি আসলাম, এখন মনে হচ্ছে খুব একটা খারাপ হয় নি ।
বিস্তারিত»স্বপ্ন ! – দ্বিতীয় পর্ব।
প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
৩
রাতের খাবার এর পাট চুকে গেছে বেশ কিছুক্ষন আগে। দেয়াল ঘড়িটা সশব্দে জানান দিল এখন এগারটা বাজে। যাক্। শেষ হলো লেখাটা! আকাশ স্বস্তিতে একটা সিগারেট ধরিয়েছে। এরপর শর্ত অনু্যায়ী বাবার কাছে যেতে হবে। দাঁত ব্রাশ করে বেশ আয়োজন নিয়ে সদ্য রচিত লেখাটি নিয়ে সে বাবা’দের রুমের সামনে এসে দাঁড়ালো। দরজায় মৃদু টোকা দিতেই বাবা বললেন,
ফাইট ক্লাব
‘ফাইট ক্লাবে’র সাথে আমার প্রথম পরিচয় বুয়েটে গিয়ে।
আমি তখন ঢাবি’র একুশে হলে থাকি। আমাদের ব্যাচের আর কেউ নেই কার্জন হলে। বন্ধু-বান্ধব সব কলা ভবনে। সনেট ম্যানেজম্যান্টে, সুব্রত ল’তে। সারাদিন ওখানে আড্ডা দেই আর রাতে বুয়েটে গিয়ে মাসুদের রুমে থাকি। কি করবো ? বন্ধুদের ছাড়া থাকতে আমার একদম ভালো লাগে না। তাই নিজের হলের রুম আর ডিপার্টমেন্টের ধারে কাছেও যাই না। এমন অনেক সময় গেছে আমি মাসের পর মাস ধরে বুয়েটে মাসুদের রুমে।
বিস্তারিত»শুধুই লেখা অথবা গল্প (শেষ পর্ব)
পূর্ব প্রকাশের পর………
প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব
ছোট ছোট ভালো লাগা- মিষ্টি করে ভালোবাসায় এগিয়ে যেতে থাকে মানব মানবীর দিন। তাদের একজনের দিন শুরু হত অপরকে দেখার সুতীব্র বাসনা নিয়ে, শেষ হত সারাদিনে যাপিত সময়ের মধুর অতল সমুদ্রের তল ছুঁতে ছুঁতে। প্রতিটি দিন তাদের কাছে নতুন হয়ে আসত – একে অপরের আরও কাছে আসত।
বিস্তারিত»আচার ০১৬: আবারো কাব্যকথা
[নতুন পোস্ট দেয়ার সময় নাই, তাই পুরোনো একটা কবিতা আবার দিচ্ছি। বাংলা ব্লগ সম্পর্কে তখনো জানি না, চরম বুদ্ধির আধার এই অধম তাই ফেসবুকে ব্লগিং করা শুরু করেছিল। কবিতা লিখে তার স্ক্রিনশট ফেসবুকে আপলোড করে দিতাম। ওটা ছিল আমার প্রথম বাংলা অনলাইন পাবলিকেশন। এর কিছুদিন পরেই বাংলা ব্লগ সম্পর্কে জানতে পারি। আমার ওখানের কবিতা এখানে আবার দিলাম।]
ভালোবাসি ততোটাই যতোটা বাসা যায়।
লোবান জ্বেলে রাতের আধাঁর সাজিয়ে
বাতাসের ফিসফিসানিতে বহুবার বলেছি,
বইমেলা’য় মোস্তফা মামুন ভাইয়ের নতুন বই
‘ক্যাডেট নাম্বার ৫৯৫’র পর থেকে আমার প্রিয় লেখকদের তালিকায় মামুন ভাইয়ের নাম। মোস্তফা মামুন। জনপ্রিয় ক্রীড়া সাংবাদিক, লেখক। আমাদের কাছে অবশ্য তার বড় পরিচয় তিনি আমাদের ক্যাডেট কলেজের বড় ভাই। সেজন্যে তার লেখা নিয়ে হয়তো আমার মধ্যে (আমার ধারনা আমাদের অনেকের মধ্যেই) মাঝে মাঝে বাড়তি উচ্ছাস কাজ করে। কিন্তু সত্যি কথা হলো, লেখক হিসেবে ক্যাডেট ছাড়া অন্যদের কাছে তিনি আরো বেশি জনপ্রিয়।
ক্যাডেট কলেজের প্রেক্ষাপট বলে নয় সব মিলিয়েই ‘কলেজ ক্যাপ্টেন’র মতো দারুন উপন্যাস আমি অনেক দিন পড়িনি।
বিস্তারিত»উঠে যাওয়া সিঁড়ি…
ক্রমশ অপষ্ট হয়ে আসা একটা গান-
যে গানের শুরুতে হয়তো মিলাভাবীর রূপবান গানের মতো বিট ছিল না- বলা যেতে পারে, বেশ বিষন্ন একটা সুর ছিল, বুক ভরা হতাশা ছিল। তবু নিজস্ব কষ্টের সাগরে যখন ডুবে যেতাম তখন সেই গানটা আমার আশ্রয় ছিল, আমার ভীনদেশী তারা ছিল-
তারাটি- ধুম করে একদিন হারিয়ে যায়। একরাতে কালো কফির কাপ হাতে নিয়ে পা টিপে টিপে ছাদে যাবার পর কফির ভেতর তার ছাঁয়া পড়েনা।
বিস্তারিত»স্বপ্ন ! – প্রথম পর্ব।
১
আকাশের ঘুমটা আজকেও ভেঙ্গে গেল।
সে ঘড়িতে দেখলো আড়াইটা বাজে। রাতে ও যায় যায় দিন দিন পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে গিয়েছিল। তখন জানালাটা খোলা ছিল। এখন বন্ধ। মা নিশ্চয় রাতে বন্ধ করে গেছেন। এ বাসায় সব কিছুই চলে এই মমতাময়ী’র নিপুণ হাতের ছোঁয়ায়।
আকাশ আজ আবার সেই স্বপ্নটা দেখেছে। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার এই অদ্ভুত স্বপ্নটা দেখলো সে। কেমন একটা অস্বস্তিবোধ হচ্ছে তার।
বিস্তারিত»প্রিন্সের গল্প -প্রথম কিস্তি
ঈশপের গল্প
আমরা সবাই ঈশপের গল্পের সাথে কম বেশি পরিচিত। সেই গল্পটা আছে না, দুই বন্ধু বনে বেড়াতে গেছে হটাৎ একটা ভালুক সামনে পড়ল। দুই বন্ধুর একজন গাছে চড়তে পারে অন্যজন পারে না। যেই না ভালুক সামনে আসল অমনি যে গাছে চড়তে পারে সে অন্যজনকে রেখে গাছে চড়ে বসল। অন্যজন কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে মাটিতে মরার মতো শুয়ে পড়ল। ভালুক এসে তাকে শুকেটুকে মরা ভেবে চলে যেতেই গাছে চড়া বন্ধুটা নেমে এসে বলল ভালুক তোকে কি বলেছে ?
বিস্তারিত»আমার বন্ধু হিমেল -১
ওর আসল নাম জানার আগে আমি ওর টিজ নাম টা আগে জেনেছিলাম। ক্লাস সিক্সের কথা। শাহীন কোচিংয়ে ক্যাডেট কোচিং করি তখন। আমি ছিলাম আবাসিক সেকশনে। আর ও অনাবাসিক এ। এডমিশন টেস্টের কয়েক দিন যখন বাকি তখন থেকে আবাসিক অনাবাসিক মিলে একটা ব্যাচ করা হয়েছিল। “বান্দর” এর সাথে পরিচয় হয় তখনই। কেউ আদর করে ডাকতো। আর কেউ ওর সাথে মারামারিতে না পেরে। আমি অবশ্য কোনটা ভেবেই কিছু ডাকতাম না।
বিস্তারিত»কাঁকড়া দ্বীপে কয়েক ঘন্টা …
কুয়ালালুমপুর থেকে মাত্র ২ ঘন্টার রাস্তা কাঁকড়া দ্বীপ । ক্রাব আইলান্ড, মাল্লাকা উপ সাগরের একটা দ্বীপ। এই দ্বীপ এ মাত্র ৮০০০ লোক বাস করে, এবং সবাই চাইনিজ। মূলত জেলেদের আবাস স্থল। একনকার কাঁকড়া খুব বিখ্যাত, এক কেজি কাঁকড়ার দাম ৪০ রিংগিত (৮০০ টাকা )।
বিস্তারিত»আমার একটু রোমান্টিক হওয়ার চেষ্টা
মনে হয় পূর্ণিমা ছিল সেই রাতে। বাসায় ফিরতে ফিরতে সাড়ে এগারোটা। খেতে খেতে আরো এক ঘন্টা। সাড়ে ১২টার সময় বউ এসে জানালার পর্দা সরিয়ে বললো, দেখো কি সুন্দর চাঁদ। আমার চোখে ঘুম, আগ্রহ বেশি ঘরের চাঁদের দিকে, তাই কোনো রকম বাইরে তাকিয়ে বললাম, ওঃ তাইলে আজও চাঁদ উঠছে!! 😮
পরের দিন বউ ঘোষণা দিল আমি হইলাম এই বিশ্বের সেরা আন-রোমান্টিক ছেলে। আমার মধ্যে নাকি রোমান্টিসিজমের কিছুই নাই।
এগারশ সাতাশ
তারপর চাঁদ এসে ডুব দেয় টুপ করে,
হয়ত তোমার মনের মাঝে কিংবা আসলে ঠোটে,
তুমি বুঝতে পারনা
আর চাঁদটা দুম করে সূর্য হয়ে যায়,
আর হাসনাহেনা ঝিমাতে ঝিমাতে গোলাপের কাছে হেরে যায়
যদিও তুমি গোলাপ দুচোখে দেখতে পারনা
আধখাওয়া বরইটা দুহাতে পাওয়ার জন্য কোমরের ঘুঙ্গুরটা বাজতে থাকে একঘেয়ে সুরে
আর মেয়েটার নুপুরটা কেটে কেটে যায় বাতাস
যদিও মেয়েটা ভালোবেসেছিল
আর গ্রামের সবুজ চিরুনি করা ধানগাছগুলো
তুমি অবাক হয়ে চেয়ে থাকবে দেখবে তাতে কোন পাপ নেই
কোন পাপই নেই
পাঁচ মিনিটের নোটিসে কালকে দুম করে চলে এসেছি দিনাজপুর।
বিস্তারিত»ভালবাসার সুখ
অভিমান তো হবেই, যখন বুঝি এ আমার অধিকার –
মুহুর্তের দেরী মনে আনে কষ্ট, কখনও ভয়।
তোমার দূরে থাকা আমাকে হাহাকারে ছেঁয়ে ফেলে,
তোমার হাসিমুখের বিচ্ছেদে আমার কষ্ট হয়।
রিনিঝিনি কন্ঠে তোমার নুপূর বাজে
আমারও গাইতে ইচ্ছে করে সুখের গান –
অথচ তোমার স্পর্শ আমাকে নিশ্চুপ করে দেয়,
তোমার স্পর্শে আমি পাই সুখের আহবান।
তাই বারে বারে তোমার কাছে ছুটে আসি
মনে হয় ক্ষণিকের দূরে থাকা যেন হারিয়ে যাওয়া সুখ –
অস্থির মনে অযথা আশংকা হারাবার –
বুঝি,
উদ্ভট ফ্যান্টাসী-০৩
উদ্ভট ফ্যান্টাসী – ০১
উদ্ভট ফ্যান্টাসী – ০২
৩য় পর্বঃ
(ওইযে একটা প্রবাদ আছে না, নিজের পায়ে কুড়াল মারা, আমার হয়েছে সেই দশা। কিভাবে যেনো এই সিরিজের দুটি পর্ব লিখে ফেলেছিলাম। আসলে সবসময়ই সাইন্স ফিকশনের পোকা ছিলাম। অনেক আগের শখ ছিলো লিখার। কিন্তু দুটি পর্ব লিখার পর বিভিন্ন কারনে আর লেখা হচ্ছিলো না। এর মাঝে দেশের বাইরেও ছিলাম অনেকদিন।