বইমেলা’য় মোস্তফা মামুন ভাইয়ের নতুন বই

‘ক্যাডেট নাম্বার ৫৯৫’র পর থেকে আমার প্রিয় লেখকদের তালিকায় মামুন ভাইয়ের নাম। মোস্তফা মামুন। জনপ্রিয় ক্রীড়া সাংবাদিক, লেখক। আমাদের কাছে অবশ্য তার বড় পরিচয় তিনি আমাদের ক্যাডেট কলেজের বড় ভাই। সেজন্যে তার লেখা নিয়ে হয়তো আমার মধ্যে (আমার ধারনা আমাদের অনেকের মধ্যেই) মাঝে মাঝে বাড়তি উচ্ছাস কাজ করে। কিন্তু সত্যি কথা হলো, লেখক হিসেবে ক্যাডেট ছাড়া অন্যদের কাছে তিনি আরো বেশি জনপ্রিয়।

ক্যাডেট কলেজের প্রেক্ষাপট বলে নয় সব মিলিয়েই ‘কলেজ ক্যাপ্টেন’র মতো দারুন উপন্যাস আমি অনেক দিন পড়িনি।

বিস্তারিত»

উঠে যাওয়া সিঁড়ি…

ক্রমশ অপষ্ট হয়ে আসা একটা গান-

যে গানের শুরুতে হয়তো মিলাভাবীর রূপবান গানের মতো বিট ছিল না- বলা যেতে পারে, বেশ বিষন্ন একটা সুর ছিল, বুক ভরা হতাশা ছিল। তবু নিজস্ব কষ্টের সাগরে যখন ডুবে যেতাম তখন সেই গানটা আমার আশ্রয় ছিল, আমার ভীনদেশী তারা ছিল-

তারাটি- ধুম করে একদিন হারিয়ে যায়। একরাতে কালো কফির কাপ হাতে নিয়ে পা টিপে টিপে ছাদে যাবার পর কফির ভেতর তার ছাঁয়া পড়েনা।

বিস্তারিত»

স্বপ্ন ! – প্রথম পর্ব।

আকাশের ঘুমটা আজকেও ভেঙ্গে গেল।
সে ঘড়িতে দেখলো আড়াইটা বাজে। রাতে ও যায় যায় দিন দিন পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে গিয়েছিল। তখন জানালাটা খোলা ছিল। এখন বন্ধ। মা নিশ্চয় রাতে বন্ধ করে গেছেন। এ বাসায় সব কিছুই চলে এই মমতাময়ী’র নিপুণ হাতের ছোঁয়ায়।

আকাশ আজ আবার সেই স্বপ্নটা দেখেছে। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার এই অদ্ভুত স্বপ্নটা দেখলো সে। কেমন একটা অস্বস্তিবোধ হচ্ছে তার।

বিস্তারিত»

প্রিন্সের গল্প -প্রথম কিস্তি

ঈশপের গল্প

আমরা সবাই ঈশপের গল্পের সাথে কম বেশি পরিচিত। সেই গল্পটা আছে না, দুই বন্ধু বনে বেড়াতে গেছে হটাৎ একটা ভালুক সামনে পড়ল। দুই বন্ধুর একজন গাছে চড়তে পারে অন্যজন পারে না। যেই না ভালুক সামনে আসল অমনি যে গাছে চড়তে পারে সে অন্যজনকে রেখে গাছে চড়ে বসল। অন্যজন কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে মাটিতে মরার মতো শুয়ে পড়ল। ভালুক এসে তাকে শুকেটুকে মরা ভেবে চলে যেতেই গাছে চড়া বন্ধুটা নেমে এসে বলল ভালুক তোকে কি বলেছে ?

বিস্তারিত»

আমার বন্ধু হিমেল -১

ওর আসল নাম জানার আগে আমি ওর টিজ নাম টা আগে জেনেছিলাম। ক্লাস সিক্সের কথা। শাহীন কোচিংয়ে ক্যাডেট কোচিং করি তখন। আমি ছিলাম আবাসিক সেকশনে। আর ও অনাবাসিক এ। এডমিশন টেস্টের কয়েক দিন যখন বাকি তখন থেকে আবাসিক অনাবাসিক মিলে একটা ব্যাচ করা হয়েছিল। “বান্দর” এর সাথে পরিচয় হয় তখনই। কেউ আদর করে ডাকতো। আর কেউ ওর সাথে মারামারিতে না পেরে। আমি অবশ্য কোনটা ভেবেই কিছু ডাকতাম না।

বিস্তারিত»

কাঁকড়া দ্বীপে কয়েক ঘন্টা …

কুয়ালালুমপুর থেকে মাত্র ২ ঘন্টার রাস্তা কাঁকড়া দ্বীপ । ক্রাব আইলান্ড, মাল্লাকা উপ সাগরের একটা দ্বীপ। এই দ্বীপ এ মাত্র ৮০০০ লোক বাস করে, এবং সবাই চাইনিজ। মূলত জেলেদের আবাস স্থল। একনকার কাঁকড়া খুব বিখ্যাত, এক কেজি কাঁকড়ার দাম ৪০ রিংগিত (৮০০ টাকা )।

বিস্তারিত»

আমার একটু রোমান্টিক হওয়ার চেষ্টা

মনে হয় পূর্ণিমা ছিল সেই রাতে। বাসায় ফিরতে ফিরতে সাড়ে এগারোটা। খেতে খেতে আরো এক ঘন্টা। সাড়ে ১২টার সময় বউ এসে জানালার পর্দা সরিয়ে বললো, দেখো কি সুন্দর চাঁদ। আমার চোখে ঘুম, আগ্রহ বেশি ঘরের চাঁদের দিকে, তাই কোনো রকম বাইরে তাকিয়ে বললাম, ওঃ তাইলে আজও চাঁদ উঠছে!! 😮
পরের দিন বউ ঘোষণা দিল আমি হইলাম এই বিশ্বের সেরা আন-রোমান্টিক ছেলে। আমার মধ্যে নাকি রোমান্টিসিজমের কিছুই নাই।

বিস্তারিত»

এগারশ সাতাশ

তারপর চাঁদ এসে ডুব দেয় টুপ করে,
হয়ত তোমার মনের মাঝে কিংবা আসলে ঠোটে,
তুমি বুঝতে পারনা
আর চাঁদটা দুম করে সূর্য হয়ে যায়,
আর হাসনাহেনা ঝিমাতে ঝিমাতে গোলাপের কাছে হেরে যায়
যদিও তুমি গোলাপ দুচোখে দেখতে পারনা
আধখাওয়া বরইটা দুহাতে পাওয়ার জন্য কোমরের ঘুঙ্গুরটা বাজতে থাকে একঘেয়ে সুরে
আর মেয়েটার নুপুরটা কেটে কেটে যায় বাতাস
যদিও মেয়েটা ভালোবেসেছিল
আর গ্রামের সবুজ চিরুনি করা ধানগাছগুলো
তুমি অবাক হয়ে চেয়ে থাকবে দেখবে তাতে কোন পাপ নেই
কোন পাপই নেই

পাঁচ মিনিটের নোটিসে কালকে দুম করে চলে এসেছি দিনাজপুর।

বিস্তারিত»

ভালবাসার সুখ

অভিমান তো হবেই, যখন বুঝি এ আমার অধিকার –
মুহুর্তের দেরী মনে আনে কষ্ট, কখনও ভয়।
তোমার দূরে থাকা আমাকে হাহাকারে ছেঁয়ে ফেলে,
তোমার হাসিমুখের বিচ্ছেদে আমার কষ্ট হয়।
রিনিঝিনি কন্ঠে তোমার নুপূর বাজে
আমারও গাইতে ইচ্ছে করে সুখের গান –
অথচ তোমার স্পর্শ আমাকে নিশ্চুপ করে দেয়,
তোমার স্পর্শে আমি পাই সুখের আহবান।
তাই বারে বারে তোমার কাছে ছুটে আসি
মনে হয় ক্ষণিকের দূরে থাকা যেন হারিয়ে যাওয়া সুখ –
অস্থির মনে অযথা আশংকা হারাবার –
বুঝি,

বিস্তারিত»

উদ্ভট ফ্যান্টাসী-০৩

উদ্ভট ফ্যান্টাসী – ০১
উদ্ভট ফ্যান্টাসী – ০২

৩য় পর্বঃ
(ওইযে একটা প্রবাদ আছে না, নিজের পায়ে কুড়াল মারা, আমার হয়েছে সেই দশা। কিভাবে যেনো এই সিরিজের দুটি পর্ব লিখে ফেলেছিলাম। আসলে সবসময়ই সাইন্স ফিকশনের পোকা ছিলাম। অনেক আগের শখ ছিলো লিখার। কিন্তু দুটি পর্ব লিখার পর বিভিন্ন কারনে আর লেখা হচ্ছিলো না। এর মাঝে দেশের বাইরেও ছিলাম অনেকদিন।

বিস্তারিত»

অর্থহীন বিষণ্ণতা

(কবিতা দেয়ার দুঃসাহস দেখাইলাম। ডরে আছি। )

অর্থহীন বিষণ্ণতা ঘিরে ধরে আমাকে তার ধূসর আবরণে,
অথবা শুধু ঘিরে ধরে না, গ্রাস করতে চায় আমার সত্তাকে।
আমি তাকে ধরতে পারি না , সে আমাকে ছুয়ে যায়,
আমার বোধ গুলোকে শুধুই এলোমেলো করে দেয়।
অদ্ভুত সে আমাকে আচ্ছন করে ফেলে কোন অজানা মোহে,
আধারের বুকে নিঃসঙ্গ আমার পাশে জেগে রয় পাহারায়।

বিস্তারিত»

সিসিবিতে আমন্ত্রন

পল্লি কবি জসীমঊদ্দিনের নিমন্ত্রন কবিতা অবলম্বনে

সিসিবিতে আমন্ত্রন

তুমি যাবে ভাই যাবে মোর সাথে
আমদের সিসিবিতে
গেলেই তুমি নিজেই দেখবে
প্রমান হাতে নাতে

বিস্তারিত»

কামরুল ভাইয়ের খোঁচা আর আমার স্মৃতি বিভ্রাট জনিত পোষ্ট

(কামরুল ভাইয়ের পুরান লেখা দেওয়ার খোঁচায় রাগিত হইয়া নতুন পুরা গরম গরম একটা লেখা দেওয়া হইল । ইহাকে আপনার স্মৃতিকথা বা ব্লগর ব্লগর যা ইচ্ছা বলিতে পারেন । লেখা ভাল না লাগিলে আমার দোষ নাই যত দোষ কামরুল ভাইয়ের)

গতকাল রাতে কথা হচ্ছিল ইশতির সাথে । তখন কথায় কথায় অনেক পুরান কথা মনে পড়ল । ভার্সিটিতে তখন প্রায় নতুন নতুন । ডিপার্টমেন্টের কার সাথে তেমন খাতির হয় নাই।

বিস্তারিত»

আচার০১৫: কাব্যকথা

[তাইফুর ভাইয়ের কাব্যগুলো পড়ে আমার নিজের কিছু কবিতা দিতে ইচ্ছা হলো। এতে করে সুবিধা দুটো, নতুন করে কিছু লিখতে হবে না, কবিতা রেডিই আছে। দ্বিতীয় সুবিধাটা হলো, খুব ব্যস্ত আছি, এই সু্যোগে কাব্য দিয়ে নিজের + কলেজের একটা ব্লগ বাড়ানো যাবে। আগেই ক্ষমা চেয়ে নেই, কমেন্টের উত্তর হয়তো দিতে পারবো না সময়মতো। ]

১…

শুরুটা বোধহয় এভাবেই হয়,
ভবঘুরে স্বপ্নের মতো এভাবেই
জলজ প্রেমে ভিজে যায় বুকের জমিন।

বিস্তারিত»

অতঃপর ব্লগর ব্লগর – ৩

ক্যাডেট কলেজ থেকে শুরু করে আজ অবধি একটা বিষয় আমি খুব কন্সিস্টেন্সি সহ লক্ষ্য করে আসছি। প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা কিংবা অবক্ষয়ে প্রকৃতিতে ঋতু বদলের সময়সীমায় পরিবর্তন আসে। এমন কি সনাতন রচনা বই গুলোতে লিখিত ষড় ঋতুর বৈশিষ্ট্যতেও আজকাল খুঁজে পাওয়া যায় গড়মিল। কিন্তু ,এই একটা বিষয় আমি দেখলাম এক্কেবারে অনড় এবং নিশ্চিত। সেটা হচ্ছে ছুটিতে ‘সময়’ এর দ্রুততার সাথে পথ অতিক্রম এর ব্যাপারটা। কোন এক অজানা কারনে বোধকরি পৃথিবীটাও ঐ সময়ে সূয্যিমামার চতুর্দিকে অধিকতর ‘জায়রো’

বিস্তারিত»