আমার কাজলাদিদিরা – ১ ( সুমি আপু )

[ঠিক কবে মনে নেই কিন্তু খুব ছোটবেলা থেকেই কেন যেন আমার একটা বড় বোনের শখ হয়ে গেল ( আজো গেল না )।
” মাগো আমার শোলক বলা কাজলা দিদি কই?”
এই প্রশ্নটা আজীবন খুঁজে ফিরছি। একটু একটু যখন বড় হলাম গল্পের বই পড়া শুরু করলাম তখন এই ইচ্ছাটা দিনকে দিন বাড়তে লাগল। শরৎচন্দ্রের বড়দিদি, মেঝদি, পড়তে পড়তে ছোট্ট আমার কত দীর্ঘশ্বাস বের হল তার খবর কেউ রাখেনি।

বিস্তারিত»

ত্রিদেশীয় ভ্রমন -১ ইন্দোনেশিয়া (বালি)

গত অক্টোবরে আমাদের পুরা ফ্যামিলি মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম – তিনটি দেশ। বাবার শখ ছিল অনেক দিনের। আর আল্লাহ তা’য়ালা যখন সুযোগ করে দিলেন – তা হাতছাড়া করি কোন দুঃসাহসে।
প্রথমেই ছিল ইন্দোনেশিয়া’র বালি দ্বীপ।
সেখানে চোখের সামনে ভলক্যানো দেখে বিশ্বাস হচ্ছিল না যে আসলেই দাঁড়িয়ে আছি -এই ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির সামনে !
আজ তবে আপনাদেরকে বলি সেই দিনটির কথা।

বিস্তারিত»

সিসিবিঃ আমার কিছু নগন্য কথা

সিসিবির হাজারতম পোষ্টে সবাই যার যার কথা বলে ফেলছে। অফিস করি আর লেখা পড়ি।এম্নিতেই ফাকিবাজির অভ্যাস প্রবল। বাংলা লিখতে পারি না অন্যদের মতো। যেই কারনে আমার ব্লগও অনেক কম। খালি সেলোগ্রাফী করি। তার উপর মাঝখানে বেশ কিছুদিন লেখা থেকে দূরে থাকার কারনে লেখতে গেলে আরো ফাকিবাজি মনে পড়ে। আজকে ঠিক করছি এই পোষ্টে লেখার। অফিস থেকে এসে ল্যাপটপ নিয়ে অনেক্ষন বসে আছি। কোথা থেকে শুরু করবো খুজে পাচ্ছিনা।

বিস্তারিত»

অস্কার প্রেডিকশন

অনেকেই বলেন, ডিরেক্টর্‌স গিল্ড অফ অ্যামেরিকা অ্যাওয়ার্ড যে পায় অস্কারও সে পায়। গত বেশ কয় বছর ধরেই এই নিয়ম খাটছে। গত বছর “নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন” সিনেমার জন্য জোল কোয়েন এবং ইথান কোয়েনকে সেরা পরিচালকের পুরস্কার দেয়া হয়েছিল। অস্কারও এই দুই ভাই পেয়েছিলেন। আসলে ১৯৪৮ সালে এই পুরস্কার প্রদান শুরু হওয়ার পরে মাত্র ৬ বার এই পুরস্কারের সাথে “সেরা পরিচালক হিসেবে একাডেমি অ্যাওয়ার্ড” মিলেনি।

বিস্তারিত»

শূন্য থেকে যার শুরু (সংকলন)

সবাই চেয়েছেন, সিসিবি-র ১০০০তম পোস্টটি হোক ইতিহাস বিষয়ে, জগৎ ও জীবনের ইতিহাস না, এই সিসিবি-র ইতিহাস। সিসিবির সূচনা এবং যাত্রাপথ সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা দেয়াই এর উদ্দেশ্য। অনেক কিছুই হয়ত বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে না, নৈর্বক্তিক পোস্টে খুব বেশী কিছু আশাও করা যায় না। ইতিহাসের চেয়ে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকা মানুষগুলোই গুরুত্বপূর্ণ, সেদিক দিয়ে সিসিবি-র সবাই সিসিবি-র ইতিহাস। নিজেদের এই ইতিহাসকেই কিছুটা নৈর্বক্তিক করে তোলার কাজ তাহলে শুরু করে দেয়া যাক:

* শুরুটা ইংরেজি উইকিপিডিয়া থেকে।

বিস্তারিত»

বৃষ্টির ঘ্রাণ

…কাল রাতে অনেক দিন পর বৃষ্টি দেখছিলাম, আক্ষরিক অর্থে বেশ আগ্রহ নিয়েই দেখছিলাম। কেন জানি বৃষ্টির ছন্দটা অন্যরকম লাগছিল। কোথাও যেন কিছু একটা খাপছাড়া, কিছু একটা থেকেও নেই মনে হচ্ছিল…। কেমন যেন অপরিচিতের এক মোহ ছেয়ে আছে। বৃষ্টির ফোটাগুলো কী আজ একটু বেশি ভারী … না মনে হয়… তবে এতো বিস্মৃত কেন লাগছিল। বোধহয় বুঝতে পেরেছি। তবুও নিশ্চিত না হয়ে নিজের ক্লান্ত ধারনাকে প্রশয় দিতে ইচ্ছে করছিল নাহ।

বিস্তারিত»

“বরিশাল ক্যাডেট কলেজ, বরিশাল-৮২১৬”


**********01
বাবা আজ অনেক খুশি। বাবার অনেক দিনের স্বপ্ন আজ পূরন হয়েছে, ছেলে ক্যাডেট কলেজে চান্স পেয়েছে। আমিও খুশি, অনেক খুশি। ছোটবেলা থেকেই বাসার বাইরে থাকাই আমার অভ্যাস। সকাল ৭ টায় গন্তব্য জিলা স্কুল; স্কুল , কোচিং সবকিছু শেষ করে আমি ফিরতাম একেবারে সন্ধ্যায়। বাবা মা দুজনেই চাকরিজীবী, তাই সন্ধ্যায় সবাই একত্রে বাসায় ফিরতাম। আবার পরদিন সকাল হলেই গন্তব্য: জিলা স্কুল…।

বিস্তারিত»

সিসিবি আর আমি

১০০০তম পোস্ট উপলক্ষে কিছু লিখব ভেবেছিলাম। ব্যাস্ততার কারণে (এবং কিঞ্চিত আইলসামি) লেখা হয়ে ওঠেনি। বসতে বসতে দেখি পোস্টের সংখ্যা এর মধ্যে ১০৩০+ হয়ে গেছে। বাসি জন্মদিনের মতই হয়ে যাচ্ছে লেখাটা। কিন্তু তারপরও নিজের অস্তিত্ত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য ভাব্লাম লেখাটা উচিৎ। নইলে কবে আবার মাসখানেক সিক রিপোর্ট মারার কারণে এডু সাহেব না আবার আমারে ব্যান কইরা দ্যান।

সিসিবিতে আসা আর আমার বাংলা টাইপ করাটা প্রায় একসাথেই হয়েছিল।

বিস্তারিত»

ঘানা ভ্রমন -৩ কাকুম ন্যাশনাল পার্ক (দ্বিতীয় পর্ব)

কাকুম ন্যাশনাল পার্কে ক্যানোপী ওয়াক এর একটি ঝুলন্ত সেতুর দৃশ্য।

‘কাকুম ন্যাশনাল পার্ক’এ একটি বিকেল থেকে সন্ধ্যা – ২

আমরা ক্যানোপী ওয়াকের কাছে গেলাম।
প্রথমে দেখে সত্যি অভিভূত হয়ে গেলাম। গহীন জঙ্গলের মাঝে উঁচু উঁচু গাছে ক্যানোপী সংযোগ করে ঝুলন্ত সেতু বানিয়েছে বেশ কায়দা করে। গাছে গাছে অ্যাংকরেজ গুলো বেশ মজবুত করে করা হয়েছে। আর তাই আমরা সবাই প্রায় একসঙ্গেই হেঁটে আসলাম পুরা পথ টুকু। মাঝে মাঝে গাছের সাথে অ্যাংকরেজ এর প্ল্যাটফর্মগুলোতে একটু অপেক্ষা।

বিস্তারিত»

ঘানা ভ্রমন -২ কাকুম ন্যাশনাল পার্ক (প্রথম পর্ব)

কাকুম ন্যাশনাল পার্ক এর টিকেট কাউন্টার এর সামনে ওপেন ক্যাফের দৃশ্য।
‘কাকুম ন্যাশনাল পার্ক’এ একটি বিকেল থেকে সন্ধ্যা -১
কেপ কোস্ট ক্যাসেল নিয়ে লেখার সময় ভাবছিলাম; ঘানার অপর পর্যটক কেন্দ্র -কাকুম এ অবস্থিত ‘ন্যাশনাল পার্ক’ সম্পর্কে দুচারটে কথা না লিখলে ঘানা ভ্রমন এর স্মৃতি রোমন্থনটা অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। তাই এটাকে প্রচলিত ভ্রমন কাহিনীর রূপ দেয়া আমার পক্ষে একটু কঠিনই ঠেকছে। তাই সে চেষ্ঠা না করে আমি বরং লিখে যাই-আমার মত করে।

বিজ্ঞ পাঠকের প্রতি তাই অনুরোধ রাখছি এই বলে যে –

বিস্তারিত»

ঘানা ভ্রমন – ১ কেপকোস্ট ক্যাসেল !

কেপকোস্ট ক্যাসেল - সনাতন দাস প্রথাকে ধিক্কার জানানোর জন্য নির্মিত মিউজিয়াম।

মুক্তি চাই…
অবকাশ যাপনের ফুসরতে প্রিয় বন্ধুর অনুরোধে
ঘুরে এলাম ঘানা’র কেপ কোস্ট।
পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত এই স্থানে প্রসিদ্ধ
এখানকার কেপ কোস্ট ক্যাসেল।

বিস্তারিত»

সংসার

সারাদিন খালি ট্যাঁ ট্যাঁ । যেখানেই যাও এদের হাত থেকে রেহাই নাই । বসের অফিস বলো আর ঘর কোথাও এদের হাত থেকে নিস্তার নাই । বউ আর মোবাইল এই দুইটা আসলেই শালা ঝামেলা । যেখানেই যাও মোবাইল বাজবেই । রাত নাই দিন নাই , ঘর নাই বাহির নাই । আর বউ !!! এর কথা কি আর বলব । বড় ডেঞ্জারাস জিনিস । ঘরে ফিরলেই শুরু করবে –

বিস্তারিত»

চলো ব্লগটাকে মুড়ে দিই প্যালেস্টাইনি পতাকায়


গাজার শিশুরা প্রতিদিন নিহত হচ্ছে। হত্যা করা হচ্ছে নারীদের, নিরীহ মানুষকে। গাজা আর পশ্চিম তীরে খোলা আকাশের কারাগার বানিয়েছে যুদ্ধবাজ জায়নবাদীরা। মানুষকে ক্ষুধার্ত আর চিকিৎসাহীন রেখে এতোদিন প্যালেস্টাইনিদের নিরবে হত্যা করেছে ওরা। আর এখন স্থল-সমুদ্র আর আকাশ পথে হাজার হাজার টন বোমা, বিস্ফোরক, মিসাইল আর লাখ লাখ রাউন্ড গুলি ছুড়ে নিশ্চিহ্ন করতে চাইছে ১৫ লাখ মানুষকে। প্রতিদিন গণহত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ দেখে-পড়ে রক্তে আগুন ধরে যায়।

বিস্তারিত»

দ্য রেসলার: নিরাপদ নীড়ের খোঁজে

প্রথমেই বলে নিই, “দ্য রেসলার” এর মত স্পোর্টস মুভি আগেও বেশ কয়েকটি দেখেছি। কিন্তু এই প্রথম জীবনে দেখা স্পোর্টস মুভিগুলোর ড়্যাংকিং করলাম। আমার করা ড়্যাংকিংটা এরকম:
১. রেইজিং বুল (মার্টিন স্করসেজি, ১৯৮০)
২. দ্য রেসলার (ড্যারেন আরনফ্‌স্কি, ২০০৮)
৩. মিলিয়ন ডলার বেবি (ক্লিন্ট ইস্টউড, ২০০৪)
৪. রিমেম্বার দ্য টাইটান্‌স (বোজ ইয়াকিন, ২০০০)
৫. দ্য হারিকেইন (নরম্যান জিউইসন,

বিস্তারিত»

“ফুটনোট অফ এ মেমো”

…পানিতে হাত দিয়েই শিউরে উঠলাম। ঠাণ্ডা পানি! হাতে স্পর্শ করা মাত্র ছ্যাঁৎ করে লাগে। সরিয়ে নিতে ইচ্ছা করে সাথে সাথে। কল থেকে বরফ-ভাঙা পানি নেমে আসছে। আমি তারপরেও হাত পানির মধ্যে পেতে রাখি। আঙুলগুলো ডলে ডলে তেল আর খাদ্য ধুয়ে ফেলি।
আমার অফিসে ক্যান্টিনে ফোন করলে, খাবার দিয়ে যায় রুমে। একটু আগে ফোন করে জিজ্ঞাসা করলাম, কী আছে? বললো, চিকেন বিরিয়ানি আছে। খেতে খেতে মনে হলো অনেকদিন বিরিয়ানির ক্ষিদে জিভে লেগে ছিল।

বিস্তারিত»