প্রিন্সের তালতো ভাই আরিফ
আমরা আসলে দুই বন্ধু না তিন বন্ধু হলাম হরিহর আত্মা। প্রিন্স (আসল নাম এর ধারে কাছেও না), আরিফ (আসল নামটা একটু বদলে দেয়া হয়েছে) আর আমি। কে কার বেশি আপন তা অবশ্য হাওয়া বদলের সাথে উঠানামা করত। যখন বিড়ি খাওয়ার পয়সা নাই তখন আরিফ আমাদের সবচেয়ে প্রিয় আর ওর বাসায় বিড়ি খেলে যখন ও ঘর থেকে বের করে দিত অথবা ওদের দোকান থেকে শার্ট বা গেঞ্জি নিযে আসলে ও যখন চোর বলত তখন আমি আর প্রিন্স একজন আর একজনের প্রিয় বন্ধু হয়ে যেতাম।
যা হোক কিভাবে যেন আরিফের বড় বোনের সাথে প্রিন্সের বড় ভাইয়ের বিয়ে হযে গেল। আমি ছুটিতে গিয়ে দেখি দুই বন্ধু নতুন পাতানো আত্মীয়তা নিয়ে মহা মশগুল। আমি কিরকম যেন বহিরাগত। একসময় আরিফ মামা এবং প্রিন্স চাচা হলো। আমি দুটোই। আরিফের সামনে আসলে বলি আমার ভাগনা কই, আর প্রিন্সকে দেখলে ভাতিজার কথা জিজ্ঞেস করি। যদিও ছেলের বাড়ি বলে প্রিন্সের দাম বেশি। এদিকে প্রিন্সের বাবা নাকি একদিন কি কারনে প্রিন্সকে একটা পুরোনো বন্দুক দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন। এই ভয়ে ওদের বাসায় ঢুকি না। তো একবার ভাগনা আরিফের বাসায় আসতেই মাথায় বুদ্ধি খেলে গেল। ভাগনাকে সহবত শেখানো দরকার। আমি আর আরিফ মিলে ভাগনাকে শিখালাম কেউ নাম জিজ্ঞেস করলে কি বললে সবাই ভাল বলবে। সেইদিন আরিফের উপর মেজাজ একটু খিচরে ছিল। তিন ঘন্টা ধরে ওদের বাসায়, একবার চায়ের কথা জিজ্ঞেস ও করে নি। তাই আরিফ একটু সরতেই ভাগনাকে কানে কানে শিখিয়ে দিলাম কে শিখিয়েছে কেউ জিজ্ঞেস করলে বলতে ছোটো মামা। তাহলে মামা খুশি হয়ে চকলেট দেবে।
শাহজালাল বিজ্ঞাণ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আবার প্রিন্সের বাবার বন্ধু। উনি প্রিন্সের বাসায় বেড়াতে এসেছেন। প্রিন্সের আব্বা তার নাতিকে দেখানোর জন্য ডাকলেন। নাতি কাছে আসতেই ভিসি সাহেব তাকে কোলে নিযে জিজ্ঞেস করলেন তোমার নাম কি ? সাথে সাথে ভাল হওয়ার জন্য নাতির উত্তর
ধুর কুত্তার বাচ্চা
ধুর শুয়রের বাচ্চা
প্রিন্সের বাবা বেয়াদপ ছেলে কে শিখিয়েছে তোমাকে বলে গর্জ়ে উঠতেই সে ভয়পেয়ে সব ভুলে বলে উঠল ছোটো চাচা।
বাকি কাহিনী আমি আর জানি না। আমাদের সম্পর্ক প্রিন্সের সাথে এরপর সূতোর উপর ঝুলে ছিল। আরিফের তালতো ভাই হওয়ার কারনে শেষ পর্যন্ত তা ভাঙ্গে নাই, কিন্তু পরে কি হয়েছিল তা জিজ্ঞেস করার সাহস ও হয়ে উঠে নি।
নাহ! ফাহিম ভাই তো প্রিন্স ভাইয়ের হাতে হারিকেন ধরাইয়া দিলো। 😉 😉
প্রিন্স ভাই, আপ্নে কই? ফাহিম ভাই কিন্তু ২-১ এ আগাইয়া গেছে 😉 😉
লেখা মজার ছিলো ফাহিম ভাই। :thumbup:
এইখানে মজা পাওয়ার কি দেখলা। আমি লিখলাম আমার বন্ধুর দুখের কাহিনী আর তুমি বল মজা পাইছ। আমাদের মধ্যে আবার ঝামেলা লাগাইতে চাও। অন দা হ্যান্ডস ডাউন।
🙁
নাহ! এই পোস্টে আর ঢুকুমই না। ফাহিম ভাই গনহারে পাঙ্গাইতেছে সবাইরে ... :bash:
"কামরুল চলে যাবে..কিন্তু তার বডির সব সিভিল পানি পড়ে থাকবে এই পোষ্টে.. :grr: :grr: "
--ফাহিম ভাই
ফাহিম ভাই, কাউরে কলার ছোলায় আছাড় খাওয়া দেখলে যেইরকম লাগে এইটা ঠিক সেইরকম মজা 😀 😀 😛 😛 ।
Life is Mad.
হাতে হারিকেনের সাথে কোমরে ছাতিও মনে হয় ফ্রি দিয়া দিছে...
বহুত মজা পাইলাম ফাহিম ভাই।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
তুমিও অন দা হ্যান্ডস ডাউন।
বস, আমি তো হাত তুইলা কোন ডাউট দেই নাই :no: :no: :no:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
😀 😀 ফাহিম ভাই, জটিল হইসে
সত্য কথা তিতাও ভাল। এর মধ্যে এইটা পুরা সত্য কাহিনী।
ফাহিম ভাই, এট্টু বাদ পড়ছে..........."তুমিও অন দা হ্যান্ডস ডাউন" যোগ হবে 😀 😀 😀 😀 😀 😀 ।
Life is Mad.
সায়েদ তুমি :frontroll: শুরু কর। কথা একেবারে কম।
=))
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
মাসুম বাচ্চাকে এইসব অশালীন বাক্য শেখানোর জন্য আল্পসের চূড়ায় ১০টা :frontroll: দাওতো ফাহিম। ব্লগ এডু তো ঘুমাইতাছে তাই জাতির বিবেকের দায়িত্ব পালন করতে করতে ক্লান্ত.....................
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আমি শিখাইনাই ভাইয়া, শিখাইছে ওর আপন মামা। আমি শুধু সাথে ছিলাম আর কি?
ভাইয়া বরফে সব কাপড় পইড়া :frontroll: দিতে বরই কষ্ট।
ফাহিম ভাই,
লেখার স্টাইলটা জটিল...ব্যাপক মিজা পিলাম... 😀
২-১ গোলে আগায়া যাওয়ায় অভিনন্দন :boss:
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
মিজা পাওয়ায় খুশি হইলাম। 🙂
আমারও অভিনন্দন :clap: :clap: :clap: :clap: ।
Life is Mad.
বস,
ইপনি 'খুশি' নি হিয়ি 'খিশি' হিলি ইরি ভিলি লিগতি 😀
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
ইপনি দিঁত বির কিরি হিসি দিন কিন?
এইবার ফাহিম ভাইর সাপোর্টার না হইয়া উপায় নাই.. 😀
ফাহিম ভাই..আপ আপ.. :grr: :grr:
তোমারে না :frontroll: দিতে বলসিলাম। উঠলা কেন? স্টার্ট :frontroll: তারাতারি কর।
ফাহিম ভাই আপনারে সাপোর্ট দিলামতো.. :(( :((
ঠিক হইলা...একদম ঠিক হইল না.. :frontroll: :frontroll: :frontroll:
এই বার উঠো।
লেখাটা পইড়া খুবই কষ্ট পাইলাম... :khekz: :pira: =))
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
নাহ এইটা কি ঠিক অইল...??? :)) :)) :))
ব্যাচারারে হারিকেন দিয়া দিলেন... =)) =)) =)) =))
আহারে লগে না জানি আরও কি কি ছিল... :goragori: :goragori:
ফাহিম ভাই নাই 😀
এই চান্সে জুনিয়রগুলিরে পাঙ্গাইয়া নেই। 😉
ওই রেজওয়ান , তুই অন দা হ্যান্ডস ডাউন। :grr:
এই ঝুলে থাকা সূতো কোথায়, কিভাবে টাইট হইল ফাহিম ভাই? সেই কাহিনী বলবেন না?
হুম, চিন্তা করতেছি বলা ঠিক হবে কিনা।
ফাহিম ভাই ভাই ভাই ভাই ...
ভাল আছেন না ??
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
ভাই ভাই কর কেন। তোমারে তো মাফ কইরা দিসি।
কি জামানা পড়ছে, সমানে পাংগাইতেছে।
আহারে সব গুলা ক্যামুন ক্যামুন কইরা কানতাছে। পাষান গলি যাবে, ফাহিম গলে না।
কি যে করি? 😕
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই, আপনি এদের কান্দা দেইখা ভুল বুইঝেন না। এরা সব বদমায়েস। কলেজে থাকতে শুনছি সিনিয়ারদের সাথে জুনিয়রদের মাঝে মাঝে ঝামেলা লাগে। কিন্তু জুনিয়রগুলা সিনিয়রদের মাঝে ঝামেলা বাধয়াইতে শুনি নাই। দেখেন না এরা আমারে কয় আমার সাথে আছে আর প্রিন্সরে কয় ফাহিম ভাই এইতা কি করল?দুইদিন পর আর কি করবে আল্লাহ জানেন। আপনি ও আমার সাথে সামিল হন।
অই ফয়েজ ভাই বলছে আর দশটা :frontroll: দিতে
ফাহিম ভাই ডরে ডরে কমেন্টাইতাছি আবার পাঙ্গা শুরু করে দিবেন এই জন্য। ভাল ছিল কিন্তু অবকাশ ও ছিল ( কপিরাইট জানি কার ভুলে গেছি )। লেখা চরম ছিল বলতে পারতেছিনা কারণ পাংগারে আমি আবার ভয় পাই।
তপু যাও তোমারে কিছু বলব না। কেউ ভয় খাইলে তারে আবার কিছু বলতে আমার কষ্ট লাগে।
খুবই কষ্টদায়ক কাহিনি :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :pira: :pira: :pira: :pira: :khekz: :khekz: :khekz:
আপনি বলার আগেই শুরু করলাম ভাই :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: