ইউক্যালিপ্টাসের মুখ

আমি যখন কুয়াশা-শৈশব-মেশানো-ভোরে দৌড়াতাম পিচে-ঢালা-পথে ঘুরে ঘুরে অনবরত;
বারবার তোমাকে টপকে যেতাম আলতো-আঙুল-গীটারে-বোলানোর মত পদবিক্ষেপে
সেখানে দাঁড়ানো ঊর্ধ্বমেঘ-ছোঁয়ায়-সঙ্গমেচ্ছু ইউক্যালিপ্টাসের শরীর, ঋজুত্ব দেখে
লয়-ভাঙা-পা পড়তো পিচ আর আলকাতরা-মেশানো-শতবর্ষী বুড়ো রাস্তায়।

দিনের আলো কতবার বদলে দিত ওর শরীরের চাল-ধোয়া-ঘোলাটে-সাদা রঙ;
আমি সারাদিন ওরপাশে ঘুরে ঘুরে পা মেপে মেপে চকিতে আঁক কষতাম, উপরে
তার শরীর-ছাড়ানো-মুখ দেখার তীব্র, তুমুল, নাড়িছেঁড়া-বাঁধনের মত ইচ্ছারা
বিতর্কিত-বেশ্যা-ছেনাল মেঘেদের সাথে কূট-কুরুক্ষেত্রে মেতেছে শকুনির মতোই!

বিস্তারিত»

শান্তর বাসা

মাঝখানের কিছু বছর আমাদের বন্ধুদের এমন একটা সময় গিয়েছিলো, যখন আমাদের সবার ২য় ঠিকানা ছিলো শান্তর বাসা।
শান্তর বাসার খোঁজ কখন কেমন করে যে পাই, এতদিন পরে আমার আর সেসব কিছু মনে নেই। কিন্তু পাবার পর থেকে এমন হতো যে, প্রায়শই আমরা, বন্ধুরা, নিজেদের সবাইকে আবিষ্কার করতাম শান্তর বাসায়। কারন সহ বা কারণ ছাড়াই। খিদে পেলে বা না পেলে। আড্ডা দিতে চাইলে বা না চাইলেও।

বিস্তারিত»

আমি কখনোই কিছু বলিতে পারি না -২

[প্রথম লেখার যথেস্ট ভালো রেসপন্স না পেয়ে হতাশার মুখে লাথি মেরে পর্যায়ক্রমে লিখে যাব ভাবছি]
কেসঃ ৬
আমারে nobody ever counted (কেউই কখনো গুনতো না),
সেই ছেলেবেলায় যখন ছেলেমেয়েরা একসাথে বর বউ খেলতো………, আমারে রাখতো পাহারাদার!!!!!!!!!!
একদিন প্রতিবাদ করে বললাম, “আমি আর পাহারাদার থাকতে পারবো না”
তখন আমাকে সবাই বললো, “ঠিক আছে, তুই আজকে কাজী!”

বিস্তারিত»

দি রিডার: মন খারাপ করা মুভি

মনটা খারাপ হইছে। কোনো কোনো ছবি আছে তারে বলে ফিল গুড মুভি। সাম্প্রতিক উদাহরণ স্ল্যামডগ মিলিওনিয়ার। আর কিছু ছবি আছে ফিল স্যাড মুভি। আজ সেইরকম একটা ছবি দেখলাম। দি রিডার। মনটা অসম্ভব খারাপ হয়েছে। মনটা বিষন্ন হয়ে আছে ছবিটা দেখার পর।
কেন উইনস্লেট একজন মধ্যবয়সী নারী। জার্মানিতে ট্রাম কন্ডাক্টার। ১৬ বছরের মাইকেল তার প্রেমে পড়ে। শারিরীক প্রেম। তবে হান্নার (কেট) পছন্দের বিষয় বই। শারিরীর প্রেমের পর মাইকেলের কাজ হান্নাকে বই পড়ে শোনানো।

বিস্তারিত»

টুশকির ছোট ভাই পুশকি (খুশকি – ১)

সায়েদের টুশকি গুলো যখন পড়ি তখন নিজের জীবনের অনেক ঘটনা মনে পড়ে যায় আমার। কিন্তু ওর মতো সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে বা উপস্থাপন করতে পারিনা। আজ কয়েকটা ঘটনা একসাথে মনে পড়ায় ভাবলাম একটু চেষ্টা করে দেখিনা। টুশকি না পারি, এর কাছাকাছি কিছুটা যদি পারি তাতে দোষ কি সবার সাথে শেয়ার করতে? কিন্তু নামকরন নিয়ে আবার পড়লাম বিপদে। নতুন নাম দেয়াটাও একটা কঠিন কাজ হয়ে দাড়ালো আমার জন্য,

বিস্তারিত»

বেক্সকার জন্য ইস্পিশাল ঘোষনা !!

কিছুক্ষন আগে একটা মেইল পাইলাম একজনের কাছ থেকে…
তাই দেরি না করে এখানে দিয়ে দিলাম… 😀
যদিও আমি নিজে না যাইতে পারা অভাগাদের দলের একজন :((
যারা পারবেন তারা তাড়াতাড়ি করেন …আর পারলে পরে এইখানে আপডেট দিয়েন

বিস্তারিত»

আমি কখনোই কিছু বলিতে পারি না -১

কেসঃ ১
পাশের বাড়ীর লুনা (অবশ্যই কাল্পনিক নাম!!) আন্টি আমাকে খুবই পছন্দ করতেন, প্রায়ই চকলেট খেতে দিতেন…
ক্লাস থ্রিতে পড়ার সময়ে একদিন বিকেলে হঠাৎ আমি তার রুমে হাজির হয়েছি। অন্য দিন অনেক কথা বললেও ওই সময়ে তিনি কেন জানিনা আমাকে তাড়াতাড়ি তাঁর রুম থেকে বের হওয়ার জন্য তাগিদ দিচ্ছিলেন। রুম থেকে বের হওয়ার ফাঁকে খাটের উপরে একটা ছোট খাপওয়ালা মিনিশ্যাম্পুর মতন জিনিস দেখতে পেলাম।

বিস্তারিত»

কই যে যাই

হুমমম, আমার পুর্ববর্তী স্পীকার মশাই দেশকে একটা বিরাট লজ্জার মধ্যে ফেলে গিয়েছিলেন। যা জাতির জন্য তো বটেই, পরবর্তী প্রজন্মের জন্যও গ্লানিকর ছিল। বিদেশে দেশের ভাবমুর্তি বিরাটভাবে ক্ষুন হয়েছে। তাই দেশ এবং জাতি জন্য আমাকে এই কষ্টটুকু করতে হয়েছে। এতে বিদেশে দেশের ভামমুর্তি পুনরুদ্ধার করা ছাড়াও দেশ এক ভয়ানক লজ্জার হাত থেকে বেচে গেছে।——– প্রধান স্পীকার।

দেশের সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ। মুল্যস্ফীতি ছাড়াও সারা বিশ্বে মন্দা আমাদের রেমিট্যান্সে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে।

বিস্তারিত»

পোড়া কপাল আমার!!!

আমেরিকায় আসা অবদি আশেপাশে সুন্দরীদের ভীড় দেখে আমি তো পুরা টাশকি! এত সুন্দর মাইয়া আসে কোত্থেকে?- মনে মনে বেশ খুশি হয়ে ভাবি “এইবার মনে হয় শিকে ছিড়বেই” 😡 :shy:

কিন্তু একে একে পাঁচ মাস কেটে গেল, যেই লাও, সেই কদু =(( আমার কপালে আর :just: ফ্রেন্ড জোটে না। জাতি যদি মনে করে থাকে যে আমি ভীতু পোলা বইলা অগো কাছে ভিড়তে পারতাছি না,

বিস্তারিত»

এডিসন ভাইয়ের মেসেজ আর ছন্নছাড়া-র ব্লগ লেখার হাতেখড়ি

সিসিবিতে ঘুরাঘুরি শুরু হইছিল আমার অনেক আগেই। যখন শুধু কয়েকটা চেনা মুখই লিখে যাইতো দিনের পর দিন। লেখার হাত নেই বলে আলসেমি করে গেস্ট হিসেবেই চালাইছিলাম অনেকদিন। গেস্ট হিসেবেই কমেন্টাইতাম মনের সুখে।

কার বইয়ে যেন পরছিলাম, গেস্ট আর মাছ নাকি দুইদিন থাকলেই গন্ধ বের হয়। এখন অবশ্য ফ্রিজের যুগ, অনেক দিন থাকলেও সুগন্ধিই থাকে। আমিও ছিলাম ভালোই। কিন্তু ফয়েজ ভাই আমারে একদিন ধরে ফেললেন।

বিস্তারিত»

হাতে খড়ি

জনগন, আজ আমার আশা পূরনের দিন।
আমি জীবনের পয়লা ব্লগে লিখলাম।

নতুন নতুন ভাষা শিখার অনুভূতি পেলাম। কবে কথা বলা শিখেছিলাম মনে নেই। কিন্তু এখন ফিল করছি প্রথম কথা বলতে পারার আনন্দ!

বিস্তারিত»

একজন বৃহন্নলার আত্মকথন

(সামুতে প্রকাশিত এই লেখাটি ট্যাগ করতে পারলাম না। অবহেলিত একটি সম্প্রদায়ের জন্য অর্থহীন দীর্ঘশ্বাস বলা যেতে পারে একে।)

বিষন্ন নিস্তরঙ্গ জীবন বয়ে চলে নর্দমার জলের মত,
যে জীবনের আগমন এই নিষ্পাপ জীবনের বড় পাপ।
যে জীবনের স্বপ্ন নিঙড়ে গেছে অনেককাল আগে,
আমার জীবন আমাদের জীবনের মত বিবর্ণ ধুসর-
যে জীবন আমার বহুতল বাড়ির ক্ষুদ্র ঘরে বদ্ধ,
যে জীবন আমাকে দেখতে দেয় না কিছুই নিষ্টুর হয়ে বড়
অথবা আমাকে দেখতে চায় না কেউ কিংবা দেখতে চায়-
দেখতে চায় যারা চায় না পৃথিবীকে দেখাতে জীবনের অপমান।

বিস্তারিত»

ডাক্তারী পড়া হইলো না আর

(BCS-কর্তৃক ছ্যাঁকা খাইয়াও ব্যাকা না হওয়ায় জুনায়েদ কবীর ভাইকে উৎসর্গ করে এই লেখাটি। সমস্ত লেখা জুড়ে আপনাদের চোখে পড়বে আমার অতিরিক্ত বায়োলজি-প্রিয়তার নিদর্শন।)

ভার্সিটি লাইফের শেষ পরীক্ষা শেষ করিলাম। এখন আমি একজন প্রকৌশলী। ;)) জীবনের এই টার্নিং পয়েন্টে আসিয়া একখানা আফসোসের বিস্ফোরনঃ ডাক্তারী পড়া হইলো না আর। ;;)

মনে পড়ে, যেইদিন ১ম শ্রেনীতে ভর্তি হইতে যাইব। স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হইবো, বাবাও রেডি,

বিস্তারিত»

স্বপ্নাহতের কথন

আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে (আই ইউ টি) অনেক পাকিস্তানী ছাত্র আছে। আমি প্রায়ই হতবাক হয়ে যাই যখন দেখি আমারই পরিচিত কিছু মুখ যখন বিনা সংকোচে তাদের সাথে উর্দুতে কথা বলে। আমার তখন কিছুই বলতে ইচ্ছা করে না। মেরুদণ্ডহীন এক বাঙালিতে রূপান্তরিত হয়ে যাই আমি।

আমি বুদ্ধিজীবী নই; নই কোন ক্ষুরধার কলাম লেখক। কোন বিষয় নিয়ে যখনই কিছু বলতে যাই কিছুক্ষণ পরই আমার জ্ঞানের জাহাজ যে শূন্য সেটা প্রকাশ হয়ে পড়ে।

বিস্তারিত»