স্কুলে পড়ি, তখন আমাদের ভাইবোনদের ববি আর কুরবানি দেখতে দেওয়া হয়নি। এগুলো বড়দের ছবি। ববিতে ডিম্পল আর কুরবানিতে জিনাত আমান বিকিনি পড়েছিল, ব্যস তাতেই এগুলো বড়দের ছবি হয়ে যায়।
আমার দেখা প্রথম বড়দের ছবি ব্লু লেগুন। রীতিমত আয়োজন করে দেখা। বয়সে বড় খালাতো ভাইয়ের বন্ধুরা সবাই মিলে দেখেছিল, আমিও কেমনে যেন ঢুকে যাই সে দলে। আমাদের সময়ে বড়দের বড়দের বড়দের ছবি দেখানো হতো বেগম বাজারে,
ক্যাডেট কলেজসমূহের এইচ এস সি রেজাল্ট’০৯
ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ- ৪৫ জনের মাঝে ৩০ জন এ+
ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ- ৪৭ জনের মাঝে ৪৬ জন এ+
মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ- ৪৭ জনের মাঝে ৪৫ জন এ+
রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ- ৩৯ জনের মাঝে ৩৬ জন এ+
সিলেট ক্যাডেট কলেজ- ৪২ জনের মাঝে ৩৬ জন এ+
রংপুর ক্যাডেট কলেজ- ৪৮ জনের মাঝে ৪৫ জন এ+
বরিশাল ক্যাডেট কলেজ -৪৮ জনের মাঝে ৩৯ জন এ+
পাবনা ক্যাডেট কলেজ- ৪৮ জনের মাঝে ৪৫ জন এ+
ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ- ৫১ জনের মাঝে ২৬ জন এ+
কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ –
ট্যুর ডি টাঙ্গাইল
গত কয়েকদিন যাবৎ আমি বেশ মনোদৈহিক যাতনার মধ্যে আছি। ব্যাপারটা প্রিন্সিপাল স্যার অবগত। ডেস্কজব করলে যা হয় আর কি, ব্যাকপেইন। হওয়াটা খুব ইজি বাট খতরনাক এন্ড লং লাস্টিং ।আমার ঠিক এখনো হয়নি কিন্তু সেরকমই ঈঙ্গিত দিচ্ছে। তাই সময় থাকতে সাধু সাবধান হও নীতিতে তৎপর। এখনি এইটার মূলোৎপাটন করাটা বাঞ্ছনিয়। এখানে বলে রাখা ভাল আমার শরীর ছিল বিশ্রি রকমের ভাল। ক্যাডেট কলেজে ফাঁকি মারার জন্য খুব কমই সিক রিপোর্ট করতে পেরেছি।
বিস্তারিত»অগোছালো এই আমি…
অনেকদিন পর সিসিবিতে আসলাম। ফয়সালের লেখাটা পড়ে মনটা ভাল হয়ে গেল। সবার অনেক লেখা দেখে খুব লিখতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু আজ মনটা খুব খারাপ লাগছে। হঠাৎ বাবার কথা খুব বেশি মনে পরছে। কাল এক বন্ধুর সাথে প্রথম কথা বলতে গিয়ে জানলাম আমার এই বন্ধুটির বাবা নাই। ডিফেন্সে চাকরির সুবাদে তার বাবাকে কুয়েতে যেতে হয় এবং তিনি ওখানে মারা যান। আজ ২৫শে জুলাই তার ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী।
বিস্তারিত»জাগো বাহে
আমি স্বাধীনতা বলছি
আমি রাজ্য হারনো এক রিক্ত রাজা
আমি আজ টোকাই এর গায়ের শতছিন্ন জামার মত মলিন
আমার সূর্য সৈনিকের দল
আমার দামাল ছেলেরা আজ আমারই মত
তজিম আলী
আজ ঘরের বারান্দায় বসে তার পাওয়া না পাওয়ার হিসাব করে
ছানি পড়া চোখে চেনা জগতটা ছায়া ছায়া অচেনা লাগে
রমিজ শেখ
যার মেশিনগান চলত অবিরাম
আজ তার সেই অনামিকায়
ভ্যান গাড়ির বেল বাজে
হতাশ চোখে তার হাজারো অভিযোগ
তবে কোন চাওয়া নেই কারন
পাবার আশায় কিছুতে করিনি
তবে শুধু কষ্ট হয়
নাম না জানা সহযোদ্ধার কথা মনে করে
হাত ধরে বলেছিল দেখিছ
আবার বর্গীরা যেন না আসে
ওর কথা রাখতে পারিনি
তোরাক উদ্দিন
চাদ তারা পতাকার একনিষ্ঠ সেবক
আজ তার মার্সিডিস গাড়িতে
পতপত করে উড়ে লাল সবুজের পতাকা
আচ্ছা আপনাদের কি সেই ছেলেটার কথা মনে আছে
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানী কুত্তাদের হেয় কথার জবাব দেয়ায়
যাকে জীবন দিতে হয়েছিল বিদেশ বিভূয়ে
জানেন এই কথা কেন বললাম
অনেকে বলেন পুরোন কথা ভুলে যেতে
তাদের মুখে আমি থতু দিই
মনে আছে সেই তরুণীর কথা
প্লাকাডে যে লিখেছিল”আফ্রিদি মেরি মি”
আমার আরও কিছু সময় বাকী আছে
জন্মস্থানের সোঁদা গন্ধ পেরিয়ে আমি আরও দক্ষিনে এগিয়ে যাই। সোনালী রোদ্দুরেরা এবার আমায় ঘিরে ফেলে।
আমি সাঁতার শিখি, সোনালী মাছের পাখনায়, আমি দূর্বার ঘ্রান নেই, প্রজাপতির ডানায় চড়ে ভেসে বেড়াই পুরোটা আকাশ, রোদের সংগে ছায়ার লুকোচুরি খেলি। গোপন কুঠুরি থেকে বের করে আনি দূর্লভ চিলের ছানা, উড়িয়ে দেই আকাশে। রাজকন্যার দল আমাকে ঝর্ণার পানিতে খেলতে ডাকে। পাখির সংগে ডালে ডালে উড়ে বেড়াই, দু-চোখ মেলে দেখি বাতাসে শিশিরের মিলিয়ে যাওয়া।
বিস্তারিত»একটি কবিতা, কিছু কথা
১
কবি হিসাবে স্বীকৃতি পাব, এটা চিন্তা করে কখনো কবিতা লিখিনি। যদিও কখন কোন কবিতা কবিতার স্বীকৃতি পায়, বলা কঠিন। জীবনানন্দ দাশ জীবদ্দশায়কবি হিসাবে স্বীকৃতি পাননি। সারা জীবন মুখোমুখি হয়েছিলেন কঠিন সমালোচনার। যদিও এ নিয়ে তার আক্ষেপ ছিলো। আমার এই সমস্যা নেই। কোয়ালিটি/কোয়ান্টিটির চিন্তা না করে মাঝেমাঝেই দুই একটা কবিতা (?) লিখে ফেলি। কেন লিখি?
কারণ, কবিতা লেখাটা সহজ। গদ্য লিখতে গেলে গাদাগাদা শব্দ বাঙলায় টাইপ করতে হয়।
প্রিয় শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ আর মিতালী মুখার্জী
যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়
যে ছিল হৃদয়ের আঙ্গিনায়
সে হারালো কোথায় কোন দূর অজানায়
সেই চেনামুখ কতদিন দেখিনি
তার চোখে চেয়ে স্বপ্ন আঁকিনি।।
যতটুকু ভুল হয়েছিল, তার বেশি ভুল বুঝেছিল
কি যে চায় সে বলেনি আমায়।।
যতখানি সুখ দিয়েছিল, তার বেশি ব্যাথা দিয়ে গেল
স্মৃতি তার আমাকে কাঁদায়।।
খুব সহজ-সরল ভালোবাসার কথা। কিন্তু সুরটা অসাধারণ।
বিস্তারিত»মোস্তফা মামুন ভাইয়ের নাটক- ‘প্রভাতী সবুজ সংঘ’
মোস্তফা মামুন ভাইয়ের লেখা ‘প্রভাতী সবুজ সংঘে’র চিত্রনাট্যটা পড়েছিলাম বেশ আগে। মামুন ভাই পড়তে দিয়েছিলেন। কিশোর উপন্যাস, রম্য বা খেলার কলামের মতো আমি মামুন ভাইয়ের চিত্রনাট্যেরও বিশাল ভক্ত। স্বাভাবিক ভাবেই ‘প্রভাতী সবুজ সংঘে’র চিত্রনাট্যও খুব পছন্দ হয়েছিলো। ইচ্ছে হয়েছিলো বলি, ‘মামুন ভাই এটা আমার জন্যে রেখে দেন, আমি এই গল্পটা নিয়ে নাটক বানাবো।’ বলতে পারিনি কারণ এর আগেও মামুন ভাইয়ের দুইটা গল্প আমি নাটক বানাবো বলে বুকিং দিয়ে রেখেছি,
বিস্তারিত»তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৮
স্মৃতির পাতা জুড়ে প্রিয় চৌধুরী জাফরুল্লাহ শরাফত
[বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতে না হোক ক্রীড়প্রেমীদের মনে যার নাম গেঁথে থাকবে অনেকদিন তার নাম চৌধুরী জাফরুল্লাহ শরাফত। তার সুনিপুণ ভাঁড়ামোতে আমাদের মাতিয়ে রেখেছেন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। কী ফুটবল, কী ক্রিকেট সবখানেই তার অবাধ বিচরণ । সেই শরাফত ভাইয়ের বিভিন্ন কমেন্ট্রি থেকে তার চরিত্রের কিছু বিশেষ দিকগুলোকে পাঠকের কাছে পৌঁছাতেই আমার এই প্রয়াস। কমেন্ট্রিগুলো টিভিতে অথবা রেডিওতে শোনা , তার সাথে নিজের কিছু কমেন্ট জুড়ে দিলাম।উল্লেখ্য সময় আর স্থানাভাবে অল্প কিছুই শেয়ার করতে পারলাম।]
ভুলোমনা শরাফত ভাই
শরাফত ভাইয়ের ভুলোমনা মনের পরিচয় আমরা পাই যখন তিনি কমেন্ট্রি দিতে দিতে হারিয়ে যান সেই সাথে গোলমাল খেয়ে যায় বাক্যে তার শব্দ বিন্যাস।
বিস্তারিত»সাপ্তাহিক…৬
এই সপ্তাহটা মনে হলো যেন উড়ে উড়ে চলে গেল। সপ্তাহের শুরুতে একটা পরীক্ষা আর শেষ দিনে আরেকটা। মাঝে একদিন আবার ছুটি, টেরই পেলাম না। আহ, সবগুলো সপ্তাহ যদি এভাবে চলে যেত।
আজ ছিল ব্যবহারিক পরীক্ষা। শুরু করেছিলাম সকাল ৮টায়, শেষ হতে হতে সন্ধ্যা ৭টা। আমার লাইফে দেয়া সবচেয়ে দীর্ঘতম পরীক্ষা। যদিও এর মাঝে বেশিরভাগ সময় পার হয়েছে এক আইটেমের পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তী আইটেমে যাবার জন্য অপেক্ষা করতে করতে,
বিস্তারিত»চাকুরে
চাকুরী থেকে রিটায়ার করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি বারবার,
প্রতিবারই এক্সটেনশন করে নিয়েছি শেষ পর্যন্ত;
মায়া ছাড়তে পারিনি আজও।
সেই পঁচিশের বসন্তে কোকিল ডাকা এক সুন্দর সকালে
স্বপ্নের জাল বোনা শুরু করেছি, আজও শেষ হয়নি বুনন।
এইটা একটা আত্মপ্রচারণামূলক পুস্ট
এইটা একটা আত্মপ্রচারণামূলক পুস্ট।
”আপনার মুখ দেইখা সকালে বাইরাইছি বস।”
এই লাইনটা আমার লেখা না। এইটা আমাগো সামুর ব্রগার অচেনা বাঙালী বা আমার ব্লগের হাসান রায়হান ভাইয়ের। অচুদা ফেসবুকে আমার ওয়ালে এইটা দিয়া রাখছে।
কিছুক্ষণ পরে সে একটা নোট দিছে ফেসবুকে। আসেন এইটা পড়ি-
”প্রত্যেকদিনের মত বুয়ার কলিং বেলের আওয়াজ শুনে সকালের ঘুম ভাঙলো। মহা বিরক্তি নিয়ে উঠতে হয় কারণ ভোরের দিকেই ঘুমটা জমে ভালো ।
প্রেম যেবার আমার উপর পড়ছিলো…..
সদ্য ক্যাডেট কলেজ ফেরত। রেজাল্ট দেয় নাই। মনটা খানিকণ উড়ু–উড়ু , কিছুক্ষন পরেই আবার উদাস। লম্বা অবসর, কিছু করার নাই। মানুষের সাথে সেরকম মিশতেও পারি না। ক্যাডেট হওয়ার জ্বালা।
আমার উদাস ভাব দেইখা বাপ-মায়ের দয়া হইল। জ্বীনা, বিবাহ দেন নাই। বরং চালাইতে শিখতে কইল। অন্যকিছু নারে ভাই, গাড়ির কথা বলতাছি। বাপের ধারণা ছিল আমি শিগগিরই আমেরিকা পারি দেব, লেখাপড়া করতে। (আমাদের সময় বাপ-মারা ছেলেমেয়েদের কত কম বুঝতো)।
বিস্তারিত»