‘অবোধ্য জগত’টার প্রতি আমার অদম্য আগ্রহের শুরু সেই শৈশব থেকে। গ্রাম তখন আক্ষরিক অর্থেই গণ্ডগ্রাম ছিল। একটা ছোট্ট ঘটনা আমার সদ্য কৈশোর মনে প্রচণ্ড নাড়া দিয়ে যায় ।শুরু হয় এক অজানা জগত সম্মন্ধে অন্বেষা।
মুক্তি যুদ্ধ শেষে হয়েছে মাত্র।সকলেরই মনে স্বাধীন একটা ফুরফুরে হাওয়া। গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছুটে বেড়াচ্ছি নিছক শৈশবের চপলতায়।খবর এলো মা’র এক দূর সম্পর্কের বোন কে জীনে ধরেছে। আগেও এক-দু বার ধরেছিল।খবরটা পেয়েই ছুটলাম তামশা দেখার জন্যে।
জায়গাটার নাম ‘চাল্লাই পুল’। জয়পারা গ্রাম থেকে কলাকোপা-নবাবগঞ্জ গ্রামে যাওয়ার মাঝে মাইল কে মাইল ধু ধু মাঠ । ডিসট্রিক্ট বোর্ডের কাঁচা রাস্তা। মাঝ বরাবর একটা লোহার পুল, নিচে পানির চিন্হ ও নেই, খট খটে মাটি।চারিদিকে বিস্তীর্ণ ধান খেত, মাঝে অল্প কিছু গাছ গাছারি, দুই চার ঘর দরিদ্র পরিবারের বাস।নাম চাল্লাই।কেমন যেন গাঁ ছম ছমে জায়গাটা!
আমরা অতি উৎসাহে ঘণ্টা দুয়েক হেটে গন্তব্যে পৌছলাম। ছোট্ট উঠান, মাটির ঘর সব লেপে-পুছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ঝক ঝক করছে!
ঘরের ভিতর উকি দিতেই, এক অনিন্দ সুন্দরী অল্প বয়সী মহিলা, কিশোরীই বলা চলে, বসে খুব মিহি সুরে পরিষ্কার আওয়াজে মুখস্ত কোরআন তেলোয়াত করছেন।
ব্যাপারটায় কোন অধিভৌতিক, অসাধারন কিছুই নাই।
শুধু একটা ছোট্ট সমস্যা ছাড়া। যিনি কোরআন তেলোয়াত রতা দেখলাম, তিনি শতকরা একশত ভাগ ম্রুক্ষ্য, ব-কলম। দারিদ্র্যের চাপে জীবনে কখনই স্কুল-মক্তব, মাস্টার-মৌলবির শিক্ষা পাননি।স্বাভাবিক সময়ে তিনি আরবির আলিফ বা তা সা ও পড়তে জানেন না। কিন্তু ওর অশরীরী কথিত স্বামী ভর করলেই শুধু অনুচ্ছেদের পর অনুচ্ছেদ কোরআন মুখস্ত পড়ে যেতে পারেন। শুধু নাকি অল্প কিছুদিনের জন্যে। যত দিন তিনি থাকেন!
নিজের দেখা, নিজ কানে শুনা কোরআন তেলোয়াত।
পীর-ফকির, টাকা-পয়সা-বান্যিজের কোন ব্যপারই এর মাঝে নেই। সহজ সরল একটি দরিদ্র পরিবারের কৈশোরোতীর্ণা মহিলার ঘড়ের কোনে বসে একাকী কোরআন পাঠ।
এই অপার্থিব জ্ঞ্যান ভাণ্ডার আহোরণের রহস্যের সন্ধান আমি আজো খুজে পাইনি।
পাঠক পাঠিকা ভাই-বোনের কাছে যুক্তি গ্রাহ্য কোন উত্তর আছে কি?
কিছু কিছু অতিপ্রাকৃতিক ব্যাপার আছে, যার কোন উত্তর মানুষ খুজে পায় না। সে জন্যই জগৎটা রহস্যময় আর সুন্দর লাগে।
"There are lots of things, between Heaven and Earth" কে বলে গিয়েছেলেন? শেক্সপিয়ার না আইনেস্টইন? যেই বলে থাকেন, যথার্থই বলেছিলেন!
Smile n live, help let others do!
কনফিউজড !
তবে এভাবে শর্টকাট এ কিছু শিখে ফেলতে পারলে মন্দ হত না ভাইয়া 🙂
কনফিউজড আমিও! সে জন্যেই X-File হিসাবে নথি বন্ধ করে রেখেছি।
Smile n live, help let others do!
আজিজ ভাই, এক্স-ফাইল গুলা যে ওপেন করতেসেন, দুইদিন পর দেখবেন অনেকেই এইগুলা নিয়া রঙ্গ-তামাশা শুরু করসে...। 🙁
নামকরা লেখকরা লিখলে আমরা রঙ্গ তামশা করিনা।আর যদি কেউ করেও, কি আসে যায় বল? এখান থেকে আমার চাওয়ার-পাওয়ার তো কিছু নাই! সবই তো পেয়েছি জীবনে আলহামদুলিল্লাহ্!
কিন্তু সমস্যা আসলে কিছু একটাতো আছে,এবং থেকেও যাচ্ছে,যার ব্যাখ্যা আমাদের কাছে (আপাতত) নেই। ভবিশ্যতে হয়তো পাবো। তবে ফৌজিয়ান পেইজে একজন অত্যন্ত সুন্দর গ্রহণযোগ্য বিজ্ঞানসম্মত কমেন্ট করেছে, তাকে সাধুবাদ।নিচে কপি পেস্ট করে দিলাম, তোমাদের জন্যে।
Sakib Abdullah: Bhai, around 2/3 years back i have read an almost similar interesting story in the magazine.
A French taxi driver had a stroke and after the impact he has started talking in German language and completely forgot French, more surprisingly he could even able to recite a portion from bible fluently from his memory.
the scientific explanation, research found that a German father was a neighbour of that French guy and the father used to recite bible from his balcony with a loud voice and which was sufficient enough to reach the French guy's subconscious mind. According to the research the stroke made some fatal damage of a particular cell of his brain which was specifically involved in speaking French and alternatively a small part his subconscious mind where all the German data stored become active.
So it is quite possibleb that similar thing might happen in your case.......may be her father/mother or any relative used to recite quran at her presence...... (FAUJIANS/Facebook)
Smile n live, help let others do!
আজিজ ভাই, আপনার বর্ণিত কাহিনীর সাথে এই ঘটনাটার ছোট কিছু মিল থাকতে পারে কিন্তু প্রধান বেশ কিছু পার্থক্য আছে। ঐ মেয়েটার কি কোন এক্সিডেন্ট হইসিল???? আবার সে কিন্তু তার নিজের ভাষাও ভুলে নাই, আর কোরান সবসময় মুখস্ত তিলাওয়াতও করতে পারতো না। তবে যাই হোক, দুর্ঘটনায় স্মৃতিবিভ্রাট তো বাংলা সিনেমার একটি অন্যতম ক্লাইমেক্স ছিল বহুকাল। এর সাথে আপনার বর্ণিত ঘটনাকে কেউ মিলাতে চাইলে ভুল হবে।
এরকম কল্পকাহিনীর সাক্ষী এ দেশে নেহাত কম নয়... ভাই ভালো লাগলো আর অনেক ইন্টারেস্টিং...।। 🙂
"কল্প" কাহিনী নয় জিয়া, কারন আমি গল্পকার নই। নিজের জিবনের ঘটে যাওয়া unexplained ঘটনা গুলি আমার কাছে অতিপ্রাকৃতিক মনে হওয়াতে X-files হিসাবে সাজিয়ে রেখেছি।
তোমরা নিশ্চয়ই বিজ্ঞান মনস্ক জুক্তিগ্রহ্য কোন সমাধান বের করতে পারবে!
শুভেচ্ছা রইল।
Smile n live, help let others do!
বিজ্ঞানমনস্ক যুক্তিগ্রাহ্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে পাত্র পাত্রীদের উপর পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালাতে হয়। ভেবে ভেবে সেটা সম্ভব নয়। আমেরিকায় স্কেপ্টিক নামে একটা সোসাইটি আছে যারা এসব করে। তারা আপনার ডাকে সাড়া দেবেন কিনা আমি জানি না। তবে যদ্দূর জানি আম্রিকায় কেউ ব্যাখ্যাহীন কোন ঘটনা উপস্থাপন করলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরীক্ষা করে আসল কাহিনীটা বের করার চেষ্টা করেন। ক্ষেত্র বিশেষে ঘটনা ফাঁস করার জন্য টেলিভিশনে পরীক্ষাটা সরাসরি সম্প্রচারও করা হয়। 🙂
স্কেপ্টিক সোসাইটির লিংকটা দিলাম, ওদের সাথে কথা বলে সুদূর বাংলাদেশে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যাবে কিনা জানি না। তবে বাংলাদেশেই তো ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের মাধ্যমে কিছু একটা শুরু করা যায়। আপনার ব্যাখ্যাতীত ঘটনাগুলো কাজে লাগতে পারে সেক্ষেত্রে:
http://www.skeptic.com/about_us/
ধন্যবাদ। হুমায়ুন আহমেদ সাহেব এব্যাপারে খুবই উৎসাহী ছিলেন। কিন্তু বেচারা তো অসুস্থতা জন্যে এগুতে পারলেন না। দেখা যাক, ভবিষ্যতে কেউ যদি এদেশে এই বিষয়ে অগ্রহি হয়ে কাজ করেন!
Smile n live, help let others do!
আমি ছোটবেলায় কিছু একটা দেখতাম।
নাস্তিক হওয়ার পর থিকা বেশ আরামে আছি। কোন ভূত- প্রেত, জিন-পরী আর উপদ্রব করেনা।
একটা সময় এইসব নিয়া বিশাল অবসেসন ছিলো। মরার হাড় শ্মশান থিকা তুইলা কলেজে নিয়া গেছিলাম।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমি সারা জীবন অতিপ্রাকৃতিক 'সলিড' কিছু দেখতে চেয়েছি " লাইক, ভাসতে ভাসতে আমার হাতে একটা রসগোল্লা এলো, আমি মজা করে খেলাম...নিদেন পক্ষে একটা গোলাপ ফুল হাতে এলো...!
কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই পর্যন্ত সেরকম গুণী কাউকেই পেলাম না!!!
Smile n live, help let others do!
কৌতূহল দিপ্ত পোস্ট
তোমাদের কারো মনে কৌতুহল জাগিয়ে হয়তো ভবিষ্যতে বিশাল একজন বৈজ্ঞানিক সৃষ্টি করতে পারবো, তাহলেইতো এই লিখা সার্থক !
Smile n live, help let others do!
ভাই কিছু কিছু জিনিসের ব্যাখ্যা হয়ত কেউ দিতে পারবে না । এটাও তার ভিতরে পড়ে 🙂
৩ টা লেখাই পড়লাম। খুব খুব ভালো লাগলো। প্যারাসাইকোলজিতে আমার খুব আগ্রহ। ভবিষ্যতে অনেক কিছু জানার ইচ্ছা আছে এই ব্যপারে পড়ে। প্রত্যেকটাই ৫ তারা লেখা। 🙂
খেয়া (২০০৬-২০১১)
খেয়া,
আগ্রহ থাকা ভাল, but dont go deep into it! অনেকের অনেক আসুবিধা হয় শুনেছি। আর ধর্মীয় মতামত যদি শুন, আমাদের 'আম জনগনের' (general public) দের জন্যে "শরীয়ত" ই হল আল্লাহ তালার বিধান!
"মারাফৎ" অনেক উচ্চ মর্গিয় জ্ঞান, যার সাধনে স্বাভাবিক জীবন যাপন হয়ত আর সম্ভব নয়।
Smile n live, help let others do!