বিকেলে হাঁটতে বেরুলে প্রতিবেশী মিজ বারবারার সাথে আমার দেখা হয় মাঝেমাঝে। সত্যি কথা বলতে কি মধ্য পঞ্চাশের বারবারা বাগান করতে ভালবাসেন এইটুকু ইনফরমেশন ছাড়া তার সম্পর্কে আমি আর কিছুই জানি না। টল এন্ড স্লেন্ডার বারবারার এক মাথা সাদা কালো চুল। ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি তার লেগেই আছে। দেখা হলে হাত নাড়ি দু’জনেই, আরো একটু সময় হলে হয়তো জানতে চাই কুশল। সামার এলে হয়ত বারবারা জানতে চান আমার কাছে বাড়তি দুটো চারটে শশার চারা আছে কিনা অথবা তার দুটো টমেটোর চারা পরে রয়েছে আমি চাইলে তিনি দিতে পারেন।
বিস্তারিত»অণু ব্লগঃ হারলী ডেভিডসনের ঈগল
ফ্ল্যাট ক্রিক কান্ট্রি ক্লাবের ঝিমনো বিকেল। কাছেই লেকের পাশ দিয়ে লম্বা ওয়াকিং ট্রেইল ধরে হাঁটছে গুটিকয় ছেলেমেয়ে। দু’ চারজন হ্যান্ডসাম বুড়ো রঙচঙ্গা টি-শার্ট পরে অলস ভঙ্গীতে গলফ খেলছেন অদূরে। লিটল ওল্ড লেডিরা ডেকে বসে কফির মগে চুমুক দিচ্ছেন অথবা কুরুশ কাঁটায় মোজা বানাচ্ছেন নাতনীর জন্য। গোলাপী রুজ আর লাল লিপস্টিকে বয়স ঢাকবার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা তাদের কারো কারো। মিস ডরোথির সোনালী ঘড়িতে থমকে আছে সময়। বান্ধবী রুথ কে তিনি কুইল্ট বানাবার জন্য উৎসাহিত করছেন আসছে সামারে।
বিস্তারিত»দিনলিপিঃ আলো’র বাড়ি যাবো
পশ্চিমে জন্মালে মিলি আপার নিজের টিভি শো থাকতো, একটা দুটো ম্যাগাজিন থাকতো ওপরাহ উইনফ্রির মতো, বাড়ীর পেছনে অর্গানিক ভেজি গার্ডেন থাকতো আর প্রতি বৃহস্পতিবার রেড বেল পেপার আর ব্রাসেলস স্প্রাউটের ঝুড়ি হাতে ফটো শুট করতেন তার ফেইসবুক ফ্যানদের জন্য! কিন্তু আপা পূর্বে জন্মেছেন যেখানে রান্নাবান্না করে ঠিক জাতে ওঠা যায়না, আর মনি কাঞ্চনের কথা নাইবা বললাম এখানে!
আগের দিনে পালকি পাঠিয়ে নাইওরী নিতো গ্রামের বাড়ি আর এখন কেউ ভালবাসলে নিজেই ঘন্টাখানিক ড্রাইভ করে এসে চ্যাংদোলা করে সাথে নিয়ে যান।
বিস্তারিত»ইয়েস্টারডে ওয়ান্স মোর
দিনলিপিঃ গডের স্টেক
এক গেলাস জল গড়িয়ে খেতে হয় নাই দেশে অথচ এখানে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবই নিজেকে করতে হয়। বাজার সরকার থেকে শোফার, রাঁধুনি থেকে কবি অথবা জেনেটর বলতে সবই আমি এই জগত সংসারে!
বড়দিনের ছুটি কাটাতে বড় আপার ফ্যামিলি আসবে আমাদের আটলান্টার বাড়ী তাই মা মেয়ের আনন্দ আর ধরে না। তারা আর আমি বসে বসে খাবারের মেন্যু বানাই। বড় আপা আমার তিন বছরের বড় হলেও আমার প্রতি তার আচার আচরণ আমার মায়ের চাইতে কোন অংশেই কম নয়।
বিস্তারিত»আত্মহননঃ আমার অভিমত – প্রেক্ষাপটঃ ক্যাডেট কলেজ কম্যুনিটি
আত্মহননঃ আমার অভিমত – প্রেক্ষাপটঃ ক্যাডেট কলেজ কম্যুনিটি
[আমার এই লেখাটা কোন ভাবেই কোন সিস্টেম বা ব্যাক্তিকে দায়ী বা কটাক্ষ করে লেখা নয়। বরং গত কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু ঘটনার কারনে মনের মাঝে জমে থাকা অনেকগুলো বিষয়কে রিলেট করে একটা সমাধানের আশায় লেখার একটা প্রয়াস মাত্র। আমি নিজে একজন ক্যাডেট বলেই হয়তো বিষয়টা নিয়ে আমি ক্যাডেট কলেজ কম্যুনিটির প্রেক্ষাপটে লিখছি। কিন্তু আসলে এটা সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
বিস্তারিত»মকবুল স্যার বাঁচবেন, আবার ফিরবেন আমাদের মাঝে
ফেসবুকে Reza Shawon ভাইয়ের লেখা পড়ে আমারো একটা ঘটনা মনে পরে গেল।
ক্লাস ৯ অথবা ১০ এর কথা। আমাদের B ফর্মে সেদিন ছিল ভূগোল ক্লাস। আমরা মোটামুটি সবাই বিরক্ত এই ক্লাস নিয়ে। কারণ, ভূগোল অনেক মুখস্ত টাইপের পড়া। কোন দেশ কোথায়, কোন অঞ্চলে আম গাছ, আর কোথায় বাঁশ গাছ বেশি পাওয়া যায়, এসবের বিস্তারিত বর্ণনা। আফ্রিকাতে “রকি” মাউন্টেন, নাকি “কিলিমাঞ্জারো” এই নিয়ে আমাদের কেন এত মাথাব্যথা করতে হবে তা বুঝতাম না।
বিস্তারিত»সিসিবি-তে ব্লগিং নিয়ে একটি ব্লগ
আইডিয়াটা পেলাম এহসানের সাথে কথা বলার সময়ে।
কোন এহসান? কিসের কথা??
তখনও জানি না কোন এহসান। ওয়াপদা মাঠে XCL-এর ফাইনাল দেখছি। হঠাৎ এসে নিজ থেকে পরিচিত হতে চাইলো একজন। নাম, ক্যাডেট কলেজ ও পাসিং ইয়ার বলে এমন পরিচিত ভাবে কথা বলা শুরু করলো যে বিস্ময়ের ঘোর কাটাতে নাম ছাড়া বাকি সব ভুলে একাকার।
বিস্ময় কেন?
অতি পরিচিত অনেককেই দেখলাম সবান্ধব একই মাঠে ঘুরে বেড়াতে,
বাঁচতে হলে লিখতে হবে!
অনেক বছর হয়ে গেছে লিখিনা, আমিও যেন লেখা ভুলে গেছি! বারবারই লেখার কথা ভাবলে আমার হারানো ডায়েরী টার কথা মনে পড়ে, স্ট্যান্ডিং অ্যাট দি এজ পার্ট ২ এর কথা মনে পড়ে, এখকারশনের সাত দিনের যত গল্লপ মনে পড়ে। আমার মনেও নাই কি কি লিখেছিলাম। এগুলা ভাবলে আর লেখার ইচ্ছে হয় না। কিন্তু সত্যি বলতে কি, এক অজুহাত দিয়ে কত বছর নিজের থেকে পালানো যায়? সবাই নাহয় বিশ্বাস করছে,
বিস্তারিত»ইস্তানবুলের ডায়েরী………কিছু স্মৃতিচারণ
স্বপ্ন নাকি বাস্তবতা… নাকি দুটোই…অনেকের মত আমিও হাতড়ে বেড়াই এই প্রশ্নের না জানা উত্তরটি। হয়ত সেই অজানা উত্তরের আশায় হাতড়িয়ে বেড়াতেই কেটে গেছে সময়ের গর্ভ থেকে নামবিহীন ২ টি বছর। খুলে দেখা হয়নি সেই পুরনো ডায়েরীর মলাটখানা। হয়তবা তারই আবর্তে ঢাকা পড়ে গেছে সেই অভিজ্ঞতার পাতা গুলো, জীর্ণতা ছেয়ে বসেছে প্রতিটি কোণে। আজ হটাৎ করেই অজানা এক বাস্তবতার বুক চিরে আবারো সেই ডায়েরীর মলাটখানায় হাত রাখলাম।
বিস্তারিত»মহান বিজয়ের দিনে আমার মিশ্র অনুভুতি; প্রসঙ্গঃ ইসিএফ-এর প্রথম এক্সজিভিএল
ডিস্ক্লেইমারঃ আজ ঘন্টা দুয়েক আগে এই লেখাটা আমি ইসিএফ (এক্স-ক্যাডেটস ফোরাম)-এর ফেসবুক পেইজে দিয়েছিলাম। অনলাইনে আমার লেখালেখি কেবল সিসিবিতেই। এই প্রথম এমনটা হলো যে মনে কিছু মিশ্র অনুভুতি হয়েছে কিন্তু সিসিবিতে সেটা প্রকাশ করিনি। তাই লেখাটাকে প্রাসঙ্গিক ভাবে কিছুটা এডিট করে এখানে আবার পোস্ট দিলাম। তবে যেহেতু আজকেই ইসিএফ আয়োজিত প্রথম এক্সজিভিএল (এক্স গার্লস ক্যাডেটস ভলিবল লীগ) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল, তাই সঙ্গত কারনেই আমার অনুভুতি আমি ইসিএফ-এই প্রথম শেয়ার করেছিলাম।
বিস্তারিত»অণু ব্লগঃ দুই
ডুরাভিলে আমাদের বাড়ীতে একটা কাঁচের ছাদওয়ালা ঘর ছিল। আমি বলতাম আমার মেঘের বাড়ী। আবহাওয়ার খবর না শুনেও আমি সেই ঘরে বসে টের পেতাম মেঘের ডমরু অথবা মধ্য রাতের ঝুম বৃষ্টি। আকাশের রাগ, অভিমান, উল্লাস অথবা চীৎকারে বা শীৎকারে আমার আশ্রয় সেই কাঁচের ঘরটি। টিনের চালে বৃষ্টির কান্না শোনা মানুষ আমরা, আমাদের কি আর মন ভরে কাঁচের চালের বৃষ্টিতে? আমার কিন্তু মন ভরতো ঐ টুকুতেই। বৃষ্টি নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত ভাবালুতা আমার কোন কালেই ছিল না।
বিস্তারিত»অণু কবিতাঃ এক
এক
এক চুমুতে আগুন জ্বলে
দুই চুমুতে ধূপ
তিন চুমুতে রক্তে দ্রোহ
চার চুমুতে চুপ।।
দুই
ইলেকট্রিক কম্বল কত উষ্ণতা দেবে বলো
প্রেয়সী যখন দূরতম দ্বীপে একা??
তিন
চুমুর চকাসে নিস্তব্ধতা ভাঙে, ভোরের কুয়াশায়!
চার
পূর্বে কাজল চোখে জল,
পশ্চিমে নির্ঘুম রাত।।
বিস্তারিত»খান্দান
রূপার নানীজান সালেহা খাতুন উনিশ থেকে বিশ বলতে পারতেন না, বলতেন উনিশ থেকে বিনিশ! এই নিয়ে বাড়ীর বছুইরা কামলারা পর্যন্ত হাসাহাসি করে আড়ালে আবডালে। কিন্তু ঐ পর্যন্তই! তার সামনে চোপা খুলবে এমন সাহস ছনকান্দা গ্রামে কারোরই নাই। নানীজান পান থেকে চূণ খসা বুঝাতে গেলেই বলছেন উনিশ থেকে বিনিশ!
শারীরিক উচ্চতায় খানিক ঘাটতি থাকলেও রূপার নানা জমির মুনশীকে রীতিমত সুপুরুষ বলা চলে। দুধ মাখন খাওয়া চকচকা শরীর তার।
বিস্তারিত»ভালবাসার সুরভী
তুমি আমার সবুজ চায়ে সোনালী মধু
শীতের ভোরে পথের মোড়ে ভাঁপা পিঠা, তিলের নাড়ু
তুমি আমার হারিয়ে যাওয়া চুলের ফিতা
নাকছাবি আর আলতা চুড়ি, নখের পালিশ
তুমি আমার মেঘের দুপুর, সবুজ পিরান, কাজলদানি
পথ হারিয়ে আবার পাওয়া অচিনপুরে
তুমি আমার দুরন্ত চিল, এক লহমায় কোন সুদূর
তুমি আমার শুন্য ঘরে একলা থাকা ঝিম দুপুর
তুমি আমার ঘুঘুর ডাকে মন উদাসী,