(গল্পটি আগে একটি সাহিত্য ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে।)
১
রুমমেট মেরি লী আর আমার সমস্যাটা এক। অথচ দু’জন এর সমাধান চাচ্ছি দুরকম পথে। এটাই স্বাভাবিক। কারণ আমাদের মিলের থেকে অমিল বেশি। প্রথম এবং প্রধান মিলটার কথা আগে উল্লেখ করি। আমরা সমবয়সী। আমার বয়স চব্বিশ। মেরি লী আমার থেকে দু’বছরের ছোট। অমিল অনেক। সে বেশ সুন্দর। স্কুল-কলেজে পড়ার সময় তাকে একজন প্রথম সারির সুন্দরী বলে বিবেচনা করা হতো।
শুভ জন্মদিন ক্যাডেট কলেজ ইনটেক ২০০৭
আজ তেইশে মার্চ ,
ক্যাডেট কলেজ ইনটেক ২০০৭ থেকে ১৩ এর ক্যাডেটদের সবার দ্বিতীয় জন্মদিন আজ ।
দেখতে দেখতে সাত সাতটা বসন্ত পেরিয়ে গেলো ।
কিন্তু আজো স্মৃতির পাতায় স্পষ্ট ভাসে দিনটি ,
দিনের প্রতিটি মুহূর্ত আজো হুবহু বলে দিতে পারবো ।
আজ কয়েকটি ঘটনা খুব মনে পড়ছে ।
সত্যি ঘটনা , প্রাইভেছি রক্ষার্থে ছদ্মনাম ব্যবহার করে ঘটনাগুলো শেয়ার করছি…।।
পাখিজীবন
ছোট্ট খুকুর হাত ধরে অমন চরকি ঘুরান দিলে প্রথম দুএক পাক খিলখিল
বিনুনি খসে রিবন ওড়ে,পা থেকে চপ্পল,অশ্রু উড়ে যায় তারপর সংশয়মেঘ
হাতে বেদনা বোধে ভয়-একসময় ঠিক বোঝে খুকু এটাই জীবন।
মা বলেছিল,”অ মিলু,অত উঁচুতে উড়িসনা,পড়ে যাবি।”
মালবিকা কিন্তু তখনো ওড়েনি।
তৃতীয়বার গর্ভপাতের পর বিকিকিনির হাটে একজনকে মানুষ ভেবে ভুল
তারপর দশতলার ছাদ থেকে জীবনের প্রথম এবং শেষ উড়ান
দুহাত মেলে পতনের পথে উড়তে উড়তে সে ভাবল
তার এই নতুন অভিজ্ঞতা কারো সাথে ভাগাভাগি করা হলোনা!
সিসিবি আড্ডা (বিজনেস টক) এবং চা-চক্র – আপডেট ফেব্রয়ারী ২৩ (সাময়িক পোস্ট)
আপডেটঃ প্রথমেই দুঃখিত বই উন্মোচন পর্ব অনুষ্ঠিত না হওয়ায়। বিষয়টি আসলেই বেশ হট্টগোল এবং জটঘট প্যাকানো বিষয়। বইমেলার আসলে চারটার পর না যাওয়াই ভালো। অস্বাভাবিক ভীড় হয়ে যায়।
জেট ল্যাগের প্যাঁচে যাতে না পরতে হয় এজন্য আমি যেদিন আসি সেদিনই বের হয়ে যাই। এবারও সাতটায় পৌঁছে বারটায় ঘর থেকে বের হলাম। তারপর বই মেলায় গেলাম। আমার সাথে আরও তিনজন ভার্সিটিতে পড়া মেয়ে ছিল যাদের মধ্যে দুজন এই প্রথম বই মেলায় গেল।
বিষয় বিবর্তনঃ বইয়ের প্রচ্ছদ
১
আমি ব্লগ লিখি। এবং বইও লিখি। ব্লগে ব্লগর ব্লগর করি আর বইয়ে ফিকশন লিখি। সেই ফিকশন পড়ে আমার স্বল্প পরিচিতরা মনে করেন আমি আসলে আমার জীবনকাহিনী লিখছি। পরিচিতরা কিছু বলেন না। কারণ তারা আমার বই পড়েন না। পড়লেও এখন চুপচাপ থাকেন। একজন-দুজন ছাড়া। এর পেছনে একটা কারণ আছে। আমার প্রথম উপন্যাসে এক-দুবার হয়তো প্রকৌশলীদের ঘুষ খাওয়ার কথা উল্লেখ করেছিলাম। আমার পরিবার একটি প্রকৌশলী-অধ্যুসিত পরিবার।
বিস্তারিত»পুবের মানুষ যখন পশ্চিমে – ৮
১
দেশপ্রেমের সংজ্ঞা কী জানিনা তাই ছেলেকে কখনও এই ব্যাপারে শিক্ষা দিতে যাইনি। আর তাছাড়া ছেলের তো আমেরিকান দেশপ্রেম, এই প্রেম আমি শেখাব কেমন করে? একদিন পার্কে বেড়াতে গেলাম। মাঠের একপাশে একটা খালি প্যাকেট পরে ছিল। হয়তো কেউ চিপস খেয়ে ফেলে গেছে। ছেলেকে দেখলাম সে প্যাকেটটা তুলল। ‘ময়লা ধরো না’, আমাকে একথা বলার সুযোগ না দিয়েই ডাস্টবিনের কাছে চলে গেল। তারপর প্যাকেট সেখানে ফেলে দিয়ে হাত ধুয়ে আমার কাছে আসল।
বিস্তারিত»পুবের মানুষ যখন পশ্চিমে – ৭
১
পূবের মানুষ যখন পশ্চিমে এমনিতেই একটি সিরিজ লেখা। তবে আজকের পর্বটি গত পর্বের ধারাবাহিকতা। গল্প একবার শুরু করলে শেষ হতে চায় না। লেখা শুরু করবার আগে আমি নিজেও জানি না যে আমার মধ্যে এতো গল্প জমে আছে। কেন আছে এর পেছনের কারণটি খুঁজে পেতে লক্ষ্য করলাম এই জীবন আমাকে অনেক রকম বৈচিত্র্যের মধ্যে দিয়ে ভ্রমণ করিয়েছে। জ্ঞান হবার পর থেকেই নানান রকম মানুষ আর ঘটনা এবং দুর্ঘটনা দেখে চলছি।
পুবের মানুষ যখন পশ্চিমে – ৬
১
অভিশপ্ত জীবন আমার। ঠিক করেছি লিখব না। অন্তত: আরও কয়েকটা মাস। ফোকাসটা একটা কাজে পারলে ভাল হয়। কিন্তু অনিদ্রা রোগটা এমন খ্যাপাটে হয়ে পড়ল যে আমি বুঝে গেলাম এবার সময় হয়েছে। লেখা ব্যাপারটা অনেকটা প্রসববেদনার মতো। পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়া যায় না। সময় যখন হয় তখন তেড়ে-মেড়ে বেড়িয়ে আসে। হোক তা সুস্থ কিম্বা বিকলাঙ্গ; স্পষ্ট কিম্বা অস্পষ্ট; ভাল বা মন্দ – আমরা মনের আনন্দে অক্ষর দিয়ে সন্তান বানাই।
বিস্তারিত»আমরা আর লিখিনা
সিসিবি তে অনেকদিন লিখা হয় না। জানিনা কেন। এমন না যে অন্য কোথাও লিখি। লিখি ই না। পড়ি ও না কোন বই। হয়তো কোন সম্পর্ক আছে দুটোর মধ্যে।
আমার আজকাল ওপাড়ের জীবন টা কে মনে পড়ে। আজ একটা কনফারেন্স এর অর্গানাইজার ছিলাম। ৬-১২ এর বাচ্চাদের কনফারেন্স। ওদের মধ্যে কি তীব্র আগ্রহ! কি নির্ভীক!! সব ভেঙ্গেচুরে শিখরে উঠে যাবার কি তীব্র উদ্যম!!! আর সবথেকে বড়…
রেস্ট ইন পিস আমার অন্য সত্বা…
রাত বাজে ১.২২ মা রাগারাগি করছে ঘুমাতে যাবার জন্যে। আর আমি পাগল হয়ে খুঁজছি আমার কলেজের ডাইরী টা।
আমার কলেজে থাকতে লেখা সব কথা, সব স্বপ্ন।
ভার্সিটির এক বন্ধু বলেছে আমি বাংলা পারিনা। তাকে একটু শো অফ না করলে তো আর হয়না তাই ব্লগের লিঙ্ক দিলাম।
স্রোতের মতোন চারিদিকে ঘিরে ধরলো আমাকে হারিয়ে আসা দিনগুলি।
হারিয়ে আসাই বটে। ফিরে পাবার নয় যা- হারিয়ে আসাই তো নাকি?
আলোর জাফরি
গ্লাসের পানি একটু একটু কাঁপছে। কেঁপেই যাচ্ছে।
ইতু দু’হাতে শক্ত করে ধরেও থামাতে পারছে না।এক ঢোক খেয়ে গ্লাসটা নামিয়ে রাখে পাশে।
এই আতাগাছের ছায়া টুকু বাদ দিলে সারা বাড়ি ঝকঝক করছে রোদে আর সেই বিহানবেলা থেকে ছুটতে শুরু করা মায়ের যত্নে।
পিড়িতে জুবুথুবু ইতু হাটুতে থুতনি ঠেকায় সাবধানে, অনুভব করে নাসিমা বেগমের ব্যাস্ততা।
উঠান জুড়ে কত কি যে শুকাতে দেয়া!মুড়ির ধান,আতপ চাল,কুমড়ার বড়ি,ট্যাংরা চান্দার শুটকি,ইতুর বিছানা বালিশ,আধভেজা পাতার রাশ,ধঞ্চে কাঠি আরো কত কি !
মসজিদ এবং জুতা,স্যান্ডেল কাহিনী
মসজিদ হচ্ছে একটি পবিত্র স্থান এবং মুসলিমদের উপাসনালয়। সব ধর্মের মানুষের কাছে তাদের উপাসনালয় আসলে তাদের নিজ নিজ ধর্মের জন্য অত্যন্ত পাক পবিত্র জায়গা। ইসলাম ধর্মেও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাকে অনেক উঁচুতে অবস্থান দেয়া হয়েছে এবং এর গুরুত্তও অনেক। এমনকি অনেকেই বলে থাকেন মসজিদ বেহেস্তের একটি টুকরা। আজকে আমি একটি বিষয় নিয়ে বলবো।
আমার কাছে প্রশ্ন জাগে যে আমরা কি আসলেই মসজিদকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি?
বিস্তারিত»প্রাইম ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং
বাংলাদেশে সম্পূর্ণভাবে ইন্টারনেট ব্যাংকিং চালু হয়নি কিন্তু প্রাইম ব্যাংক প্রায় এর কাছাকাছি কিছু সুবিধা দিচ্ছে। আমি দেখেছি অনেকেই DBBL বা BRAC ব্যাংকিং করেন।DBBL এ নিজের নাম এ ২টা Account থাকলে একটা থেকে আরেকটা Accountএ টাকা পাঠানো যায় কিন্তু অন্যজনের DBBL Accountএ বা অন্য বেসরকারি ব্যাংক এ টাকা পাঠানো যায়না। BRAC ব্যাংক থেকেও এক Account থেকে BRAC ব্যাংকের অন্য Accountএ টাকা পাঠানো যায়(দিনে সর্বোচ্চ ১লাখ)কিন্তু BRAC ব্যাংক অন্য বেসরকারি ব্যাংক এ টাকা পাঠানো যায়না।
জিসান এর মত চাই না মুহিব ভাই আমাদের ছেড়ে চলে যাক
২১ ডিসেম্বর ২০১১ , দিনটা ছিল আমার জীবনে অন্যতম বেদনাদায়ক একটা দিন । এই দিনে আমার কলেজের বন্ধু জিসান ব্লাড ক্যান্সারে মারা যায় । জিসান ছিল আমার কলেজের ভাসানী হাউস এর । ২-৩ দিন আগে ব্যাচ গ্রুপে হঠাৎ নাফিজের পোস্ট দেখে স্তব্ধ হয়েছিলাম অনেক ক্ষণ, কোন কমেন্ট করতে পারিনি । পোস্টটা ছিল আমাদের গাইড ব্যাচ এর মুহিব ভাই কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত । আবার এই ক্যান্সার এর আক্রমণ !
বিস্তারিত»মুহিব বাঁচবেই
কৃতজ্ঞতা: রেজা শাওন, পিসিসি, ২০০১-২০০৭
মুহিবদের ব্যাচের একজন হাসান যখন আমাকে বলল, ভাই মুহিবের জন্য ফান্ড রেইজের কাজ শুরু হয়েছে। সম্ভব হলে একটা লেখা রেডি করেন। বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়াগুলোতে লেখাটা ছাপানো প্রয়োজন। হাতে সময় একেবারেই নেই। হাসানের মেসেজটা পাওয়ার পর আমি আমার বয়স হিসেব শুরু করলাম। পহেলা সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ এর হিসেবে আমার বয়স চব্বিশ হতে আরও দুই মাস বাকী। জীবনে এখনও আমার কী কী করা বাকী সেই লিস্টটা যখন আমি বের করি,
বিস্তারিত»