দিনলিপিঃ স্যাডেল ইয়োর ড্রিমস বিফোর ইউ রাইড ‘এম

দেশে যাতায়াতের জন্য এমিরেটস এয়ারলাইন্স আমাদের পছন্দের। ওদের প্লেনে উঠলেই দেশ দেশ একটা ভাব চলে আসে। তারা অনলাইনে এমিরেটসের মুভি লিস্টের পাত্তা লাগায়, সামনের দিকে সিটের বুকিং দেয় সাথে সাথেই। বাড়ির বাইরে পা দেয়া মাত্র আমার খাই খাই একটা ফিলিং শুরু হয়ে যায় সব সময়। যাত্রায় ভোজন নাস্তি’ কথাটি আমি খুব মানি। ভারী খাবার খাইনা বটে কিন্তু সামান্য বাদাম বা প্রেটসেলস অথবা আধা কাপ কমলার জুসে বেশ চলে যায়।

বিস্তারিত»

অডিও ব্লগঃ রেলগাড়ির গান

প্রতিবার দেশে গেলে আমার বাবা তারার জন্য একজন মাষ্টারমশাই নিযুক্ত করেছেন গান শেখাতে। পঁচিশ তিরিশের দীর্ঘকায় শ্যামবর্ণ একটি ছেলে সপ্তাহে তিনদিন আসতেন তালিম দিতে। একদিন বাবা বললেন তারা একা গাইবে কেনো, মাগো? তুমিও বসে যাও হারমোনিয়াম নিয়ে। অনুশীলনের অভাবে কন্ঠে লালিত্যের ঘাটতি থাকলেও পিতা জানেন তার কন্যার বুকে সুরের নিত্য আনাগোনা! ডো-রে-মি-ফা ভুলে যাবার বহু বছর পর আবারও সারগামে ডুব দিলাম বাবার মন রাখতে।

গৌতম নামের মাষ্টারমশাই এর সাথে আমাদের মা মেয়ের খুব ভাব হয়ে গেল।

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ ইয়ার্ডলি অথবা চিনিটুশের শৈশব

এক

আমার আশেপাশে দেশী দোকানপাট কিছুই নেই কিন্তু ভারতীয় সব আছে। সুরে সুরে ইংরেজী বলা গুজরাটি, তামিল আর কর্ণাটকের লোকজন আছে চারপাশে প্রচুর। বিশাল আকারের প্যাটেল প্লাজায় কী নেই তাই ভাবি! বারোয়ারী মুদি দোকান থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ, চটকদার শাড়ীর দোকান, স্বর্ণকার অথবা টিউটোরিয়াল সবই আছে।

আজ তারার জন্য লিচু কিনতে চেরিয়ানে গেছি সকালবেলায়। চেরিয়ান সুপার মার্কেটটি আকারে বেশ বড়সড়, এতে সজনে ডাটা থেকে শুরু করে ফ্রোজেন ডালপুরি,

বিস্তারিত»

আর্ট এগজিবিশন : লেসনস এন্ড টিপস্‌

এই লিখাটা আদৌ লিখবো কি লিখবো না, তা নিয়ে নিজের সাথে ভালোই যুদ্ধ করে কাটালাম বেশ কয়েকটা সপ্তাহ।
কিসের যুদ্ধ? কেন যুদ্ধ??

না লিখার পক্ষে প্রধান নিয়ামক ছিল, মটিভেশনের অভাব।
– ডাইরেক্ট ইন-ডাইরেক্ট মিলিয়ে অলরেডি ৩টা ব্লগ লিখেছি এই এক ইভেন্ট নিয়ে। সেগুলোর ট্রাফিক ও কমেন্ট দিনে দিনে কমে এসেছে। বোঝা যাচ্ছে, পাঠকরা এই এক বিষয়ে বেশী কচলানো পছন্দ করছেন না।

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ আবোলতাবোল

ব্রাউন থ্রেশার ডাকা মাদারস ডে’র সকাল। আগের রাতে সুপ্তি কল করে বলেছে ও কি আসতে পারে আমাদের একটুখানি দেখতে? আমি বললাম, এই না রাতে ফিরলে ডালাস থেকে, এখনই আবার এতো দূর থেকে ড্রাইভ করে আসবে ‘একটুখানি’ দেখতে? আমার কন্ঠের সংশয় টের পেয়ে ও বলল, তোমাদের ওদিকে প্যাটেল ব্রাদার্সে যাবো বাজার করতে, তাই ভাবলাম একটু দেখা করে যাই মা-মেয়ের সাথে!

অতিথি নারায়ণ বলে কথা তাই বারণ করতে পারিনা মুখের ওপর।

বিস্তারিত»

শিল্প বনাম অশ্লীলতাঃ প্রেক্ষাপট নারী নির্যাতন


আচ্ছা শিল্প কী?
আপনি দ্য হুইসেলব্লোয়ার মুভিটি দেখেছেন? বসনিয়ার যুদ্ধ-পরবর্তী প্রেক্ষাপট নিয়ে ছবিটি তৈরি হয়েছিল। সেখানে দেখি অল্পবয়সী মেয়েরা মানব পাচারের মাধ্যমে কিভাবে পতিতালয়ে আটকে যায়। শান্তিরক্ষার নামে জাতিসঙ্ঘের যে কর্মীরা সেসময় সেখানে কাজ করতেন, রাতের বেলা তারাই আবার হতেন ওদের ভোক্তা। হ্যাঁ, সেক্স বা যৌনতা ছবিটির একটি মূল উপজীব্য। তবে তার উপস্থাপন এমন ছিল যে আপনি ঐসব কিশোরী মেয়েদের মানুষ ভাববেন।

বিস্তারিত»

হ্যাটস অফ টু এমেক সিস্টারস – সাথে কিছু প্রস্তাব

কত কিছু নিয়েই না ব্লগ লিখার তাগিদ থাকে।
কখনো নিজের দিক থেকে আবার কখনো অন্যদের কাছ থেকেও।
অথচ এক এক সময় এমন এক একটা বিষয়ের মুখোমুখি হই যে সব তাগিদ পিছনে ফেলে সেটা নিয়েই বসে যেতে হয়।

এই রকমের একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি হলাম আজ আবার।
বলছিলাম এমেকের বোনদের আয়োজনে আজ অনুষ্ঠিত ও আমার অংশ নেয়া “জরায়ু মুখ ক্যান্সার” সম্পর্কিত এওয়ারনেস জাগানো প্রোগ্রামটির কথা।

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ এডিবল এরেঞ্জমেন্ট

দেশে মা খালাদের দেখেছি কেউ অসুস্থ হলে আতপ চালের ভাত, কচি মুর্গির ঝোল, আর সুপ রাঁধতে ব্যতিব্যাস্ত হয়ে পরেন। সাথে কাঁচা পেঁপে সহযোগে শিঙ্গি মাছের সুরুয়া অথবা জাম আলু আর মাগুর মাছের জড়াজড়ি কোন প্রেপ থাকে। অসুস্থতার কারণ যা’ই হোকনা কেনো ঝোলে ভাতে মাখামাখি আয়োজনে রোগীর প্রতি উপচানো ভালবাসা দেখাতে সবাই তৎপর হয়ে ওঠে। আর কেউ মারা গেলে তো বাঙ্গালী বাড়িতে উনুনই জ্বলেনা পাঁচদিন। আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুদের বাড়ি থেকে প্রতিবেলা খাবার থেকে শুরু করে থারমোফ্লাস্কে চা অবধি পৌঁছে যায় সেই বাড়িতে।

বিস্তারিত»

অডিও ব্লগঃ ক্রোধ অথবা অভিমানের সুর

বাড়ির মোড়ে একাকী দাঁড়ানো ম্যাগনোলিয়া ফুলের সাথে তার অভিমান হয়েছিল বড়। ছড়ানো ছিটানো খয়েরী পাইন কোনে পা মাড়িয়ে চলে এসেছে একাকী। সুগারবেরীর বাকলে চিবোনো সাদা চুইং গামের শব অথবা সিকামোর গাছের ডাল জ্বলন্ত সিগারেটের আগুনে পুড়েছে আক্রোশে।

লাল বুকের কাঠঠোকরা কাঁচের ভারী জানালায় ঠুকরে গেছে নিয়ম করে, চারদিকে তাকিয়ে বাদামী থ্রেশার চকিতে ডুব দিয়েছে নালার জলে। ক্লান্ত দিনের শেষে রাত নেমে এলে শোবার ঘরের একলা আকাশ আর নিভু নিভু তারার সাথেও অভিমানে ঠোঁট ফুলিয়েছে কিশোরী বালিকা।

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ পোড়া কপাল অথবা পোড়া বেগুণের গল্প

একঃ

ডগউড, ক্যামেলিয়া, আর নানান বর্ণের আজ্যালিয়াতে কনে বউটি সেজে আছে আমাদের শহর। শনিবারের ঘুম ঘুম সকাল। ফ্লাফি আর তারা জাগার আগেই বাইরে বেড়িয়ে পরি হাঁটবো বলে। দু’চারজন পাড়া প্রতিবেশী জেগে উঠেছেন সবে। চাইনিজ সুন্দরী লিয়ানা তার ধবধবে সাদা মল্টিস নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছেন দেখি। ওর বোকা বোকা চেহারার ছেলেবন্ধুটি বোধকরি ঘুমোচ্ছে এখনো, তাই লিয়ানা পিঙ্কির লিশ হাতে একাই হাঁটছেন কানে হেডফোন লাগিয়ে। প্রায় বিকেলেই দেখি এই যুগল কথা বলতে বলতে জোর পায়ে হাঁটেন আমাদের এই ওয়াকিং ট্রেইলে।

বিস্তারিত»

এইবার দুই এক্সক্যাডেটের “প্রয়াস” নিয়ে পুর্নাঙ্গ ব্লগ……

১৪ মার্চ ইভেন্ট নটিফিকেশন পেলাম, প্রয়াস নামে একটা যৌথ আর্ট এগজিবিশন হবে দুই এক্সক্যাডেটের।
একজনকে চিনি, সাবিহা জিতু – কিন্তু দীর্ঘ্যদিন যোগাযোগ নাই। অন্যজন ম্যাক্স মাজেদ চিনি তো না ই, চেনার কোন সুযোগও ছিল না।

তারপরেও এই নটিফিকেশনটা আমাকে ছুঁয়ে গেল।
দারুন ছুঁয়ে গেল।
মুহুর্তের মধ্যে আমি আমার ক্যাডেট কলেজ জীবনে ফিরে গেলাম। চোখে ভেসে উঠলো কত কত অসাধারন গুনি আঁকিয়ের মুখ।

বিস্তারিত»

অডিও ব্লগঃ মালতিবালা বালিকা বিদ্যালয়

মালতিবালা বালিকা বিদ্যালয়
————— জয় গোস্বামী

বেনীমাধব বেনীমাধব তোমার বাড়ী যাব
বেনীমাধব তুমি কি আর আমার কথা ভাব?
বেনীমাধব মোহনবাঁশিঁ তমাল তরুমূলে
বাজিয়েছিলে আমি তখন মালতি স্কুলে।
ডেস্কে বসে অঙ্ক করি ছোট ক্লাশ ঘর
বাইরে দিদিমনির পাশে দিদিমনির বর।
আমি তখন নবম শ্রেণী আমি তখন শাড়ী
আলাপ হলো বেনীমাধব সুলেখাদের বাড়ী।
বেনীমাধব বেনীমাধব লেখাপড়ায় ভাল
শহর থেকে বেড়াতে এলে আমার রং কালো।

বিস্তারিত»

অডিও ব্লগঃ কার্সড ফর ইটার্নিটি

অন্ধকার হাতড়ে ফোন তুলে যখন তোমাকে কল করলাম তুমি জানতেও পারোনি আমি তখন কবরের আঁধারে ডুবে ছিলাম। আমার শোবার ঘরের কাঁচের জানালার বাইরে তখন নিশুতি রাত। সামনের হলি গ্রোভ রোডে শুনশান নিরবতা। দূরে কোথায় যেন একটা এ্যাম্বুলেন্স চলে গেলো সাইরেন বাজিয়ে বাজিয়ে।

চল্লিশ মাইল দূরের শহরটিতে তুমি তখন শুয়ে পরেছো লুসিকে নিয়ে। তোমার পায়ের কাছে ধূসর রঙা বেডে গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছে লুসি।

বিস্তারিত»

কুকিং ইজ লাভ মেইড ভিসিবল

পূর্বকথনঃ দেশে থাকাকালীন সময়ে কাঁচা মাছ-গোস্ত ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমার। পড়াশোনা, কবিতা, ডিবেট, অথবা প্রেম বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে হেঁশেলে যাওয়ার ফুরসত মেলেনি কখনো। খাবারদাবারে মন ছিলনা বলেই হয়তো দেখতে প্যাকাটি ছিলাম। মা চিরকাল বলে এসেছেন আমার চড়ুই পাখির আহার!

পশ্চিমে এসে চারদিকে সব গুণী মানুষের ভীড়ে দেখলাম আমি একটা লেবু অবধি কাটতে পারিনা ভাল করে। বন্ধু সুদীপা সসারে আমার কাটা লেবু দেখে বলেছিল,

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ Bon Appetit

বৃষ্টিভেজা শনিবারে বন্ধু অরিন্দমের সাথে থাই কুজিনে খেতে গিয়েছিলাম। মাইল পাঁচেক ড্রাইভ করতেই তার পছন্দের রেস্তোরাঁটিতে পৌঁছে গেলাম। আমরা ভোজনবিলাসী মানুষ কিন্তু খাই ক্যালরী মেপে। দু’জনের জন্য খাবার অর্ডার করলে কখনোই শেষ করতে পারিনা। তাই বলি, তোমার পছন্দের সুপ আর এপেটাইজার বলো, আমি অর্ডার করছি মেইন ডিশ। দু’জন মিলে ভাগাভাগি করে খাওয়া যাবে। ও চাইলো ফ্রাইড ক্যালামারি আর কোকোনাট সুপ। আমি চিংড়ি নাকি চিকেন নেবো এই নিয়ে ‘ইনি মিনি’

বিস্তারিত»