খান আরিফা লোপা আমার বই “বিতংস”এর একটি সমালোচনা করে। সেটি এখানে পোস্ট করে দিলাম।
লোপা বুয়েটে আমার এক ক্লাস উপরে পড়তো – স্থাপত্যবিদ্যায়। যদিও আমেরিকাতে এসে সে বিষয় পরিবর্তন করে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়েছে। লোপার চিন্তা-ভাবনায় তার একটা নিজস্বতাবোধ কাজ করে। ওর বাবা কবি রফিক আজাদ যার “ভাত দে …” কবিতাটি মনে হয় সবারই কমবেশি জানা। যেহেতু এই কবিতাটি রচনাকালের সেই সময়টা আমার লেখায় উঠে এসেছে তাই আগ্রহ ছিল লোপা কি বলে তা জানার জন্য।
“তেলাপোকা কেন উল্টে মরে ”
অনিন্দ্য ইমতিয়াজঃ
চিঠিটা খুলে বার বার দেখি
আরও একবার-
লেখাগুলোর উপর হাত বুলোই,
নিস্প্রান এই লেখাগুলো এত সজীব কেন?
কি মায়ায় এরা আমাকে ডাকে-
বারেবার; জানিনা।
মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে
কখনও বা উপদেশ, আবার হঠাৎ হঠাৎ –
খুচরো কিছু ভালোবাসার আবেশ।
খাটের পাশে রাখা গিটারটা তুলে নেই
“টুং টাং” কিছু অচেনা সুর –
মধ্যবিত্ত আমরা
আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবার, তাই আমরা এক ঈদে মার্কেটের মোটামুটি সবচেয়ে সুন্দর জামা পড়ি আর আরেক ঈদে আম্মার হাতে বানানো জামা পড়ি। আমাদের মাসের শুরুতে অনেক টাকা ওড়ানো হয় কিন্তু সেই মাসের শেষেই আমাদের পরিবার প্রধান হিসাবের খাতা খুলে ভ্রু কুঁচকে ভাবতে থাকেন কিভাবে বাকি আট দশটা দিন যাবে। আমাদের ইগো এত বেশি যে আমরা আমাদের উচ্চবিত্ত পরিচিতদের কাছ থেকে নিতান্ত ঠেকায় না পড়লে সাহায্য নেই না,
বিস্তারিত»অপূর্ণতা ( নামটি কিন্তু হতে পারত রেড কার্ড)
অপূর্ণতা ( নামটি কিন্তু হতে পারত রেড কার্ড)
অনিন্দ্য ইমতিয়াজ–
না! হলনা।
এবারও হলনা।
ছুটতে ছুটতে এবারও তার কাছে পৌছেছিলাম-
কিন্তু কি লাভ ?
তাকে তো পাওয়া হলনা।
তাকে দেখলাম, অনুভব করলাম
এমনকি মাড়িয়ে এলাম – তার ছায়াও
কিন্তু সে এবারও হেসে গেল বিদ্রুপের হাসি।
বিদ্রুপ ! উপহাস !
এগুলোই কি কেবল বরাদ্দ আমার জন্যে ?
হয়ত হ্যাঁ ।
ভাগ্যবিধাতা হয়ত আমায় দেখে শুধুই দীর্ঘশ্বাস ফেলেন…
খেলাঘর
খেলাঘর
অনিন্দ্য ইমতিয়াজ
(………………………………………… this is dedicated to all cadets of 53rd batch of fcc)
আমি কোন বিতর্ক করতে আসিনি,
আসিনি কোন উপদেশ দিতে
শুধু একটি গল্প বলতে এসেছি,
শুধু একটি গল্প।
নাহ! এ কোন ইতিহাস নয়,
রূপকথা? তাও নয়,
শুধুই গল্প, শুধুই কল্পনা –
“একটা ঘর ছিল, খেলাঘর,
খেলার জন্য কিছু পুতুল, সুতো আরও কত কি!
পুতুলগুলো যেন ঠিক লজ্জাবতীর পাতা,
একে অন্যকে আড়াল করে ফেলত পরম মায়ায়
যেন কেউ ছুঁতে না পারে।
অবশেষে ‘বিতংস’
সিসিবিতে ধারাবাহিকভাবে একটি উপন্যাসটি লিখছিলাম। সেটি গত বছর বই আকারে বের হওয়ার কথা ছিল। শেষ পর্যন্ত তা হয়েছেও। তবে বইমেলাতে নয়। বছরের শেষে ডিসেম্বর মাসে। আগামী প্রকাশনী থেকে। ২০১৩’র বইমেলাতে সে বইটি আগামী প্রকাশনীর স্টলে পাওয়া যাবে। এবার নিশ্চিত হয়েই কথাটি বলছি। কারণ বইটি আমার হাতে এসেছে। আর আগামী প্রকাশনীও তাদের তালিকাতে বইটির নাম উল্লেখ করেছে। গতবার বইমেলাতে উপন্যাসটি বের হবার কথা ছিল বলে অনেকেই আমার কাছে তার খোঁজ জানতে চেয়েছিলেন।
বিস্তারিত»ডায়রি
ডায়রি
১৫ডিসেম্বার ২০১২
সবাই বলে –আমি না’কি ঠিক আমার বাবার মত।সেই নাক,সেই চোখ,সেই চেহারা।আমি আবার এত কিছু বুঝি না।জমজ ভাইবোনদের ভেতরই আমি মিল পাই না,আর তো বাপ-ছেলে!কিন্তু বাবার সাথে আমার মিল আছে।স্বভাবের মিল,অভ্যাসের মিল; তাও আবার যে-সে অভ্যাস ন্য।ডায়রি লেখার অভ্যাসের মিল।বাবা প্রচুর ডায়রি লিখতেন যেই অভ্যাস পৈতৃক সূত্রে আমার পাওয়া।বাবা সেগুলো রেখেও গেছেন আমার জন্য,কিন্তু সেগুলো পড়া বারন আমার।বাবা না’কি ফুফুকে বলে গিয়েছিলেন ২০ বছর হবার আগে যেন কোনভাবেই সেইগুলো আমাকে পড়তে দেওয়া না হয়।না আমার বাবা কোথাও ঘুরতে যান নি,আমাদের ছেড়ে পালিয়েও যাননি।উনি আর নেই।ঢাকা ভার্সিটির টিচার ছিলেন,
ইস্তানবুলের ডায়েরি
সময়কে যদি বহমান এক নদীর সাথে তুলনা করি তাহলে জীবনের ওই দুঃখগুলোকে বলতে হবে বহমান ওই নদীতে ভেসে থাকা ছোট ছোট কচুরিপানা। প্রবাসী জীবনের কেটে যাওয়া ৪ টি বছরে পরিকল্পনার ছকে এসেছে নানা রকমের পরিবর্তন আর জীবন পেয়েছে বাস্তবতাকে মুখোমুখি করে দেখার সুযোগ। পরিচিতি লাভ করেছে সেই সব সংগ্রামী মানুষের যারা হয়তবা ছোট ছোট স্বপ্ন বুকে বেঁধে পাড়ি দিয়েছিল মাতৃভূমিকে ছেড়ে হাজার হাজার মাইলের পথ…দেখেছিল রঙিন এক স্বপ্ন আর যাদের বুকের আশায় ছিল মাতৃভূমিতে ফেলে আসা আত্মীয় স্বজন ও মা বাবা…উন্নয়নশীল দেশের কিছু খেটে খাওয়া মানুষজনের সেই স্বপ্নগুলোকে আমি হয়তবা আমার ডায়রিতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আবদ্ধ করতে পারব না কিন্তু হয়তবা আমি পরিচয় করিয়ে দিতে পারব তাদের আশা নিয়ে বেঁচে থাকার সেই সংগ্রামকে…
বিস্তারিত»অসুখের অসুখ
আমার হুমায়ুন আহমেদের মতো অসুখবিসুখে চিৎকার করে লোক জড় করতে ভাল্লাগে। বাসায় মা কে কাজ করতে দেইনা, একটু পর পর ডাক দিয়ে রান্নাঘর থেকে নিয়ে আসি।অসুখ সহ্য করতে পারিনা। ছোটবেলায় হতও না। ক্লাসে কতবার গর্ব করে বলেছি আমি সিজারিয়ান বাচ্চা কিন্তু আমার অসুখ হয়না(শোনা কথা _সিজারিয়ান বাচ্চাদের অসুখ বেশি হয়)… এখন তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। ক্লাস এইটের আগে কোনদিন কলেজের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয়নি।
বিস্তারিত»ডেইলি প্যাসেঞ্জার- পর্ব ৫
নিন্দুকেরা যাই বলুক, আবুল শব্দটার অবস্থান থাকা মানেই ঝামেলা, আমি এই কথা থোড়াই কেয়ার করে বীর বিক্রমে আমার আবুল কোম্পানির, থুক্কু আবুল খায়ের কোম্পানির নুন খেয়ে মাঝে মাঝে গুণ গাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা চালাইতাম ।কিন্তু সময় অসময়ের বাসযাত্রার ইতি টেনে যখন আমাকে দুম করে গরুর হাটে পাঠায়ে দিল, তখুনি বুঝসি আমার ডেইলি প্যাসেঞ্জার এর কুলখানির সময় হইসে ! ইয়ে মানে, গরুর হাটে পাঠাইসে মানে গাবতলী রেডিমিক্সের ফ্যাক্টরিতে বদলি কইরা দিসে !তারমানে প্রতিদিন মিরপুর টু মতিঝিল বাসযাত্রার আর সেই সাথে অদ্ভুতুড়ে অভিজ্ঞতার সলিল সমাধি ।
বিস্তারিত»আর একটা দিন
এক একটা দিন যায়, বিষণ্ণতা কেমন জড়িয়ে জড়িয়ে ধরে। বিশ্ববিদ্যালয় পেরুনো মনটা আমার বারবার প্রশ্ন করে, এইটেই কি জীবন? ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়। একদিন বাসায় ফেরার পথে আকাশ জুড়ে হেলিকপ্টারের শব্দ। প্রথমে ভাবলাম তপন চৌধুরী বুঝি খুব মিটিং করে বেড়াচ্ছেন। (রিসেন্টলি নতুন তথ্য জানলাম যে স্কয়ারের তপন চৌধুরী নাকি জ্যামের কারণে এখনে গাড়িতে চড়া ছেড়ে হেলিকপ্টারে ওঠা শুরু করেছেন। তার প্রতি অফিসের মাথায় আছে সুদৃশ্য হেলিপ্যাড।
বিস্তারিত»আমি আর আমার বাদামের খোসারা…
আজকাল এমন একটা জীবনের লোভ হয়, যেখানে আমি আসলেই একা। একা মানে নিঃসঙ্গ। একেবারে নিঃসঙ্গ। সারাদিনের শেষে বাড়ি ফিরে আমি একা হবো। বাইরে আমি যেমন তেমন, ক্লাস, হ্যাং আউট, পার্টটাইম আর ভলেন্টারি ব্যাস্ততায় মশগুল! কিন্তু নিজের জগতে একা। পুরোপুরি একাই!!!
আমার জন্যে কারো কেয়ার করা লাগবেনা। আমিও করবোনা। আমাকে কারো জিজ্ঞাসা করা লাগবেনা কি খেয়েছি, ক্লাস কেমন গেল। আমার আনন্দে কারো তালি বাজাতে হবেনা!
তোমাকে না বলা কথা
শোন,
তোমাকেই বলছি।প্রেম পত্র নয়,ব্লাস করোনা। কেমন আছো? অবশ্য বৃথাই জিজ্ঞেস করছি, তোমার মতো লোকেরা ভালই থাকে। আমাকে কি চিনতে পারছনা? তা পারার কথাও নয়। রাজা( বা যে নিজেকে রাজা ভাবে) যে প্রজার ঘর ভাঙ্গে;তাকে মনে রাখলেও রাখতে পারে,কিন্তু তার সাথে সম্পর্কিত যার মনটাও গুঁড়িয়ে দেয় তাকে মনে রাখেনা। আমার বোনের কথা মনে আছে? দয়া করে এখন অন্তত এটুকু বলনা, তোমার বোন কে!চিনিনা তো!
অত্যাচারের রোমন্থন
নতুন হোস্টেলে ওঠার অনেকদিন পর সুপার ম্যাডামের সতর্কবাণী শুনে সুটকেস খুলে মশারিটা বের করলাম।বের করে দেখি মা আমাকে ভুলে ডাবল মশারি দিয়ে দিয়েছে(যার জন্য আমার রুমমেট খুব খুশি, তারটা বের করতে হচ্ছেনা দেখে),তাও আবার ছোটবেলার স্মৃতিময় মশারি। ভাঁজ খুলে দেখি তাতে আমার ক্লাস ফোরের হাতে লেখা “মশারি নং ৪২০,১ম মশা পিনি ও পরিবারবর্গ”…আমার ও আমার বোনের প্রিয় “হুমায়ুন আহমেদের কিশোর উপন্যাস সমগ্র”- র একটা চরিত্র থেকে লেখা।১ম মশার সাথে আমাদের টেলিপেথিক যোগাযোগ ছিল কিনা!দেখে ইমোশনাল হয়ে গিয়ে টাঙ্গালাম একদিন।কিন্তু ক্যাডেট কলেজেই এইটের পর আর টাঙ্গাইনি।
বিস্তারিত»পশ্চিমের আধুনিক নারীদের আধুনিক সমস্যা
(এই লেখাটি আগে অন্য একটি ব্লগে ছাপা হয়েছিলো। নীতিমালা বিরুদ্ধ হলে মডআরেটর লেখাটি সরিয়ে দিতে পারেন।)
১
প্রথম যখন আমেরিকায় আসি, সেই ১৯৯৮ সালের অক্টোবর মাসের কথা, মনে হচ্ছিল চারপাশের সবকিছু দেখে খুব বিস্ময়াভূত হবো। কিন্তু না, তেমন কিছু ঘটছিলো না। দেশ আর বিদেশের পার্থক্য তো আছেই। যানজটহীন মসৃণ আর প্রশস্ত রাস্তায় তরতর করে সব ফিটফাট গাড়ি ছুটছিল। এ আর নতুন কি?