নোবেল পুরস্কার ২০০৯

পরীক্ষা চলছে। বিএসসি জীবনের শেষ পরীক্ষা। কিন্তু পড়তে একদমই ইচ্ছা করছে না। দুইটা পরীক্ষা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। শুধু আগের দিন কোনভাবে পড়াশোনা শেষ করে পরীক্ষা দিয়ে আসার সিস্টেমটা তো আগে থেকেই আয়ত্তে ছিল। এই দুই পরীক্ষায় সেটা দুইবার ঝালিয়েও নিয়েছি। তাই চিন্তা নাই, ভাবলাম এই সুযোগে একটা ব্লগ নামিয়ে ফেলি। আদতে পরীক্ষার মত ফ্যাসিস্ট একটা জিনিসের চেয়ে ব্লগিং তো অনেক অনেক উত্তম।

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ব্রেকিং নিউজ এবং হট টপিক হচ্ছে বারাক ওবামা-র শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া। নিঃসন্দেহে কোনকিছু না করেই নোবেল পেয়ে গেছেন ওবামা। আমাদের মত ওবামা-ও যে সমান হারে বিস্মিত হয়েছেন এতে আমার কোনই সন্দেহ নেই। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়ার জন্য নরওয়ে-র আইনসভা-র ৫ জন সদস্যকে নিয়োগ দেয়া হয়। এই সদস্যরা আবার সিদ্ধান্তের জন্য আইনসভার কাছে দায়ী থাকে না। তাই এই বিচারক নির্বাচনের উপর যে নোবেল পুরস্কারটা অনেক নির্ভর করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনও হতে পারে এই ৫ জন খুব বেশি কষ্ট করতে চান নি। হাতে যা ডেটা আছে তা থেকে খুব দ্রুত একটা সুবিধাজনক সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেছেন, দ্বিতীয়বার চিন্তা না করেই, যদিও এর সম্ভাবনা খুব কম। হাজার হোক নোবেল পুরস্কার বলে কথা।

যাহোক ঐসব নিয়ে তেমন কিছু জানি না। তাই হাইপোথেটিক্যাল কথাও বলছি না। ভাবলাম আমি বরং অন্যান্য বিষয়ে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তদের সাথে সিসিবি-র পাঠক মহলকে পরিচয় করিয়ে দেই, যদিও জানি বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যে তাদের সাথেও পরিচিত হয়ে গেছেন। তারপরও নোবেল পুরস্কার নিয়ে লেখার একটা পাট আছে না। তাছাড়া নোবেল পুরস্কার জিনিসটা আমার খুব পছন্দের। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং চিকিৎসাবিজ্ঞান এ নোবেল পুরস্কারগুলো আমি সবসময় অনুসরণ করি। বিংশ শতকের সেরা পদার্থবিজ্ঞানীদের নাম এবং তাদের জীবনী নিয়ে জানার জন্য এই নোবেল সাহেবের মহাকীর্তিকেই অনুসরণ করেছিলাম। একসময় টার্গেট নিয়েছিলাম বাংলা উইকিপিডিয়া-তে নোবেল পুরস্কার পাওয়া সকল বিজ্ঞানী ও সাহিত্যিকের জীবনী লিখবো। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং সাহিত্যে যারা নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তাদের তালিকাও তৈরি করেছিলাম (অবশ্যই অন্যান্য উইকিপিডিয়ানদের সাহায্য নিয়ে)। সাহিত্য ও পদার্থবিজ্ঞানে বেশ কিছুটা এগিয়েও গিয়েছিলাম। আমাদের করা তালিকাগুলো নিচে দিচ্ছি। প্রত্যেকের নামে ক্লিক করলে তাদের জীবনী চলে আসবে, যদি থাকে আর কি!-

পদার্থবিজ্ঞান
রসায়ন
চিকিৎসাবিজ্ঞান
সাহিত্য

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ২০০৯

মোট তিনজন কে দেয়া হয়েছে। একটি অবদানের জন্য এক জনকে, এবং আরেকটি অবদানের জন্য দুজন কে। তার মানে পুরস্কার ভাগ করা হয়েছে দুই ভাগে। অর্ধেক দেয়া হয়েছে প্রথম জনকে। বাকি অর্ধেক-কে আরও দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তাই বাকি দুজন পেয়েছে এক চতুর্থাংশ করে। নিচের ছবিতে তিন জনের নাম, কর্মস্থল, জন্ম তারিখ এবং জন্ম স্থান উল্লেখ করা আছে:

“for groundbreaking achievements concerning the transmission of light in fibers for optical communication”

নোবেল চার্লস কে কাও (Charles K. Kao)
স্ট্যান্ডার্ড টেলিকমিউনিকেশন ল্যাবরেটরিস, হার্লো, যুক্তরাজ্য
চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অফ হংকং, হংকং, চীন
জন্ম: ১৯৩৩, সাংহাই, চীন

চীনা বিজ্ঞানী চার্লস কে কাও-কে বলা হয় “অপটিক্যাল ফাইবার” যোগাযোগ ব্যবস্থার জনক। ফাইবার অপটিক্স এ অসামান্য অবদানের জন্য তাকে পুরস্কারের অর্ধেক দেয়া হয়েছে। বাকি দুজন পেয়েছেন এক চতুর্থাংশ করে। তাদের ছবি পাওয়ার কারণ এবং সংক্ষিপ্ত পরিচয় নিচে:

“for the invention of an imaging semiconductor circuit – the CCD sensor”

নোবেল উইলার্ড এস বয়েল (Willard S. Boyle)
বেল ল্যাবরেটরিস, মুরে হিল, নিউ জার্সি, যুক্তরাষ্ট্র
জন্ম: ১৯২৪, অ্যামহার্স্ট, কানাডা
নোবেল জর্জ ই. স্মিথ (George E. Smith)
বেল ল্যাবরেটরিস, মুরে হিল, নিউ জার্সি, যুক্তরাষ্ট্র
জন্ম: ১৯২৪

সিসিডি (Charge-coupled device) সেন্সর নিয়ে আমি বিস্তারিত জানি না। তবে আধুনিক ডিজিটাল ইমেজিং এর ক্ষেত্রে এর যে কোন বিকল্প নেই তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এর প্রাথমিক কাজটা অনেকটা শিফ্ট রেজিস্টার এর মত।

রসায়নে নোবেল পুরস্কার ২০০৯

এখানে একই অবদানের জন্য তিন জন পেয়েছেন। তার মানে প্রত্যেকে পেয়েছেন এক তৃতীয়াংশ করে।

“for studies of the structure and function of the ribosome”

নোবেল রামকৃষ্ণ ভেংকট রমন (Venkatraman Ramakrishnan)
এমআরসি ল্যাবরেটরি অফ মলিকুলার বায়োলজি, কেমব্রিজ, যুক্তরাজ্য
জন্ম: ১৯৫২, চিদাম্বরম, তামিল নাড়ু, ভারত
নোবেল টমাস এ. স্টিট্‌জ (Thomas A. Steitz)
ইয়েল ইউনিভার্সিটি, নিউ হেভেন, যুক্তরাষ্ট্র
হাওয়ার্ড হিউস মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট
জন্ম: ১৯৪০
নোবেল আডা ই ইয়োনাথ (Ada E. Yonath)
ভাইজম্যান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, রেহোভোত, ইসরায়েল
জন্ম: ১৯৩৯, ইসরায়েল

আরও একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার পেলেন। এর আগে পদার্থবিজ্ঞানে দুজন ভারতীয় নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন: চন্দ্রশেখর ভেংকট রমন এবং উনার ভাতিজা সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর। এবার যিনি পেলেন তার নাম “রামকৃষ্ণ ভেংকট রমন”। মহাবিজ্ঞানী রমন এর সাথে তার কোন সম্পর্ক আছে মনে করেছিলাম। কিন্তু নেট ঘেটে এখন পর্যন্ত তেমন কোন সম্পর্ক পাই নি। কেউ পেলে জানিয়েন।

চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ২০০৯

এখানেও একই অবদানের জন্য তিন জন পেয়েছেন।

“for the discovery of how chromosomes are protected by telomeres and the enzyme telomerase”

নোবেল এলিজাবেথ এইচ ব্ল্যাকবার্ন (Elizabeth H. Blackburn)
ব্ল্যাকবার্ন ও গ্রিডার মিলেই টেলোমেয়ারেজ আবিষ্কার করেছিলেন। এই এনজাইম টিই টেলোমেয়ার পুনরায় ভরে তোলার কাজ করে।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, স্যান ফ্রানসিস্কো, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
জন্ম: ১৯৪৮, হোবার্ট, তাসমানিয়া, অস্ট্রেলিয়া
নোবেল ক্যারল ডব্লিউ গ্রিডার (Carol W. Greider)
জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি, বাল্টিমোর, যুক্তরাষ্ট্র
জন্ম: ১৯৬১
নোবেল জ্যাক ডব্লিউ জোস্টাক (Jack W. Szostak)
হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল, বস্টন
হাওয়ার্ড হিউস মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট
জন্ম: ১৯৫২, লন্ডন, ইংল্যান্ড

বাংলাদেশেও মেডিক্যাল কলেজগুলোতে মেয়েদের আধিক্য লক্ষণীয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারেও দেখি তাদের আধিক্য। এর আগেও বারবারা ম্যাকক্লিন্টক এর মত বিজ্ঞানীরা চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।

নোবেল পুরস্কারগুলোর বণ্টন দেখে একটা বিষয় মনে হলো। রসায়ন এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া সব বিজ্ঞানীর বয়সই পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল প্রাপ্তদের তুলনায় কম। আর লক্ষ্য করলে দেখা যায় পদার্থবিজ্ঞানে যারা নোবেল পান তারা জীবনের সেরা আবিষ্কারটি করেছিলেন অন্তত ৩০-৪০ বছর আগে। যেমন জর্জ স্মুট ১৯৬৫ সালের আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার পান ২০০০-এর দশকে।

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০০৯

সাহিত্যে বরাবরের মত এবারও নোবেল পুরস্কার কেবল একজনই পেয়েছেন। সাহিত্যের ক্ষেত্রে এটাই খুব স্বাভাবিক।

10
হার্টা ম্যুলার (Herta Müller)
নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জার্মান হিসেবে
জন্ম: ১৯৫৩, Nitzkydorf, Banat, রোমানিয়া

সাহিত্যে ইদানিং যারা নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন তাদের নাম আমরা পুরস্কার প্রাপ্তির পরই জানি। এটাকে অবশ্য আমি সাহিত্যিকের অযোগ্যতা নয় বরং আমাদের সাহিত্যবিমুখতার পরিচায়ক হিসেবেই দেখি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, এক ভাষার সাহিত্যিকের অন্য ভাষায় পরিচিতি পেতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। এজন্যই হয়তো এই রুমানীয় সাহিত্যিকের নাম আগে কখনও শুনি নি। তবে নোবেল পুরস্কার অনেক মানবতাবাদী ও মহান সাহিত্যিকের সাথে বিশ্ববাসীর পরিচয় করিয়ে দেয়। ওরহান পামুক নোবেল পাওয়ার পরই কিন্তু তার বই বাংলায় অনূদিত হতে শুরু করেছিল। এতে আক্ষেপের কিছু নেই। অবশ্য জীবনে কোনদিন ডোরিস লেসিং এর নাম শুনি নি ভেবে আমার এক সময় খুব আক্ষেপ হয়েছিল। এই ইংরেজ সাহিত্যিক জীবনের ৯০ টা বছর কাটিয়ে দিলেন বাংলায় অপরিচিত থেকেই। এখন কিন্তু তার কিছু কবিতা ঠিকই বাংলাদেশেও সমাদৃত হচ্ছে।

এই রুমানীয় সাহিত্যিকের চরিত্রটা বোধহয় খানিকটা বিপ্লবী। রোমানিয়ায় একসমসয় গোঁড়া কম্যুনিস্ট শাসন ছিল যেটা আদতে ফ্যাসিস্ট রূপ ধারণ করেছিল। এই যুগ নিয়ে করা একটা অনবদ্য রুমানীয় সিনেমাও দেখেছিলাম- “৪ মাস, ৩ সপ্তাহ ও ২ দিন” (4 Months, 3 Weeks and 2 Days)। এই সিনেমাগুলো হয়ত হার্টা ম্যুলার-এর সাহিত্যকর্ম দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছে। যথারীতি নোবেল এর মাধ্যমে সর্বসাধারণের কাছে পরিচিত হওয়ার পরই তার লেখা বাংলায় অনূদিত হতে শুরু করেছে। তার লেখা একটি গল্পের বঙ্গানুবাদ পড়তে চাইলে এখানে যান:
অন্ত্যেষ্টির বয়ান (অনুবাদ করেছেন ‘শুভাশীষ দাশ’)

হার্টা ম্যুলার এর সাক্ষাৎকার:
নিজের একটি বই নিয়ে হার্টা ম্যুলার (অনুবাদক ‘শুভাশীষ দাশ’)

৪৭ টি মন্তব্য : “নোবেল পুরস্কার ২০০৯”

  1. আন্দালিব (৯৬-০২)

    চমৎকার পোস্ট! স্কুলে পড়তে কুইজের জন্য নোবেল লরিয়েটদের নাম ও অবদান মুখস্থ করতে হতো, সেই থেকে অভ্যাস হয়ে গেছে প্রতিবছর এই সময়টায় নোবেলপ্রাপ্তদের খোঁজ নেয়ার।
    সাহিত্যে নোবেল যাঁরা পান তাঁদের ব্যাপারে আগেই কেনো জানি নাই এটা নিয়ে একটা সময়ে আক্ষেপ করতাম। তবে ভাষার অন্তরায় ও মিডিয়ার দূরত্বটাই এজন্যে দায়ী মনে হয়। বিশ্বসাহিত্যের থেকে বাংলা সাহিত্য তো এমনিতেই বিশ তিরিশ বছর পিছিয়েই থাকে! 🙁

    পদার্থে পরের দুইজনের নামই বয়লার্ড? নাকি কপিভ্রান্তি হয়েছে?

    জবাব দিন
  2. তৌফিক

    সিসিডি আবিষ্কার না হলে আমার মাস্টার্সটা হইত না। ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে নিজের জ্ঞানে যতদূর কুলায় ভাবছি ব্লগ নামাই ফেলব। (এইটা প্রতিশ্রুতি না, আমার বকেয়া ব্লগের তালিকা অনেক লম্বা। আর বাড়াইতে চাই না।)

    ভালো পোস্ট মুহাম্মদ। :thumbup:

    জবাব দিন
  3. তানভীর (৯৪-০০)

    চমৎকার পোস্ট! :thumbup:

    শান্তির নোবেল পুরস্কারের জন্য নাকি ২০০ জনের একটা তালিকা ছিল, সেখান থেকে ওবামাকেই নির্বাচিত করা হয়েছে। এটা নিয়ে খুব বেশি কিছু বলার দরকার নেই, কম-বেশি সবাই বিস্মিত।

    পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল বিজয়ীদের নিয়ে একসময় খুব আগ্রহ কাজ করত। বিশ্ব কতটা এগিয়ে যাচ্ছে এটা তাদের বিষয়গুলো বা কাজগুলো দিয়ে বেশ বোঝা যায়। তাদের জীবনী যদি কোথাও লিপিবদ্ধ থাকে তাহলে বেশ ভালো হবে।

    সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীদের লেখা আমরা পড়ি সাধারণতঃতারা নোবেল পাওয়ার পর। এটা নিয়ে আমার সবসময়ের আক্ষেপ। তাদের লেখা আমাদের কাছে কেন পৌঁছায়না সেটা নিয়ে চিন্তা করার মনে হয় অবকাশ আছে।

    বাকি দুইটা বিষয় নিয়ে আমার আগ্রহ কম, তাই কিছু লিখতে পারলাম না। 🙂

    জবাব দিন
  4. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    সবার চেহারার মধ্যেই ক্যামঞ্জানি নোবেল নোবেল ভাব ! :grr:


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

      তার মানে বোধহয়,
      কেবল পদার্থবিজ্ঞানেই নোবেল পুরস্কারটা ভাল হয়। এরপর রসায়ন আর চিকিৎসাবিজ্ঞান। সাহিত্যেও মাঝেমাঝে ঘাপলা বাজে। যেমন ২০০৪ সালে এলফ্রিদে এলিয়েনেক কে নোবেল পুরস্কার দেয়ায় শিল্পীদের অনেকেই বিরক্ত হয়েছিলেন।

      জবাব দিন
      • হোসেন (৯৯-০৫)

        পদার্থবিজ্ঞানে যারা নোবেল পান তারা অবশ্যই সেরা বিজ্ঞানী। তবে নোবেল পাওয়ার যোগ্য বিজ্ঞানীরাও অনেক সময় নোবেল পান না। আমি এখনও অপেক্ষায় আছি এডওয়ার্ড উইটিন কে নিয়ে। প্রতিবার নোবেল দেয়ার পর দেখি তার নাম দেখা যায় কি না।


        ------------------------------------------------------------------
        কামলা খেটে যাই

        জবাব দিন
    • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

      অর্থনীতির সাথে পলিটিক্যাল সায়েন্সের সম্পর্কটা আলাদা করা কঠিন, যদিও এখনকার অনেক অর্থনীতিবিদই এদেরকে সম্পুর্ণ আলাদা করে দেখতে চান এই বিশ্বাস থেকে যে, অর্থনীতি্র সাথে ক্ষমতার সম্পর্ক নাই। দুইয়ের সম্পর্ককে স্বীকার করে নিয়ে যে বিষয়, তা'র নাম 'পলিটিক্যাল ইকোনোমি'।


      There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

      জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।