অপূর্ণতা ( নামটি কিন্তু হতে পারত রেড কার্ড)

অপূর্ণতা ( নামটি কিন্তু হতে পারত রেড কার্ড)
অনিন্দ্য ইমতিয়াজ–

না! হলনা।
এবারও হলনা।
ছুটতে ছুটতে এবারও  তার কাছে পৌছেছিলাম-
কিন্তু কি লাভ ?
তাকে তো পাওয়া হলনা।
তাকে দেখলাম, অনুভব করলাম
এমনকি মাড়িয়ে এলাম – তার ছায়াও
কিন্তু সে এবারও হেসে গেল বিদ্রুপের হাসি।
বিদ্রুপ ! উপহাস !
এগুলোই কি কেবল বরাদ্দ আমার জন্যে ?
হয়ত হ্যাঁ ।
ভাগ্যবিধাতা হয়ত আমায় দেখে শুধুই দীর্ঘশ্বাস ফেলেন…

বিস্তারিত»

খেলাঘর

খেলাঘর
অনিন্দ্য ইমতিয়াজ
(………………………………………… this is dedicated to all cadets of 53rd batch of fcc)

আমি কোন বিতর্ক করতে আসিনি,
আসিনি কোন উপদেশ দিতে
শুধু একটি গল্প বলতে এসেছি,
শুধু একটি গল্প।
নাহ! এ কোন ইতিহাস নয়,
রূপকথা? তাও নয়,
শুধুই গল্প, শুধুই কল্পনা –
“একটা ঘর ছিল, খেলাঘর,
খেলার জন্য কিছু পুতুল, সুতো আরও কত কি!
পুতুলগুলো যেন ঠিক লজ্জাবতীর পাতা,
একে অন্যকে আড়াল করে ফেলত পরম মায়ায়
যেন কেউ ছুঁতে না পারে।

বিস্তারিত»

একটি অসমাপ্ত তালিকা

ক্যাডেট কলেজের কিছু জায়গা প্রায়ই মিস করি। শুধু আমি না, আমার ধারণা আরো অনেকেই হয়তো এই জায়গা গুলো কে এখনো ফিল করে। একটা ইনকমপ্লিট লিস্ট বানানোর চেষ্টা করলাম। লিস্টে শুধু আনকনভেনশনাল জায়গা গুলো রাখার চেষ্টা করেছি।

১) টিভি রুম: নতুন করে কিছু বলার নেই। অনেক স্মৃতি এর সাথে জড়িত। বৃহস্পতিবারের মুভি শো , হিন্দি গানের চ্যানেল, ইউরোপিয়ান ফুটবল লিগ .. কত স্মৃতি। জুনিয়র লাইফে নিচে বসে অনেক কষ্ট করে মাথা উচু করে টিভি দেখা আর সিনিয়র লাইফে ২/৩ টা চেয়ার নিয়ে পুরো মহারাজা স্টাইলে টিভি দেখা কোনটাই ভুলবার নয়!

বিস্তারিত»

ডায়রি

ডায়রি
১৫ডিসেম্বার ২০১২
সবাই বলে –আমি না’কি ঠিক আমার বাবার মত।সেই নাক,সেই চোখ,সেই চেহারা।আমি আবার এত কিছু বুঝি না।জমজ ভাইবোনদের ভেতরই আমি মিল পাই না,আর তো বাপ-ছেলে!কিন্তু বাবার সাথে আমার মিল আছে।স্বভাবের মিল,অভ্যাসের মিল; তাও আবার যে-সে অভ্যাস ন্য।ডায়রি লেখার অভ্যাসের মিল।বাবা প্রচুর ডায়রি লিখতেন যেই অভ্যাস পৈতৃক সূত্রে আমার পাওয়া।বাবা সেগুলো রেখেও গেছেন আমার জন্য,কিন্তু সেগুলো পড়া বারন আমার।বাবা না’কি ফুফুকে বলে গিয়েছিলেন ২০ বছর হবার আগে যেন কোনভাবেই সেইগুলো আমাকে পড়তে দেওয়া না হয়।না আমার বাবা কোথাও ঘুরতে যান নি,আমাদের ছেড়ে পালিয়েও যাননি।উনি আর নেই।ঢাকা ভার্সিটির টিচার ছিলেন,

বিস্তারিত»

ভালবাসি ৫৫

(গত ২০ ডিসেম্বর ছিল আমাদের পাসিং আউট প্যারেডের ছয় বছর পূর্তি।বন্ধু তোদের অনেক মিস করছি)

BMA তে জয়েন করেছিলাম ১১ জানুয়ারি,২০০৫ –দিনটা সবসময় খেয়াল থাকেনা।তবে ঘটনাগুলা ভালই মনে আছে।এয়ারপোরট রেল স্টেশন থেকে পারিবারিক বিদায়।সম্ভবত শারেক আমাদের একটা বিশাল গ্রুপের জন্য কয়েকটা বগি ম্যানেজ করেছিল।আমার ঠিক খেয়াল নাই-অনেক ভায়া হয়ে টাকা জমা দিয়েছিলাম কিনা।সেদিন শৈত্যপ্রবাহ ছিল-তার পরও জার্নিটা খারাপ লাগেনি।জীবনের প্রথম ট্রেন জার্নি বলে কথা।তাও আবার A REAL JOURNEY TO HELL………।

বিস্তারিত»

একটা বড় মাঠ কিছু কৃষ্ণচূড়া গাছ

আমি যেই বছরে হই সেই বছরে আমাদের পরিবারের ক্যাডেট কলেজ যাত্রা শুরু বলা যায় বড় আপু ক্যাডেট কলেজে চান্স পেল।এর পর মেজ আপু written এ হল পরে ভাইভা তে বাদ পরে। এক সময় আমার পালা আসলো আমার চার পাশে যে ক্যাডেট দের চিনতাম তারা ছিল FCC এর অনেক গল্প শুনতাম তাই FCC এর দিকে একটা টান ছিল।আর বাড়ি বরিশাল তাই ভাবতাম হয়তো BCC তে পরীক্ষা দেওয়া হবে কিন্তু আব্বা ঠিক করলেন MCC একটু মনঃক্ষুণ্ণ হইসিলাম ।

বিস্তারিত»

ফুটবল বিষয়ক নৈশ অভিযান !

ক্যাডেট কলেজে ঢোকার আগে ফুটবল নিয়ে এতোটা ক্রেজ ছিল না। খেলা দেখতাম, ব্যাস এতটুকুই। এর বেশি কিছু ভাবার কোনো কারন কখনো দেখি নি । যাই হোক ক্যাডেট কলেজের বাধ্যতামূলক গেমস পিরিয়ড অল্প কয়েকদিনের মাঝে আমি সহ আমার আরো কতিপয় সহপাঠীকে পুরোদস্তুর ফুটবল প্লেয়ার বানিয়ে দিলো। গেমস টাইম এ ফুটবল খেলি আর প্রেপ , ক্লাস টাইমে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল নিয়ে আড্ডা মারি। খেলা দেখার সুযোগ খুবই কম।

বিস্তারিত»

প্রবাস জীবনের ভালো লাগা টুকরো অনুভূতি কিংবা সময়ের গল্প

এক

এক এক করে দিন পার হয়। ল্যাপি ছাড়া কোন ঘড়ি না ব্যবহার না করায় ঘড়ির কাটার টিকটিক শব্দে সময়ের এগিয়ে যাওয়া টের পাই না। তবে প্রতিদিনের শুরুতে আমার ঘরের জানালা দিয়ে দেখা দূরের পাহাড়ের রঙ বদল কিংবা বরফ-রোদের পালাবদল সঙ্গোপনে জানান দিয়ে যায় সময়ের পরিক্রমাকে। এক দুই তিন করে মোটামুটি ভাবে ছাব্বিশটি মাস পার হয়ে গেছে। সময়ের ব্যাপ্তির বিশালত্ব কতটুকু তা বিষয়ভেদে ভিন্ন হতে পারে,

বিস্তারিত»

অরন্যের একটি দিন এবং একটি রাত্রি…





ওপেনিং শট।
লিংক রোডের মাথায় স্থানীয় বাজারে তখন লোক সমাগম একেবারেই নেই বললেই চলে।
রাস্তার পাশে চা’র স্টলে কোন ক্রেতা নেই। দোকানদার বসে গোছগাছ করছে ঝাপি তুলবার জন্য।
ক্যামেরা ডানে প্যান করে মসজিদের বাইরে এসে স্থির হবে-
গ্রামের মসজিদে তখনো তারাবী নামাজ চলছিল।
কাট করে – শুভ’র গাড়ি।

বিস্তারিত»

ইস্তানবুলের ডায়েরি

সময়কে যদি বহমান এক নদীর সাথে তুলনা করি তাহলে জীবনের ওই দুঃখগুলোকে বলতে হবে বহমান ওই নদীতে ভেসে থাকা ছোট ছোট কচুরিপানা। প্রবাসী জীবনের কেটে যাওয়া ৪ টি বছরে পরিকল্পনার ছকে এসেছে নানা রকমের পরিবর্তন আর জীবন পেয়েছে বাস্তবতাকে মুখোমুখি করে দেখার সুযোগ। পরিচিতি লাভ করেছে সেই সব সংগ্রামী মানুষের যারা হয়তবা ছোট ছোট স্বপ্ন বুকে বেঁধে পাড়ি দিয়েছিল মাতৃভূমিকে ছেড়ে হাজার হাজার মাইলের পথ…দেখেছিল রঙিন এক স্বপ্ন আর যাদের বুকের আশায় ছিল মাতৃভূমিতে ফেলে আসা আত্মীয় স্বজন ও মা বাবা…উন্নয়নশীল দেশের কিছু খেটে খাওয়া মানুষজনের সেই স্বপ্নগুলোকে আমি হয়তবা আমার ডায়রিতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আবদ্ধ করতে পারব না কিন্তু হয়তবা আমি পরিচয় করিয়ে দিতে পারব তাদের আশা নিয়ে বেঁচে থাকার সেই সংগ্রামকে…

বিস্তারিত»

প্রবাস জীবন ও প্রথম পোস্ট এর সাময়িক উত্তেজনা

১)মাঝে মাঝে ভাবতেই অবাক লাগে। দেখতে দেখতে ছয় মাস কাটিয়ে দিলাম ইউএস এ তে। গত ডিসেম্বর এর সময় শুনলাম একাডেমি তে ১ টা অফার এসেছে  । ১ জন ক্যাডেট নিবে ওরা। চার বছর এর জন্য।  ইউএস নেভাল একাডেমি ! সেই বিখ্যাত আনাপোলিস। এই মুভি টা  দেখে ফাস্ট টার্ম এ মোরাল  নেবার চেষ্টা করেছিলাম। যাই হোক, আমার কি? আমার দরকার কমিশন। ঐটাতে ই  আমি খুশি। আনাপোলিস আমার লাগবে না।

বিস্তারিত»

বিবাহ(বার্ষিকী), স্মৃতিচারণ, ও নসিমন (দু)র্ঘটনা – ২

(গত পর্বের পর)

বাসায় ঢুকতেই বিয়ের আমেজ চোখে পড়লো এখানে সেখানে। তবে বেশ ভোর হওয়ায় এখনো পুরোপুরি সরগরম হয়ে উঠেনি। শুরুতেই ইঞ্জিনিয়ারের হাস্যোজ্জ্বল স্বাগতম। দেখে বুঝলাম উনি যারপরনাই আনন্দিত ঢাকা থেকে আমাকে আমদানী করতে পেরে। একটি ঘরে গিয়ে বসলাম। পরিচিত হলাম সাব্বির (সম্ভবত র,ক,ক ২০০১-০৭) ও সুষমার খালাতো/মামাতো/ফুপাতো/চাচাতো (খেয়াল নেই) ভাই রাজিবের সাথে। ওরা তখনো লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। কিছুক্ষণের মাঝেই খালাম্মা (ইঞ্জিনিয়ারের মা) এবং অন্যান্য খালারা এসে পরিচিত হলেন।

বিস্তারিত»

বিবাহ(বার্ষিকী), স্মৃতিচারণ, ও নসিমন (দু)র্ঘটনা – ১

মার্কিন মুল্লূকে এসেছি সেই আগস্ট মাসে। এখন পর্যন্ত টাইম জোনের বিশাল পার্থক্যের সাথে মিলিয়ে উঠতে পারি নি। খেই হারিয়ে ফেলি। উদ্দেশ্য ছিলো একটি একটি সুখকর স্মৃতির রোমন্থন করার কিন্তু মন বেশ খারাপ। সকালে উঠেই ফেইসবুকে দেখতে পেলাম ময়মনসিংহের ২০১২ তে পাশ করে যাওয়া একটি মেয়ের ব্রেইন হেমারেজের ঘটনা। জীবনের সাইকেলে প্যাডেল দেয়ার আগেই অনেক অনিশ্চয়তা। ইতমধ্যেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর “অতীত ভুলে যাওয়ার” জ্বালাময়ী আহ্বান ও আমাদের অর্থমন্ত্রীর মন্তব্যের স্বেচ্ছাচারী পুতুল খেলা দেখে মন তেতো হয়ে আছে।

বিস্তারিত»

হ্যালো, স্লামলিকুম! দৈনিক উন্মাদ থেকে বলছিলাম।

Prank – শব্দটির সাথে পরিচয় ছিলোনা সে সময়। কিন্তু এর পিছনে সময় না দেওয়াটা অসম্ভব একটা ব্যাপার ছিলো। কিন্তূু আমি ছিলাম নেহাতেই চুনোপুটি। এ লাইনে পি এইচ ডি করা বড় বড় ওস্তাদ লোকজনের অভাব ছিলোনা। এরকম একজন ছিলো মোতাকাব্বের ওরফে মোবারক।

উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার রেজাল্ট দিছে সেদিন। পরিক্ষায় সেই রকম ডাইল মারছি। উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পরিক্ষার নম্বরের পার্থক্য হোলো ১৭২ নম্বর। সূতরাং ১ ঘন্টার মধ্যে বাপের প্যাদানির ভয়ে এক বস্ত্রে বাসা ছাড়লাম।

বিস্তারিত»

ঘুম ব্যাঘাত কিংবা বোবায় ধরা বিষয়ক আবোল তাবোল

ইদানিং কিছু লিখতে চাইলেও লেখার আইডিয়া মাথায় চাপে না। আবজাব কিছু একটা লিখবার ইচ্ছা করলেও বিষয় শূন্যতায় ভুগছিলাম। হঠাৎ করেই মাথায় আসল ঘুম বিষয়ে লিখবার। আমি ঘুমাতে পছন্দ করি। ঘুম বিষয়ে আমার আগ্রহও তাই অসীম। ছোট বেলায় বাসার চিপা চাপা ঘেটে সহীহ ফালনামা আর তাবীর পড়তাম স্বপ্নের ব্যাখ্যা পড়বার জন্য। স্বপ্ন বিষয়ে আগ্রহ থাকলেও সহীহ তাবীরের বইতে স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেখে তাজ্জব বনে যেতাম যে কেবল তাই না,

বিস্তারিত»