২১ ডিসেম্বর ২০১১ , দিনটা ছিল আমার জীবনে অন্যতম বেদনাদায়ক একটা দিন । এই দিনে আমার কলেজের বন্ধু জিসান ব্লাড ক্যান্সারে মারা যায় । জিসান ছিল আমার কলেজের ভাসানী হাউস এর । ২-৩ দিন আগে ব্যাচ গ্রুপে হঠাৎ নাফিজের পোস্ট দেখে স্তব্ধ হয়েছিলাম অনেক ক্ষণ, কোন কমেন্ট করতে পারিনি । পোস্টটা ছিল আমাদের গাইড ব্যাচ এর মুহিব ভাই কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত । আবার এই ক্যান্সার এর আক্রমণ !
বিস্তারিত»পাঠকের ডায়েরিঃ স্মৃতি উসকে দেওয়া বই- খাকি চত্বরের খোয়ারি
ফেসবুকে বইপড়ুয়া বলে একটা গ্রুপ আছে। শাহাদুজ্জামানের বইয়ের খবরটা সেখান থেকেই পাই। লেখক হিসেবে শাহাদুজ্জামান এমনিতেই পছন্দের তালিকায় আছেন তার উপরে বইটা যখন ক্যাডেট কলেজ নিয়ে লেখা তখন আর তার উপর নজর না দিয়ে পারি নাই। ক্যাডেট কলেজ নিয়ে যেখানে যা পাই পড়ি, নিজের অভিজ্ঞতার সাথে অন্যদেরটা মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করি। তাই আজিজে বইটা চোখে পড়তেই কিনে ফেললাম। এরপর শুধু চুপচাপ পাতা উলটে যাওয়া।
শুরু টা একটু জড়সড়।
বিস্তারিত»মুহিব বাঁচবেই
কৃতজ্ঞতা: রেজা শাওন, পিসিসি, ২০০১-২০০৭
মুহিবদের ব্যাচের একজন হাসান যখন আমাকে বলল, ভাই মুহিবের জন্য ফান্ড রেইজের কাজ শুরু হয়েছে। সম্ভব হলে একটা লেখা রেডি করেন। বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়াগুলোতে লেখাটা ছাপানো প্রয়োজন। হাতে সময় একেবারেই নেই। হাসানের মেসেজটা পাওয়ার পর আমি আমার বয়স হিসেব শুরু করলাম। পহেলা সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ এর হিসেবে আমার বয়স চব্বিশ হতে আরও দুই মাস বাকী। জীবনে এখনও আমার কী কী করা বাকী সেই লিস্টটা যখন আমি বের করি,
বিস্তারিত»একজন এক্স ক্যাডেটের জীবন ঝুঁকিতে একটু প্রচেষ্টা পারে তাকে বাঁচাতে
মুহিব বাঁচবেইবুয়েট- এর নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের মেধাবী ছাত্র মুহিবুর রহমান Muhibbur Rahman
(২৫ তম ব্যাচ, ২০০২-২০০৮, পাবনা ক্যাডেট কলেজ)। সে আজ মরণব্যাধি `ANO-RECTAL CARCINOMA’ তে আক্রান্ত। এটি খুবই খারাপ ধরনের একটি কোলন ক্যান্সার।বর্তমানে সে ইউনাইটেড হাসপাতালে কোলন ও রেক্টাল সার্জন অধ্যাপক ডা. জাহিদুল হক এর অধীনে চিকিৎসাধীন। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য যতদ্রুত সম্ভব তাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
ব্র্যান্ডেনবার্গে সেবাস্টিয়ান বাখের ভাবনাগুলো
ব্র্যান্ডেনবার্গের আকাশে তখনো সন্ধ্যা নামেনি।
শুনেছ কি ছুরিকাহত হয়েছে রংচটা বেহালাটা?
ওরা সবাই বলছে শেষবারের মত কেঁদেছে…অনেকক্ষণ।
আর সেইসাথে রক্তে লাল হলো আকাশ।
মৃদু বাতাস ভারী হলো স্বজন হারানো পিয়ানোর আহাজারিতে।
ঘরের কোণে কিছু বেহালার জটলায় মৃদু গুঞ্জন।
মূর্ছা যাচ্ছিল বাঁশি, আর তাকে শান্তনা দিতে চেলো
শূন্য দৃষ্টি মেলে জড়িয়ে ধরে আছে সেই শুরু থেকেই।
শুনলাম রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করবে তাকে?
ICCLMM-2011:একটি অজানা ভালোলাগার গল্প(২য় পর্ব)
প্রতিযোগিতা থেকে বাসায় গিয়ে ধরলাম ঢাকার বাস। খোঁজ নিয়ে জেনেছি সে ঢাকায় থাকে। তাই অগত্যা কোন উপায় না দেখে আমার ছুটির শান্তি নষ্ট করে ছুতে গেলাম ঢাকা অভিমুখে। ঢাকায় থাকার অন্যান্য সহস্র সমস্যার মধ্যে প্রধান সমস্যা হল – ০১। সকালের অতি আদরের ঘুম বিসর্জন করা ও ০২। মিরপুর-১ থেকে ফার্মগেট গিয়ে পড়া। অবশ্য তাতেও রাজি শুধু যদি পূরণ হয় সে আশা যার জন্য এত জলাঞ্জলি,
বিস্তারিত»মেয়েটিকে ভাল লাগে – ২য় ও শেষ পর্ব
এক দৃষ্টে তাকিয়ে আছি ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে। এটা আমার খুব পছন্দের বাজে অভ্যাস। গান থেমে গিয়েছে মনে হচ্ছে। নতুন কিছু শিল্পীর সঙ্গীত নিয়ে নাড়াচাড়া করছি ইদানীং। দ্য ওয়াটার বয়েজ নামের একটা নতুন ব্যান্ড পেলাম। বেহালা আর গীটার ডুকরে কান্নার মত সুর তোলে। মেলোডি গারডট – চমৎকার জ্যাজ গায় মেয়েটি। জন কোলট্রেন – স্যাক্সোফোনের পাগলামি। থেলোনিয়াস মঙ্ক – পিয়ানোর সাদাকালো শরীর নেচে বেড়ায় ৯/৮ মাত্রায়। মুঠোফোনটি হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম ক্ষুদেবার্তা গুলোর দিকে।
বিস্তারিত»মেয়েটিকে ভাল লাগে – ১ম পর্ব।
মেয়েটিকে দেখলেই ভাল লাগে। সারাক্ষণ হাসে। “মুখের মাংসপেশী অবশ হয়না?” জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা হয়। ইদানিং বেশ কিছু পুরোন প্রিয় রোমান্টিক গান ভাল লাগছে। মেয়েটিকে ভাল লাগার সাথে সম্পর্ক আছে কিনা ধরতে পারছি না। লাস্যময়ী সুন্দরী যেকোন মেয়ে দেখেই তো ভাল লাগে। সেদিনের কমলাপুর রেলস্টেশানগামী ট্রেনে উঠার জন্য দৌড় দেয়া মেয়েটি। সেও তো ভাল লাগা তৈরী করেছিল। শাড়ি পরে এভাবে এর আগে কাউকে দৌড়াতে দেখিনি। বাতাসে ছড়িয়ে যাওয়া সুগন্ধী মিলিয়ে আসার আগ পর্যন্ত ভাল লাগা বজায় ছিল।
বিস্তারিত»আর্টেমিসিয়া ভালগারিস
সোহরাওয়ার্দী হাউসের পোর্চ এ বসে আছি। একটু আগে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। ভ্যাপসা একটা গরম পরেছিলো। এই গরমের সময় প্রেপ টাইমে অবস্থা ভয়ানক রকমের খারাপ হয়ে যায়। টাইয়ের নট লুজ করে বসলেও ঝামেলা ! স্যার এসে বারবার ডিস্টার্ব করে। ফ্যানের গরম বাতাস শরীর ও মনের উষ্ণতা আরো বাড়িয়ে দেয়। প্রেপ থেকে এসে লম্বা একটা শাওয়ার নিয়েছি। কালিয়াকৈরের ডিশ অপারেটর এর ওখানে কি একটা ঝামেলা হয়েছে নাকি শুনলাম।
বিস্তারিত»ছবি ব্লগ ৩ – গত এক বছরের মার্কিনি ফিরিস্তিঃ আন্তর্জাতিক বান্ধবীরা।
আমেরিকার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তজার্তিক ছাত্র নেই তা আমার জানা নেই। উপযুক্ত বেতনের বিনিময়ে আন্তর্জাতিক ছাত্রদের শিক্ষা প্রদানের জন্য মার্কিনিরা বিখ্যাত। তবে বৃত্তিধারী ছাত্রের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। সেটা স্নাতোকোত্তর পর্যায়ে বেশী। অপেক্ষাকৃত দূরবর্তী ও শীতল এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় বলে মিশিগান টেকনোলোজিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক ছাত্র অপেক্ষাকৃত কম। তারপরেও সংখ্যাটা একেবারে কম নয়। তবে আমার কাছে মার্কিনিরাও আন্তর্জাতিক। তাই আন্তর্জাতিক ছাত্রদের মাঝে যারা আমার পরিচিত তাদের নিয়েই আমার আজকের ফটোব্লগ।
বিস্তারিত»অ্যানাপোলিসের ডায়েরী
#কলেজে প্রায় ই কঠিন কোনো পরীক্ষার দিন সকালে ক্লাসরুমে এসে একটা মৃদু অসন্তোষের গুঞ্জন শোনা যেত।আস্তে আস্তে সেই গুঞ্জন টা একটা তীব্র আন্দোলনে রূপ নিত। আমার মতো সেই সমস্ত ক্যাডেট যারা “ওস্তাদের মাইর শেষ রাতে” এই মতবাদে বিশ্বাস করে তারা পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে চিল্লা চিল্লি শুরু করতো । এরপর নানা দিকে কাহিনীর জল গড়াতো। একশন কমিটি গঠন করা হতো। এই পার্টি থেকে যথাযথ দিক নির্দেশনা দেওয়া হতো।
বিস্তারিত»আধাসামরিক প্রেমের গল্প
আধাসামরিক ক্যাডেট কলেজে বেসামরিক প্রেমিকা থাকা শুধু কষ্টের নয়, ভয়াবহ কষ্টের।প্রতিবার ছুটির শেষে প্রিয়
মানুষটিকে ফেলে কলেজে যেতে অনেক কষ্ট হয়।ক্যাডেট কলেজ, সে এমন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ, যেখান থেকে মুক্ত পৃথিবীর খোঁজ নেয়া অসম্ভব প্রায় । আর্মি হেড কোয়ার্টারের স্বেচ্ছাচারিতায় মুঠোফোনের বেতার তরঙ্গ তখনো জায়গা করে নিতে পারেনি ক্যাডেট কলেজের সেই চৌহদ্দিতে। তবুও সমস্ত কলেজ প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে কখনো আন্ডারগার্মেন্টস এর নিচে,কখনো মোজার ভেতর,মোটা বইয়ের পৃষ্ঠা কেটে,ব্যাগের কোনায়,এংলেটের মধ্যে,
যুদ্ধ…!!!
বিধাতা কিংবা প্রকৃতি যাই বলি মানুষ কে বাঁচতে শেখায় যুদ্ধ করে। মাঝে মাঝে অবাক লাগে যে অসম কোন কিছুই প্রকৃতি মেনে নেয়না । নর-নারীর প্রেম প্রকৃতির বিধানের অদ্ভুত এক রহস্যময় দিক।
আবেগ খুব তাড়া করে মাঝে মাঝে। অদ্ভুত সেই অসম প্রেমের গল্প। নায়ক নায়িকা নেই,আছে শুধু পাগলামি,উষ্ণতার অনুভূতি। চোখ বন্ধ করে নেয়া চুলের মিষ্টি গন্ধ কিংবা কাছের বান্ধবীর কাছে শোনা নির্ঘুম রাতের কথা ;
বিস্তারিত»ডাল সমাচার
ঘটনা ১ : ডিনার এ গেলাম ডাইনিং এ। দুপুরে ইউএস গভর্নমেন্ট এক্সাম ছিল। পরীক্ষা থাকলে যা হয় আরকি ! পেটের ভেতর অদ্ভুত কিছু আওয়াজ হচ্ছিল। খাওয়া দাওয়ার রুচি কমে গিয়েছিল ভয় এর চোটে! তাই পরীক্ষার এই সীমাহীন টেনশনে লাঞ্চ ই করা হয় নাই ! সো ডিনারের সময় বিশাল ক্ষুধার্ত অবস্থায় টেবিল আসলাম। টেবিলে বসে দেখি একটা স্পেশাল টাইপের সুপ সার্ভ করা। আমার স্কোয়াড লিডার আমাকে বললো ওটা টেস্ট করতে।
বিস্তারিত»অসমাপ্ত চিঠি…!!!
মাঝে মাঝে মনে হয় ভালবাসার মত জিনিসগুলো অপরাধের পর্যায়ে পড়ে যার শাস্তি অপরাধীকে ব্রাশ ফায়ার করে মেরে ফেলা । ব্রাশ ফায়ার করার কেউ ছিলনা তো ভেতরেই কাজ যা হওয়ার শেষ !
কি অদ্ভুতই না ছিল আবেগ গুলো। জানো তো আবেগপ্রবণ মানুষ গুলোকে নিয়েই বিপদ। পাওয়ার তালিকাটা হিসাবেই আনেনা কখনো । ভাল থাকে দেয়ালের উপর একসাথে বসে থাকায়,শেয়ার করা ফুচকায় ,আড্ডায় ,কবিতায় , ডিফারেন্সিয়েশন এর ম্যাথ বুঝানোর আড়ালে বাসায় গিয়ে বসে থাকায়,কাঁটাবন এ মাছ না খরগোশ কে কোনটা নিবে সেই ঝগড়ায়,কিংবা ওই যে মনে পড়ে কি শাহবাগ মোড়ের ফুলের দোকান গুলোর কথা…সেদিন গিয়েছিলাম জানো?
বিস্তারিত»