মিশিগান স্টেটটির আকার একটু অদ্ভুত। চারদিকে লেক দিয়ে ঘেরা এই স্টেট দুটো ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে। উপরের ভাগ আপার পেনিনসুলা ও নিচের ভাগ লোয়ার পেনিনসুলা। আমি যাচ্ছি আপার পেনিনসুলারও উত্তরে হো’টন (Houghton) নামক ছোট একটি শহরে। এককালের তামা খনির জন্য বিখ্যাত এই এলাকায় প্রচুর ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের বসবাস। রাত এগারোটায় বিমান থেকে নামার পর বুঝতে পারছিলাম না এটা এয়ারপোর্ট নাকি গ্যাস স্টেশান। জানতে পারলাম শুধুমাত্র এই এলাকার হাজার সাতেক অধিবাসীর জন্য (যার মাঝে হাজার পাঁচেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র) দিনে দুটো করে মোট চারটি ফ্লাইট এখানে এসে নামে ও ছেড়ে যায়।
বিস্তারিত»ব্যান্ড সঙ্গীত ও আন্ত ক্যাডেট কলেজ সঙ্গীত প্রতিযোগিতা
ইদানিং কেন জানি আইসিসিএলএম গুলোর কথা ভাবছিলাম। এমনিতেই, কোন কারন ছাড়াই। ভাবতে গিয়ে একটা জিনিস খেয়াল করে বেশ অবাক হলাম। আমি আসলে আমার ক্যাডেট লাইফের ৬ টি আন্ত ক্যাডেট কলেজ সাহিত্য ও সঙ্গীত প্রতিযোগিতা মনে রেখেছি ঐ ৬ টি বছরে গাওয়া ব্যান্ডের গানের মাধ্যমে। এক একটা বছরের মিট এর কথা মনে করতে গেলে শুধু দেখি ঐ বছরের লিডিং ব্যাচের গাওয়া ব্যান্ডের গানটির কথা মনে পড়ে যায়।
বিস্তারিত»ছবি ব্লগঃ ১ – গত এক বছরের মার্কিনি ফিরিস্তি
যেকোন মৌলিক লেখা শুরু করা খুব কঠিন একটি কাজ। আমি খেয়াল করে দেখলাম আমার লেখা বেশীর ভাগ স্মৃতিচারণ কিংবা তথ্যভিত্তিক আলোচনা। যেগুলোতে মৌলিকত্ব আছে ঠিকই কিন্তু এধরনের লেখা শুরু করা অপেক্ষাকৃত সহজ। ছবিব্লগে ছবি থাকবে ও তার বর্ণনা থাকবে কিন্তু তা বাদে আর কি লিখা যায় ভাবছি।
আগামী আগস্ট মাসের ১৬ তারিখ মার্কিন মূল্লুকে পদার্পণের এক বছর পূর্তি। তবে মিশিগানের উত্তরের এই ছোট শহরে নেমেছি ঠিক ১১ দিন পর ২৭ তারিখ।
বিস্তারিত»অদ্ভুত ফ্যান্টাসি গুলো
বাচ্চাকাল থেকেই এক একটা মানুষের একেক রকম ফ্যান্টাসি থাকে। এই ফ্যান্টাসি গুলো অনেকটা বাধাহীন বলগা হরিণের মতো। কোনো নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা করে না। খুব ছোটবেলায় টাইটানিক দেখেছিলাম। একটা সিন আছে মুভিতে যে জ্যাক জাহাজের সামনে দাড়িয়ে খোলা সাগরের দিকে তাকিয়ে চিত্কার করে বলে,” আই এম দি কিং অফ দি ওয়ার্ল্ড” .. দৃশ্যটা কোনো এক অদ্ভুত কারনে আমার কচি মস্তিস্কে গেথে যায়। কালে কালে এটাই হয়ে যায় আমার ফ্যান্টাসি।
বিস্তারিত»সাভারনামা…
সাভারের ভবনধসের ঘটনা এখন পুরোনো হয়ে গেছে। আজ সেই সময় তোলা কিছু ছবি ফেবু’তে আপলোড করলাম। ছবি দেখে রাজীব ভাই/১৩তম বিসিসি; বললেন “সাভারের উদ্ধারকাজের উপরে একটা লেখা দে”! সাথে সাথে ফেবু বন্ধ করে সেই সময়কার কিছু স্মৃতি নিয়ে আজ লিখলাম। এক বসায় লিখেছি। ভুলভাল হতে পারে।
ভবন ধসে পড়ার পরপরই শাহবাগ গিয়ে রক্ত দিয়ে এসেছি। তবু কেমন যেন ছটফট করছিলাম। আরো কিছু করতে ইচ্ছা হচ্ছিলো।
বিস্তারিত»দৌড়…
১৭ জুন ছিল ৩৬ মির্জাপুরের তথা ইনটেক ১৯৯৮ এর জন্মদিন। ফেইসবুকে আড্ডার মাঝে অনেক স্মৃতিচারণ করা হয়েছে গতকাল। মাহমুদের (১৯২১) অনেক স্মৃতি খুব বিশদ ভাবে মনে থাকে। হয়তো বাকিদেরও মনে থাকে কিন্তু সবাই সব সময় মুখ খুলে না। মাহমুদ সুযোগ পেলেই পুরনো স্মৃতি নিয়ে ঘেঁটে বেড়ায়। কিছু স্মৃতি রোমন্থনের আশায় সবার পোস্ট ও স্ট্যাটাস ঘেঁটে দেখছিলাম। শাহরিয়ারের স্ট্যাটাসটা পড়ে ভালো লাগলো। অনেক কথা অনেক সময় গুছিয়ে বলা হয় না।
বিস্তারিত»সুপারম্যান: ম্যান অফ স্টিল
ম্যান অফ স্টিল !
দেখে আসলাম … প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে ওয়েট করছিলাম মুভিটার জন্য। তাই, একদম ফার্স্ট শো তেই দৌড় দিয়েছিলাম। এখন প্রশ্ন হলো , মুভিটা কেমন লাগলো? আমি সত্যি ই কনফিউজড … প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী ! সব টুকু কি পূরণ হলো?
ট্রেইলার দেখে আন্দাজ করেছিলাম যে মুভিটা “ব্যাটম্যান বিগেইনস” টাইপ হতে পারে। হ্যা, অনেকটা সেই আদলেই তৈরী করা হয়েছে । অবশ্যই দুটোর মাঝে অবভিয়াস কোনো মিল পাবেন না দেখতে বসলে।
সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) আইন ২০১৩ নিয়ে সম্পূর্ণ নিরাপদ(!!!) দূরত্বে থেকে কিছু কথা…
ফেইসবুক নোট থেকে কিছু সংযুক্ত-বিচ্চুতির পর তুলে দিচ্ছিঃ
সরকার ও সংবাদ মাধ্যমকে প্রস্তাবিত রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে শিরিষ কাগজ মোড়ানো বাঁশ দেয়ার জন্য একটি নোট লিখছিলাম। হঠাৎ চোখে পড়লো সম্প্রতি পাশ হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ এর সংবাদটি। রৌদ্রজ্জ্বল আকাশে বজ্রপাতের মত মজাদার দুটো নতুন সংযুক্তি হিসেবে রয়েছেঃ ক) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রশাসকের ক্ষমতা আরো খর্ব করা, এবং খ) ফেইসবুক, টুইটার, স্কাইপ, ইত্যাদি যেকোন যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্য-উপাত্ত আদালতে সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা।
বিস্তারিত»লেঃ মাহমুদ এবং আমাদের গল্প…
আমাদের গল্পটার শুরু গ্রীষ্মের কোন এক মধ্য দুপুর থেকে। অন্য দুপুরগুলোর মত সেই দুপুরটাও অলস হতে পারত, কিন্তু সেদিন দুপুরের অলসতার সুযোগ ছিল না। কারন সেই দুপুরে দেশের বিভিন্ন জায়গার,বিভিন্ন চেহারার কিছু ছেলের ‘আমি থেকে আমরা’ হবার দিনের সূচণা হতে চলেছিল।০৭ মে,২০০২ সালের সেই রৌদ্রজ্জল দুপুরকে সাক্ষী রেখে আমরা একে একে খাকী পোশাকে নিজেকে জড়াই, আর নিজের অজান্তে ৫৪টি মন কখন যেন নিজেদের মত করেই জড়িয়ে গেছে,
বিস্তারিত»দুটি অনু পরমানু
১
মেঘলা আকাশে গুড় গুড় গর্জন
টিনের চালে অবিরাম বৃষ্টির শব্দ
দূর পাহাড় ঘেষে লেকে একা নৌকা
দরজার ও-পাশে একটি কুকুর
অমনোযোগে পেয়ালার চা হিম।
২
দিনের সময়ের সাথে বদলে যায়
আমার জানালা।
ভোরে মেঘে ঢাকা পাহাড়;
কেবল ছেড়েছে ঘুম ভেঙে আড়মোড়া ।
দুপুর রোদে সবুজ পাহাড়;
কাপ্তাই হ্রদের জলে নীলাভ সখ্যতা।
উত্তরাধিকার এর উইল সংক্রান্ত…
তোমায় করে যাচ্ছি
আমার ‘উত্তরাধিকার’।
আমার ভল্টে যতটুকু ভালো
তার ষোল আনাই পাবে তুমি।
আর কালিমাটুকুর সবটুকু
ট্র্যাভেলারস চেক করে
আমি চলে যাচ্ছি আজ।
জীবনের সব পাপগুলো শুষে নিয়ে
তোমায় দিয়ে গেলাম বিশুদ্ধ শুভ্রতা।
উইলে লিখে দিয়েছি তোমার নামে
আমার মরে যাওয়া স্বপ্ন গুলো।
ইচ্ছে মত ডানা মেলতে দিও ওদের।
বিদায় নেবার আগে তাই আমার
এহেন প্রথাগত সৌজন্যতা।
বিপন্ন মানবতা এবং একটি সাহায্যের আবেদন
আরো একবার মানবিক বিপর্যয়ের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি আমরা,আমাদের বাংলাদেশটা। যেসব সেলাই দিদিমনিরা দিনরাত কষ্ট করে আমাদের জন্য কাপড় বুনেন,যেইসব পোষাক শ্রমিকের ঘামে ভেজা নিঃশ্বাসে ভর করে দেশ অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের লাশ আজকে আরেকবার তাজরীনের গন্ডি পেড়িয়ে অধরচন্দ্র স্কুলমাঠে সারি বেঁধে শুয়ে আছে। আর ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার ভিতরে আটকা পড়ে আছে আরো শতাধিক।
উদ্ধার কাজ চলছে এখনো। উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি আছে সেচ্ছাসেবক উদ্ধারকর্মীরা।
বিস্তারিত»পবিত্রতা
অনিন্দ্য ইমতিয়াজঃ
দেখে কে বলবে। এখন রাত সাড়ে ১০টা বাজে? রাজপুরীর মত ঝলমলে আলোয় ভরে আছে গোটা শহর। চারিদিকে মানুষের চিৎকার, চেঁচামেচি, আনন্দোৎসব। সবার মুখেই একটা খুশি খুশি ভাব। নাহ! সবাই এই কথাটা ঠিক না। কোথাও না কোথাও অন্তত একজন তো থাকবেই যে খুশি নয়। অখুশি বলবনা, কিন্তু হয়ত সে বিষন্ন। একা একা চারিদিকে হাটছে আর নিজের প্রতিবিম্ব খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
বিস্তারিত»“তেলাপোকা কেন উল্টে মরে ”
অনিন্দ্য ইমতিয়াজঃ
চিঠিটা খুলে বার বার দেখি
আরও একবার-
লেখাগুলোর উপর হাত বুলোই,
নিস্প্রান এই লেখাগুলো এত সজীব কেন?
কি মায়ায় এরা আমাকে ডাকে-
বারেবার; জানিনা।
মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে
কখনও বা উপদেশ, আবার হঠাৎ হঠাৎ –
খুচরো কিছু ভালোবাসার আবেশ।
খাটের পাশে রাখা গিটারটা তুলে নেই
“টুং টাং” কিছু অচেনা সুর –
ডায়েরি প্রেমী শিক্ষক ও কতিপয় ক্যাডেট
কলেজে নতুন টিচার এসেছেন । তিনি নাকি আবার কোন কলেজের প্রাক্তন প্রিন্সিপল স্যারের পুত্র। এসব নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা ছিলোনা। কিন্তুু মাথাব্যথা বেড়ে গেলো যখন জানা গেলো স্যারের অভ্যাস ক্যাডেটদের ডায়েরি পড়া। একে তো ব্যক্তিগত ডায়েরি, তার উপর ক্যাডেটের ডায়েরি, সেটাও আবার সিভিলিয়ান হয়ে! পুরো কলেজের মাথায় আগুন ধরে গেলো। শিক্ষা দিতে হবে উনাকে!
প্রথম পরিকল্পনা, ক্লাসের যে পার্টি ডায়েরি লিখত,তারা ডায়েরি আনা বন্ধ করে দিল প্রেপ টাইমে।
বিস্তারিত»