ম্যান অফ স্টিল !
দেখে আসলাম … প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে ওয়েট করছিলাম মুভিটার জন্য। তাই, একদম ফার্স্ট শো তেই দৌড় দিয়েছিলাম। এখন প্রশ্ন হলো , মুভিটা কেমন লাগলো? আমি সত্যি ই কনফিউজড … প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী ! সব টুকু কি পূরণ হলো?
ট্রেইলার দেখে আন্দাজ করেছিলাম যে মুভিটা “ব্যাটম্যান বিগেইনস” টাইপ হতে পারে। হ্যা, অনেকটা সেই আদলেই তৈরী করা হয়েছে । অবশ্যই দুটোর মাঝে অবভিয়াস কোনো মিল পাবেন না দেখতে বসলে। একটা নতুন এপিক সিরিজ শুরু করতে গেলে একটু ন্যারেটিভ স্টাইলে ব্যাকগ্রাউন্ড টা রিকল করতে হয়। সেই চেষ্টার ছাপ মুভিতে স্পষ্ট ছিল। কথাটা এর আগেও বলেছি, আবার বলছি। নোলানের ব্যাটম্যান সুপার হিরো মুভির ক্ষেত্রে একটা বেঞ্চমার্ক তৈরী করে দিয়েছে। যেকোনো সুপারহিরো মুভি দেখতে গেলে মনের অজান্তেই কেন জানি ব্যাটম্যানের সাথে তুলনা করতে বসে যাই। নিশ্চিত থাকুন, আমার মতো এই কাজ করলে মুভিটা দেখার মজা নষ্ট হয়ে যাবে।
হেনরি কাভিল নিঃসন্দেহে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুডলুকিং সুপারম্যান। তবে তার অভিনয় আমার কাছে খানিকটা একঘেয়ে লেগেছে। মাঝে মাঝে বেশ কিছু জায়গায় আবেগহীন মনে হয়েছে। তবে একশন দৃশ্য গুলোতে তাকে খুব সাবলীল লেগেছে। চরিত্রটির জন্য যে তাকে অনেক হোমওয়ার্ক করতে হয়েছে তা বোঝা গেছে। রাসেল ক্রো কে নিয়ে বলার কিছু নেই। যতক্ষণ ছিলেন, স্পট লাইট কেড়ে নিয়েছেন। এই চরিত্রে ১৯৭৪ সালের সুপারম্যানে অভিনয় করেছিলেন কিংবদন্তী মারলন ব্র্যান্ডো। রাসেল ক্রো সেই লেগেসি অব্যাহত রেখে দাপটের সাথে মুভিতে অভিনয় করেছেন। জেনারেল জট চরিত্রে মাইকেল শ্যানন কে বেশ মানিয়েছে। উনার বেশ কিছু ইম্প্রভায়জেশন আমার কাছে ভালো লেগেছে। তাছাড়া ইদানিং কালের সুপারহিরো মুভি গুলোতে ব্যাড এস ভিলেন না থাকলে পাবলিক খায় না। জেনারেল জট এর ক্যারেক্টার টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।এমি এডামস ও ভালো ভাবেই উতরে গেছে। কিউট লোয়েস লেন। অভিনয়ের দিক দিয়ে ও কোনো ঘাটতি ছিল না। মুভিটার স্ক্রিন প্লে কিছুটা একঘেয়ে লেগেছে। ফ্ল্যাট ও টানা কাহিনী। তবে অরিজিন মুভি হিসেবে সেটা মানা যায়।হ্যান্স জিমারের মিউজিক ছিল এই মুভির অন্যতম সেরা একটা পার্ট। সাধারণ পিয়ানোর কিছু টুং শব্দ যে কত টা ভালো লাগতে পারে তা মুভিটা শেষ করে বুঝেছি।
প্রচুর স্পেশাল ইফেক্ট ও একশন সিনে ভরা মুভিটা। স্পেশাল ইফেক্ট এর সিন গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছিলো জ্যাক স্নেইডার মুভিটা নিজের মতো করে বানানোর চেষ্টা করেছেন। তার একটা নিজস্ব স্টাইল আছে। একটু ডার্ক ব্যাকগ্রাউন্ডে ন্যারেটিভ স্টাইল আর প্রচুর স্পেশাল ইফেক্ট। 300 আর ওয়াচম্যান এ আমরা সেটা দেখেছি। এই মুভিতেও সেই স্টাইল টা ছিলো পুরোটুকু সময় জুড়ে।আমার কাছে মনে হয়নি ক্রিস্টোফার নোলান মুভিটার টেকনিক্যাল কোনো সাইডে ইনভলভড ছিলেন। ক্রিটিক দের কাছে মুভিটার রিয়েকশন মিশ্র। অনেকেই ন্যারেটিভ স্টাইলে সুপারম্যানের অরিজিনের বর্ণনা টাকে প্রশংসা করেছেন। অনেকেই আবার ক্যারেকটার গুলোর ডেপথে যাওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন। তবে মুভির শেষ দিকে আমার কেন জানি বারবার মনে হচ্ছিল “ম্যান অফ স্টিল” দেখছি নাকি “ট্রান্সফরমার” এর নতুন মুভি দেখছি? একশন সিনগুলো আর ন্যারেটিভ স্টাইল এর মাঝে কোহেরেনস এর একটু অভাব ছিল। মনে হচ্ছিল কোথায় যেন সুরটা কেটে গেছে। মুভিটাকে আমি কোনভাবেই খারাপ বলবো না। তবে এটা স্বীকার করতে হবে যে, অনেক ভালো করার স্কোপ ছিল। নতুন একটা সুপারহিরো সিরিজ হিসেবে সিনেমাখোর দের অবশ্যই মুভিটা দেখা উচিত। বাট , রিমেম্বার , বেস্ট ইজ ইয়েট টু কাম ! নেক্সট মুভিটা যে এর চেয়ে অনেক ভালো হবে এ ব্যাপারে আমার কোনো সন্দেহ নেই।
বি . দ্র . : এই মুভিতে সুপারম্যানের এক অভূতপূর্ব উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে। বাচ্চাকাল থেকে আমরা দেখে এসেছি যে সুপারম্যান সাহেবে কোনো এক অজ্ঞাত কারনে প্যান্টের উপর অন্তর্বাস পরে থাকেন।কেন, সেই প্রশ্নের উত্তর খুজে পাইনি কখনো। এই মুভিতে দেখালাম সুপারম্যান যথাস্থানে আন্ডারওয়ার পড়া শুরু করেছেন। অর্থাৎ আন্ডারওয়ার এখন প্যান্টের নিচে চলে গেছে।
এখন পর্যন্ত IMDB রেটিং : ৮.৩/১০
রোটেন টমেটো : ৫৬%
আমার রেটিং : ৭.৫/১০
এটা নিয়ে সর্বমোট দুইটা রিভিউ পড়ার পরে ছবিটি দেখার জন্য ৬টি ডলার খরচ করতে দ্বিধাবোধ করছি! :-/ :-/
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
টোটালি আপটু ইউ ! আমার মনে হয় ,কয়েকদিন পরে টরেন্ট মাইরা মুভি টা দেখলেও কোনো ক্ষতি হবে না। খুব বেশি কিছু মিস করবেন না।
কপিরাইটকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শণের সেই মহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় আছি! O:-)
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আইন এর লোক ই আইনের ফোক ফোকর খুঁজে বের করে ! 😉
অনেকের কাছে মুভি থাকে, গান থাকে (গান আমারো আছে), তবে আমার হার্ড ডিস্ক জব্দ করলে ফেড ভাইয়ারা তব্দা খায়া যাইবো এতো সফটওয়ার আমি কেন নামাইসি!! :tuski:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ডেঞ্জারাস অবস্থা ! আপনারে দেখবেন নর্থ কোরিয়ার দোসর বানাইয়া ডাইরেক্ট ঝুলাইয়া দিবে :gulli2:
গ্লাস, আইন এই দুইটা পৃথিবীতে তৈরী হইসে ভাঙ্গার জন্য! :gulli2:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
জজ সাহেব, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না 😛
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
পরজীবি যেমন পরের উপর বেঁচে থেকে তাকে শুষে খায় আমিও তেমন আইনজীবি আইন শুষে খেয়ে ফেলি। আমি জজ সাহেব নই! B-)
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
কলেজের ডাইনিং হলের চায়ের কাপের হাতল! এই জিনিসটা ও প্রতিদিন ভাঙতো।
হাহাহা চায়ের কাপের হাতল। মনে করায় দিলা। ঐটাও ভাঙ্গার জন্যই!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
😛 😛 😛 ছি ছি আইন ভাঙ্গে না!
ছোট হাতি
ভাই রে ভাই, এতো কিছু কীভাবে বুঝে ফেল? তুমি তো নিজেও ক্রিটিকদের দলে- জ্ঞানী মানুষ। B-) B-)
লেখা সুন্দর ছিল। আমার টেকাটুকা হলে আমি কাঞ্চনকে দিয়ে বাংলার সুপারম্যান বানাবো। লুঙ্গি তো পড়েই, এবার সে লুঙ্গি পড়ে উড়বে। দোয়া কর।
মুভি রিভিউ লিখতে গেলে একটু ভারিক্কি ভাব নিতে হয় মনে হয়! পাবলিক খায় তাইলে। 😛 বাংলাদেশে কিন্তু নব্বইয়ের দশকে একটা সুপারম্যান মুভি বানানো হইছিলো। নায়ক ছিল ড্যানি সিডাক। ব্যাপক মারদাঙ্গা ছিল সিনেমাতে :gulli2: :gulli2:
ড্যানি সিডাক!!! =)) =)) =))
অনেকদিন পর এই কার্টুনের নাম শুনলাম!
ছোট হাতি
ড্যানি সিডাক বাংলাদেশে সুপারহিরো মুভির জনক। সুপারম্যান চরিত্র ছাড়াও তিনি "গরীবের রাজা রবিন হুড" চরিত্রেও মারাত্মক অভিনয় শৈলী প্রদর্শন করেছেন। তাকে লাল সালাম ::salute::
কাঞ্চনরে দিয়া ভিলেনের চরিত্র করাইতে পারলে দেখতাম কেমন যায়। স্পীড এ আলমগীরের অভিনয় ভালই লেগেছে। এদের দেখে আসলে বোঝা যায় বাতাসে ভেসে বাংলার নায়ক হয় নাই। একই ভাবনায় আমার মনে হয় কাঞ্চন কে দিয়ে মারদাঙ্গা ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করানো যাবে!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
উনারা কিন্তু সেই লেভেলের প্রতিভাবান অভিনেতা। আলমগীর "মায়ের দোয়া" নামক সিনেমায় অনবদ্য অভিনয় করেছিলেন। :boss:
মায়ের দোয়া আমার অনেক প্রিয় একটা ছবি। কয়েকবার দেখছি। একুশে যখন আগে নরমাল ফ্রিকুয়েন্সিতে ছিল তখন প্রায়ই দিত এই ছবি। প্রতিবারই দেখতাম। 😀
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
মায়ের দোয়া তে একটা কঠিন সিন আছে। ভিলেন রা আলমগীর কে গুলি করে সাগরে ফেলে দেয়। কিছুক্ষণ পর আলমগীর সাগর থেকে উঠে আসে। পরে দেখা যায় যে আলমগীরের পেটে মায়ের দোয়া লেখা একটা বোর্ড ছিলো। ঐটা বুলেটপ্রুফ আর্মার হিসেবে কাজ করছে। :goragori: :awesome:
মায়ের দোয়ার ওই দৃশ্য টেক্কা দেয়া সম্ভব না! মজার ব্যাপার। একই নায়ক দুই দশক পরে ভিলেন হয়ে সমূদ্রপথে নায়িকা নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় গুলি করে আরেক নায়ক অনন্তকে। সেটা আবার স্নাইপার ঘোস্ট ওয়ারিয়র গেমের মত বুলেট টাইম কম্বোর মত দেখায়! ভাবই আলাদা! :gulli: :gulli: :gulli:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
অনন্ত জলিলের কোনো ছিনেমা দেখার কপাল এখনো হয় নাই ! অতিসত্তর দেখতে হবে... বোঝাই যাচ্ছে ভালো একটা বিনোদন থেকে আমি বঞ্চিত!
উনার ছবি শুরু থেকে দেখে আসো। বাকেট লিস্টে অনন্ত জলীলের মুভি রাখাটা বাধ্যতামূলক
পুরাই :gulli: :gulli: :gulli:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
রেজা শাওন ভাই, সুদর্শন মানুষ। টাকা থাকলে নিজে নায়ক হইতে বাঁধা কই? :gulli2:
ছোট হাতি
রেজা শাওন ভাই দুর্ধষ নায়ক হবেন। একেবারে তরুণ তরুনীদের মনে ঝড় ! 😡
সিদ্দিক ভাই অ্যান্ড ইলিয়াস কাঞ্চন, স্টিল এ বেটার লাভ স্টোরি দ্যান টোয়াইলাইট :gulli2: :gulli2:
যে জীবন ফড়িঙের দোয়েলের- মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা
নাফিস দোস্ত, অনেক ভাল লাগলো ক্রিটিকটা। সিদ্দিক ভাইয়ের মতই বলছি- এতো কিছু কীভাবে বুঝে ফেল? তুমি তো নিজেও ক্রিটিকদের দলে। ভাই রে ভাই।
আর সিদ্দিক ভাই, আপনে এত কমেডি করেন ক্যামনে? যাই হোক, কাঞ্চনের সুপারম্যান দেখার আশায় থাকলাম...।।
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
হা হা ! কাঞ্চন সাহেবের ইমোশনাল সিন গুলো আসলেই ভালো। প্রতিভাবান অভিনেতা। সুপারম্যান হিসেবে তারে মানাবে। 😛
বাংলার সুপারম্যানের এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর কিন্তু আমি রেজা ভাই B-)
জানালায় কম্বল না দিলে ছবি দেখতে পারি না। কলেজ থেকে বের হবার পর ছবি দেখার ধৈর্য্য পাই না। অস্থির মন!
রিভিউ চালায় যাও। ছবি না দেইখাও তোমার রিভিউরে রিভিউ করার ট্রাই নিমু। 😀
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
ধন্যবাদ ভাই। কলেজের মুভি দেখার একটা আলাদা ফ্লেভার ছিল কিন্তু। সেটা আর এখন পাই না। মুভি দেখার সময় মাথায় কাজ করতো যে একটু পরেই স্পেশাল ডিনার। :awesome: এই ব্যাপারটাই মুভি দেখার মজা বাড়িয়ে দিতো কয়েকগুণ।
ভালো লাগলো রিভিউ। অনেকাংশে একমত, অনেকাংশে দ্বিমত পোষণ করবো।
***** স্পয়লার অ্যালার্ট********* (যারা সিনেমা দেখেন নাই, এই মন্তব্যটা এঁড়িয়ে যাবার অনুরোধ থাকবে, নাহলে পরে বিরক্ত হতে পারেন)---
সিনেমাতে দুটো জিনিস একটু চোখে লেগেছে- সুপারম্যানের অন্যান্য ছবি এবং কার্টুনগুলোতে ধ্বংসাত্মক চিত্র কম থাকে; এখানে প্রায় উড়াধুরা রকমের ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে। আর মানুষজনরে প্রটেক্ট করছে আগের চেয়ে কম, সুপারম্যান দায়িত্ববোধ সুগভীর হয় নাই 😛
আর দ্বিতীয়ত, লুইস লেন- এই বেচারিকেই একমাত্র কেন জানি আরেকটু ভালো করতো- লেগেছে। সুপারম্যান, তার দুই পিতা, দুই মাতা, জেনারেল জড- সব্বাইকেই ভাল্লাগছে, বেশ ভাল্লাগছে। লুইস লেনের চেয়ে আমার অবশ্য পছন্দ হয়েছে জডের সেকেন্ড ইন কমান্ড ফাওরা উলকে। সি ইজ কিউট এন্ড গট এ লাইভলি স্মাইল, লাইক হার ক্রুয়েলেটি
একটা দৃশ্য মাথার মধ্যে অনেকদিন থাকবে। যখন ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও চোখের সামনে
নিজের বাবার মৃত্যু দেখে মেনে নিতে হয়। এর পেছনের কারণটা অবশ্য মেনে নিতে বাধ্য করে- একটু আগেই গাড়িতে বসে তার বলা কথাগুলো। যেকারণে এভাবে চুপ থেকে তাকে প্রমাণ করতে হয় নিজের বাবার কাছে যে সে তার বাবার প্রতি পূর্ণ আস্থাশীল।
সবটাই কেবল সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা- আসলেই কি পৃথিবী বাসী রাজি প্রস্তুত তাকে গ্রহণ করবার জন্য?
জোর এল'এর স্বাভাবিক জন্ম প্রক্রিয়ায় ক্লার্ককে জন্মদানের কারণটা কেবল ক্রিপটন না বরং স্বাভাবিক ভাবে জন্ম নেয়া আমাদের পৃথিবীর শত কোটি শিশু-কিশোরের জন্যও সত্য- এইটা এই সিনেমার সেরা একটা লাইন তাই- What if a child dreamed of becoming something other than what society had intended? What if a child aspired to something greater?
জেনারেল জোডকে তার নিষ্ঠুরতার জন্য দোষ দিতে পারি না; জন্মসূত্রেই সে বাধ্য ক্রিপটনের সর্বাত্মক প্রতিরক্ষার জন্য। ভায়োলেন্স-নিষ্ঠুর আচরণ যেন তার নিয়তি।
একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে, শেষটায় সুপারম্যান যে কাজটা করে বাধ্য হয়ে (কাজটা উল্লেখ করলাম না) , এইটা নাকী প্রাথমিক স্ক্রীপটে ছিল না। স্নাইডারের মাথায় এটা প্রথম আসে, বাকী লোকজন এইটা মেনে নিলেও, নোলান শুরুতে আপত্তি জানিয়েছিল।পরে তাকে মানানো হয় স্ক্রীপ্ট লেখা দেখিয়ে। এমনকি, শুরুর সুপারম্যান অরিজিনের অংশটা সুপারম্যানের যে সিরিজ থেকে অনুপ্রাণিত (সুপারম্যানঃ বার্থরাইট), সেটার স্রষ্টা মার্ক ওয়েডও এব্যাপারটা মেনে নিতে পারেননি। উনার নিজের ব্লগে লেখা কিছু লাইন তুলে দিতে পারি, এই লোক দুর্দান্ত রিভিউ করেছেন এই সিনেমার; আমার চিন্তাধারার সাথে দারুণ ভাবে মিলে গেছে উনার বেশ কিছু কথাবার্তা। পড়ে দেখতে পারেন সময় পেলেঃ
Superman wins by .......... And as this moment was building, as Zod was out of control and Superman was (for the first time since the fishing boat 90 minutes ago) struggling to actually save innocent victims instead of casually catching them in mid-plummet, some crazy guy in front of us was muttering “Don’t do it…don’t do it…DON’T DO IT…” and then Superman ............. and that guy stood up and said in a very loud voice, “THAT’S IT, YOU LOST ME, I’M OUT,” and his girlfriend had to literally pull him back into his seat and keep him from walking out and that crazy guy was me. That crazy guy was me, and I barely even remember doing that, I had to be told afterward that I’d done that, that’s how caught up in betrayal I felt. And after that event, even though I stuck it out, I didn’t give a damn about the rest of the movie.
http://thrillbent.com/blog/man-of-steel-since-you-asked/
শেষটায় বলবো, পয়সা উসুল সিনেমা; ইনফ্যাক্ট- ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট ইন সুপারম্যান সিরিজ সো ফার। ডার্ক নাইটস কিংবা ইনসেপশন দেখার আশা নিয়ে গেলে হয়তো সুবিধে হবে না; কিন্তু যদি সুপারম্যান দেখতে যান কেউ- তিনি/তারা ঠকবেন না বলেই মনে হয়েছে।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
এক্সাক্টলি ভাই। লাস্টের ওই মেট্রোপলিটন ওয়ার টা আসলেই মাইকেল বে কিংবা রোল্যান্ড এমেরিকে টাইপ লাগছে। আর যে বিশেষ কাজের কথাটা বললেন সেটা দেখে আমিও হতভম্ব হয়ে গেছিলাম। সুপারম্যান ক্যারেক্টারের সাথে সেটা যায় না।
আমি একদম সাদামাটা একটা রিভিউ করেছি। এখানে ভিতরের কিছু নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। আপনার কমেন্টা কঠিন হয়েছে। :thumbup: :thumbup:
বিশাল আগ্রহ নিয়া ওয়েট করতেসিলাম যে ৩৫০ টাকা খরচ করে সিনেপ্লেক্সে "বিশেষ মানব- ইস্পাত মানবঃ ত্রিমাত্রিক" দেখতে যাবো। তোর রিভিউ পড়ে টরেন্ট এর জন্য ওয়েট করা শুরু করলাম 🙁
তবে লিখেছিস খুব ভালো, বরাবরের মতই :thumbup: :thumbup:
যে জীবন ফড়িঙের দোয়েলের- মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা
আমার মতে টরেন্ট মারাই শ্রেয়। ৩৫০ টাকা দিয়ে মেলা কিছু করতে পারবি। 🙂
হ, সাড়ে তিনশো টাকায় একটা টি শার্ট কেনা যায় আর তিরিশ কাপ আদা চা খাওয়া যায় 😀
যে জীবন ফড়িঙের দোয়েলের- মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা
সাড়ে তিনশ টাকায় তুই ২/৩ বার নান্নার বিরিয়ানি খাইতে পারবি ! এইটার উপরে কিছু নাই !
ঢাকায় আসার জন্য অপেক্ষা করছি, দেখার আগে যে কোন ধরনের রিভিও পড়া থেকে বিরত আছি তাই এটাও পড়লাম না। দেখার পরে আবার এসে কমেন্ট করে যাবো, তবে কমেন্টগুলো পড়ে বেশ মজা পাইছি 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
অবশ্যই ভাই ! জানায়েন কেমন লাগলো ...
এইসব এক্সট্রা অর্ডিনারী মানব-মানবীদের ছবি দেখতে ভালো লাগে না, তারপরো দেখা হয়ে যায়।
দেখি।
খারাপ লাগে না।
তবে বিনোদনের জন্য বাঙলা ছবি বেষ্ট।
আজ আবারো দেখলাম সেই
দাঙ্গা।
মান্না, কাজী হায়াত
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কাজী হায়াত - মান্নার মাঝে খুব ভালো কেমিস্ট্রি ছিলো। এর সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত "আম্মাজান" সিনেমা। 😀