ধূমপান
সিগারেট আমাদের কলেজে একটা নিষিদ্ধ বস্তু। আমাদের সবারই জানা যে, যার কাছে সিগারেট পাওয়া যাবে। তাকে কলেজ থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। বেশ আজব একটা ব্যাপার। আমাদের বেশ কয়েকজন স্যার প্রকাশ্যে সিগারেট টেনে বেড়ান আর আমাদের বোঝাচ্ছেন-ওটা অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটা বস্তু। আমরা আকর্ষিত হচ্ছি, কিছুটা তাঁদের দেখাদেখি, আর আমাদের বলা হচ্ছে, এটা খুব মজার জিনিস, কিন্তু তোমাদের জন্য এ জিনিস নিষিদ্ধ। আমাদের ক্যাডেট কলেজের নিয়ম-কানুনগুলো আমার কাছে একেবারে ধর্মীয় বিধি-নিষেধের মতো মনে হয়।
বন্ধু – এক দুষ্টু ক্যাডেটের গল্প
কঠিনেরে ভালবাসিলাম
ইস্পাত-মোড়ানো বেতের লাঠির শপাং শপাং শব্দ হচ্ছে। শব্দের শেষ প্রান্তে আঘাতের থপ্ থপ্ আওয়াজ। আঘাতগুলো পড়ছে ইমুর গায়ে। হাতে, কাঁধে, কোমরে, কোমরের নিচে, পিঠে, নখে। প্রতিটা আঘাতের সঙ্গে ইমু কেঁপে উঠছে, কিন্তু ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার চেহারা দেখে আঘাতের তীব্রতা বোঝার উপায় নেই। প্রিন্সিপাল নিজেই মারছেন। আমরা বাকি একান্ন জন যারা এ দৃশ্য দেখছি আর রাগী মন নিয়ে আঘাতের শব্দ শুনছি,
বিস্তারিত»আরো একবার
আরো একবার ফিরে আসবো লোকালয়ে
যখন দুঃখ দুঃখকে ছোঁবেনা,
সুখ সুখকে
মাথার ওপর আকাশ থাকবেনা,
পায়ের নীচে শিশির
গোধুলী শেষে গোকুল ফিরবেনা,
থাকবেনা চুলোর ওপর কলমিলতার গন্ধ।
আরো একবার ফিরে আসবো তোমাদের কপাটে
যখন যুদ্ধ ফেরত স্বপ্নেরা
ডানা মেলবেনা,
শহীদের ভালবাসার ফুল কাঁদবে
শুধু’ই এক বীরাঙ্গনার হাতে,
তাকে বাঁচাতে তোমাদের ছেলেরা
আর কখোনো যুদ্ধে যাবেনা।
শ্যাল উই ডান্স?
আলোর সামনে বসে আছে জয়তী। চুল আঁচড়াচ্ছে। বুকের কাপড়টা ঘাড় থেকে পিছলে বুকের মাঝে কোনোমতে বিঁধে রয়েছে। জয়তীর বুকের ছোট ছোট সোনালী লোম আর লোমকুপগুলো দেখা যাচ্ছে। মাটিতে নতুন ঘাসের মতো। আলো পড়াতে সেগুলো আরও উজ্জ্বল লাগছে। জয়তীর নিঃশ্বাসের ওঠানামার সঙ্গে সঙ্গে তার বুকটাও ওঠানামা করছে। সোনায় ঝলসানো লোমগুলোর দিকে শুভ অপলক তাকিয়ে আছে। চেষ্টা করেও পলক ফেলতে পারছে না-পাছে এই দৃশ্য জীবনে আর যদি ফিরে না আসে!
বিস্তারিত»নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকঃ পর্ব ৫ (শেষ পর্ব)
রাইন,
হ্যাঁ, ঘুমান। (বাবা-মায়ের সাথে নাশতা খাওয়ার প্ল্যান বাতিল?)
আপনাকে সারা রাত জাগিয়ে রাখলাম আজকে। অবশ্য এজন্য আমার একটুও দুঃখ লাগছে না… অপরাধবোধও না! কারণ আমি জানি আমার কাছে লিখতে আপনার ভালোই লাগলো, আমারও যেমন। না? 🙂
লর্ড অফ দ্যা রিংস আমারও খুব প্রিয় একটা মুভি। আমরা প্রত্যেকটা হলে গিয়ে দেখসি। কয়েকটা দৃশ্য আছে এতো সুন্দর।
বিস্তারিত»নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকঃ পর্ব ৪
[দু’টি কথাঃ এই লেখাটি আমি খুব একটা গুছিয়ে বা ভেবেচিন্তে লিখতে শুরু করিনি। দীর্ঘ লেখা এবং সময় নিয়ে লেখার অনভ্যাসে কোনোকিছুতে অনেকদিন একনাগাড়ে মনোযোগ রাখা আমার জন্যে দুরূহ। এখন পর্যন্ত এই লেখার পর্বগুলো লেখার পেছনে আপনাদের সকলের উৎসাহই সব! আমি কেবল লিখছি, আসল গল্প আপনারাই, আসল উৎস! আপনাদের অশেষ ধন্যবাদ!]
নিয়ন্তি,
আপনার “ইন্নালিল্লাহ” পড়ে তো আমারো হাসি পাইলো!
বিস্তারিত»বন্ধু তোমায় সালাম
৪ জানুয়ারী, ২০০৪ তারিখে রয়েল মিলিটারী একাডেমি, স্যান্ডহার্টস এ যোগদানের পর দুইটা সমস্যা আমাকে খুব বেশি কষ্ট দিয়েছে। একটি হল ঠান্ডা আর অপরটি ভাষা। যোগদানের প্রথম ২-৩ দিন সত্যিকার অর্থেই আমি কারো কোন কথাই বুঝতে পারিনি। আমার প্লাটুনের অন্যদের দেখাদেখি সব কাজ করে গিয়েছি না বুঝেই। প্রথম কয়েকদিনের কার্যক্রমের একটা বিরাট অংশ ছিল ইউনিফর্ম, বুট, অন্যান্য পোষাক, বার্গেইন, অন্যান্য সামগ্রী ও সরঞ্জামাদি ইস্যু করা। বিদেশি ক্যাডেট হিসাবে আমার জন্য ছিল অতিরিক্ত কিছু আইটেম যা অন্যদের ছিল না।
বিস্তারিত»নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকঃ পর্ব ৩
ওয়াও রাইন! আপনার বর্ণনা এত্তো ভিভিড। আমি মনে হলো দেখলাম আমার সামনে, আপনাকে, মেয়েটাকে… বৃষ্টি!
কী সুন্দর সব।
অনেক আগে আমি একটা গল্প লেখা শুরু করেছিলাম। ঐখানে বৃষ্টিতে একজনের সাথে প্রথম দেখা হওয়ার বর্ণনা ছিলো। আপনার কথা শুনে মনে পড়ে গেলো। ঐটাও ছাতা বিষয়ক… দেখি মনে হয় পুরানো ডায়েরিতে আছে এখনও, আজকে বাসায় যাওয়ার পরে পাঠাবো আপনাকে।
বিস্তারিত»নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকঃ পর্ব ২
পূর্ব প্রকাশের পর…
রাইন!
ইশ! কতো কিছু মনে করায় দিচ্ছেন!
আরেকটা গাছ ছিলো। ফুলার রোডের ঐ পাড়া। ভিসির বাড়ি আর ইউনিভার্সিটির মাঝখানে একটা আইল্যান্ড ছিলো, তিনকোনা। সেই আইল্যান্ডের মাঝখানে… মাঝখানেই তো।
একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ। আমি ল্যাবরেটরি স্কুলের যেতাম আর উইক-এন্ডে ঐ খানেই ছায়ানট, নাচ শিখতাম। কখন ফোটে কৃষ্ণচূড়া? গ্রীষ্মকালে?
পুরা রাস্তায় পাঁপড়ি ছড়িয়ে থাকতো আর আমি মাঝে মাঝে তুলতাম।
প্রিন্সিপাল এসেম্বলী!! (সিসিবি ভার্সন) পর্ব ৪
৭।
‘৯১ ব্যাচের পতাকা মরতুজা ভাই এর হাতে দেখে আমরা কেউই খুব একটা অবাক হলাম না। সেই উনিশ শো নূহ নবীর আমল থেকেই মরতুজা ভাই সিসিবির সাথেই আছেন। একসময় ভাবীর বিরহে সিয়াটলে স্লিপলেস রাত কাটাতেন। আর এখন নবাগতা অতিথী গুটলু-পুটলু রাইহা কে নিয়ে তাদের সুখের সংসার সিয়াটলের অন্য অনেকেরই রাতের ঘুম ঈর্ষাজনিত কারনে কেড়ে নিয়েছে।
বিস্তারিত»নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকঃ পর্ব ১
নিয়ন্তি,
মেইল করতে বলেছিলেন। মাঝে কী মেইল করবো বুঝে উঠি নাই বলে, করা হয় নাই।
খবর কি আপনার? রাতে ঝিমাচ্ছিলাম পিসি’র সামনে বসে। হঠাৎ ডিং করে একটা মেইল আসলোঃ পিচ্চিদের নোট!
অথচ দেখি অফলাইন, তাই বুঝলাম না কি হইলো (?)
যাক ভালো থেকেন। বিলাইয়ের খবর কি জানায়েন।
রাইন
-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-
রাইন,
আপনি কেমন আছেন?
বিস্তারিত»প্রিন্সিপাল এসেম্বলী!! (সিসিবি ভার্সন) পর্ব ৩
৫।
-জুনায়েদ, তোর কাছে ম্যাচ বা লাইটার আছে? পকেটের শেষ সিগারেটটা ধরাবো…
পাভেল ভাই (‘৯৩) এর কথা শুনে থমকে গেলাম। আমার জানা মতে উনি তো সিগারেট খেতেন না। কবে থেকে শুরু করলেন?? যাই হোক, কথা না বাড়িয়ে পকেট থেকে ম্যাচ বের করে দিলাম। উনি বুক পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে অস্ফুট স্বরে গালি দিয়ে উঠলেন,
বিস্তারিত»ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডসঃ ওয়ান্স আপ’ন এ টাইম, ইন নাৎজি অকুপাইড ফ্রান্স
[ব্লগ লেখা এক মারাত্মক নেশা। ঘাড় থেকে নামিয়ে রেখেছি আশ্বাসে নিশ্চিন্ত হয়ে বসলেই টের পাই কোন ফাঁকে সে আবারও ঘাড়ে চড়ে বসেছে এবং দুই হাঁটু দিয়ে কানের ওপরে চাপ দিচ্ছে! একটা ব্লগ না লেখাতক এই অদৃশ্য ব্যথাটি সরছে না!]
Inglourious Basterds নামটার মধ্যে প্রথমেই যেটা খেয়াল করলাম সেটা হলো নামের বানান ভুল। ভাবলাম টাইপো, তারপরে ভাবলাম টারান্টিনো কি ভুল শিখেছেন নাকি (যদিও চিন্তাটা শিশুতোষ ভীষণ),
বিস্তারিত»খুঁজে বেড়াই সহজ কবিতা
অজস্র কবিতায় কঠিন সব শব্দের খেলা
বুঝতে পারি না কিছুই – নিজেকে বড়ই ক্ষুদ্র মনে হয়।
মনে হয় আমি এখনও অনেক ছোট,
এখনও কবিতা বুঝতে গিয়ে অন্ধকারে ডুবে যাই আমি,
সহজ বাংলায় ‘ভালবাসি’ না বলে কবি কেন যে লিখে ফেলেন
দুই লাইনের শব্দজট – এখনও মাথায় আসে না আমার;
সহজ শব্দের ‘জল পড়ে, পাতা নড়ে’ আজ যেন হারিয়ে গেছে –
সানশাইনঃ সূর্যস্নানের মানবিক ছবি
[পুরোপুরি স্পয়লারমুক্ত মুভি-রিভিউ 😀 ]
ধরা যাক, আমরা একটি সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্র বানাতে যাচ্ছি। ছবিটির কাহিনী অনেকটা সময় পরের পৃথিবীর পটভূমিতে। এমন একটা সময়ে যখন সূর্যের আয়ুষ্কাল শেষের পথে। তারকা হিসেবে সূর্যের দীপ্তি কমে আসছে, ধীরে ধীরে সে নিভে যাচ্ছে। সূর্য নিভে গেলে প্রাণের উদ্ভব হওয়া গ্রহটিতে সকল প্রাণ বিলুপ্ত হবে। মানুষ হিসেবে তখন সবচেয়ে জরুরি কাজই হবে সূর্যকে টিকিয়ে রাখা। মানব সভ্যতার এরকম একটা ক্রান্তি সময়ে একদল নভোচারীকে পাঠানো হলো সূর্যরক্ষা মিশনে।
বিস্তারিত»