ভালবাসার শব্দ

একটা কবিতা লিখব বলে
কলম ধরেছি
গড়াই পাড়ের এক দামাল
ছেলের কথা বলব বলে
রাত জ়েগে আছি
ছেলেটি পান্থজনের
প্রানান্তর মিছিলের সর্বাগ্রে ছিল
যে মিছিলে প্রান দিয়েছিল
সোহরাব মাস্টারের ছোট্ট মেয়েটি
অস্ফুট নিঃশ্বাসে বাবা’কে, মা’কে ডেকেছিল
শস্যের রঙে, ঢেঁকির শব্দে
তাকে আগলে রাখতে।

একটা পদ্দ্য লিখব বলে
পথে নেমেছি
একদল ক্ষুধার্থ শিশুর কথা
জানাব বলে শব্দ খুঁজছি
যে শব্দগুলো তার মা’কে
অবধারিত প্রান্তর থেকে ফিরিয়ে
এনে চোখের জল মুছে দেবে
কাজল পরিয়ে দিয়ে
ভালবাসাহীন কামাদ্দীপ্তের
থাবা থমকে দেবে
মা’কে শৃংখলমুক্ত করে
ভেজা চুল এলিয়ে
উনুনের গন্ধে
উঠোনে রোদ পোয়াতে দেখতে চাইবে।

বিস্তারিত»

অস্ত্র থেকে অক্ষরঃ একজোড়া লড়াকু হাতের গল্প

ভারতীয় একটি সিনেমা দেখেছিলাম বেশ ক’দিন আগে।বাণিজ্যিক সিনেমা হলেও গল্পের ভিন্নতার কারণে মনে বেশ খানিকটা দাগ কেটেছিলো সিনেমাটি।গল্পের নায়ক ছিলেন ৭০ বছরের বৃদ্ধ এক প্রাক্তন বিপ্লবী,যিনি কিনা ভারতের স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও দেশে জেঁকে বসা অনিয়ম,অন্যায় আর দুর্নীতি রুখতে আবার হাতে অস্ত্র তুলে নেন।দেশপ্রেমের পটভূমিকায় ভিন্নস্বাদের এ সিনেমাটিতে অভিনয় করেছিলেন কমল হাসান-দ্বৈত ভূমিকায় দুটি ভিন্ন যুগের ভিন্ন দুই লড়াইকে তিনি যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন,তাকে শুধু বাণিজ্যিক বলে উড়িয়ে দিলে সম্ভবত বেশ অবিচারই করা হবে।

বিস্তারিত»

নির্বাণ

Bare_Trees_by_the_surreal_arts
মানুষকে বোবা করে তোলার সব প্রক্রিয়া যখন সমাপ্ত, তখন তাদের মাঝে এক ধরনের মিশ্র ক্লান্তি দেখা যাবে। অবয়ব পরিষ্কার নয় বলে তারা ঠিক কতোটা ক্লান্ত, সেটা আমি বুঝে উঠতে পারি না। স্যরি, আমি খালি নিজের কথা বলি। বাকিরাও বুঝে উঠতে পারে না। আমি এবং বাকিরা, আমরা সবাই তাদের মুখের রেখা পড়ার চেষ্টা করি। কিন্তু কোনো লাভ নাই, শালাদের মুখই নাই, তার আবার মুখের রেখা?

বিস্তারিত»

বইমেলায় কেনা ম্যালা ম্যালা বইয়ের খবর!

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশক (i.e. ২০১০) -এর প্রথম বছরে সাড়ম্বরে নামলাম বইশিকারে (বউ নেই তাতে কী, বই তো শিকার করা যায়)! সেই তালে পড়ে এবারে জীবনের সবচেয়ে বেশি বার বইমেলায় গিয়েছি। সুযোগ পেলেই সকালে, দুপুরে বা বিকেলে একবার করে ঢুঁ মেরেছি বাংলা একাডেমির সবুজ ঘাসের মাঠটিতে। ঘুরতে ঘুরতে বিস্তর বইও কেনা হয়ে গেছে। আড্ডাবাজির ফাঁকে ফাঁকে উৎসাহ আর কৌতূহলী করে তুলতে পারলেই বইগুলো সানন্দে আমার পকেটে আসতো,

বিস্তারিত»

ফিরিয়ে নাও জলের প্লাবন

সাদা ওড়নাটা উড়ছে একটু ঠান্ডা, একটু গতিময়, কিন্তু মিষ্টি একটা বাতাসে। দিনের বেলা কিন্তু আলো নেই, আকাশ আঁধার। মেঘ জমছে। বাতাসে বুঝি এজন্যই এমন মিষ্টি গন্ধ। বৃষ্টির আগ দিয়ে যেমনটা পাওয়া যায়।

শীত শীত লাগছে কেন? তুষার-রঙা পোষাক কি এর কারণ? অবশ্য এটা অসহ্য ঠান্ডা নয়, অনেকটা মন ভাল করে দেবার মত। মেয়েটার মন ভাল হচ্ছে না। বিষন্ন লাগছে। আকাশের রং টা আসলেই বোধহয় মরা-মরা।

বিস্তারিত»

লোভ

মানুষ আসলে খুব বিচিত্র ধরনের প্রাণী,অনেকই আছে যারা কষ্ট পেতে ভালবাসে।আমি তাদেরই দলের একজন।মাঝে মাঝে নিজেকে প্রশ্ন করি আমার কষ্টের কি কারণ উত্তর একটাই আমি নিজে।কারণ আমি নিজেকে কষ্ট দিতে ভালবাসি।আমার আশে-পাশের মানুষ গুলো হাজারো কষ্টের মধ্যে কি অবলীল ভাবে সুখী থাকে।আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আসলেই সুখী থাকে না ভান করে।ভান করলেও ওরা ওটা নিয়েই সুখী।আমার মত না।
আমি আসলে সব সুখ থেকে আমাকে দূরে সরিয়ে রেখেছি।সফল মানুষ বলতে যা বোঝায় তার শর্ত গুলো আমি পূরণ করেছি বহু আগেই।তবুও আমি সুখী না তাহলে কি আমি লোভী সত্যি বলছি আমি তাও না।

বিস্তারিত»

একুশ আমার একুশ

একুশ আমার বিজয় বেদীতে আরক্ত কিংশুক
একুশ আমার রোদন রূপসী বাংলার শ্যামা মুখ
একুশ আমার শোকের পোষাকে পিকাসোর কবুতর
একুশ আমার একান্ত ভিটে সূর্যদিঘল ঘর।

একুশ আমার কিশোর ক্রান্তি একুশে পদার্পণ
একুশ আমার বেলা অবেলায় দখিনের বাতায়ন
একুশ আমার জ্যোৎস্না প্লাবনে মাতাল হাওয়ার রাত
একুশ আমার তিলোত্তমার কাঁকন হারানো হাত।

একুশ আমার রুদ্র কন্ঠে চৌচির চিৎকার
একুশ আমার বাউল বাহুতে বিদ্রোহী হাতিয়ার
একুশ আমার শাণিত সাহস যুদ্ধে যাবার গান
একুশ আমার রুদ্ধ দুয়ারে মুক্তির কলতান।

বিস্তারিত»

যোগাযোগ

জানালার কাচের ওপর আমি ডান হাত রেখে বসে আছি। আমার পাশে একটা কালো কাচ। কাচের তাপমাত্রা খুব কম। হাতের আঙুলে ঠাণ্ডা লাগছে। বাইরে শিশির পড়ছে। কে বলেছিলো কাচ আসলে তাপ কুপরিবাহী? তাহলে আমার শীত লাগছে কেন! আমি হাত সরিয়ে নেয়ার কথা ভাবলেও সরাই না। আঙুলের ডগা কেমন অবশ হয়ে আসতে থাকে। হঠাৎ কী হলো, আরেকটা হাত এসে কালো কাচটার ওপাশে ঠিক আবার হাতের মধ্যে এসে পড়লো।

বিস্তারিত»

স্ট্যাটিকাব্য

ইদানিং চিন্তা ও ভাবনা অস্থির ইদুর হয়ে উঠেছে। কুটকুট করে নিউরন কাটছে, বুনছে না কিছুই। মাকু হারানো তাঁতির মতোই দশা। মাঝে মাঝে উটকো কিছু লাইন, কিছু শব্দ বুদবুদের মত ভেসে ওঠে। সেগুলো ছড়িয়ে পড়ার আগে, ফুলে ফেঁপে বড়ো হয়ে ওঠার আগেই পারিপার্শ্বিকতার বায়ুচাপ ফটাশ করে ফাটিয়ে দেয়। শব্দ ও পরিবেশ দূষণের ভয়ে সেগুলো খোমাখাতায় জমা হয়। সেখান থেকে আজকের জ্বরকাতর বিকেলে সেঁচে আনলাম কতক বিচ্ছিন্ন লাইন।

বিস্তারিত»

গৃহবদল

দূরে কোথাও একটা রাত জাগা পাখি অবিরাম ডেকে চলেছে। আজ বোধহয় আকাশে চাঁদের পসরা নেই। কেমন শুনশান চারপাশ, ঐ লেজঝোলা পাখিটা ছাড়া বোধহয় বাইরে আর কেউই নেই।

নতুন জায়গায় বরাবরই ঘুমুতে অসুবিধে হয় জাহানারার। সেবার যখন চাঁটগাঁ যাওয়া হলো বড় ছেলেটার জন্য মেয়ে দেখতে, হোটেল ঘরের ঐ নরম বিছানাতেও ঘুম হয়নি। সহসা ঘর বদলে আজো সেই পুরানো বাতিকটাই চেপে বসেছে।

হঠাৎ করে নাতিটার কথা মনে পড়ে গেলো।

বিস্তারিত»

মৃত্যুসংবাদ

ইউসুফ মামার মিসেস (আমার ছোটমামি) আজ ফজর ওয়াক্তে এ্যাজমা এ্যাটাকে মারা গেছেন। সবাই প্লিজ দোয়া করেন।

বিস্তারিত»

মুখবন্ধ

হ্যাং হয়ে থমকে আছি। মনিটরে মাঝেমাঝে ফেইটাল এরর হয়। গাঢ় চকচকে নীল পর্দা এসে সব ঢেকে দেয়। শাদা গোটা গোটা অক্ষরে লেখা থেকে নির্মম পরিহাস। সকল চেষ্টা ফাঁকি দিয়ে মরে গেছে যন্ত্র। যন্ত্রেরও শরীর বিগড়ায়, মাথা নষ্ট হয়। মাথা মানে প্রসেসর, নয়তো মাদারবোর্ড। মা! মা! তোমার কী হয়েছে মা? মন খারাপ? মন খারাপ হলে আমাকে একটু জড়িয়ে থাকো। আরো একটু সময়… তোমার গায়ের গন্ধে একটা শৈশব ফেলে এসেছি আমি।

বিস্তারিত»

তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৯

তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৫ | | | | তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৬
তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৪ | | | | তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৭
তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৩ | | | | তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ৮
তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ২
তুমি ভাসবে হৃদয় মাঝে – ১

“এই রিকশা,

বিস্তারিত»

বিক্ষিপ্ত ভাবনা – ৩

১। শুরু আর শেষের মধ্যে যে দুরত্ব, শেষ আর শুরুর মধ্যে কিন্তু তা নেই। এই চরম সত্যটা আমরা সবাই জানলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা মেনে নিতে চাই না। গত ১৩ ডিসেম্বর ২০০৯ থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য শুরু হয়েছিল আমাদের (অর্থাৎ সেনাবাহিনীর) শীতকালীন যৌথ প্রশিক্ষন। ছয় সপ্তাহ তীব্র শীতের মধ্যে মাঠে-ঘাটে, বনে-বাদারে থাকতে হবে এটাই তো অনেক কষ্ট, তারপর যদি যুক্ত হয় পদাতিক বাহিনীর চক্কর তাহলে তো কথায় নেই।

বিস্তারিত»

দীর্ঘ বিরতি’র জন্য “সরি সিসিবি”।

বিশাল, I mean, বি-শা-ল একটা গ্যাপ দিয়ে ক্যাডেট কলেজ ব্লগে আসলাম। সবাইকে একটু ‘হেল্লো’ বলা এই আর কি!

আসল বিষয়টাই বলিঃ আমি বেশ কিছুদিন হল লিনাক্স ব্যবহার করছি। উইন্ডোজের হাজারো যন্ত্রনায় বিতশ্রদ্ধ হয়ে ভাবলাম দেখি না লিনাক্স টা কেমন। সিসিবি-মামা (এডজুটেন্ট ‘স্যার’) কে ধন্যবাদ আমাকে ‘উবুন্টু’র সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য। যদিও অনেক আগেই দিয়েছিলেন, কিন্তু তখন তেমন একটা পাত্তা দেইনি। পরে একদিন কোন একটা কারণে সিস্টেম আনস্ট্যাবল হবার দরুন আবার রি-ইনস্টল করতে গিয়ে মনে হল দেখি না কি হয়…

বিস্তারিত»