‘৯৭, ‘৯৮ এর পোলাপাইন ব্লগে যেমন কম, এখানেও এসেছে কম। ‘৯৮ এর কনক, হায়দারকে দেখা গেল। ওদিকে ‘৯৭ এর এসেছে শাহেদ, সামিউর, আদনান এবং মাহবুবা। মাহবুবা আবার এক গাদা ফুল নিয়ে এসেছে, ‘কি ফুল’ জিজ্ঞাসা করতেই জানালো ‘মরুর ফুল’!!!! সামিউর এটা শুনে ফট করে বলে বসল, ‘শিউর কর্ছেন তো??? জবাবে ও আরবীতে হড়বড় করে অনেক কিছু বলল।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না
আমরা তোমাদের ভুলব না।
এটুকু আপাতত শুধু গানের কথাই; জীবনবৃত্তের ব্যস্ত চক্রে বছরের গুটি কয়েকদিনই গানটির জন্য বরাদ্দ। বাকি দিনগুলি যে বিস্মৃত হতেই হয়; কীই বা করার আছে বলুন। আর সবকিছু তো মনে রাখাও যায় না; তাই না। এই দেখুন না; গত সেমিস্টারে যে অর্ধপরিবাহীর সূত্রগুলো আঁওড়ে গিয়েছি;
অহনা
কেমন আছিস জানি খুব ভালো।কেন জানিস আমার কাছ থেকে যারা দূরে চলে যাই তারা ভাল থাকে।আচ্ছা আমাকে একটা কথা বলবি,আমাকে কি তুই ভয় পাস? ভাবিস আমি তোর সুখের জীবনে সঙ্কট সৃষ্টি করব।সত্যি কথা আমার সে রকম কোন ইচ্ছা নেই,আর থাকলেও তোর ক্ষতি করার সাধ্য আমার নেই।জানিস মাঝে মাঝে মনে হয় তোকে ভুলে গেছি।আবার বুঝি এটা যে কত বড় ভুল ধারণা।আসলে কি জানিস আমার হৃদয়ের সব ভালবাসা উজাড় করে আমি তোকে ভালবেসে ছিলাম।জানিস তুই যেদিন ফোন করে বললি আমাকে আর ফোন দিস না,আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।জানিস তখন আমি কি করতাম সারা দিন বললতাম “আল্লাহ আমার অহনাকে ফিরিয়ে দাও।”আব্বুতো ভাবল আমি হয়ত পাগল হয়ে গেছি।আসলেই আমি পাগল।
(ডিসক্লেইমারঃ লেখাটি অনেকটাই বন্য’র ‘সিসিবি সমাবেশ’ আদলে লেখা। তাই, ও যদি কপিরাইট নিয়ে কোন ঘাপলা করতে চায়…ওয়েল…পিটিয়ে ওর পিঠের ছাল তুলে ফেলব…
ইচ্ছে ছিল সিসিবির সবাইকে নিয়ে লিখব, কিন্তু পরে দেখলাম সেটা কোনমতেই সম্ভব না…তাই, কারো নাম বাদ পড়ে গেলে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি…মূলত সাম্প্রতিকালে সক্রিয়দের নিয়েই লেখাটি রচিত হয়েছে…বা চেষ্টা করা হয়েছে…)
(সিসিবির সবার প্রতি এই কঠিন লেখা দেবার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখলাম… এই ব্লগের সবাই একজনের জন্মদিন নিয়ে বিশেষ বাড়াবাড়ি শুরু করেছে…। ব্যাপারটা মোটেও পছন্দ হয়নি বলেই আমার এই স্পেশাল লেখা।)
বাড়াবাড়ি আমি কখনও পছন্দ করি না…। :no:
সে কারণেই আমি কাউকে বেশী ভাল বাসি নি পর্যন্ত…!! :thumbdown:
অন্যের জোরাজুরিতে এই ব্লগে এসেছিলাম…।
তারপর দেখলাম… সবাই কোন কারণ ছাড়াই একজনকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়…যার অত গুরুত্ব পাওয়ার কোন কারণই নেই…!!!!
(আমি প্রথমেই বলে নিতে চাই,যারা ভাবেন দেশটা যেমন চলছে চলুক আমি ভালো থাকলেই ভাল লেখাটা তাদের জন্য না।)
আমাদের একসময় নাম ছিল ভেতো বাঙালি।অনেক রক্ত আর অনেক প্রাণের বিনিময়ে আমরা এই কটাক্ষের উপযুক্ত জবাব আমরা দিয়েছিলাম পাকিস্তানী জেনারেলদের।তারা বুঝেছিল এই ভেতো বাঙালির তেজ।আমাদের দেশের অনেকে এই কথা শুনে বলবেন আরে ওতো তিরিশ বছর আগের কথা আল্লাহর কসম তাদের মুখে আমি স্যান্ডেলের বাড়ি মারি।আমার জন্ম ১৯৮৮,আমি যুদ্ধ দেখিনি গল্প শুনেছি।আমার বাবার কাছ থেকে।আর অনেক বই পড়ে।
আমি সকালে কি খেয়েছি আমার মনে নেই।কারন আমি জানি দুপুর এমনকি রাতেও আমার জন্য বাসায় খাবার তৈরী থাকবে।আমার নিজের এমন অনেকদিন হয়েছে বার্গার অর্ধেক খেয়ে উঠে পড়েছি।আমরা হর হামেশাই এরকম করে থাকি।আমার বন্ধু.সিনিয়র,জুনিয়র যারা আছনে,তাদের বলছি আমরা কি কখনো এমন ভয়ে থেকেছি এখন তো খেলাম আবার কখন খাবো?
অনেকের কাছে অত্যন্ত হাস্যকর প্রশ্ন।আমি বিধাতাকে সবসময় ধন্যবাদ দিই এই কারেন যে আমার ক্ষুধায় তিনি খাবার দিচ্ছেন।কিন্তু আমাদের এই চেনা পৃথিবীর বুকে অনেক মানুষ আছে যাদের অনেকেই ভুলে গেছে খাবারের স্বাদ কেমন হয়
আমরা কত ভাগ্যবান আমরা পৃথিবীর এমন একটা অংশে জন্মগ্রহণ করেছি,যারা জানিনা ক্ষুধার কষ্ট কেমন হয়।আমরা জানিনা নিজের চোখের সামনে ক্ষুধা,তৃষায় নিজের সন্তান তিলে তিলে শেষ হয়ে গেলে এক পিতার এক মায়ের বুকে কি রকম হাহাকার ওঠে।কিন্তু আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীর বুকেই অনেক মায়ের কোলে ক্ষুধায প্রাণ হারাচ্ছে তারই নাড়ী ছেড়া ধন।
খুব ভোরে প্যারিসে পৌঁছালাম। সকাল ৮ টা। ইন্টারন্যাশনাল বাস টার্মিনালের অপেক্ষাগারে ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত হয়ে বসে বসে ঠিক করে নিচ্ছি আজকের দিনের পরিকল্পনা। কোথায় আস্তানা গাড়বো সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে আর এর মাঝেই এক আগন্তুকের আবির্ভাব। আগন্তুক আমাদেরকে তার বাসায় পেইং গেষ্ট হিসাবে থাকার প্রস্তাব করলো। প্রতিদিন ২০ ইউরো দিতে হবে বিনিময়ে থাকা এবং খাওয়া। ফ্রড হতে পারে এইকথা মাথায় থাকার পরও কেমন করে যেন আমরা রাজি হয়ে গেলাম।
মন মরে যাবার প্রক্রিয়ার সাথে আমি তেমন পরিচিত ছিলাম না।
বিজ্ঞপ্তি ও বিবৃতিতে মানুষের বিদেহী আত্মার কথা শুনেছি কেবল
জেনেছি, কেউ কেউ মরে গেলে দেহ বিয়োজন ঘটে,
আর কোনো কোনো লাশের খবর থাকে না।
ঈর্ষা করেছি যারা আত্মা হয়ে গেছেন, চল্লিশ দিন
ঘুরে বেড়িয়েছেন ভরহীন অশরীরে।
দুঃখ-শোক-সন্তাপ-বিদুরিত-প্রাণে-অপ্রাণে
আর অনেক অনেক বছর পরে, বিদেহীদের পরিচয়
আমার কাছে আটপৌরে হয়ে গেলে,
আমি মাঝে মাঝে ভাবি আমি আজকে এখন পৃথিবীতে না থাকলে কেমন হতো? একেবারে সাধারণ ভাবনায়, শুরুতেই ধরে নেয়া যায় যে এই লেখাটা লেখা হতো না। আমি জানি আমার ভেতরে যে কথাগুলো জন্ম নিচ্ছে সেগুলো আর কেউ কোনোদিন বলে গেছে; তবে আমার মতো করে বলে নি। আর আমার মতো জীবন ঠিক আমার মতো করেও কেউ কাটায় নি। আমি যাদের সাথে মিশে মিশে,
আমার নতুন কম্পিউটারে এরই মধ্যে নানা অদ্ভুতুড়ে আর ভূতুড়ে অসুখ দেখা দিয়েছে। কেনার পরে প্রথমে দুইটা অপারেটিং সিস্টেম বসালাম, এক্সপি, যেহেতু আমি এক্সপি-কে ভালোবাসি; আর উইন্ডোজ৭, কারণ সে তন্বী তরুণীর দেহবল্লরি নিয়ে হাজির হলো। পাইরেসিকে জিন্দাবাদ বলতে আমার কোনই আপত্তি নাই, হীনমন্যতাও নাই; তাই দুইটা ড্রাইভে এক্সপি ও ‘৭’ জায়গা করে নিলো। আমি দুইখানেই যাই, ঘুরি ফিরি ভালো লাগে।
প্রথম সমস্যা শুরু হলো যেদিন থেকে লাইভ মেসেঞ্জারে কয়েকদিন ধরে ঝুলে থাকা নোটিফিকেশনের কারণে আমাকে লগইন করতেই দিলো না!
আমি অনেকদিন ধরেই কিছু লিখতে পারছি না। লিখতে না পারার যন্ত্রণা বা অসহায়ত্বের সাথে আমার অনেকদিনের সখ্য। এমন অনেকদিন হয়েছে, আমি দিনের পর দিন লিখতে পারি নি। আমার চারপাশে যারা লেখেন, তারা খুব চমৎকার লেখা পাতার পর পাতা লিখে ফেলেছেন। আমার তেমন কিছু মনে হয় নি। অন্যের লেখা পড়েও আমি টের পেয়েছি আমার ভেতরে কোনো শব্দ নেই। কোন সুর নেই। তাই আমি চুপচাপ হয়ে গেছি।
ছেলেটি জন্ম নিয়েছিল…নির্দিষ্ট সময়ের কয়েকদিন আগে-ই…
হয়তো বা সে কারণেই … কিংবা জন্মের সময়ে বাবাকে পাশে না পাওয়ার জন্য……কিংবা অন্য কোন কারণে………জন্মানোর সময় থেকে অনেকদিন পর্যন্ত তার ভ্রুঁ সবসময়ে-ই কোঁচকানো ছিল। সবাই বলতো…বড় হলে খুবই রাগী/বদরাগী হবে সে!!!
ধীরে ধীরে সে জানতে পারলো…তার জন্মদিনটা আসলে তার বাবা এবং মায়ের জন্যে দুইটি কারণে ভীষণ আনন্দের……