ব্লগানুবাদঃ দ্য সেলফিশ জীন – রিচার্ড ডকিন্স

[নিজের কথাঃ কথায় বলে মাথায় কিছু না থাকলে অন্যের মাথার জিনিস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করা উত্তম। বিছানার পাশের টেবিলে পড়েছিলো বইটা। মাঝে মাঝে গুরুগম্ভীর বই ঘুমের টনিক হিসেবে ভালো। রিচার্ড ডকিন্সের প্রবল যুক্তিঘেঁষা আলোচনার পদ্ধতি আমার ভীষণ প্রিয়। বিবর্তন নিয়ে অনেক কু-ধারণা, কু-মত, আমাদের মাঝে বিরাজ করে। সেটা কি অজ্ঞতাবশত নাকি ভয়বশত তা আমি জানি না। ডকিন্স অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘Public Understanding of Science’ বিভাগের একজন প্রফেসর।

বিস্তারিত»

অ-প্রাকৃতিক

[মস্তকটীকাঃ (ব্লগীয় আদলের সাথে বইয়ের ফারাক, তাই পাদটীকা উপরে উঠে আসছে ধীরে ধীরে। এজন্যে তার নাম দিলাম মস্তকটীকা।) যা ভাবি, যা দেখি, তারে নাড়াচাড়া করতে ইচ্ছা করে। এর সাথে বালক বয়সের খেলনা নিয়ে অবিমৃশ্যতার মিল আছে। খেলনা ভেঙে গেলে কান্না পেতো, কিছু করার থাকতো না। এখনও মাঝে মাঝে নাড়াচাড়ার ইচ্ছাবশে চারপাশের দৃশ্য ও ঘটনা ভেঙে যায়। দেখি কিছুই নির্মিত হয় না।

বিস্তারিত»

গ্রামটিতে ‘৭১ এ কোন কুকুরই ছিল না!!

১১ মে, ১৯৭১ সাল। পাকিস্তানী সৈন্যরা আসছে জানতে পেরে অনেকেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছে। যারা রয়ে গেছে, তাদের আসলে যাবার আর কোন জায়গা নেই। অবশ্য সুলায়মান, রহমত এবং মফিজ-যারা কিনা বর্তমান ‘গন্ডগোল’ এর বিরুদ্ধে, তারা উলটো অধীর আগ্রহে পাক বাহিনীর জন্য অপেক্ষা করছে।

অবশেষে দুপুরনাগাদ পাকি বাহিনী গ্রামের একেবারে উপকন্ঠে এসে পৌঁছলো। দলটা বেশি বড় নয়, কমান্ডিং অফিসার একজন মেজর। মেজর সরফরাজ গ্রামের একমাত্র পাকা স্কুল ঘরটায় একটা চেয়ার পেতে বসে তার এডভান্স টিমকে নির্দেশ দিলেন,

বিস্তারিত»

বাউলা প্রেম

নাহয় বাউল, তাই বলে কি সবার মত মন,
মান-অভিমান, ভালোবাসা, প্রেমের আয়োজন
নেই এ বুকে? ঠিকানাহীন, তবুও যেন কোন সে অজানা
পথ হারানো ইচ্ছেরা চায় অটুট ঠিকানা।
শিমুল তুলোর মতোন হৃদয় হাওয়ায় ভেসে চ’লে
আটকে গেলে মাঠের বুকে তারেই আপন বলে।
এই ভিখীরির কোথায় অশন জুড়োতে তার প্রাণ?
তাই তোর তরে মোর এইটুকু রাগ, মায়ার অভিমান।
সোনার মেয়ে,

বিস্তারিত»

রোমিও

মিলি, আমি এখনো দাঁড়িয়ে আছি ঠাঁয়।
আমার তৃষিত চোখ তোমার ওই ক্ষুদ্র জানালায়
চেয়ে চেয়ে ক্লান্ত হয়, তবুও যায়না আশা।
মিলি, কিছুই চাইনা আর। শুধু একটু ভালোবাসা।
তোমার বাড়ির পিছে বড্ড দুর্গন্ধ আর বড় বড় ছনঘাস,
ঝাঁড় ঝাঁড় বনকচু, দেয়ালটা নোনাধরা, ঝুলে থাকে শেওলার আঁশ।

বিস্তারিত»

ফ্যান্টাসি লীগঃ সিসিবি ম্যানেজারদের আমলনামা – ০৭

অনেক অনেক দিন আগের কথা, আমাদের এহসান ভায়ের অনুপ্রেরনায় সিসিবির বাঘা বাঘা সব টিম ম্যানেজাররা ঝাপিয়ে পড়েছিল ফ্যান্টাসি ফুটবলের সিসিবি লীগে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানের জন্য। অনেক আয়োজন করে আমরা শুরু করেছিলাম এই লীগ। প্রথম সপ্তাহেই আমাদের নতুন জামাই রায়হান আবির শীর্ষস্থান দখল করে সবাইকে সাবধান করে দিয়ে সেই যে চলে গেল আর ফিরে এলো না। প্রথম কিছুদিন এই লীগ নিয়ে আমাদের উৎসাহেরও কমতি ছিল না,

বিস্তারিত»

তুমি

অবারীত ঐ পথ বেয়ে
তুমি এসেছিলে
প্রসারিত এই মন পেয়ে
তুমি ভালবেসেছিলে
চাউনির মাঝে ছিল
আমার বিচরন
ওষ্ঠের স্পর্শে
আমার মরন।

বিস্তারিত»

নিরর্থকাব্য

সকালে যখন আবছা ময়লাটে নীল পর্দার পেছনে রোদের হাট বসে,
একটা তুমুল সিনেমা শুরু হয় তখন এই ঘরে
তেমন একটা আলো এসে পৌঁছায় না।
নীল নীল আবছা ঘুম জমে থাকে এখানে।
আর আমি পাশ ফিরে শুয়ে উল্টে যাই, পাল্টে যাই একটু, মাত্র এক অথবা দুই ইঞ্চি।
তারপরে জানালায় নিবিড় হয়ে মিশে থাকা
সবুজ পাতার ডাল নড়ে ওঠে, কেঁপে ওঠে এবং আমিও ঘুমের ঘোরে কেঁপে উঠি।

বিস্তারিত»

কল স্ক্রিনিং!!

আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকা স্বত্ত্বেও আমরা ছিলাম বন্ধুর মতন। না! বন্ধু না, তার চেয়েও বেশি। নিজেদের মাঝে সব কিছু শেয়ার করতাম। ক্লাস, পরীক্ষা, বন্ধুদের সাথে ঝগড়া বা আড্ডা, পছন্দ-অপছন্দ…সব কিছু। এমনকি, একে অন্যের বন্ধুদের নিকনেম পর্যন্ত জানতাম। আমার জন্য সবচেয়ে কষ্টকর ছিল যখন কোন মুভি দেখে তার গল্প বলত। কারন, ‘ওর’ স্বভাব ছিল এক্কেবারে খুঁটি-নাটি সব শোনানো। হয়ত অনেকেই হাসবেন, তবুও বলি- এমনকি, মুভির গানের অংশে গান গেয়েও শোনাতো!!

বিস্তারিত»

নামটা খুঁজে পাচ্ছি না

আমার ঠিক জানা নাই ভালো লেখকরা কোন কিছু লিখার আগেই নামটা দিয়ে দেন কিনা।আমি শুধু এটাই জানি যে আমি দেই।কিন্তু এইটার যে কি নাম দিব খুঁজে পাচ্ছি না।

ছোটবেলায় প্রথমে হতে চেয়েছিলাম কনফেকশনারীর দোকানদার।বিনা পয়সায় পেষ্ট্রী খাওয়াটাই যখন আমার কাছে সবচাইতে আকর্ষনীয়।তারপর কখন ও ক্রিকেটার,কখন ও জার্নালিষ্ট (স্পোর্টস),কখন ও ফ্যাশন ডিজাইনার আবার কখন ও স্বপ্ন দেখেছি আমি বিরাট এক্সিবিশন করছি বেংগল গ্যালারীতে।কখনোই যেটা চাইনি সেটা হল আর্মি অফিসার হতে।শেষ পর্জ়ন্ত ওটাই হতে হল।তাই স্পোর্টস রিপোর্টার হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছেটা এই ব্লগেই পুরন করি।

বিস্তারিত»

বেতন বাড়ানোর সহজ উপায়!!

আপনি কি একজন চাকুরীজীবি? চাকুরীর সামান্য বেতন দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন?? জীবনের ছোট-খাটো সাধ-আহ্লাদ পূরণ করতে না পেরে সেই চিরন্তণ ‘অনেকের চেয়ে তো ভাল আছি’ টাইপ মধ্যবিত্ত স্বান্তনামূলক প্রবোধ দিয়ে নিজেকে সামাল দেবার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছেন??

প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনার জন্যই এই ব্লগটি লেখা হয়েছে। এই ব্লগটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে বর্তমান বেতনকে বহুগুণে (কমপক্ষে ৮৩%!!) বৃদ্ধি করা যায়।

বিস্তারিত»

মরতে তো একদিন হবেই…!!

আজকাল আমাদের একটা মুদ্রাদোষ হল কথায় কথায় ‘কি লাভ? মরতে তো একদিন হবেই…’ বলা। ‘আমাদের’ মানে আমাদের ইনটেকের পোলাপাইনের। যে কোন গেট-টু-গ্যাদার টাইপ কিছু হলেই মোটামুটি শুরু হয়ে যায়…

দেখা গেল দুই/তিন জন হয়ত খুব গভীর মনোযোগের সাথে শেয়ার মার্কেট নিয়ে কথা বলছে, এটা দেখে অন্য একজন খুব সিরিয়াস ভঙ্গিতে তাদের জিজ্ঞাসা করবে,
-দোস্ত, তোরা কি নিয়ে কথা বলিস?
-শেয়ার মার্কেট নিয়ে…

বিস্তারিত»

সমাপ্তি…

ভালোবাসা মোরে প্রশ্ন করে, ভালোবাসা কি?
অবুঝ আমি বাকশুন্য থাকি।
অতঃপর…
নির্বোধ দৃষ্টিতে দেখি ভালোবাসার প্রস্থান…
এ যেন ঠিক দুঃখ নয়,কষ্ট নয়,অভিমান নয়।
বুকের ভিতর এক নতুন বোঁধের জন্ম হয়।
যারে আমি পারি না এড়াতে,
সে আমার হাত রাখে হাতে।
অজানা এ বোঁধ কে বড় পূন্য মনে হয়ে,
যেখানে আর সব কিছু শুধু শুন্য মনে হয়ে…

বিস্তারিত»

বি এম এ…প্রথম রাত…আর কিছু কথা…

আমি বি এম এ তে জয়েন করি ২০০৭ এর ১০ জানুয়ারি। যদিও বাবা আর্মি তে ছিল তবু আমার আর্মি তে আসার তেমন ইচ্ছা ছিল না।ক্যাডেট কলেজে ৬ বছর থাকার পর খুব ইচ্ছা ছিল বাইরের জীবন টা দেখব(উল্লেখ্য ক্যাডেট কলেজের ১ টা দিন নিও আমার ১ বিন্দু আফসোস নাই…আমার জীবনের বেস্ট সময় কলেজের প্রতিটি দিন)। কিন্তু রিযিক নাকি আল্লাহ আগেই ঠিক করে রাখেন। যা হোক আমার জান্নাতবাসী মা এর খুব ইছা ছিল ছেলে ক্যাডেট কলেজে পরে আর্মি তে যাবে…অবশেষে ২০০৭ এর ১০ জানুয়ারি বিকেল ৩ টার সময় চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে আমার বাবা আমাকে রেখে গেলেন…সবাই হও তো ভাবছেন বার বার আমি ২০০৭ এর ১০ তারিখের কথা আলাদা করে বলছি কেন?

বিস্তারিত»

একটি খুব সাধারণ ঘটনা

মৃত্যু খুব সাধারণ ঘটনাঃ
একটা বইয়ের পাতা ওল্টানোর মতোই নিত্যদিনের ঘড়ির কাঁটায় ঘাপটি মেরে বসে আছে।

যেভাবে তুমি চুল আঁচড়াও বা ঘুম ভেঙে দু’হাত আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে এলোমেলো ছড়িয়ে দাও সূর্যরশ্মির মতোন, সেভাবেই মৃত্যু হেঁটে এসে কলিংবেল বাজিয়ে দেয়। সেও আমাদের মতো আধুনিক হয়ে গেছে। যেমন, সময় খুব আধুনিক আজকাল, নিয়মিত কোয়ার্টজের অণুতে মিশে থাকে, ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

বিস্তারিত»