ঊনত্রিশ-‘দ্যা টুয়েন্টি নাইন’: কার্ডের একটি খেলা!!

(ডিসক্লেইমারঃ যারা টুয়েন্টি নাইন খেলার নিয়ম জানেন না, তাদের কাছে এই পোষ্ট বিরক্তিকর লাগতে পারে। আগাম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।)

-‘ট্যাঁ ট্যাঁ ট্যাঁ…’
-‘কিরে হালা, অমন করস ক্যান?’
-‘সানাই বাজাই…খিকজ…’
-‘শিট্‌, তোর কাছে ম্যারেজ আছে?’
-‘আবার জিগায়…খেলা তাইলে তেইশে এ গেল গা…’
-‘কোন ব্যাপার না, এমন টেকনিক্যাল খেলা দিমু…’
-‘মামা, এই খেলা তুলতে টেকনিক্যাল না এক্কেবারে গাবতলী টাইপ খেলা দিতে হইব…মু হা হা…’

আমি শুভর দিকে বোঝার চেষ্টা করলাম ওর হাতের কি অবস্থা,

বিস্তারিত»

শেখ আলীমের হাইকু ৬

জীবনের চোরা গলিতে হাইকু খুঁজি
শব্দের জুয়া সারা দিনমান ছন্দ ধরেছি বাজী
হরতনের বিবির ফাঁদে রুহিতনের গোলাম।
———————————————–

সংসার করি সন্যাসে দিন গুনি
গীতা বাইবেল ত্রিপিটক পড়ি কোরানের বাণী শুনি
আদি ও অন্ত মানুষের ইতিহাস।
———————————————–
জোছনা মাতাল শ্যাম পীরিতি রাত
বিষের বাঁশী নোঙর কাটে কূল হারালো রাই
অথই গাঙের জলে নায়ের ছলাৎ।
———————————————–

বিস্তারিত»

ঐতিহাসিক দিন

আজ থেকে ১৬ বছর আগে।

এই দিনে।
একদল নিরপরাধের জেলের শাস্তি হলো। তারা জানেও না কেনো। কিন্তু আদেশ যেহেতু হলো যেতে তো হবেই।
তাই তারা ভয়ে ভয়ে জেল খানায় গেলো। কিন্তু তারা জানেও না এই জেলখানার সময়টাই তাদের জীবনের সেরা সময় বলে গন্য হবে। মেয়াদ এর পর সবসময় আফসোস হবে এই সময়টার জন্য। এই কয়েদীরাই সবচেয়ে কাছের হবে তাদের জীবনে।
হ্যা,

বিস্তারিত»

অতঃপর সেই আমি-২

পার্ট ১ এর পর ২ নং টা ছাড়লামঃ
পার্ট ১ পড়তে ক্লিক করুন

ছোট্ট একটা মফস্বল শহর।১৯৬৫ সাল।পূর্ব পাকিস্তানের নরসিংদী এলাকার শ্রীনগর।এলাকার মাঝামাঝি স্থানে পাশাপাশি দুটি বাড়ী।তার একটা জলিল সাহেবের অন্যটা রনজিত সাহার।ধর্মে ভিন্ন হলেও তাদের অন্যান্য কিছুতে তারা ভিন্ন নয়।দুজন একই অফিসে চাকরী করেন।গত আট বছর ধরে তারা পাশাপাশি বসবাস করে আসছেন।দু’ পরিবারে বেশ ভাব।যে কোন অনুষ্ঠান কিংবা পারিবারিক কাজে সবাই যেন পরস্পরের জন্য নিবেদিত প্রান।জলিল সাহেবের পরিবারে আছে তার স্ত্রী সহ দুই ছেলে।জলিল সাহেবের দুই ছেলের মাঝে একজন আমার বড় ভাই ফারুক অন্যজন আমি।রনজিত সাহার দুই মেয়ে,জয়িতা আর সুনন্দা।জয়িতার বিয়ে হয়েছে কলকাতার এক ব্যবসায়ীর সাথে।সুনন্দা আমার সাথে কলেজে পড়ে।সুনন্দাকে আমি সুনু বলেই ডাকি।অন্যান্য মেয়েদের চাইতে সুনু একটু আলাদা।তার মাঝে একটা অন্যরকম ভাব আছে যা অন্যদের মাঝে নেই।সুনুর সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক হল সে হাসলে গালে টোল পড়ে।ওর মায়াভরা মুখটা আমার সবচেয়ে আপন লাগে।হাসির মধ্যে একটা শিশুসুলভ ভাব রয়েছে।যদিও ছোটবেলায় ও বেশ মোটা ছিল কিন্তু ও যেন দিনদিন আমার কাছে আলাদা রকম আকর্ষনীয় হয়ে উঠছে।জানিনা আমার আকর্ষন বোধটা অন্য মেয়েদের চেয়ে ওর প্রতি এতটা বেশী কেন।হয়তোবা ওর সেই অন্যরকম বৈশিষ্ট্যের জন্যই।আমরা আলাদা ধর্মের হলেও কখনও সুনু কিংবা আমি পরস্পরকে আলাদা ভাবিনি।মোটকথা সুনন্দাকে আমার বেশ ভাল লাগে।তবে ওকে নিয়ে আমি কখনও সেরকম ভাবনা ভাবিনা।সেরকম ভাবনা বলতে আমি ভালবাসা কিংবা প্রেম-টেম বোঝাচ্ছিনা,আমি বলতে চাইছি আকর্ষনের ব্যাপারটা।

বিস্তারিত»

বন্ধু ! !

আমি শুধু এই কারণে ক্যাডেট কলেজের কাছে কৃতজ্ঞ নই যে এই প্রতিষ্ঠান আমাকে জীবন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছে। বরং, আমি এই কারণে কৃতজ্ঞ যে এই প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ আমার বন্ধুদেরকে পেয়েছি। মূলত আমার বন্ধুরাই আমাকে জীবনের নতুন দর্শন শিখিয়েছে, আমার দুঃসময়ে আমার পাশে এসে দাড়িয়েছে, আমার ভুল হাসিমুখে শুধরে দিয়েছে, সবচেয়ে বড় কথা- আমাকে সব সময় স্বার্থহীনভাবে ভালবেসেছে।

যা হোক,

বিস্তারিত»

শুভ জন্মদিন (০২-০৮)

আমরা কলেজে ঢুকি ২০০২ সালে ৭ই মে। সেইদিনের সব কথা আজও মনে আছে। গাইড হিসেবে মেহেদী ভাই এর আমাকে হাউজে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে হাউজ মাষ্টারের সাথে দেখা করা আমাকে রেখে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে আম্মুর কান্নাকাটি আরো কত কিছু। রাতে প্রথম বারের মত কাটা চামুচ দিয়ে খাওয়া, ম্যানু টাও এখনো মনে আছে ডিম ছিল। :dreamy:।
রাতে রুমমেট মুস্তো আর রেজার শহীদ কোচিং নিয়ে গল্প।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজ ডে উদযাপন ও কিছু কথা…..

Disclaimer: এখানে বলা সকল কথা নিতান্তই আমার ব্যাক্তিগত মতামত।কাউকে দায়ী করার জন্য বা কারো দায়িত্ববোধ নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা আমার উদ্দেশ্য নয়,তাই আমি চাইনা এই কথাগুলো নিয়ে কোন বিতর্ক হোক।আমার কিছু অজানা প্রশ্নের উত্তর পাওয়াটাই আমার উদ্দেশ্য,তাই সবাই নিজ গুনে আমার অজ্ঞতা মাফ করবেন।

গত ২৮শে এপ্রিল ছিলো ক্যাডেট কলেজ ডে।২৫ তারিখে এক বড় ভাই জানালেন যে ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে নাকি তা ৩০শে এপ্রিল উদযাপন করা হবে।তাই ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের পক্ষ থেকে রংপুর ওল্ড ক্যাডেটস এসোসিয়েশন (ROCA) এর জন্য বরাদ্দ করা কিছু কার্ড জুনিয়র ব্যাচের ছেলেদের মাঝে ভাগ করে দেয়ার দায়িত্ব পড়ল আমার উপরে।এই দায়িত্ব পালন কালে এবং এই প্রোগ্রামে গিয়েই আমার মনে কিছু প্রশ্ন আসে ও নানাজনের কাছ থেকে কিছু প্রশ্ন পাই যে প্রশ্নগুলোর উত্তর আমার জানা তো নেইই বরং অন্য কারো কাছেই সদুত্তর পাইনি।তাই সিসিবির কাছেই আশ্রয় নেয়া এবং এই লেখার অবতারণা করা।

বিস্তারিত»

প-এ র-ফলা আর ত-এ হ্রস্ব-ই-কার, এর পরের অংশে প্রাধান্য কার?

একটা বিষয় নিয়ে আমি কদিন ধরেই লিখব লিখব করছিলাম কিন্তু পহেলা বৈশাখের নানা প্রোগ্রাম আর প্রোগ্রাম পরবর্তী পরীক্ষা সমূহের জন্য হয়ে উঠছিল না। পরীক্ষা এখনো চলছে যদিও, তাও ভাবলাম লিখি। আর সহ্য হচ্ছে না।

১৫ তারিখে সার্টিফিকেট তোলার জন্য গিয়েছিলাম JCC তে। ভালই লেগেছিল এতদিন পর আবার সেই চেনা জায়গা-তে ঢুকে। আমার সাথে ছিল আমার বন্ধু নাঈম। ওর প্রায় ৭ বছর পর কলেজে ঢোকা হলো কারণ ২০০৭ এর রি-ইউনিয়ন ও মিস করেছিল।

বিস্তারিত»

কাঁদো বন্ধু, কাঁদো

মানুষটা খুব সাধারণ ছিমছাম ছিলেন। ছিলেন বলছি, কারণ তিনি আর এখন আমাদের সাথে নেই। বেশ অনেকটা দিন হয়ে গেল অজানায় পাড়ি জমিয়েছেন, বোধহয় একটু অবেলায়।

আমার সাথে পরিচয়টা খুব স্বল্প সময়ের জন্য। হাতে গুনে দুবার দেখা হয়েছে। প্রথমবারের স্মৃতিটা এখনো টাটকা। ছুটিতে কলেজে যাচ্ছিলাম। ঝিনাইদহ নেমে শহরে ঢুকলাম দুপুরের খাবারটা খাবো বলে। রিকশা থেকে নেমে ভাড়া মেটাতেই পেছন থেকে আশরাফ ডাক দিলো। তাকিয়ে দেখি চিরাচরিত হাসিমুখ নিয়ে আশরাফ আর সাথে একজন বড় ভাই দাঁড়িয়ে।

বিস্তারিত»

একটি অগল্প-জনিত প্রয়াস বা বিভ্রম

1010

বাইরে যদি খুব তীব্র আলো থাকে, তাহলে ঘরের ভেতর থেকেও সেই আঁচ টের পাওয়া যায়। জানালাটায় পর্দা দেয়া, তারপরেও সূর্যের আলোর তেজ পর্দার ঘেরাটোপ পেরিয়ে চলে আসে। আমি এরকম দিনে খুব ঘরকাতুরে হয়ে পড়ি, এ’ঘর-ওঘর করি। তারপরেও নিতান্ত দরকার না পড়লে বাইরে বের হই না। এখন কোনো কোনো দিন ছুটি থাকে, কোনো কোনো দিন সারাদিন কাজ। যেদিন কাজে থাকি, নিঃশ্বাস ফেলার সময়ও পাই না,

বিস্তারিত»

রাতচারণ

ইনসমনিয়া
দুপুর নিয়ে আমার প্রবল উন্মাদনা আছে। উন্মাদনা, অর্থাৎ সাধারণ্যের সমাজ ও প্রথানিয়ন্ত্রিত আচরণের বাইরে আচরণ। আমি এমন করি, জেনেশুনেই বুক-পকেটে উন্মাদনাসমূহ লালন করি বিবিধ বিষয়ে। জাগতিক তাড়না দিয়ে যেগুলো ইস্যু আমার হিস্যা নিয়ে নেয়- অর্থ, চাকরি, খাওন-দাওন এগুলো আমাকে উন্মাদ করে না। আমি হিসেবি ও খেয়াল করে দেখি এটিএম বুথের ভেতরে ছক ছক নম্বরের জোরে আমার প্রাপ্য খটাখট আমার করতলে চলে আসে। পাতলা হয়ে থাকা ওয়ালেটের ভেতরে শৌখিন রোলার স্কেটিং করে নোটগুলো জমা পড়ে।

বিস্তারিত»

প্রতিদিন এই আমি…

প্রতিদিন একটু একটু করে অনেকটুকু ঘুমাই
স্বপ্ন দেখিনা…
সারাখন বসে কেবলি ভাবনা বিলাস; কাব্য করিনা
প্রতিবার ভাবি ছেড়ে দেব, বদঅভ্যাস যত্তসব
ছেড়েও ছাড়িনা
একছুটে ঘর পেরিয়ে বারান্দায়, পালাতে চাই
গ্রিলের খাচায় আটকে রই…পথ যে অজানা
প্রতিদিন একটু একটু করে মুটিয়ে যাই,
হাটতে চাইনা
বড় হতে চাই, বুড়ো হতে চাই না ।
সিগারেট ছাইদানি ছেড়ে দেব সব…তবু ধোয়া বাড়ে
মৃত্যুঝুকি কমেনা
পথ পেরিয়ে পথে যাব ভাবি,

বিস্তারিত»

সেলাই#৩

বিকেলের আলোমাখা টেবিলে আমরা দুজনে বসে
তোমার খয়েরি চোখের গাঢ় কাজল দেখলাম
চোখের পাঁপড়িগুলো নেই
(কেউ এসে তুলে নিয়ে গেছে)
ডান চোখের কিনার থেকে লাল ঠোঁটের প্রান্ত অবধি ছুরি দিয়ে চিরে দিয়েছে কেউ
ঠোঁট থেকে হাসির কিছু টুকরো কণা চোখের দিকে সিঁড়ি ভেঙে উঠে যাচ্ছে

তোমার কষ্ট লাগছে। তোমার ব্যথা লাগছে। তুমি হাসছো না। তুমি কাঁদছো না।

আসো আমরা এদিক-ওদিক তাকাই।

বিস্তারিত»

আরেকটু রাত হোক

এখনি কি গান তুই শুনবি গোঁসাই? আরেকটু রাত হোক,
দূরের বিলের বুকে আলবোলা ভূতেরা জ্বলুক।
ছাতিমগাছের ডালে ডাহুকটা কেঁদে কেঁদে থেমে যাক।
ফ্যাঁকাশে রাতের মুখ নিকষ কাঁলচে হলে,

বিস্তারিত»

ব্লগানুবাদঃ দ্য সেলফিশ জীন – রিচার্ড ডকিন্স (২)

[নিজের কথাঃ প্রথমেই যাঁরা উৎসাহ দিচ্ছেন, তাদের জন্যে আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা! ব্যস্ততার মাঝেও কাজটা নিয়ে থাকার প্রেরণা পাচ্ছি আপনাদের সকলের কারণে। এই পর্বটি একটু বড়ো, বেশ কিছু খাশটা উদাহরণ আছে, এবং শেষের অনুচ্ছেদে কাকতালীয়ভাবে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে আমার আজ রাতে হওয়া epiphany আছে। লিখতে লিখতে হুট করেই জামাত-শিবিরের চালচিত্রের একটা জেনেটিক, জেনেরিক ধারণা পেলাম। ডকিন্সকে ধন্যবাদ!]

প্রথম পর্বের পর…

আরো বিশদে যাওয়ার আগে আমাদের ধারণাগুলোকে সংজ্ঞায়িত করা দরকার।

বিস্তারিত»